Sunday, July 28, 2019

গুজব প্রতিরোধে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম: সম্পৃক্ততা পেলেই গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক: একের পর এক গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে একটি কুচক্রী মহল। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
পদ্মা সেতুতে শিশুর মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর পর ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ছেলেধরার সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকার গুজবও ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তা থেকে সতর্ক থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
যেকোনো মূল্যে গুজব প্রতিহত করতে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, গুজবকারী এবং গুজব ছড়াতে সহায়তাকারীদের প্রতিহত করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম। যারা এসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, একটি বিশেষ মহল দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরণের গুজব ছড়াচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাহিনীর একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে এবং তারা সারা দেশে কাজ করছে। যারা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে বিশেষ মহলের হয়ে কাজ করছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র মারফত জানা গেছে, এ পর্যন্ত গুজব ছড়ানোর দায়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে গুজবে কান না দিয়ে, গুজবকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করে, তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার, আটক ১

নিউজ ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানো ও সেতুমন্ত্রীকে কটুক্তি করায় এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব। আটক ফারকান হোসেন উপজেলার ধারারচরের সোনা মিয়ার ছেলে।
জামালপুর র‍্যাবের সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক এসপি মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া জানান, Md Sonju khan ফেসবুক আইডি থেকে ‘সেতুমন্ত্রীর মাথা কেটে প্রথমে পদ্মাসেতুতে দেয়া হোক। তারপর অন্য মায়ের সন্তানদের মাথা’ স্ট্যাটাস দেয়ায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এসপি তোফায়েল আরো জানান, কয়েকদিন ধরে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে, পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব গুজবে কান না দিতে সবাইকে আহবান জানিয়েছেন এসপি তোফায়েল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা

জানা যায়, গত ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখ রাত্রি আনুমানিক দেড় ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডা শান্তিবাগ জামে মসজিদের বর্ধিতাংশের একটি টিনশেড হতে একটি অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। যেখানে মসজিদের ইমাম/মুয়াজ্জিন অবস্থান করে থাকেন। উক্ত অগ্নিকাণ্ডে মসজিদের একটি কার্পেট, একটি কাঠের তৈরি খাটিয়া পুড়ে যায়, মসজিদের ফ্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ছাদের এক পাশের পলেস্তরা খসে পড়ে। জানা যায়, ওই সময়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা সামায়েল আহম্মেদ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ঘটনায় আর কোন জানমালের ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টিকে নিয়ে মসজিদের সভাপতি কাজি নুরুল হক বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কর্তৃক আগুন দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণে উক্ত আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
জানা যায়, সামান্য এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সরকার বিরোধী দল ফেইক ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে এটাকে ধর্মীয় কোন্দলে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকার কর্তৃক এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

নৌসম্পদকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প

বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় এবং ক্রমবিকাশমান শিল্প। নদী পথেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগ প্রবাহিত হয়। নয় বছর আগেও দেশে রেজিস্ট্রিকৃত অভ্যন্তরীণ নৌযানের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। কিন্তু দিন বদলের পালে হাওয়া লেগেছে দেশের  জাহাজ শিল্পেও। বর্তমানে রেজিস্ট্রিকৃত নৌ পরিবহনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার। যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। প্রায় ১১.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌ রুটে মোট ৩২ কোটি ৭৬ লক্ষ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় বিগত নয় বছরে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার নদীসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ১৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছে। 
জাহাজ নির্মাণ শিল্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো আরো একটি প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গুণগত মানসম্মত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি মোট ২৭টি জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।
বাংলাদেশের আগে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জাহাজ নির্মাণশিল্প সুরক্ষা দিতে নানা পদক্ষেপ নেয়। যেমন ভারত সরকার ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাহাজের রফতানি মূল্যের ওপর ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা অনুমোদন করেছে। চীনের উদ্যোক্তারা স্বল্প সুদে ঋণের পাশাপাশি নিজেদের কাঁচামাল ব্যবহারে ভর্তুকি পাচ্ছে। মন্দা থেকে এই ভারি শিল্প খাতকে সুরক্ষা দিতে এসব উদ্যোগ নেয়া হয় দেশগুলোতে। বর্তমানে এই শিল্পে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ এবং ১ লাখ আধাদক্ষ কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। দেশে আনুমানিক ১০ হাজার টন ক্ষমতার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাহাজ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ১১টি স্থানীয় শিপইয়ার্ড রয়েছে। নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত দেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা শিপইয়ার্ডে এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে যুদ্ধ জাহাজ। চট্টগ্রাম ড্রাইডকেও যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। 
রফতানির নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীরা এ খাতে মনোযোগী হলে আগামীতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক খাতে নতুন এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে। প্রতিবছর আয় হবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। এ খাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক দক্ষ শ্রমিকের। শুধু তাই নয়, জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ সুযোগ পেলে এ খাতটি দেশের বিদ্যমান সব ক’টি খাতকে ছাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রথম স্থানে চলে যাবে। সরকারি-বেসরকারি এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে পুঁজি বিনিয়োগকারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের গর্বিত অতীত আছে। বলা যায়, জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ আবার সেই গৌরবোজ্জ্বল অতীত ফিরিয়ে আনার পথে। এদেশে নির্মিত জাহাজ বেশ উন্নত বলে ইউরোপে প্রশংসিত হয়েছে।

পাবনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে সভা

ভোক্তাদের সেবার মান নিশ্চিতে দেশের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এবং এ কাজে জনসাধারণও যাতে এগিয়ে আসে সে কারণে পাবনার আটঘরিয়ায় নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা ওষুধ প্রশাসন ও আটঘরিয়া উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আটঘরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন। অন্যান্যের মধ্যে জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কেএম মুহসীনিন মাহবুব, উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. আবু মুসাসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল ওষুধ সংরক্ষণের জন্য পাত্র বিতরণ করা হয়।

২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে কৃষকরা

টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশে কৃষিখাতে আরো বিস্তার ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০) কৃষকদের জন্য ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে ব্যাংকগুলো, যা গত অর্থবছরের (২০১৮-১৯) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ এ নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালায় বলা হয়, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবারও কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণ করবে ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে।  যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে মোট ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন কৃষক কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশনের (এমএফআই) মাধ্যমে ১৬ লাখ ১ হাজার ৮৫৬ জন নারী প্রায় ৭ হাজার ১৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন।
ওই অর্থবছরে ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৩২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন। চর ও হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষক প্রায় ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। কৃষক ছাড়াও পোল্ট্রি শিল্প, দুগ্ধ উৎপাদন, কৃত্রিম প্রজনন ও কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে সহজ শর্তে এ ঋণ পাবেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব প্রতিরোধে ৬১ লাখ আনসার

নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে, একদল মানুষ এমন গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে আতঙ্ক। এটি প্রতিরোধ ও জনগণকে সচেতন করতে ৬১ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মাঠপর্যায়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। এ লক্ষ্যে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ১২ হাজার ৮৮ জন কমান্ডারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যে ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা প্রতিরোধ করতে প্রতিটি গ্রামে আনসার সদস্যরা কাজ করছে। এটি একটি কুসংস্কার। এই গুজবে কান না দেয়ার জন্য গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আনসার লিডার যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এই বার্তা পেয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজবে কান না দিতে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে আনসার সদস্যরা।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ বাহিনীর বিস্তৃতি। স্বাধীনতা যুদ্ধেও এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। বন্যা, দুর্যোগসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আনসার বাহিনী সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
আনসার ভিডিপিকে সামনে এগিয়ে নিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সাড়ে ১২ হাজার আনসার কমান্ডারকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আগে থ্রি নট থ্রি রাইফেল ব্যবহার করা হতো, এখন নতুন ৩০ হাজার অস্ত্র এই বাহিনীর জন্য আনা হয়েছে। আরো ২০ হাজার অস্ত্র আনা হবে।

ছেলেধরা গুজব: গণপিটুনি দিয়ে সাবেক স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা!

নিউজ ডেস্ক: ‘পদ্মা সেতুতে মাথা ও রক্ত লাগবে’ এমন গুজবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ছেলেধরা’ বিষয়ক নতুন আতঙ্ক। ছেলেধরার গুজবে কান দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে। এমন প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন সিরাজ নামের এক প্রতিবন্ধী।
যদিও, সিরাজের ভাই ও এলাকাবাসীর দাবি- ছেলেধরার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যায় উসকানি দিয়েছেন নিহত সিরাজের সাবেক স্ত্রী।
এদিকে, সিরাজের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রোববার (২১ জুলাই) বেলা ১১টায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি, সিরাজের ডিভোর্সি স্ত্রীর দেয়া ভুল তথ্য ও ছড়ানো গুজবে ছেলেধরার অপবাদে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন সিরাজ।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া আল-আমিন নগর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন সিরাজ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে শামসুন্নাহারের সঙ্গে বাক-প্রতিবন্ধী সিরাজের বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। চার ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় সিরাজ। বাক-প্রতিবন্ধী সিরাজ কখনো কারো সঙ্গে বিবাদে জড়াতো না। বাড়ির অন্যান্যদের উপর বোঝা না হয়ে নিজেই রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি।
এক বছর পূর্বে এলাকার বিদ্যুৎ মিস্ত্রী আ. মান্নান ওরফে সোহেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার। একপর্যায়ে উভয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এসময় সিরাজের স্ত্রী তাদের কন্যা মিনজুকেও সঙ্গে নিয়ে যায়।
এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে স্ত্রী-কন্যার সন্ধান চালান সিরাজ ও তার স্বজনরা। কিন্তু কোনো হদিস পাননি। এমন পরিস্থিতিতে ৫ থেকে ৬ মাস আগে স্ত্রী শামসুন্নাহার ডিভোর্স লেটার পাঠান সিরাজকে। সেই থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সিরাজ। স্ত্রীকে না পেলেও নিজে নিজে কন্যাকে সন্ধান করতে থাকেন। কিছুদিন পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি আল আমিন নগর এলাকায় কন্যার সন্ধান পান সিরাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, শনিবার কন্যা মিনজুকে দেখতে গিয়েছিলেন সিরাজ। নিজের কাছে টাকা না থাকায় বাসার পাশের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১০০ টাকা ধার নেন সিরাজ। এ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য চুড়ি ও লিপস্টিক কিনে তাকে দেখতে যান সিরাজ।
এদিকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তার সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামী আব্দুল মান্নান ওরফে সোহেল তাকে দেখে ফেলে। সে সময় আব্দুল মান্নান ছেলেধরা বলে চিৎকার করলে এলাকাবাসী সিরাজকে গণধোলাই দেয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে এলাকাবাসী ও তার মেঝো ভাই আলম এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। এ সময় সিরাজ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মিছিলও করে এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকার ঠিকাদার মোহর চানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সিরাজ। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন থানার মুগিয়া বাজার এলাকায়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

