Wednesday, October 31, 2018

কলামিস্ট গাফফার চৌধুরীর চোখে ঐক্যফ্রন্ট ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির রহস্য ভেদ

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও এর কৌশল সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। এরইমধ্যে এই ঐক্যফ্রন্টকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই। এবার একই প্রসঙ্গ টেনে সুপরিচিত বাংলাদেশি গ্রন্থকার, ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- এর রচয়িতা জনপ্রিয় কলামিস্ট গাফফার চৌধুরী ঐক্যফ্রন্ট ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছেন। তার এ সংক্রান্ত একটি কলাম ‘বাংলা নিউজ পোস্ট’- এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
‘বিদেশে বসবাসের অনেক অসুবিধার মধ্যে একটা বড় সুবিধা এই যে, দেশের পরিস্থিতির দিকে একটু দূরে বসে লক্ষ্য রাখলে এমন সব ঘটনা জানা যায়, যা কাছে বসে জানা সহজ নয়। অনেক নির্মোহ দৃষ্টিতেও ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়। এই যে একজন নারী সাংবাদিক সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বিপাকে পড়লেন, প্রথমে মনে হয়েছিল এটা চায়ের কাপে তুফান। কিন্তু নিজের অশোভন মন্তব্যের জন্য ব্যারিস্টার মইনুল ক্ষমা চেয়েও রেহাই পেলেন না। মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন, বিদেশে বসে এর অনেক নেপথ্য কাহিনীও জানতে পেরেছি। এর সত্য মিথ্যা জানি না। কিন্তু যা একেবারে একটি সহজ ঘটনা মনে হয়েছিল তা দেখছি ততটা সহজ ঘটনা নয়। বিচারাধীন বিষয়, তাই মন্তব্য করছি না। সত্যের ঢাক আপনিই বাজবে।
একটা বিষয় স্পষ্ট, একটি সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচনে হারিয়ে ক্ষমতা থেকে অপসারণের চেষ্টা কোন অন্যায় বা অগণতান্ত্রিক পন্থা নয়। দেশে এই উদ্দেশ্যে যদি বিএনপি-জামায়াত জোট প্রস্তুতি গ্রহণ করত কিংবা তার বাইরে অন্য কোন দল বা তৃতীয় জোট উদ্যোগী হতো তাহলে আপত্তির কিছু ছিল না। বরং বলা যেত দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক পথে চলছে।
ড. কামাল হোসেন, ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং আরও কয়েকটি ছোট বড় দল মিলে যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী তৃতীয় জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয় তাকেও দেশের নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে স্বাগত জানানো যেত। কিন্তু কয়েকটি ব্যাপার হঠাৎ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তোলে এবং একটি সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে গণতন্ত্রের রাজনীতি নয়, ২০০১ সালের চাইতেও গভীর এক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে সন্দেহ করার কারণ ঘটে। বিদেশে বসে এই সত্যটা আমার চোখে আরও বেশি ধরা পড়েছে।
প্রথম কথা, ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট মিলে নতুন জোট গঠন করার উদ্যোগ, তার পাঁচ দফা কর্মসূচী ঘোষণা এবং সাফ বলে দেয়া বিএনপি যদি জামায়াতের সংশ্রব ছাড়ে তাহলেই এই জোটে যোগ দিতে পারে এ পর্যন্ত সবই ভাল ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই কর্মসূচী ঘোষণার প্রথম বৈঠকেই সদলবলে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর অনুপস্থিতি এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এই বৈঠকে অকস্মাৎ আবির্ভাব এবং একেবারে ড. কামাল হোসেনের পাশে অবস্থান গ্রহণ অনেকের মনে সংশয় সৃষ্টি করে।
দ্বিতীয় কথা, এক এগারোর আধা সামরিক সরকারের মন্ত্রীপদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর দীর্ঘকাল ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কোন রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল না। এক এগারোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে তাকে এই সভায় ডাকার কথাও ছিল না। তার একটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব রাজনৈতিক দলও নেই। তাহলে তিনি কাদের ডাকে বা কোন দলের প্রতিনিধি হয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার সভায় এলেন? কেবল কি নিজের প্রতিনিধি হয়ে নাকি ঐক্য প্রক্রিয়ার কারও গোপন আমন্ত্রণে?
এই প্রশ্ন দুটোর সুরাহা না হতেই ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ষড়যন্ত্রটি ধরা পড়ে যায়। এই ব্যাপারে লন্ডনে বসে তারেক রহমান যে খেলা খেলেছেন তা জানতে আমার দেরি হয়নি। তারেক চেয়েছেন বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ঠেকিয়ে ড. কামাল হোসেনকে বিএনপি-জামায়াত জোটে টেনে আনা। তিনি জানেন জামায়াতের বিরুদ্ধে ড. কামালের অবস্থান খুবই দুর্বল। তবে চক্ষুলজ্জায় তিনি সরাসরি তার গণফোরাম নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটে যোগ দিতে পারবেন না। তাকে দিয়ে ঠুঁটো জগন্নাথের মতো একটি ঐক্যফ্রন্ট বানিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে যুক্ত করলে যে নামই এই সংযুক্তিকে দেয়া হোক এটা হবে বিএনপি-জামায়াত জোটে আরেকটি শরিকের সংযোজন।
ডা. বদরুদ্দোজাকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে এবং তাতে যোগ দিতে হলে বিএনপিকে জামায়াতের সংশ্রব ছাড়তে হতো। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া আদালতের বিচারে দণ্ডিত। তারা বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে পারেন না। ঐক্যফ্রন্টে আসতে হলে এই নেতৃত্বও তাদের বদল করতে হতো। তাই বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে এই ঐক্যফ্রন্ট থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত লন্ডনেই শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছি, অতীতের অনেক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাহিনী আমার জানা। তাই আমার ইনটিউসন বলে, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের নামে বর্তমানের চক্রান্তের রাজনীতিতেও নিজের জ্ঞাতসারে হোক আর অজ্ঞাতসারে হোক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ব্যবহৃত হয়েছেন। তাকে এই চক্রান্তে ব্যবহারের জন্য যদি তার ‘প্রিয় মামা’ বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী খোন্দকার মাহবুবেরও নেপথ্য ভূমিকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমি বিস্মিত হব না। লক্ষ্য করার বিষয়, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আলোচনার নামে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডা. বদরুদ্দোজাকে, ড. কামালের বাসায় এনে বসিয়ে রেখে ড. কামাল হোসেনকে ব্যারিস্টার মইন নাকি আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সহযোগিতায় তার অফিসে এনে (প্রকারান্তরে আটকে রেখে) ড. চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কাজ শেষ করেন এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন।
এই খবরটা আমার নয়, ঢাকার কাগজেরই খবর। সেজন্যেই প্রশ্ন ওঠে, দল নেই বল নেই ব্যারিস্টার মইনুল একা একজন মানুষ হয়ে এতটা প্রভাব খাটালেন কি করে? এবং খাটালেন কাদের সহযোগিতায় ও কাদের স্বার্থে? ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রথম প্রকাশ্য সভায় তার আকস্মিক আবির্ভাব থেকে নারী সাংবাদিককে অবমাননার অভিযোগে তার গ্রেফতার পর্যন্ত সব ঘটনাটাই কি এক সূত্রে গাঁথা? এ সম্পর্কে আলোচনার সময় এখনও আসেনি।
দেশের বর্তমান ঘোলাটে পরিস্থিতির আসল সত্যটি কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বলেছে, ‘কামাল হোসেন তৃতীয় জোট গঠন না করে নিজেই বিএনপি-জামায়াত জোটে যোগ দিয়েছেন।’ আমার ধারণা, বেগম খালেদা জিয়া জেলে এবং তারেক রহমান বিদেশে থাকায় বিএনপিতে যে নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিএনপি নেতারা তাদের জোটের প্রক্সিনেতা হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন। তারা জানেন, ড. কামালের নিজস্ব কোন কনস্টিটিয়ুন্সি নেই। তার পায়ের তলায় রাজনীতির শক্ত মাটিও নেই। তার প্রয়োজন ফুরালেই তারেক রহমান তাকে বৈরাম খাঁ বানিয়ে শুধু রাজনীতি নয়, দেশ ছাড়া করতে পারবেন।
তবে এই অন্ধকারের মধ্যেও আমি একটু আলোর ইশারা দেখছি। চানক্যবুদ্ধির অধিকারী তারেক রহমান বিদেশে বসে হয়তো ভাবছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কামাল হোসেন এখন আর কোন ফ্যাক্টর নন। তিনি অবশ্যই রাজনৈতিক এতিম। তাকে সামনে খাড়া করে বর্তমানের সঙ্কট উত্তীর্ণ হতে পারলে ভবিষ্যতে ব্যবহৃত কমলার খোসার মতো তাকে আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে দলে তার একক নেতৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ঠেকায় কে? কিন্তু এর বিপরীত ঘটনাও কি বিএনপিতে ঘটতে পারে না?
আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সুবিধা করতে না পারলে আদালতের বিচারে দণ্ডিত অপরাধী হিসেবে বেগম জিয়া বা তারেক রহমানের বিএনপির নেতৃত্ব ধরে রাখা সম্ভব হবে না। বিএনপির একদল তারেক বিরোধী নেতাকর্মী সেই আশাই করছেন। তারা আশা করছেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হবে এবং তাদের নতুন নেতা নির্বাচন দরকার হবে। আইনগত কারণেই বেগম জিয়া কিংবা তারেক রহমান নেতা হতে পারবেন না। তখন নতুন নেতা নির্বাচনেও তাদের সম্মতি দিতে হবে।
তার ফলে কি ড. কামাল বিএনপির নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন? সে আশাতেও গুড়ে বালি। তিনি এবারেও নির্বাচনে দাঁড়ালে নির্বাচিত হবেন কিনা সন্দেহ। বিএনপির নতুন পার্লামেন্টারি নেতা হিসেবে যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন, আশা করা যায় তিনি এবং দলটির নেতাকর্মীরা মিলে দলটিকে অভিশপ্ত নেতৃত্বের কবলমুক্ত করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরিয়ে আনবেন। এটাকেই আমি অন্ধকারে আলোর ইশারা বলছি।
গণতান্ত্রিক বিরোধিতার বদলে শেখ হাসিনাকে নির্বাচন সামনে নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। উপায় নেই, যে যা-ই বলুক তাকে আরও কঠোর হতেই হবে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একবার অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হককে বলেছিলেন, ‘ফজলুল হক, তোমার মতো একজন জনপ্রিয় রাজনীতিকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বড় ব্যর্থতা কি জানো? তুমি মায়ের হৃদয় নিয়ে দেশ শাসন করতে চাও। মায়ের হৃদয় নিয়ে দেশ শাসন করা চলে না।’
শেখ হাসিনা এই কথাটা থেকে শিক্ষা নেবেন আশা করি। তিনিতো মায়ের হৃদয় নিয়ে দেশ শাসন করে দেখেছেন তার ফল কি দাঁড়ায়! দেশের স্বার্থ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাকে আরও কঠোর হতে হবে।’

