Sunday, October 14, 2018

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নিয়ে বাংলাদেশের নামে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে কিছু বেনামি অনলাইন

নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নির্বাচনে ১৯৩ ভোটের মধ্যে ১৭৮ ভোট পেয়ে আগামী তিন বছরের (২০১৯-২১ মেয়াদে) জন্য সংস্থাটির সদস্যপদ পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশের সদস্য পদ প্রাপ্তি নিয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে কিছু বেনামী অনলাইন।

‘মানবাধিকারের সুরক্ষা ও গুণগত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদের ‘অযোগ্য’ ঘোষিত বাংলাদেশ!’ শীর্ষক শিরোনামে ‘বিডি পলিটিকো ডট কম’ নামের একটি নাম সর্বস্ব অনলাইন একটি খবর প্রকাশ করেছে। এমন অপপ্রচার চালাতে দেখা গেছে আরও কিছু অখ্যাত অনলাইন নিউজ পোর্টালকে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে বাংলাদেশকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হয়েছে ১২ অক্টোবর। বাংলাদেশ ৪র্থ বারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরাসরি ও গোপন ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর মোট ১৮টি দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের নতুন সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ছাড়াও আরো চারটি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এগুলো হলো- ভারত, বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নতুন মেয়াদে সদস্য হবে দেশগুলো।
অবশ্য ভোটের আগের সন্ধ্যায় মানবাধিকার গ্রুপ ইউএন ওয়াচ, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন এবং রাউল ওয়ালেনবার্গ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নতুন ১৮টি সদস্য দেশ নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। এতে বাহরাইন, ক্যামেরুন, ইরিত্রিয়া, ফিলিপাইন, সোমালিয়া ও বাংলাদেশের সদস্য হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলে তারা। তবে তাদের আপত্তি পাশ কাটিয়ে ১৭৮ টি দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হতে বাংলাদেশকে ভোট দেয়। এর আগে বাংলাদেশ ২০১৫-১৭ মেয়াদে মানবাধিকার কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের মার্চে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মূলনীতির আলোকে পরিচালিত এই কাউন্সিলে সদস্য হওয়ার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে সমানভাবে সদস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে আফ্রিকা ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৩টি করে আসন বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ৬টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৮টি এবং পশ্চিম ইউরোপীয় ও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
মানবাধিকার কাউন্সিল বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য এবং মানবাধিকার লংঘনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এবং তাদের উপর সুপারিশ করার জন্য জাতিসংঘের একটি আন্তঃসরকার সংস্থা হিসেবে কাজ করে ইউএনএইচআরসি।

No comments:

Post a Comment