Friday, July 19, 2019

বাংলাদেশের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা (৬০ মিলিয়ন ডলার) শিগগির পরিশোধ করবে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের অনুরোধে জাতিসংঘ এই টাকা দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে।

সেনাপ্রধানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল তৎক্ষণাৎ ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। আর বাকী অর্থ অল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ৮ ও ৯ জুলাই সদর দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ সদর দফতরের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। 
পরে তিনি সেনাপ্রধানকে বাংলাদেশ মিশনের কর্মপরিধি সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
সফররত সেনাবাহিনী প্রধান সেক্রেটারি জেনারেলের সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কর্লোস উমবার্তো লতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সামরিক উপদেষ্টা বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও মানবিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের স্বতঃস্ফুর্ত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। সামরিক উপদেষ্টা খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস দেন। 
এছাড়া, সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, স্পেশাল ফোর্স ও র‌্যাপিডলি ডেপ্লয়েবল ব্যাটালিয়ান মোতায়েনেরও প্রস্তাব দেন। 
এ সময় সামরিক উপদেষ্টা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে জাতিসংঘ সদর দফতরে একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে  শান্তিরক্ষা মিশনের ফোর্স জেনারেশন প্রধান হিসেবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের ৩১ বছর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণে প্রথম এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হলো। পাশাপাশি সামরিক উপদেষ্টা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সংস্থাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অফ অপারেশনাল সাপোর্ট মিস লিসা এম বাটেনহেইম এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের সময় সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ সরকারের পাওনা ৬০ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা) পরিশোধের অনুরোধ করেন। সেনাবাহিনী প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল তৎক্ষণাৎ আড়াইশো কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। আর অবশিষ্ট অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন। 
পরে সেনাবাহিনী প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, পিস অপারেশনস মিস্টার জন পিয়েরে ল্যাক্রয় এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সেনাবাহিনী প্রধান ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলোতে বাংলাদেশের সেনা মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। বিশেষ করে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সেনা পাঠানো বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক প্রস্তুতির বিষয়েও সেনা প্রধান তাদের অবহিত করেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

সম্প্রতি হঠাৎ করেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে রাজধানী সহ সারা দেশে।  শুধুমাত্র গত এক মাসেই  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৫ জন। ফলশ্রুতিতে অনেকেই ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত একটি সংক্রামক রোগ যা ডেঙ্গু ভাইরাসের (A. Aegypti ভাইরাস) কারণে হয়। এডিস নামক এক ধরণের মশার কামড়ে এ রোগ হয়। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। এডিস মশা সাধারণত অভিজাত এলাকায় বড়ো বড়ো দালানকোঠায় এরা বসবাস করে থাকে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিশ মশা প্রতিরোধ করা।
ঘরবাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ও এ-জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে, এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাঙ্ক কিংবা মাটির গর্তে চার-পাঁচ দিনের বেশি কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবাণু বেশি জন্মায়। ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, বাথরুম, ফ্রিজের নিচে ও এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা, যাতে মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো গুরুতর জটিলতা না হয়। সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বর সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। অ্যাসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণভাবে এই জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সঠিকভাবে চললে কয়েক দিনেই ডেঙ্গুরোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যায়। যেহেতু এ রোগের কোন ভ্যাকসিন নেই, তাই মশার সংখ্যা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করা, মশার সংখ্যাবৃদ্ধি হ্রাস এবং মশার কামড় থেকে বেচে থাকার মাধ্যমে ডেঙ্গুজ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে এসডিজির অগ্রগতি

বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো (এসডিজি) ও কার্যকর উন্নয়ন অংশীদারিত্বে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বলেছেন  পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান । চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দারুণ সফল। জাতিসংঘ সদর দফতরে শনিবার ‘কার্যকর উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব (জিপিইডিসি)’-এর সিনিয়র-লেভেল মিটিংয়ে (এসএলএম) প্রদত্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত জিপিইডিসির এই মিটিংয়ে ফোরামটির কো-চেয়ার হিসেবে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীও ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) ও কার্যকর উন্নয়ন অংশীদারিত্বে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট অনুযায়ী এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দারুণ সফলতার সঙ্গে এগোচ্ছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ২১.৮ শতাংশে  নামিয়ে আনতে পেরেছি, যা ২০০৫ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও এর উচ্চধারা অব্যাহত রাখতে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান, অসমতা দূর, লিঙ্গসমতা নিশ্চিত ও সমগ্র সমাজ দৃষ্টিভঙ্গির মতো কৌশলগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করেছি।’

রাজধানীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪৮

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা অনেক আগে থেকেই দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং এটিকেই কেন্দ্র করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৪৬০ পিস ইয়াবা, ১১৯১ গ্রাম হেরোইন, ১০ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও ৮০০ মিলি. দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৩জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের  বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৪টি মামলা হয়েছে।
১০ কেজি গাঁজা ও ১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার : যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হল নাসিরউদ্দিন খোকন, মোহাম্মদ হোসেন ও ইমান হোসেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা, ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

এইচএসসিতে বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫

উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। সার্বিকভাবে পাস করেছে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
গত বছর (২০১৮ সালে) এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। বেলা ১টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন। 
পরীক্ষার্থীদের তালিকা অনুযায়ী, এ বছর ৯ হাজার ৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ ছাত্র ও ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ ছাত্রী। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ১ এপ্রিল। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন।
এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন। মোট কেন্দ্র সংখ্যা দুই হাজার ৫৮০টি। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মে। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
যেভাবে ফল পাওয়া যাবে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া, www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট (সফট কপি) পাওয়া যাবে। প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা হতে ফলের হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না।
মোবাইলে ফল জানা যাবে যেভাবে:
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এইচএসসির ফল জানাতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
কারিগরি বোর্ড এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

তথ্য ফাঁস: বাংলাদেশ বিরোধী তথ্য সংগ্রহে গয়েশ্বর-সেলিমাকে দিয়ে তারেকের নতুন কমিটি!

নিউজ ডেস্ক: দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারেক রহমানকে বিশেষ রিপোর্ট দেয়ার নামে ২ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। জানা গেছে, দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন ও অনিয়ম-বিষয়ক মনগড়া তথ্য সংগ্রহ করে এই কমিটি বিশেষ একটি মিশন কমপ্লিট করতে বিস্তারিত তথ্য লন্ডনে পাঠাবে।
সূত্র বলছে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যাচার ছড়ানো হবে। মূলত বিএনপি-জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক চক্রগুলোকে ব্যবহার করে তারেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে এমন মিশন হাতে নিয়েছেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বেগম সেলিমা রহমানকে নির্যাতনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ এবং নির্যাতিতদের দলের পক্ষ থেকে সহায়তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে গোপন একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দুই সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। সাধারণ জনগণের ভোগান্তির নামে মূলত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের তথ্য তুলে আনা হবে এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য। এরপর সংগৃহীত তথ্য দেশবিরোধী বলে চালাতে পরিশোধন ও পরিমার্জন করে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে। সেই তথ্য তারেক আরেক দফায় বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের, বিশেষ করে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের হাতে তুলে দেবেন। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের পেইড লবিস্টরা ইইউ, বিভিন্ন দাতা-সংস্থা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এমনকি সহায়তা বন্ধ করতেও বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে নিজেদের মতো করে বোঝাবে বিএনপির লবিস্টরা।
জানা গেছে, বেগম জিয়ার মুক্তি ও নতুন একটি নির্বাচন আদায়ে তারেকের নির্দেশে মূলত গয়েশ্বর ও সেলিমা দু-এক দিনের মধ্যে কাজে নেমে পড়বেন। তবে তারেক রহমানের এই গোপন মিশনের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপি। বিশেষ এই কমিটির অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের তথ্য কে ফাঁস করলো, সেটি খোঁজার চেষ্টা করছে দলটি।

প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

খেলাধুলার প্রতি মানুষের যেন আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের দেশ যেন এ খাতে আরো উন্নতি করতে পারে এ লক্ষ্যেই প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। একনেক সভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘নির্বাচিত ছয়টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ’ প্রকল্প একনেক সভায় উত্থাপন করা হয়। তবে সংশোধনী আনতে বলে তা অনুমোদন দেয়া হয়নি একনেক সভায়।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব নূরুল আমিন বলেন, ‘প্রত্যেক উপজেলায় এখন থেকে একটা মিনি স্টেডিয়াম হবে।  সেটা কোনো কলেজ, মাদরাসা, স্কুলের মাঠে হতে পারবে না। একটা খোলা জায়গায় হতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা থেকে একটু দূরে হলেও চলবে।’ ‘এর একদিকে গ্যালারি থাকবে। বাকি তিন দিক উন্মুক্ত থাকবে। পাবলিক যেন দেখতে পারে, কী হচ্ছে এ মাঠের ভেতরে’- যোগ করেন নূরুল আমিন।
উত্থাপিত প্রকল্পটি বাতিলের বিষয়টি তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘সেজন্য ছয়টি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যতগুলো আসবে, সেগুলো মিনি স্টেডিয়াম হিসেবে প্রস্তাব আনতে হবে।’
একনেক সভায় প্রায় ৫ হাজার ১৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ১২৯ কোটি ৮১ লাখ এবং বিদেশি ঋণ প্রায় ১ হাজার ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