বিএনপির দেশ কাঁপানো ১০ মিথ্যাচার

নিউজ ডেস্ক: আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিএনপির কারাদণ্ড প্রাপ্ত চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান মনগড়া ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যা সময়ের পরিক্রমায় মিথ্যাচারে রূপান্তরিত হয়েছে। উল্লেখ করা হলো বিএনপি কর্তৃক প্রদত্ত দেশ কাঁপানো ১০ মিথ্যাচার।

মিথ্যাচার ১
২৮ জানুয়ারি, ১৯৯১, চট্টগ্রামের মিরেরসরাই জনসভায় বেগম খালেদা জিয়ার মনগড়া ভবিষ্যদ্বাণী: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সব মসজিদ ভেঙে ফেলা হবে। যেসব মসজিদ থাকবে সেগুলো থেকে উলুধ্বনি দেয়া হবে।
বাস্তবতা: আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন মসজিদ ভাঙেনি। বরং বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে মসজিদ ভেঙ্গেছে। উপরন্তু গত প্রায় ১০ বছরে সারা দেশে সরকারের অর্থায়নে ৬৭ হাজার ২৭৩টি নতুন মসজিদ করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আধুনিক মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মুসলমানদের নামাজের সুবিধার জন্য প্রতিটি মসজিদ সরকারের অনুদানের আওতায় এসেছে।
মিথ্যাচার ২
৩০ জানুয়ারি ১৯৯১, ফেনীর জনসভায় বেগম খালেদা জিয়ার মনগড়া ভবিষ্যদ্বাণী:
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্যন্ত এলাকা ভারতের দখলে চলে যাবে। আপনারা আর বাংলাদেশের নাগরিক থাকবেন না, ভারতের ক্রীতদাস হয়ে যাবেন।
বাস্তবতা: ফেনী আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের দখলে যায়নি। বরং সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে, ভারতের কাছে থাকা বিশাল ভূখণ্ড উদ্ধার করেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
এর অংশ হিসেবে ভারতে কাছ থেকে ১১১টি ছিটমহল ও বঙ্গোপসাগরে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
মিথ্যাচার ৩
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১, ঢাকায় জনসভায় বেগম খালেদা জিয়ার মনগড়া ভবিষ্যদ্বাণী:
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আবারও দুর্ভিক্ষ হবে। লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। মানুষ খাবারের জন্য মারামারি করবে।
বাস্তবতা: রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ এবং মঙ্গা- এই তিন শব্দ উধাও হয়েছে। বরং বিএনপির আমলেই খাদ্য-ঘাটতি ছিল। সারের জন্য কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল।
মিথ্যাচার ৪
১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৬, গঙ্গার পানি চুক্তির পর বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মনগড়া বিবৃতি:
গঙ্গার পানি চুক্তি হলেও বাংলাদেশ, এক ফোঁটা পানিও পাবে না দুই বছরের মধ্যে পদ্মা নদীতে গাড়ি চলবে।
বাস্তবতা: পদ্মা এখন বহমান, খরস্রোতা। বাংলাদেশ শুষ্ক মৌসুমে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি পাচ্ছে। উত্তরাঞ্চল খরার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
মিথ্যাচার ৫
২৮ জানুয়ারি, ২০০০ সাল। জাতীয় সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার:
ভারতের সাথে ২৫ বছরের চুক্তি আসলে গোলামীর চুক্তি। অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। এই চুক্তি বাতিল না করলে, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করবে।
বাস্তবতা: ২৫ বছরের ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি কোনো গোলামীর চুক্তি নয়। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি ওই চুক্তি বহাল রাখে।
মিথ্যাচার ৬
১১ জানুয়ারি ২০০৫, জাতীয় সংসদে, সংসদ নেতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করেছি। মূল আসামি জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১১ জানুয়ারি ২০০৫, সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মিথ্যাচার:
গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগই জড়িত। অভিযোগ আছে, বিরোধী দলের নেতা (শেখ হাসিনা) নিজেই তার ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন।
বাস্তবতা: প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করতে তারেক জিয়ার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে নিঃশেষ করার জন্যই এই নৃশংসতম ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। জজ মিয়া ছিল এক সাজানো নাটক। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল তারেকের জঙ্গিবাদী তৎপরতার অংশ।
মিথ্যাচার ৭
৩১ অক্টোবর ২০০২। সরকারের প্রথম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার:
আমরা সারা দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধায় আনার উদ্যোগ নিয়েছি। ২০০৬ সালের মধ্যে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বাস্তবতা: আওয়ামী লীগ শাসনামলে রেখে যাওয়া ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্টো কমতে থাকে। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ২৭৫০ মেগাওয়াট। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। বিদ্যুৎ খাতের ৮০ ভাগ টাকা খাম্বা কেনার পিছনে ব্যয় করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আর এসব খাম্বা কেনা হয় ‘খাম্বা লিমিটেড’ থেকে। যার মালিক ছিলেন তারেকের ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
মিথ্যাচার ৮
২৬ মার্চ ২০০২, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার:
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, স্বাধীনতার দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের প্রধান আদর্শ।
বাস্তবতা: বিএনপি হলো স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। জিয়াই প্রধান যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে দেশে এনেছিলেন। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর তার পত্নী বেগম খালেদা জিয়া খুনি, ধর্ষক দুই যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রিত্ব উপহার দিয়েছিল, যাদের গাড়িতে আমাদের পবিত্র জাতীয় পতাকা শোভিত হয়েছিল।
মিথ্যাচার ৯
২৮ অক্টোবর ২০০১, জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া বেতার ও টেলিভিশনের ভাষণে বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার:
বিএনপি হলো সৎ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির প্রতীক। আমরা ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিকে চিরতরে নির্মূল করবো। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করবো।
বাস্তবতা: বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ পরপর তিন বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন হয়ে উঠে দুর্নীতির প্রতীক। প্রতিটি সরকারি কেনাকাটা এবং নিয়োগে কমিশন বাণিজ্য হয়ে ওঠে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ৫ বছরে তারেক জিয়া সারা বিশ্বে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বলেছে। বেগম জিয়া নিজে এতিমের টাকা চুরির দায়ে এখন সাজা ভোগ করছেন। বিএনপির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।
মিথ্যাচার ১০
১১ অক্টোবর ২০০৯ সালে বগুড়ায় বেগম জিয়ার বক্তৃতায় মিথ্যাচার:
পদ্মা সেতু ফাঁকা আওয়াজ। কোনদিন এই সেতু হবে না।
২৯ জানুয়ারি ২০১৭, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেস ব্রিফিংয়ে মিথ্যাচার:
পদ্মা সেতুর নক্সার মধ্যে গন্ডগোল আছে। এজন্য কোন স্প্যান বসানো যাবে না। পদ্মা সেতু আসলে একটা ভাঁওতামি।
বাস্তবতা: পদ্মা সেতু আজ বাস্তব। বিদেশি অর্থায়নে নয়, নিজের টাকায় বাংলাদেশ পদ্মা সেতু করছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা এবং দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্বে পদ্মা সেতু এখন আমাদেরসম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।

হাসপাতাল বিল নয়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মা-ছেলের আত্মহত্যা

গত উনিশ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে চার দিনের ছেলেসহ ষোল বছর বয়সী সীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করায় তিনি সন্তানসহ আত্মহত্যা করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ১নং ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর উসমান গণি এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা ঘটনা অনুসন্ধান করে সবাইকে জানান সীমা আক্তারের স্বামী মনির মিঞা লেবানন থাকেন। তারা স্বচ্ছল। হাসপাতাল বিলের টাকার জন্য আত্মহত্যার ঘটনাটি সঠিক নয়।
তারা আরো জানান, ল্যাবএইড হাসপাতাল নয়, সীমা জেলরোডের লাইফ কেয়ার জেনারেল ও শিশু হাসপাতালে ১৬ তারিখ সন্ধা ছয়টার দিকে ভর্তি হতে আসেন। প্রসব বেদনায় কাতর সীমার সাথে ছিলেন তার ননদ নুরুন্নাহার। ১০০ টাকা ভর্তি ফি দিয়ে তারা ৩ তলার ৩০২ নং কেবিনে ওঠেন। রাত আটটার দিকে সার্জারির মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সীমা। পরদিন দুপুরের দিকে সীমার মা আসলে তার হাতে ১৭০০ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ননদ চলে যান। বিকালের দিকে দেবর শাহীন এসে অনেকটা সময় ছিলেন। তারপর দিন সকালে আবার দেবর আসলে সীমার মা চলে যান। সন্ধার দিকে শাহীনও চলে যান।
ফরিদা খাতুন নামে সীমার পাশের বেডের (৩০৩) এক রোগীর স্বজন জানান, ভর্তির হওয়ার পর থেকেই সীমা মোবাইলে মনির নামে কারো সাথে সন্তানের জন্ম নিয়ে ঝগড়া করতেন। ননদের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও করতেন। সীমাকে কখনও কান্নাকাটি করতে আবার কখনো ঝগড়া করতেও দেখা গেছে। আত্মহত্যার আগের দিন রাতে বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি করছিল। ঐ রাতে ফোনে সীমা বারবার বলছিলেন- ‘বাচ্চাকে দুধ দিতে হবে না, সকালে দেখবা আমি কী করি’।
সাংবাদিকরা সীমার দাদী আমেনা বেগমের সাথে কথা বলে জানতে পারেন লেবানন প্রবাসী মনির হোসেনের সঙ্গে গত বছর বিয়ে হয়। স্বামী মনির বিদেশ থেকে নিজের ছোট বোন নূরুন্নাহার এর কাছে টাকা পাঠাত। এ নিয়ে সীমার সঙ্গে মনিরের প্রায়ই ঝগড়া হত। আর হাসপাতালে আত্মহত্যার ব্যপারে সীমার মা রেহেনা বেগম বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা- পয়সার জন্য কোন চাপ দেয়নি।
অন্যদিকে সীমার স্বামী মনিরের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, সীমা সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর থেকেই মনিরের সাথে দাম্পত্য কলহের শুরু হয়। তার কিছুদিন পরই মনির সীমার পরিবর্তে বোন নুরুন্নাহারের কাছ টাকা পাঠাতে শুরু করলে দুজনের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।

ভোগ্যপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে উৎপাদিত মুগডাল ক্রমে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এসব অঞ্চলের মুগডাল জাপানী মানুষের খাদ্য তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিচ্ছে। আর এ কারণে বাড়ছে মুগডালের চাষ। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ছাড়াও এ কাজে এগিয়ে এসেছে কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। কৃষক ও মুগডালের জাত নির্বাচনসহ উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানি, সব কাজেই সহায়তা করছে এসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। ফলে মুগডালের চাষ করে কৃষকরা লাভ করছে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা।
চলতি বছরে কেবলমাত্র দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী থেকে জাপানে ৭০০ টন মুগডাল রফতানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর একটি অংশ এরই মধ্যে জাপানে রফতানি হয়েছে। পটুয়াখালী থেকে ২০১৩ সালে ১০৪ টন এবং ২০১৪ সালে ১০৭ টন মুগডাল জাপানে রফতানি করা হয়। জাপান-বাংলাদেশ সোশ্যালবিজনেসের আওতায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মুগডাল রফতানি করছে। সংস্থাটি প্রথমে কৃষক ও প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুগডাল সংগ্রহ করে। তারপর সেটা প্রক্রিয়াজাত করে জাপানে পাঠানো হয়।
পটুয়াখালী জেলা বরাবরই মুগডাল চাষে এগিয়ে। দেশে যে পরিমাণ মুগডাল উৎপাদন হয়- তার ৬০ শতাংশ ডাল উৎপাদন হয় পটুয়াখালীতে। এ বছর জেলায় ৭২ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ হয়েছে।
মুগডাল চাষকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডাল বীজ বপন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এ যন্ত্র ব্যবহার করে জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ডালের বীজ বপন করা হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ফলনও বেশি পাচ্ছে।
প্রথমবারের মতো এবার ভোলা থেকেও জাপানে মুগডাল রফতানি হচ্ছে। ভোলায় এ বছর ২৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে দেড় টন, যেটাকে বাম্পার ফলন বলা যায়। আবাদ করা মুগের মধ্যে বেশি হয়েছে উন্নত জাতের বারি মুগ-৬।
রফতানির সুবাদে দক্ষিণের ন্যায় পশ্চিমের জেলাগুলোতেও মুগ ডালের চাষ বাড়ছে। এবার যশোর জেলায় ১ হাজার ৪৪৫ হেক্টরে, ঝিনাইদহ ৪ হাজার ৮৯১ হেক্টরে, মাগুরায় ৬৫২ হেক্টরে, কুষ্টিয়ায় ৫০৫ হেক্টরে, চুয়াডাঙ্গায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টরে ও মেহেরপুরে ৫৯ হেক্টরে গ্রীষ্মকালীন বারি মুগ-৬ এর চাষ হয়েছে। এ মুগের ফলন ভাল। এবার হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে এক দশমিক ৬১ টন।
আগে কৃষকরা শুধু আমন ধান আবাদ করত। কিন্তু বর্তমানে চাষাবাদের নতুন নতুন কৌশল ও জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় কৃষকরা এখন দুই থেকে তিনটি ফসল আবাদ করতে পারছে। এমনই একটি ফসল মুগডাল। বর্তমান বছরে এ অঞ্চলের কৃষকরা বারি মুগ-৬ জাতের ডাল আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে। এর ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ অঞ্চলের কৃষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে। কৃষকরাও হচ্ছে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী। ক্রমে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে আমাদের কৃষি অর্থনীতি।

খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে মানুষের মুখে পোড়া মবিল মাখাচ্ছে দুর্বৃত্তরা(ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরির লক্ষ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, রায়কে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, রিকশা চালক, মোটরসাইকেল আরোহী এমনকি রোগীদেরও রাস্তায় আটকে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেসময় তাদের মুখে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেয় তারা। এছাড়া সড়কে চলাচলরত অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে নিক্ষেপ করা হয় পোড়া মোবিল।
 এ প্রসঙ্গে বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, মুখে পোড়া মবিল মেখে দেয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে। সাধারণ মানুষের বেশ ধরে শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ কাজগুলো করছে।
 ওয়াজেদ আলী আরো বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন জঘন্য কাজ করছে। ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে সাধারণ মানুষের মুখে কালি লাগানোর সময় ঘটনাস্থল থেকে হাতে-নাতে আব্দুস সাত্তার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। যিনি নিজেকে ঠাকুরগাঁওয়ের যুবদলের কর্মী বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। খোঁজ নিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।
 মানুষের মুখে পোড়া মবিল মাখানোসহ নানা প্রকারের হেনস্তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ সাময়িকভাবে যে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। যারা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন ইতিমধ্যে তাদের অনেককেই আটক করা হয়েছে।
 এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাদের আটক করেছে তারা অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে। আটককৃতরা জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে তারা এ নাশকতা চালাচ্ছেন। তবে আগামীতে কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

Oikko Front is a disguised mission of Dr. Kamal to save BNP, Jamayat is working behind the scene

News desk: Dr. Kamal is trying to mount BNP on the power in upcoming national parliamentary election. It has given birth of many controversies in the political arena of Bangladesh. On the other hand Jamayat is on the driver’s seat for the foundation of Brihottoro Jatiyo Oikko Front. Information from different sources informed that, Jamayat is giving financial and diplomatic support to Jatiyo Oikko Front. Jamayat lost their international recognition because of their involvement with terrorism, war crime and militancy. For this reason they are controlling Oikko Front by staying behind BNP. It is said that, Dr. Kamal has gotten assurance from Jamayat which is why he is creating this political alliance to compete with the current government.
According to the source, Jamayate Islami has been rejected both domestically and internationally. Later they faced extinction as a political party. As a result, they started portraying themselves as a part of BNP. For this reason, Dr. Kamal accepted them as a part of BNP and started his movement with a hope that he will get Jamayat’s political support. On the other hand, Jamayat is thinking that only Dr. Kamal can bring back BNP on the parliament. Source also informed that, Jamayat is providing financial and logistics support to Jatiyo Oikko Front. At first, Dr. Kamal was reluctant to accept Jamayat. But later, he met twice with Jamayat leader Barrister Abdur Razzak. In May 2018 he (Dr. Kamal) went to London to have meeting with Barrister Abdur Razzak. After those meetings, he agreed to form a bigger alliance with BNP and Jamayat.
It has been informed that, Barrister Abdur Razzak gave him a proposal of making him the Prime Minister. Barrister Razzak convinced Dr. Kamal to consider BNP as their main party. Barrister Razzak promised him that, if BNP wins then Dr. Kamal will win as well.
Barrister Razzak assured Dr. Kamal on their last meeting in September, that Jamayat will not participate directly on the alliance. But they will do everything to propel their activities. Barrister Razzak also said that, Dr. kamal and BNP will keep continue communicating with their ally nations so that government face international pressure as well. Jamayat will finance everything. They will cheer for Dr. Kamal if he can force government to accept their terms. But if, government does not accept their terms then Jamayat will take action just before the election.
Meanwhile, political analysts are saying that, Dr. Kamal will suffer because he fell for Jamayat’s trap. He is going to repeat the mistakes of Ziaur Rahman by helping Jamayat who were always against the independence of Bangladesh.