নারায়ণগঞ্জে তিন প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা, ৬ জনকে কারাদণ্ড

ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিএসটিআইর অনুমোদন না থাকায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসান ফুড প্রোডাক্টস, এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুরসালিন, ফারুক হোসেন, রিপন, রাকিবুল, সাজিদুল ইসলাম ও ইমন।

র‍্যাব -১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার বানিয়াদী ও পোনাব এলাকায় হাসান ফুড প্রোডাক্টস, এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন নকল ট্রপিকো লিচি ড্রিংকস, ম্যাজিক স্ট্রবেরি জেলি, গ্রিন বিস্কুট, টনি অরেঞ্জ ড্রিংকস, মায়া লিচি ড্রিংকস, প্রাণ লিচি ফ্লেভার, ম্যাজিক লিচি, ডক্টরস ফ্রুটু, দারুচিনি সস, দারুচিনি সরিষার তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছে।

সোমবার দিনব্যাপী র‍্যাব -১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পোনাব এলাকার হাসান ফুড প্রোডাক্টসের মালিক ইমারত হোসেনকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৬ শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেয়া হয়।

Thursday, July 11, 2019

ফেঁসে যাচ্ছেন এসকে সিনহা !

নিউজ ডেস্ক : অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকের ঋণ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ এনে করা সিনহার বিরুদ্ধে মামলায় আইনজীবীরা বলছে, মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকায় তার ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 দুদক সূত্র বলছে, ১০ জুলাই সকালে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ফারমার্স ব্যাংক থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে ব্যাংকটির সাবেক এমডি একেএম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।



আয়কর সীমার নিচে সবাই লিগ্যাল এইড সুবিধা পাবেন: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যাদের বার্ষিক আয় আয়কর সীমার নীচে তারা সবাই বিনা খরচে সরকারি আইনি সহায়তা (লিগ্যাল এইড) পাবেন। নীতিমালা সংশোধনের পর থেকে এটি কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের ৩৬তম সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের সকল অধস্তন আদালতে সরকারি আইনি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় যথাক্রমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ লাখ টাকার পরিবর্তে যে ব্যক্তির বার্ষিক আয় সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত আয়কর সীমার নীচে- তিনি সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা সংশোধন করে সরকারি আইনি সহায়তা পাওয়ার আওতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় পরিচালনা বোর্ড।

সভায় অধস্তন আদালতে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের কর্মস্পৃহা ও সেবার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করার লক্ষে আইনজীবীদের মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত বিদ্যমান ফি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া পূর্ণকালীন জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাদের অবকাশকালীন সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদেরকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিগত প্রায় সাড়ে ১০ বছরে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা অনেক সচল হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত চার লাখ ৩০ হাজার ৭৭৩ জনকে সরকারি আইনি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

দেশের সব জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে: পলক

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জমি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দপ্রাপ্তি এবং গাইড লাইনের আলোকে বিভাগ ও জেলাগুলোতে এসব পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোছা. খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। সরকারি দলের সাংসদ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি আইসিটি প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তথ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নেই।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশাল বেকার সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৮৮ জনকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
যার মধ্যে ১০ হাজার ৮২১ জনের আইসিটি শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গভর্নেন্স ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে ২ হাজার ৯৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
সাংসদ বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক আরও জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২১ জেলায় সাড়ে ১০ হাজার নারীর স্ব-কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির জন্য সরকারি অর্থায়নে আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ৪৯টি জেলায় সরকারি অর্থায়নে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, মাগুরা, নেত্রকোনা জেলায় এবং নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলায় ২১০০ জনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এর আওতায় কোনো আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই।
প্রতিমন্ত্রী জানান, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ইতোপূর্বে সরকারি অর্থায়নে ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে ২০০ ঘণ্টা করে ৫০ দিনব্যাপী তিনটি কোর্সে (গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং) শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ সারা দেশে প্রদান করা হয়েছে। ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল, বর্তমানে নেই। নতুন করে ৪০ হাজার জনের প্রফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ শুরু হলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে সৈয়দপুরে ৫ ফার্মেসিকে জরিমানা

নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাঁচটি ফার্মেসি মালিকের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এ জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে শহরের সৈয়দপুর প্লাজার নোভা ড্রাগস মালিক জাহানুর রহমানকে ২০ হাজার, স্মৃতি মেডিক্যাল স্টোর মালিক আতাহার হোসেনকে ১৫ হাজার, তুলশিরাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মোড়ে সৌদি ওষুধালয়ের মালিককে পাঁচ হাজার, বঙ্গবন্ধু সড়কের (রংপুর রোড) রাণী ফার্মেসির মালিক রেজওয়ানকে পাঁচ হাজার ও শেরেবাংলা সড়কের ইমরান ফার্মেসির মালিক ইমরানকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম, সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছিলেন।