‘খালেদা-তারেকের অনিশ্চয়তায় এস কে সিনহার মদদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সূচনা’

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও লন্ডনে তারেক রহমানের পলাতক জীবনের অনিশ্চয়তা বিবেচনা করে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জোট গঠন করার জন্য গোপনে ড. কামাল, আ. স. ম. আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাথে বৈঠক করেছিলেন বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থানরত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিএনপির বিকল্প একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ড. কামালদের সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন এস কে সিনহা।
শমসের মবিন চৌধুরী আরো বলেন, মূলত এস কে সিনহার প্ররোচণা ও প্রলোভনে পড়ে সরকারের পতন ঘটাতে দেশব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে নবগঠিত ঐক্যফ্রন্ট। মূলত জুডিশিয়াল ক্যু করে তৃতীয়পক্ষকে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করিয়ে দিতে ব্যর্থ এস কে সিনহা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর কঠিন প্রতিশোধ নিতে দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে এই ষড়যন্ত্র করেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মামলার সম্ভাব্য রায় ও তারেক রহমানের পলাতক জীবনের বিষয়টি মাথায় রেখে এস কে সিনহা এমন ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
ড. কামালের মতিঝিল চেম্বার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে চেম্বারে বৈঠকে বসেন এস কে সিনহা, ড. কামাল, রব, মান্না ও ডা. জাফরুল্লাহ। এসময় বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক ব্যর্থতা, নেতৃত্ব সংকট, অজনপ্রিয়তা এবং দুর্নীতির বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে সরকারকে নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক চাপে ফেলতে বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করার প্রস্তাব দেন সাবেক এই বিচারপতি। এস কে সিনহার প্রস্তাব ছিল, বিএনপি ব্যর্থ হলেও তাদের জনবল রয়েছে। এছাড়া জামায়াত নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির সাথে একত্রিত হয়ে যাবে। সুতরাং রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপি-জামায়াতের জনবল ব্যবহার করে বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করার বিষয়ে ড. কামালদের অনুরোধ করেন এস কে সিনহা। জোটের সামনে থাকবেন ড. কামাল এবং পেছন থেকে তাকে সব ধরণের সুবিধা দেবে বিএনপি-জামায়াত।
এছাড়া ড. কামালদের বিদেশি সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করে দিতে তিনি নিজেই সহায়তা করবেন বলে ওয়াদা করেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে ড. কামালদের লজিস্টিক সাপোর্ট ও বিদেশি ফান্ড ম্যানেজ করে দেওয়ার বিষয়েও কথা দেন এস কে সিনহা। এসময় ড. কামাল জামায়াত প্রসঙ্গ তুললে এস কে সিনহা বৃহত্তর স্বার্থ আদায়ে দেশের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি চিহ্নিতকরণ বাদ দিয়ে মাঠে নেমে পড়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি ড. কামালকে জামায়াত নিয়ে প্রকাশ্যে নেতিবাচক মন্তব্য করে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করারও পরামর্শ দেন। তবে ভেতরে ভেতরে জামায়াতকে ধারণ করারও পরামর্শ দেন।
এস কে সিনহার মতে, বিএনপির আন্দোলনকে টিকিয়ে রেখেছে জামায়াত। সুতরাং নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা এবং হিংসা ছড়ানোর জন্য বৃহত্তর জোটে জামায়াতের অদৃশ্য অংশগ্রহণ জরুরি। এছাড়া এস কে সিনহা মিশনে সফল হলে আগামী সরকারের প্রাথমিক রূপরেখারও চিত্র দেখান উপস্থিত নেতাদের। উক্ত চিত্রে ড. কামালকে রাষ্ট্রপতি এবং খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর কথা উল্লেখ ছিল।
সূত্র বলছে, এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেট ও চট্টগ্রামের দুটি সমাবেশে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন এস কে সিনহা। পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত দেশ ও সংস্থার সমর্থন এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্টকে ব্যবহার করে সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এমন ষড়যন্ত্র করেছেন। নিজের ক্ষোভ মেটাতে এবং দেশের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই এস কে সিনহা ঐক্যফ্রন্টকে যাবতীয় সহযোগিতা করছেন। খালেদা-তারেকের অনিশ্চয়তায় এস কে সিনহার মদদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সূচনা হয়। অথচ এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ১/১১ সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরকারি কোষাগারে জমাকৃত অর্থ ফেরত মামলায় রায় প্রদানকালে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেছেন।
নির্বাচনের পূর্বে দেশে যদি কোনরকম অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং কোনরকম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে নিঃসন্দেহে এর জন্য এস কে সিনহা প্রত্যক্ষভাবে এবং ড. কামালরা পরোক্ষভাবে দায়ী থাকবেন। দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়তে চান ড. কামাল

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্দেশ্য আবারো পরিস্কার করলেন ড. কামাল। সিলেটের সমাবেশের পর চট্টগ্রামে যাবার পথে এক যাত্রা বিরতিতে খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার সামগ্রিক কৌশল সম্পর্কেও সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি।

সূত্র বলছে, সিলেটে গত ২৪ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগে সুরমা নামের একটি রেস্টুরেন্টে ড. কামাল কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে ব্যক্তিগত আলাপকালে খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়ার কথা বলেন। যদিও সে সময় ড. কামাল ভুলবশত প্রকাশ করা তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা আড়াল করতে অট্টহাসি দিয়ে বসেন বলেও জানা যায়।
এছাড়া সে সময় ড. কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা সর্বজন স্বীকৃত। তবে যেহেতু বিএনপি একটি জনসম্পৃক্ত প্লাটফর্ম তাই তাদের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে নতুন কোন জোটকে সামনে আনতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে জোটে ড. কামালের পদ প্রধানমন্ত্রী হবে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, সে পরে ভেবে দেখা যাবে।
এদিকে, ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে ড. কামাল নিজ বক্তব্যে বেগম জিয়ার মুক্তি চাননি। বক্তব্যে তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন, সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুমকি দিয়েছেন কিন্তু বক্তব্যের কোথাও একবারের জন্যও বেগম জিয়া বা লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করেননি।  অনুরূপভাবে গত ২৪ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সিলেটে জোটের প্রথম সমাবেশেও তিনি খালেদার মুক্তির বিষয়টি বক্তব্যে আনেননি। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতারা বিনয়ের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের কাছে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলেও তিনি তা উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন বলে ক্ষমা চেয়ে নেন।
এদিকে ২৪ অক্টোবর ড. কামাল রেস্টুরেন্ট সুরমা’তে আলোচনায় ২১ আগস্ট হামলায় তারেক রহমানের পাশাপাশি খালেদা জিয়াও জড়িত আছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে সম্মতি পোষণ করেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হামলাটি আসলে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল।  যার মদদ দিয়েছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।  তাই জেনে-বুঝে খালেদার মুক্তি চাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। খুনি খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়তে পারলে রক্তের রাজনীতির ইতি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি যে ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাননি তা শুধু সফরে থাকা কিছু সাংবাদিক-ই জানতো।

Tuesday, October 30, 2018

S K Sinha utilized Khaleda-Tarique uncertainty and introduced Jatiyo Oikko Front

News desk: Former Vice Chairman of BNP ShamsherMobin Chowdhury commented that, “S K Sinha assured Dr. Kamal and his followers that he will support them to establish a new party to overthrow the government. He wanted a new party to rise instead of BNP.”

ShamsherMobin Chowdhury added, “JatiyoOikko Front’s main intention is to overthrow the government. For this reason they are intend to organize programs all over the nation. Mainly, S K Sinha’s idea of Judicial Coup was failed. That is why, he conspired this to take revenge before leaving the country. He predicted about Begum Khaleda Zia’s verdict and thought aboutTarique Rahman’s fugitive life. Then he started this conspiracy.”
According to the source of Dr. Kamal’s Mothijheel chamber, few people sat on a meeting on 10th September 2017. These people were S K Sinha, Dr. Kamal, Rob, Manna and Zafrullah. Former Chief Justice S K Sinha proposed about forming up a new party to put pressure on the government. They considered few factors. Like, BNP’s condition in the political arena, their decreasing popularity, corrupted behavior, lacking of qualified leaders and so on. S K Sinha said that BNP was failed but they have people on their support. Besides, Jamayat will join with them right before the election. Hence, he requested that, if a new alliance is formed with BNP and Jamayat then their manpower can be used. Dr. Kamal will lead them from the front and BNP-Jamayat will give them all kinds of required supports.
Besides, Sinha promised that he will help them to get foreign back up. He also gave his word that, he will manage logistic supports and funding from the foreign countries in this movement. At that time, Dr. Kamal act negatively towards Jamayat. But Sinha convinced him that, he should ignore the fact that, who is working for the nation or against it; because they will have to achieve something greater than that. Then again, he also advised Dr. Kamal to say negative comments about Jamayat in the media so that, government sees him positively. But, according to Sinha’s advice, Dr. Kamal should keep good contact with Jamayat secretly.
S K Sinha opined that, Jamayat is helping BNP to survive. So Jamayat needs to be invisible but they will play an important role to create a catastrophic environment in the country just before the election. He also showed them that what can happen if they win the election. He said that, Dr. Kamal can be the next President and Khaleda Zia will be the Prime Minister.
Source informed that, S K Sinha already managed funding for JatiyoOikko Front’s Shylet and Chittagong assembly. He also keeping constant communication with USA, UK, European Union and other countries so that JatiyoOikko Front does not lose their backing.
Former Professor Dr. Anwar Hossain of Department of Dhaka University said that, “S K Sinha is basically using Oikko Front to put government in a disturbing situation. He is helping Oikko Front to the fullest to accomplish his own vendetta. He took the advantage of Khaleda-Tarique’s helpless situation. But, S K Sinha himself is accused of money laundering, corruption and bribery. Besides, a case was filed against him because he illegally took 60 crore taka to save those who looted government treasury after 1/11. Lastly, Barrister Nazmul Huda filed a case against him in 27th September because he asked for 3 crore and 25 lac taka as bribe from him.”
If an unwanted situation occurs in the country before the election then S K Sinha will be directly involved with it. Dr. Kamal will support him but indirectly. These conspirators should be marked and need to be brought before justice to save the country and to save the nation.

Monday, October 22, 2018

ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা: অযৌক্তিক বক্তব্যে হলুদ সাংবাদিকতা

নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সাংবাদিক সোহরাব হাসান `কবিতা খানমের সংবিধান পাঠ` শিরোনামে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে দলীয় মনোবাসনা পূর্ণ করার জন্য কবিতা খানমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।
সম্প্রতি সোহরাব হাসান লিখেছেন, `নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় রাজনীতি ঢুকে পড়েছে`। তবে গত বছরের শুরুতে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দলগুলোর কাছ থেকে নামও নেওয়া হয়েছিল। বিএনপি মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিল। পরে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ১০টি নাম নিয়ে সেখান থেকে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে মাহবুব তালুকদারকেও রাখা হয়. তাহলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ হলো কোথায়?
দেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন এর জন্য নিবন্ধিত প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে পাঁচ জন করে নাম প্রস্তাবের জন্য আহবান করে সার্চ কমিটি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত ১২৫ জনের মধ্যে থেকে সার্চ কমিটি ১০ জনকে বাছাই করে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত ভাবে ৫ জনকে নির্বাচিত করেন। এই ৫ জন এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কে এম নুরুল হুদা। বাকি ৪ জন হলেন- মাহবুব তালুকদার, শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, মো. রফিকুল ইসলাম।
গত ১৫ অক্টোবর, সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সভা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে বাকি তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান সিইসি নূরুল হুদা। বিএনপির তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশনার হওয়া সাবেক অতিরিক্ত সচিব এই মাহবুব তালুকদার তার দেয়া প্রস্তাবগুলো মেনে না নেয়ায় নোট অফ ডিসেন্ট দিয়ে বেরিয়ে যান। মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা ত্যাগ করার বিষয়ে কবিতা খানম বলেন, নোট অব ডিসেন্ট হয় কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেদিন কমিশনের সভায় কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সুতরাং মাহবুব তালুকদার যা দিয়েছেন সেটিকে নোট অব ডিসেন্ট বলা যাবে না।
‘বাকস্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না’- মাহবুব তালুকদারের এ বক্তব্য ও সভা বর্জন প্রসঙ্গে কবিতা বলেন, ‘আমি এটা মনে করি না। নোট অব ডিসেন্ট যে কেউ যেকোন সময় দিতে পারে। আমি বলবো যে এটা একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং এখানে ৫ জন মিলেই একটা বডি। যেকোন মেম্বার যেকোন সময় যেকোন বিষয়ে ভিন্নমত দিতে পারেন। মনে করি না যে, মত বিরোধের কারণে কমিশনে দ্বিধা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। কমিশনের ঐক্য নষ্ট হয়েছে। যেকোনো একটা বিষয়ে মতবিরোধ বা নোট অব ডিসেন্ট আমিও দিতে পারি। অনেক সময় দিচ্ছি। তবে এখন আমি বলতে চাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতেই কমিশনের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে’। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয়, সেটা সাংবিধানিকভাবেই স্বীকৃত। মাহবুব তালুকদার এর এই অযৌক্তিক প্রস্তাব এর সাথে বাকি ৪ জনের কেউই একমত হননি।
মাহবুব তালুকদার যে প্রস্তাবগুলো রেখেছিলেন তার মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিলো- নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্বায়নের এই যুগে দেশ ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। আমরা কেন এখনো মান্ধাতার আমলের সিল ব্যবহার করবো? সুশীল সমাজ তার এ প্রস্তাব এর কঠোর সমালোচনা জানান।
সোহরাব হাসান সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেছেন. ‘রঙ্গ দেখানোর নির্বাচন করেছে নির্বাচন কমিশন, তবে গত সিটি নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়েছে তা বিদেশি গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে। সোহরাব হাসান তার এ লেখার মাধ্যমে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তার এ লেখা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

খেলাধুলায় শেখ পরিবার

কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ফুটবলে পারদর্শী। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়া অবস্থায় তিনি কলকাতার বিখ্যাত দুই ক্লাব এরিয়ান্স ও মোহামেডানে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। দেশে ফিরে তিনি ঢাকার একটি শৌখিন ক্লাবে কিছুদিন খেলে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী ওয়ান্ডারার্সে।

সাবেক খ্যাতনামা ফুটবলার গজনবী বঙ্গবন্ধুর খেলা নিজ চোখে দেখেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “রাজনীতিতে ব্যস্ততার কারণে বঙ্গবন্ধু বেশিদিন খেলতে পারেননি। যদি খেলতেন তিনি চল্লিশ দশকে এশিয়ার অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হতে পারতেন”।

বঙ্গবন্ধু খেলতেন স্ট্রাইকার পজিশনে। চল্লিশ দশকে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এক জনপ্রিয় টুর্নামেন্টে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ওয়ান্ডারার্স অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই ম্যাচে ফাইনালে ওয়ান্ডারার্স ৫-০ গোলে জয়ী হয়। তখনকার সত্তর মিনিটের ম্যাচে প্রথমার্ধেই বঙ্গবন্ধুর দেওয়া অসাধারণ ২ গোলে ওয়াল্ডারার্স এগিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল হয় তার নিখুঁত পাসে। টুর্নামেন্টে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পান বঙ্গবন্ধু। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে প্রথম দিকে ৯ ও পরে ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নামে পরিচিত। এটি ৪৩টি ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলা বিষয়ক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

বঙ্গবন্ধুর বাবা ছিলেন তারকা ফুটবলার, যা অনুপ্রেরণা জোগায় দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামালকে। কামাল ফুটবলে সেভাবে খ্যাতি না পেলেও ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স ও বাস্কেটবল খেলে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ওয়ান্ডারার্সের তুখোড় ফুটবলার। ছেলে কামাল ছিলেন সেই দলের তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে ওয়ান্ডারার্স লীগ জয়ের পেছনে কামালের অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে। মহসীন স্মৃতি ট্রফি জিতে কামালের নেতৃত্বে। ক্রিকেটে অফ স্পিনার হিসেবে সত্তর দশকে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ক্রীড়াঙ্গনে। খেলেছেন কলাবাগান ও আবাহনীতে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ক্লাব ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের (বর্তমান আবাহনী লিমিটেড) প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালই। ১৯৭২ সালে ক্রীড়াঙ্গনে এই ক্লাবের অভিষেক হলেও ফুটবল, ক্রিকেট ও হকিতে সর্বোচ্চ লিগ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে।

শেখ জামালও খেলেছেন ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স। ক্রীড়াঙ্গনে দুই ভাইয়ের ছিল অসম্ভব রকম প্রতিযোগিতা। শেখ কামাল আবাহনী গড়ার পর শেখ জামাল ১৯৭৪ সালে ঐতিহ্যবাহী আজাদ স্পোর্টিংয়ের ফুটবলে শক্তিশালী দল গড়েন। জামালের ডাকে সাড়া দিয়ে অসংখ্য তারকা ফুটবলার সেবার যোগ দিয়েছিলেন আজাদে। শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু ছিলেন দেশের খ্যাতনামা অ্যাথলেট। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান অলিম্পিক গেমসে লং জাম্পে নতুন রেকর্ড গড়ে সোনার পদক জেতেন সুলতানা। ১৯৭০ সালে অল পাকিস্তান অ্যাথলেটিকেস লং জাম্পে চ্যাম্পিয়ন হন সুলতানা। তখনও সুলতানা বঙ্গবন্ধুর পুত্রবধূ হননি। ১৯৭৩ সালে স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জেতেন সুলতানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকসে প্রথম নারী ব্লু পাওয়ার কৃতিত্ব সুলতানারই।

বঙ্গবন্ধু নিজে ছিলেন খ্যাতনামা ফুটবলার। দুই ছেলে কামাল ও জামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানাও ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ। পৃথিবীতে এক পরিবারের বাপ-ছেলের খেলোয়াড় হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু কোনো দেশের স্থপতি বা জাতির জনকের এক পরিবারে এতজন খেলাধুলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন- এই রেকর্ড শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবারেরই।