বিক্রমপুর সুইটস ও ফুলকলিতে পচা দই বিক্রি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

পচা দই বিক্রি করছে নামকরা প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ও বিক্রমপুর সুইটস অ্যান্ড বেকারি। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠান দুটিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মাসুম আরিফিন ও আফরোজা রহমান।

অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আজকে তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়।
বাজার অভিযান পরিচালনাকালে ছয়টি ফার্মেসিতে তদারকি করা হয়, তার মধ্যে একটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ দই বিক্রয়ের অপরাধে ফুলকলিকে ৫০ হাজার টাকা এবং বিদেশি পণ্য আমদানিকারকের সিল না থাকায় ও পচা দই ফ্রিজে সংরক্ষণের অপরাধে বিক্রমপুর সুইটস অ্যান্ড বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে গ্রিন ক্যাফে হোটেলকে ১০ হাজার টাকা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রয়ের অপরাধে একটি ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকাসহ এক লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকিকালে সার্বিক সহায়তা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ (এপিবিএন)।

চলতি মাসেই হচ্ছে পেনশন নীতিমালার খসড়া

উন্নত বিশ্বের মতো সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষকে পেনশনের আওতায় আনতে নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর এ উদ্যোগ ‘যুগোপযোগী’ উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ হচ্ছে, ‘নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগেই বেসরকারি খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন নীতিমালার খসড়া রূপরেখা তৈরির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। চলতি মাসেই কমিটি এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা অর্থ সচিবের কাছে জমা দেবে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম জানান, পেনশন কাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় বিষয়ের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইনি বিষয়গুলো পর্যালোচনার পাশাপাশি এ বিষয়ে অন্যান্য অভিজ্ঞতা একত্রিত করে নীতিমালা তৈরিতে এ সংক্রান্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। চলতি মাসেই নীতিমালার খসড়া তৈরি করে অর্থ সচিবের কাছে জমা দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়াটি প্রস্তুত হলেই সরকার বেসরকারি খাত-সংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত হলে প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এর আওতায় আনা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষকে এ পেনশনের আওতায় আনা হবে। এতে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে সময় লাগবে অন্তত তিন বছর।  জানা গেছে, দেশের ছয় কোটি কর্মজীবীর পাঁচ কোটি ৮০ লাখই কাজ করেন বেসরকারি খাতে। চাকরি জীবন শেষে তাদের অর্থসংকটে পড়তে হয়। এসব কর্মজীবীকে শেষ বয়সে সুবিধা দিতে চলতি বাজেটে দেয়া হয়েছে সবার জন্য পেনশন বা সর্বজনীন পেনশনের প্রতিশ্রুতি। সে আলোকে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করছে অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ সূত্র বলছে, সবার জন্য পেনশন কাঠামোটি প্রস্তুত করা বেশ সময় ও ব্যয়-সাপেক্ষ বিষয়। অনেক চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছে অর্থ বিভাগ। এখন শুধু সরকারি চাকরিজীবীরাই মাসিক পেনশন সুবিধা পান। নতুন ব্যবস্থায় এর বাইরে বেসরকারি খাতে নিয়োজিত চাকরিজীবীদের পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র জানায়, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি ২০০৪ সালে সীমিত আকারে চালু করেছিল ভারত সরকার। কলকাতা ও আসাম ছাড়া বাকি সব রাজ্যে এ ব্যবস্থা বর্তমানে চালু রয়েছে। নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।
এর আগেও এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় পেনশন তহবিল হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। অর্থাৎ চাকরিজীবী ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ তহবিলে অর্থ দেবে। এর পরিমাণ হতে পারে চাকরিজীবীর মূল বেতনের শতকরা ১০ ভাগ। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষও সমপরিমাণ অর্থ দেবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে একই নিয়মে তহবিল গঠন করা হবে।

পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব রুখতে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গুজব ছড়ালেই গ্রেফতার!

নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে-এমন গুজব ছড়িয়ে বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছে একটি কুচক্রী মহল। এমন গুজবে কান না দিতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছে পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি গুজব রোধে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরইমধ্যে সারা দেশে ১৩ জন গুজবকারীদের গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছিলো।
সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে একটি চক্র ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিটি শাখা ব্যবহার করে গুজব ছড়াচ্ছিলো।
এমন অপপ্রচার ঠেকাতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কিছুদিন পর পর বিভিন্ন ইস্যুতে নতুন নতুন গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছি। এধরণের গুজব অনলাইন অথবা জনসম্মুখে যারা ছড়াবে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, অনলাইন মনিটরিংয়ের জন্য এরইমধ্যে একটি সেলও গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অসাধু একটি চক্র বিশেষ ইন্ধনে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াচ্ছিলো যে, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে এক লাখ কিংবা তারও অধিক মানুষের মাথা লাগবে। এগুলো সংগ্রহ করতে সারা দেশে ৪১টি দল বের হয়েছে। যারা হাঁটে-বাজারে ঘুরে মানুষকে অপহরণ করে কিংবা বিভিন্ন কৌশলে এসব মাথা সংগ্রহ করছে। গুজবে এও ছড়ানো হয়েছে- তারা বিভিন্ন ধরণের স্প্রে ব্যবহার করছে; যা মানুষ অজ্ঞান করার কাজ করে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কুচক্রী মহল এ ধরণের মিথ্যা খবরের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব খবর গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। এ ধরণের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বিমানের হজ অ্যাপস চালু