১২ রবিউল আউয়াল নিয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামী

নিউজ ডেস্ক : ২০ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী জন্মদিন ১২ রবিউল আউয়াল নিয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে ধর্মীয় উগ্রবাদে বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামী।   জামায়াতের এজেন্টরা গুজব ছড়াচ্ছে যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত একই দিন হয়নি।  ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.) শুধু জন্মগ্রহণ করেছেন।  তার ওফাত দিবস ১২ রবিউল নয়।

রাসুলের পবিত্র জন্মদিন ও ওফাত দিবস নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বাঁশেরকেল্লা, দিগন্ত আপডেটসহ বিভিন্ন বেনামি পেজের মাধ্যমে এই ধৃষ্টতাপূর্ণ গুজবটি ছড়াচ্ছে জামায়াতের এজেন্টরা।  ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি দিবস নিয়ে জামায়াতের এমন মিথ্যাচারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মুসলমানসহ আলেম সমাজ।
ধর্মের অপপ্রচার ও অপব্যাখ্যা সম্পর্কে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জামায়াত-শিবির ছাড়া এমন ঘৃণ্য বেয়াদবি কেউ করতে পারেনা।  আমরা দেখেছি এর আগে তারা যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাওয়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল।  সাঈদীকে চাঁদে দেখা নিয়ে ধর্মের নামে দেশব্যাপী গুজব সৃষ্টি করে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা করেছিল জামায়াত।  এতে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সাধারণ মুসলমানরা।  নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে ধর্মের নামে মতবিরোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নতুন করে জামায়াতের এজেন্টরা মিথ্যা গুজব ছড়াতে তৎপর হয়েছে।  এই অপশক্তিকে সম্মলিতভাবে রুখে দিতে হবে। ’
এদিকে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই ধরনের ছোটখাটো গুজব প্রমাণ করে বিশৃঙ্খলাকারীদের নেটওয়ার্ক কতো শক্ত! নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে ছোটবড় যেকোনো ধরণের সহিংসতা এড়াতে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে, যাতে গর্হিত কোনো মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা না নিতে পারে।  রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার ভালো কিছু বয়ে আনে না।  এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিশ্লেষকরা।

বিদেশি নির্ভরতায় ভরাডুবি হতে পারে ঐক্যফ্রন্টের, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক: বিদেশিদের ইশারায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে জাতীয় ঐক্য যাত্রা শুর করেছে। জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি ড. কামালকে মুখপাত্র বানিয়ে বিদেশিদের ভরসায় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছে। যেটি বোকামি ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়ে জাতীয় ঐক্যের নেতারা ঐতিহাসিক ভুল করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। অতিরিক্ত বিদেশ নির্ভরতার কারণে নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবিরও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যায়, অতীতের বিচ্ছিন্ন রাজনীতির কারণে জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি ড. কামালের ভরসায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি জনগণের কাছে না গিয়ে, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিদেশিদের কাছে ধরণা দিচ্ছে। ঐক্যফ্রন্ট বিদেশিদের আশীর্বাদ নিয়ে যেকোন উপায়ে দেশ শাসনের দায়িত্ব নিতে চায়। জনগণকে অবহেলা করে তৃতীয়পক্ষের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য ঐক্যফ্রন্টের এমন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে এবং তাদের এমন নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নির্বাচনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক বলেন, বিএনপি ড. কামালদের ওপর ভরসা করে নির্বাচন কেন্দ্রিক যে স্বপ্ন দেখছে তা পূরণ হবে না। এদিকে বিএনপির মত বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলকে নিজেদের জোটে টানতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করতে পারেন ড. কামালরা। ড. কামাল, মান্না ও রবের মত নেতারা মূলত জলে ভাসা কচুরিপানার মত। তাদের শিকড় নেই। বিএনপিকে তারা শিকড় ভেবে যে সব পরিকল্পনা করছে সেগুলো কখনই বাস্তবতার মুখ দেখবে না। কারণ তারা জনগণকে উপেক্ষা করে বিদেশিদের ওপরে বেশি ভরসা করছে। ভোট তো দেশবাসী দিবেন, বিদেশিরা নয়।
বিদেশিদের ওপর ভরসা করে অন্তত আপনি ভোটে জিতে দেশ চালানোর স্বপ্ন দেখতে পারেন না। দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করে তার নাগরিক, বিদেশি কোন শক্তি না। অতিরিক্ত বিদেশি নির্ভরতা না কমালে জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
জনবিমুখতার কারণে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বড় হোঁচট খাবে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা সুভাস সিংহ রায় বলেন, যদি জনগণের প্রতি ঐক্যফ্রন্টের আস্থা থাকত, তাহলে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর তারা জনগণেরই কাছে যেত। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর প্রথম তারা বিদেশিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছে। তারা কোন জনসমাবেশে করিনি। ঐক্যফ্রন্ট যে দেউলিয়া সেটি প্রমাণিত। বিএনপি ও ড. কামালরা জনসমর্থনহীন। বিএনপি ১০ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়ে ড. কামালকে ধার করে নতুন করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

Sunday, October 21, 2018

Barrister Moinul is involved with independence and country opposing activities

News desk: Barrister Moinul Hossain gave lots of speeches regarding the independence and Liberation War. Though he was able to make fans by giving those speeches, but he did not Participated in the Liberation War. Though he claims himself as a supporter of the independence but in truth he was engaged with people who were against the independence. It is very sad but the truth is Moinul Hossain was involved with Pakistani collaborators in Bangladesh during the Liberation War. Intellectuals commented that, Barrister Moinul kept himself occupied with anti-government activities to get advantages time to time.

Data and information regarding the Liberation War show that Khandakar Abdul Hamid was one of the agents who worked for Pakistan in 1971. Barrister Moinul was very responsive to Abdul Hamid. Pakistan Army captured and killed Journalist Khandakar Abu Talib from the Ittefaq office with the help of Khandakar Abdul Hamid. He also helped Pakistan Army to kill Journalist Sirajuddin Hossain. Source informed, Journalist Sirajuddin Hossain started writing column named ‘Monche Nepothye’ after the death of Manik Mia in 1969. Sirajuddin Hossain started writing about the exploitation of Pakistan government on that column. Journalist Sirajuddin used his pen for the people and for the Liberation War. It was very popular at that time. Khandakar Abdul Hamid was a supporter of Jamayate Islami and he worked at the Ittefaq at that time. He was always against the Liberation War of Bangladesh. Abdul Hamid and Moinul Hossain were also personally related. Khandakar Abdul Hamid got the opportunity to continue to write ‘Monche Nepothye’ column when Sirajuddin was absent and of course Moinul Hossain helped him for that. Then he started writing against the movement for independence. Moinul Hossain did not give the opportunity to Sirajuddin to continue ‘Monche Nepothye’ column. Khandakar Abdul Hamid kept writing lies and fabricated information in the column with the aid of Barrister Moinul. Hamid kept writing about Pakistani ideology. During that time, Hamid became a close companion of notorious Pakistani Army Officer named Rao Farman Ali. Barrister Moinul helped him to create the list of the intellectuals. Pakistani army got the opening to start genocide and looting because they got help from people like Barrister Moinul. Collaborators of Pakistan Army captured Sirajuddin Hossain from his home at Chamelibag. He was tortured to death afterward. Barrister Moinul is also one of the suspects behind the murder of Sirajuddin. Besides, Ittefaq published a picture of a woman wearing nothing but a net in 1974. Her name was ‘Bashonti’. It destroyed the image of Bangabandhu government. The killers of Bangabandhu used this picture as propaganda in 1975. It has been said that, Barrister Moinul gave the idea to take the picture of the woman in that form. Agent of Pakistan took the power of Bangladesh when they killed Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and his family. Moinul Hossain helped these killers at that time. He formed ‘Democratic League’ under the leadership of Khandaker Mostaq Ahmed.
President of Bangladesh Communist Party (CPB) Mujahidul Islam Selim said about Barrister Moinul that, “He did not follow his father Toffazzol Hossain’s footsteps. Instead, he followed Jamayat supporter Khandakar Abdul Hamid’s ideology.” Few years ago he admitted in a meeting with Chatro Shibir (Jamayate Islami endorsed student political party) that he had a long term relation with them. It has turned into important matter because he started talking just before the election. It is also vague that which party Barrister Moinul is serving. He should be boycotted for the well being of Bangladesh politics.

Saturday, October 20, 2018

রোয়াংছড়িতে একতা ক্রেডিট ইউনিয়নের ৪র্থ বার্ষিক সাধারণ সভা- থোয়াইনুমং মারমা


হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি (বান্দরবান) :
রোয়াংছড়ি উপজেলা ১নং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে একতা ক্রেডিট ইউনিয়ন সমিতির আয়োজনে ৪র্থ বার্ষিক সাধারণ সভা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টা "আমাদের ক্রেডিট, আমাদের গর্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হবে সমৃদ্ধ" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলার চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
ধীরেন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় একতা ক্রেডিট ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি থোয়াইনুমং মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা, রোয়াংছড়ি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান অংশৈমং মারমা, বেসরকারি সংস্থা করিতাসের কর্মসূচীর কর্মকর্তা রেমন আসাম, স্টিফেন ত্রিপুরা, কোষাধ্যক্ষ সাচিং মারমা, উপজেলা ম্যানেজার যোসেফ প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা প্রমুখ।
এসময় সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংনোয়াম বম সঞ্চালনা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ১৯ লক্ষাধিক টাকা ঋণ বিতরণ সংক্রান্তে আয় এবং ব্যয়ের হিসাবগুলো মাল্টিমিডিয়া মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করেন।
সমিতির সভাপতি থোয়াইনুমং মারমা বলেন আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পুনরায় ঋণ বিতরণে কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা বলেন সরকারি পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে সমিতির ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছল হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আগামীতে আরো উদ্যোগী হয়ে সার্বিক সহায়তা প্রদানে আহ্বান জানান।

ব্যারিস্টার মঈনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম একটি টিভির টক শোতে ঐক্যফ্রন্টের মাহমুদুর রহমান মান্নার বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের অর্থনীতি অনেক ভালো মন্তব্য সঠিক আর তাই বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে উদ্ধার করতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মত লোকেরা এগিয়ে এসেছে।প্রশ্ন হচ্ছে, কার জন্য মঈনুল সাহেবরা এইভাবে নিজ থেকে এগিয়ে এলেন? উত্তর নিশ্চয় হবে, দেশের জনগণের স্বার্থে। যদি তাই হয়, জনগণের জন্য। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, একজন বা একাধিক মিডিয়া কর্মী কি এই জনগণের বাইরে কেউ? মঈনুল হোসেনদের যারা সমালোচনা করছে বা করবে তারা কি জনগণের বাইরে কেউ? উত্তর যদি হয় না, এরাও জনগণ তবে মঈনুলের ভাষায় বাকশালী…। তখন প্রশ্ন হচ্ছে, মোট জনসংখ্যার বৃহৎ একটা অংশ যদি মঈনুলের ভাষায় বাকশালী মতবাদের হয়, তাহলে মঈনুলের দেশ রক্ষার এগিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছে কে? কেন দিয়েছে? গণমাধ্যমে বসে মিডিয়া কর্মী কিংবা সাধারণ আগ্রহীর ফোন কলের প্রশ্ন কর্তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য? তাছাড়া টিভি লাইভে যে লোকের আচরণ এত নিম্নমানের হয়, অন্দর মহলে বা অপ্রকাশ্যে তার আচরণের ধরণ কি হবে । বাংলাদেশে এক শ্রেণির লোক আছে যারা প্রসঙ্গ উঠলেই বর্তমান সরকার কে স্বৈরাচার উল্লেখকরে সরকারের আমলে দেশে বাক স্বাধীনতা নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই বলে সমানতালে জিকির তোলে। অথচ বাক স্বাধীনতার সম্পূর্ণ স্পেস নৈতিক বা অনৈতিক সেটা তারাই ভোগ করে। ব্যাখ্যা চান? বিভিন্ন সভা সেমিনারের বক্তব্য কিংবা টক শো গুলোতে নজর দিন। এহেন এমন কোনো অশোভন বক্তব্য বা মত প্রকাশ বাকি রাখে না তারা, যা উপস্থাপন করে এক হাত নিচ্ছে না। স্বাভাবিক কারণেই জানতে চাইতে পারি, তারপরেও কেন তারা বাক স্বাধীনতা নাই বলে রেগুলার জিকির করে? কেন? জানি এই প্রশ্নের উত্তর নাই। কারণ যাদের উত্তর দেয়ার কথা তারা নিজেরাই জানে না, বাক স্বাধীনতার মানে কী?ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন নিজেই নিজেকে সুপার সিটিজেন মনে করলে হবে না। ঐক্য প্রক্রিয়া শুরুর সময়টা আজকের নয়, প্রায় বছর ৬ থেকে ৭ বছর হবে। ঠিক ৬-৭ বছর প্রচেষ্টার পরে এসে সামান্য ডানা মেলে উড়ার আগেই যেই ঐক্যের পালক ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায়, তখন ঐক্য প্রক্রিয়ার যুক্ত বা সংযুক্ত থাকা লোকেদের চিন্তা করা উচিত, তারা ঘরে বসে নিজেদের কে যতোটা সুপার সিটিজেন মনে করছে বাস্তবে তারা কিন্তু ততটাই জিরো সিটিজেন। তাদের মেখে দেয়া দুধ ভাত যদি সবাই খেয়ে ফেলত তাহলে কিন্তু এই ঐক্য জন্ম নিতে সময় লাগার কথা ছয় সাত বছর না। কাজেই ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত লোকেরা কতটা সম্মানিত লোক সেটা যেন তারা ভেবে দেখে।একটি টিভি টক শোতে মঈনুল হোসেন ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ২০০৫ সালে শিবিরের সম্মেলনের একটি ভিডিওতে উনাকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রাসঙ্গিক শিবির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মঈনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি কে চরিত্রহীন বলে ধমকের সুরে অশোভন আচরণ করে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই আচরণ? মঈনুল সাহেব এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না, ঠিক আছে। তাহলে ২০০৫ সালে শিবিরের সম্মেলনে গিয়ে শিবিরের মঙ্গল কামনা করে বক্তব্য দিয়েছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কি? টক শোতে মঈনুল হোসেন বারবার বলেছে ইলেকশন নিয়ে ভোট নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতে, হ্যাঁ সামান্য একজন নাগরিক হিসেবে আমি একটা প্রশ্ন রাখতেই পারি- বাংলাদেশের ভোট বা ইলেকশন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মঈনুল কে? মঈনুল কি নির্বাচন কমিশনার? মঈনুল কি সরকারের কোন ব্যক্তি? কে উনি? কে দিয়েছে উনাকে এই দায়িত্ব যে উনি টক শোতে গিয়ে বাংলাদেশের আগামী ইলেকশন কেমন হবে কেমনে হবে এইসব নিয়ে কথা বলবেন। এইসব প্রশ্নের উত্তর কি? তাছাড়া যেই ব্যক্তি সারাক্ষণ অন্যের সমালোচনায় মুখর থাকবে, তার কোনো সমালোচনা হলে তিনি রাজনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিককে ধমক দিবেন, নারী সাংবাদিক কে চরিত্রহীন বলবেন। এটা কেমন বাক স্বাধীনতা? এখনো ক্ষমতায় যাওয়ার খবর নেই তারপরেও এইরকম নোংরা অসভ্য অশোভন আচরণ, যদি এরা ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে?ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আর টিভি মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, এই ধরনের নিন্মরুচির মানুষ আপনারা বর্জন করতে শিখুন। অন্তত আগামী প্রজন্মকে ভাল কিছু শিখতে দিন।
সৌজন্যে: চ্যানেল আই অনলাইন  

দেশ বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এইচআরডব্লিউ

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রে মেতেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংগঠনগুলো সদ্য অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মিথ্যাচার ছড়াতে শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে ১৯ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বাংলাদেশ সরকারকে নির্বাচনের পূর্বে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই দেশীয় কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটি মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে দেশের নাগরিক সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন মহলকে উসকানি দিয়ে সারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতেই এইচআরডব্লিউ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের সাহায্যে এমন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যায়, সরকারকে নির্বাচনের পূর্বে জনগণের সামনে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে এরইমধ্যে একাধিক সামাজিক আন্দোলনকে ইস্যু করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে তৎপর একাধিক মহল। এসব ষড়যন্ত্রে জড়িত কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াতের নেতারা। সরকারকে জনগণের কাছে অত্যাচারী এবং শত্রু হিসেবে তুলে ধরতেও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য এবং ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এসব ষড়যন্ত্রের কারণে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে চরম আঘাতও এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তাই রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার এরইমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইন দিয়ে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে চায় সরকার। সকল ধরণের মিথ্যা, প্রোপাগান্ডা, বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ঠেকাতেই সরকার এই আইনের অনুমোদন দিয়েছে। এখানে স্পষ্ট বলা আছে, শুধুমাত্র মিথ্যা ও অপপ্রচার এবং রাষ্ট্রীয় তথ্য চুরি ঠেকাতে এমন আইন করা হয়েছে। এই আইন কোনভাবেই সংবাদ মাধ্যমের অন্তরায় নয়। সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং নাগরিক বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সরকারের এই আইনের অনুমোদন দেয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম পর্যন্ত এই আইনের সহায়তা নিয়েছেন। অথচ দেশবিরোধী কিছু শক্তি মানবাধিকার সংগঠনটিকে ভুল ও একপেশে তথ্য দিয়েছে, যার কারণে সংগঠনটি আইনটির ভালো-মন্দ যাচাই না করেই ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
এই বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্র প্রতিটি আইন পাশ করে তার নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিও দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা ও অনলাইনে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্যই পাশ করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ না করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এই আইনটি নিয়ে এরইমধ্যে দেশি ও আন্তর্জাতিক কিছু চক্র বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য দিয়ে কোন কিছু প্রকাশ করা নিশ্চয়ই মত প্রকাশের স্বাধীনতার অংশ নয়।
আরেক সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী রকম সব বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এতে কিন্তু দেশের সাম্প্রদায়িকতায় বড় রকমের আঘাত এসেছিল। এসব মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গুজব ঠেকাতে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই আইন পাশ করা হয়েছে। এখানে ভয়ের কিছু নেই। দুঃখের বিষয় হলো- এইচআরডব্লিউ তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই অগ্রহণযোগ্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করবে। নির্বাচনের পূর্বে দেশ ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল মানবাধিকার সংগঠনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সবাইকে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

অর্থ-ক্ষমতার লোভে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বি. চৌধুরীর ডানহাত অ্যাডভোকেট বাদল