হজযাত্রীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হজযাত্রা সহজ, গতিশীল ও সফল করার জন্য তারা ‘বিমান হজ ফ্লাইট’ নামের এই অ্যাপসটি চালু করেছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, ‘বিমান হজ ফ্লাইট’ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিশিয়াল অ্যাপস। যে কোনো স্মার্টফোনে (অ্যান্ড্রয়েড) অ্যাপসটি ডাউনলোড করলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে হজ ফ্লাইট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

এই অ্যাপসের মাধ্যমে হজযাত্রীরা ফ্লাইট সম্পর্কিত সব তথ্য, ডিলে নোটিফিকেশন, হজ ফ্লাইট স্ট্যাটাস, হজ ফ্লাইট শিডিউল এবং হজ ইনস্ট্রাকশন (হজ সম্পর্কিত নির্দেশনা) জানতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সবার হজযাত্রা নিশ্চিত করতে এই অ্যাপস চালু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন সৌদি আরবে হজ পালন করতে যাবেন। এঁদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এবং বাকিরা যাবেন সৌদি এয়ারলাইন্সে। দুই মাসব্যাপী হজ ফ্লাইট পরিচালনায় বিমানের শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট রয়েছে। এর মধ্যে ৩০৪ ডেডিকেটেড এবং ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট রয়েছে। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৮৯টি হজপূর্ব ফ্লাইট রয়েছে। ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হজ-পরবর্তী বিমানের ১৪৭টি ফ্লাইট চলবে।

বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, গত সোমবার বিমান হজ ফ্লাইট অ্যাপসটি চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ জুলাই হজ ফ্লাইট উদ্বোধনের পর বুধবার ভোর পর্যন্ত বিমানে ১৪ হাজার ৪৪জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।

প্রতিদিন পাঁচ মিনিট ‘কাল্পনিক চেয়ারে’ বসুন, আর দেখুন ম্যাজিক!

চেয়ার সম্পর্কে সবারই জানা। কিন্তু ‘কাল্পনিক চেয়ার’ শুনতেই অবাক লাগছে, তাইনা? ব্যায়ামের ভাষায় এটিকে স্কোয়াট বলে। মূলত, চেয়ারে বসার মতো করে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর ও পিঠ সোজা রেখে হাত দুটো সামনের দিকে টানটান করে ছড়িয়ে দাঁড়ানোই ‘কাল্পনিক চেয়ার’। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক প্রতিদিন ৫ মিনিট এভাবে দাঁড়ানোর অভ্যাস শরীরে কি কি উপকার করে -

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট আপনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে পারে। লাফানো, দৌড়ানো, হাঁটাহাঁটিতে পায়ের পেশীর যে উপকার মেলে, স্কোয়াট তার অনেকটাই পুষিয়ে দেয়।
২. শুধু পেশীর জোর বাড়ানোই নয়, টেস্টোস্টেরন ও গ্রোথ হরমোন নিঃসরণে বিশেষ কার্যকর এই ব্যায়াম। যার জেরে পেশীর বৃদ্ধি ও ভরকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। সারা শরীরে শক্তির সমান বণ্টনের ক্ষেত্রেও বিশেষ কাজ করে এই ব্যায়াম।
৩. স্কোয়াট করলে শুধু পেশীর উপকার নয় বরং হাঁটাহাঁটিতে যে পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন হয়, তার চেয়েও বেশি ফ্যাট ঝরাতে পারে এই ব্যায়াম। স্কোয়াটের ফলে যেসব মাংসপেশি সুগঠিত হয়, তার প্রতি পাউন্ডের জন্য অতিরিক্ত ৫০-৭০ ক্যালোরি বার্ন হয়। ফলে মাত্র ১০ পাউন্ড পেশী থেকেই মিলতে পারে ৫০০-৭০০ ক্যালোরি বার্ন।
৪. এই ব্যায়াম মাসখানেক করলে দৌড়ানো, লাফানো বা পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। যারা খেলোয়াড়, তাদের ক্ষেত্রেও জোরে দৌড়াতে কিংবা বেশি লাফাতে সাহায্য করে স্কোয়াট।
৫. এই ব্যায়ামের প্রভাবে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। হরমোন ক্ষরণ, কোষে কোষে পুষ্টিগুণ পৌঁছানোর কাজও সহজ হয়ে যায়। ফলে পেটের সমস্যা প্রতিরোধ, সারা শরীরে উপকারি বডি ফ্লুয়িড পৌঁছনোর মতো প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজও অনেক সহজ করে তোলে এই স্কোয়াট অভ্যাস।