অবশেষে লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মানি প্ল্যান ও কূটচালের শিকার হয়ে নতুন করে ভাঙছে বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারা। বিকল্প ধারাকে ভেঙে দুর্বল করতে এরই মধ্যে দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকে টাকা ও পদের লোভ দেখিয়ে বিএনপিতে যুক্ত করতে যাচ্ছেন তারেক। অ্যাডভোকেট বাদল বি. চৌধুরীর ডানহাত হিসেবে বিকল্প ধারায় পরিচিত। মূলত বিকল্প ধারাকে রাজনৈতিকভাবে কাবু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হতে বাধ্য করানোর জন্যই তারেক রহমান এই ষড়যন্ত্র করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিকল্প ধারা সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠন ইত্যাদি বিষয়ে অ্যাডভোকেট বাদল শুরু থেকেই বি. চৌধুরীকে পরামর্শ ও প্ল্যানিং দিয়েছেন। বাদল বাংলাদেশের রাজনীতির উপর গবেষণা করে বিভিন্ন তথ্য বি. চৌধুরীকে দিয়েছেন। বাদলের একান্ত প্রচেষ্টায় মাহী বি. চৌধুরী প্ল্যান বি নামক নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রচার করে । এদিকে বি. চৌধুরীর কাছে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের নামে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই যোগাযোগ করছিলেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের বার্তা ছিল সরকারকে চাপে রাখতে সব দলের সমন্বয়ে বৃহত্তর একটি জোট গঠন করতে হবে। তবে বি. চৌধুরী প্রথম থেকেই জামায়াতকে বাদ দিয়ে জোট গঠন করার পক্ষে নিজের অনড় অবস্থান সম্পর্কে বার্তা দিলে তারেক ক্ষেপে যান। তারেক বি. চৌধুরীকে বুঝাতে অসমর্থ হন যে বিপদের দিনে দল-মত কিছু না। কিন্তু তারেক রহমানের সকল ধরনের আবদার-অনুরোধ দুপায়ে ঠেলে দিয়ে জামায়াতের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারা। এর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তারেক রহমান ড. কামালকে দিয়ে বি. চৌধুরীকে অনেকটা অপমান করে যুক্তফ্রন্ট নামের নতুন জোট গঠন করান। তারেকের দেওয়া পদ ও অর্থের লোভে পড়ে ড. কামালের মত বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাও বিক্রি হয়ে যান। তারেক রহমান এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বি. চৌধুরীর ডানহাত হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট বাদলকে পদ ও পয়সার লোভ দেখিয়ে কিনে নিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যে অ্যাডভোকেট বাদল বিকল্প ধারায় তার অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিবেন। রাজনীতিতে পদ ও অর্থ যে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের উপরে অবস্থান করে সেটি প্রমাণ করলেন তারেক ও অ্যাডভোকেট বাদল।
এই বিষয়ে বিকল্প ধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অ্যাডভোকেট বাদলের আচরণে ভিন্নতা লক্ষ্য করেছি। তিনি প্রতিটি বৈঠকে বিএনপির গুণগান গেয়েছেন। বিএনপিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মিথ্যা যুক্তি দেখিয়েছেন। তখনও আমরা বিষয়টি আমলে নেইনি। দলের গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি টাকা ও বড় পদের লোভে তিনি তারেক রহমানের ফাঁদে পা দিয়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন না কত বড় ভুল করতে যাচ্ছেন। বিএনপি চাচ্ছে বিকল্প ধারাকে দুর্বল করে তাদের হাতে জিম্মি করতে। কিন্তু তারেক রহমানের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমরা ভাঙব তবু মচকাবো না। কখনই বিএনপি অথবা জামায়াতের সাথে হাত মেলাবো না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আর বাকি থাকল বাদলের কথা। তার মত বেইমানদের কারণে বিকল্প ধারা আজকে বিতর্কিত হচ্ছে। বাদল যে আশা নিয়ে বিএনপিতে যাচ্ছে, সে আশা কোনদিন পূরণ হবে না। কারণ প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তারেক রহমান বাদলকে ছুঁড়ে ফেলবেন আস্তাকুঁড়ে।

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ১ হাজার টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে

বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ১ হাজার টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে 

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক তালিকা। ওয়েলথ হাঙ্গার লাইফ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড গবেষণার মাধ্যমে  এ সূচক তালিকা প্রকাশ করে। তারা ১১৯ টি দেশ নিয়ে এই সূচক প্রস্তুত করে। চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রস্তুত করা হয়। চারটি বিষয় যথাক্রমে অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিশুদের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা এবং পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন।
১১৯টি দেশের ভিতর করা এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম। যা প্রতিবেশী দেশ গুলোর তুলনায় ভালো অবস্থান। এই সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১০৩ ও ১০৬। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জালে আটক থাকা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া এগিয়ে ভারতের চেয়ে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০১৮’এ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে—শ্রীলঙ্কা ৬৮, নেপাল ৭২ ও মিয়ানমার ৬৭ তম অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি  প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষুধা দমনে বেশ উন্নতি করেছে পৃথিবী। তবে খুব বেশি মাত্রায় ক্ষুধাপীড়িত এলাকাগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সবকিছুকে ছাপিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। রাজনৈতিক  স্থিতিশীলতা, সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা  নিশ্চিতকরণ, মা ও শিশুর খাদ্যে যথাযথ পুষ্টিকর খাবার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। দেশে দারিদ্রতা কমfর সাথে সাথে দূর হয়েছে অপুষ্টি। একসময় অনাহারে ভুগতো দেশের অধিকাংশ শিশু। কিন্তু সে সব দিন এখন অতীত।
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দেয়ার জন্য নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। গ্রাম – বাংলার মা ও শিশুর জন্য গড়ে তোলা  হয়েছে  গণসচেতনতা।  যারফলে দূর হয়েছে সমাজে থাকা নানা কুসংস্কার। দরিদ্র মানুষের জন্য বিক্রি করা হয়েছে ১০ টাকার বিনিময়ে চাল। যাতে দেশের মানুষ  অনাহারে না থাকে। সরকারের নেয়া এরকম পদক্ষেপের জন্যই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু ক্ষুধা সূচকই নয়। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ গুলোকে  পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ।
অবলীলায় বলা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর।

‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র নামে গেম খেলছেন তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক: ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র কথা বলে লন্ডন থেকে একের পর এক গেম খেলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্যের খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথাকথিত ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’। তারেক রহমান ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিল তা নষ্ট করতে চাইছেন বলেও জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের ফাঁদে পা দিয়েছেন ড. কামালের মতো একাধিক প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
গোপন সূত্র বলছে, তারেক রহমানের বুদ্ধিতেই ঐক্য গঠনের নামে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে দেশের উন্নয়নের কথা বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর পাঁয়তারা হচ্ছে। তারেক রহমানের এক বক্তব্যে জানা যায়, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র মূল দাবি হলো—সরকারের পদত্যাগ। আর তার কথা মতোই বাকি ছয়টি দাবি জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে।
সূত্র বলছে, তারেক রহমান চেয়েছিলেন রূপরেখা ঘোষণার আগেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ফাটল দেখা দিক। আর সে পরিকল্পনা অনুসরণ করে ঐক্য প্রক্রিয়ার সব নেতাকে রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীত্ব দেয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে বদ্ধপরিকর তারেক রহমান। তারেক রহমান এর পরিকল্পনার মূলে ছিল বি চৌধুরীকে রাজনীতির ময়দান থেকে বাইরে বের করা। আর তারই অংশ হিসেবে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীকে বের করে দেয়া হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তারেক রহমান মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন বি. চৌধুরী তার বাবাকে হত্যা করেছে। এই ধারণা থেকেই তারেক রহমান এবার চেয়েছিলেন ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে বি. চৌধুরী বের হলেই তাকে শিবিরের সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার মাধ্যমে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নেবেন। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি। আবার একই কারণে বি. চৌধুরীও জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধাচারণ করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন।
লণ্ডন সূত্র জানায়, তারেক রহমানের বুদ্ধিতে একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’র নামে কিছু জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদকে একত্র করে বিএনপি। আবার বিএনপির ইচ্ছার বাহিরে কিছু হলেই তারেক রহমান তাকে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে বের করে দিচ্ছেন । আবার প্রয়োজন মতো ড. কামালকে প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখিয়ে সব নেতাকে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে বের করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর লোভী কামাল হোসেন তারেক এর কথা মতো একেক সময় একেক কাজ করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।
বিএনপির সূত্রে আরো জানা যায়, ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ থেকে সুকৌশলে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বি চৌধুরীকে বের করে দেয়ার আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকেও বের করেছিলেন তারেক। আবার মান্না তার দূত মারফত লণ্ডনে তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে আবার ঐক্য প্রক্রিয়াতে ফিরিয়ে আনা হয়। ড . কামালকে হাতিয়ার বানিয়ে তারেক ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নিয়ে গেম খেলছেন।
প্রসঙ্গত, ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’র কথা বলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন তারেক। লণ্ডনে একাধিক গোপন বৈঠকে তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যে’র বিষয়ে নিজের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এসব বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে রাষ্ট্রপতি করা হবে, অন্যদিকে ড . কামালকে করা হবে প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে। এই পদগুলোর লোভ সামলাতে না পেরে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ নিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন এসব বৃদ্ধ নেতারা।