২০৩২ সাল নাগাদ বড় অর্থনীতির দেশের তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ

প্রতিটি সেক্টরে দেশ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সাথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। কোন উন্নয়নটি হচ্ছে না দেশে। এমন  উন্নয়ন হয়েছে যা দেশের মানুষ কল্পনাতেই আনতে পারেনি। বিশাল এই উন্নয়নের ফলে অনেক দেশকেই এখন বাংলাদেশ পেছনে ফেলে দিয়ে এসেছে। আর যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে অবস্থান ৪১ তম। ২০৩৩ সালে আমাদের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ থাকবে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০১৯ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে ১৯৩টি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ১২টি দেশকে টপকে গেছে। আগামী ১৫ বছরে টপকে যাবে আরও ১৭টি দেশ। এই যাত্রার প্রথম পাঁচ বছরে ৫টি দেশকে টপকে যাবে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ হবে ৩৬ তম অর্থনীতির দেশ। পরের পাঁচ বছর আরও ৯টি দেশকে পেরিয়ে ২০২৮ সালে হবে ২৭ তম বড় অর্থনীতির দেশ। পরের পাঁচ বছরে টপকাবে আরও ৩টি দেশ।

সংস্থাটি আরও বলেছে, এক দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এখন ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে বা পিপিপি ডলারে মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটিকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে সহায়তা করেছে। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় প্রবৃদ্ধির পেছনে কারণ হলো অভ্যন্তরীণ ভোগ চাহিদা, সরকারি ব্যয়, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসব কারণেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদগণ জানান, বড় অর্থনীতির দেশ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা বাংলাদেশের আছে। আগামী ১৫ বছর ৭ শতাংশ বা এর বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনও সম্ভব। কিন্তু এগুলো শুধু সংখ্যাগত তথ্য–উপাত্ত। কীভাবে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে। এ জন্য বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। তাঁর মতে, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানিসহ অবকাঠামো দ্রুত করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আড়াই গুণের বেশি বাড়বে। এ বছর (২০১৯) বাংলাদেশের জিডিপি হবে (স্থিরমূল্যে) ১১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০৩৩ সালে গিয়ে জিডিপির আকার দাঁড়াবে ২৯ লাখ ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। পরের স্থানে রয়েছে চীন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে জাপান, জার্মানি ও ভারত। ২০৩৩ সালে এই চিত্র পাল্টে যাবে। তখন বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হবে চীন। দ্বিতীয় স্থানে সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। জাপান তিন নম্বর থেকে চার নম্বরে চলে যাবে। জার্মানিও চার থেকে পাঁচ নম্বরে নেমে যাবে।

Tuesday, July 9, 2019

বিএনপির ইনাম আহমেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে, দুশ্চিন্তায় বিএনপি!

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
বিএনপিতে গুরুত্ব ও মনোনয়ন না পেয়ে নেতাদের দলত্যাগের বিষয়টি নতুন কিছু না হলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে যোগদান নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে। বাড়ছে দুশ্চিন্তাও।
৭ জুলাই (রোববার) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইনাম আহমেদের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। যিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ওপরে বই লিখেছেন- এমন বোদ্ধা ব্যক্তিকে হারিয়ে রাজনীতির মাঠে সমালোচিতও হচ্ছে বিএনপি। বলা হচ্ছে- গুণীদের ধরে রাখতে ব্যর্থ বিএনপি এভাবে ক্রমেই নিঃশেষ হতে থাকবে। ইনাম আহমেদের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে যোগদান সেই আলামতই বহন করে।
সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ইনাম আহমেদের মনোনয়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে আছে বিএনপি। কেননা, দলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার জানা। এ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য বলেন, বিষয়টি বিএনপির জন্য ভালো হলো না। কেননা, বিএনপির কৌশলগত জায়গাগুলো সম্বন্ধে ইনাম চৌধুরী ভালো মতো অবগত রয়েছেন। যা বিএনপিকে বিপাকে ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দল চাইলেই ইনাম চৌধুরীর বিষয়ে সুবিবেচনা করতে পারতো। দলের জন্য দরকার- এমন নেতাকে অবমূল্যায়ন করে বিশেষ লাভবান হয়নি দল। বরং ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইনাম আহমেদ চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে ওই সময়ে দলীয় কোনো পদে রাখা হয়নি তাকে। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। তবে শেষ পর্যন্ত সে আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পান খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। এরপরই বিএনপির অসম্মানজনক আচরণে ক্ষোভে-অভিমানে দল ছেড়ে দেন তিনি।

পদ্ম সেতু নিয়ে ভিত্তিহীন ‍গুজব


Monday, July 8, 2019

সিলেট হাইটেক পার্কে হবে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে সিলেট হাইটেক পার্কের। এরপর উদ্বোধনের দিন থেকেই ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে। এ তথ্য জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘সিলেটের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ঠিক রেখে নির্মাণকাজ চলছে হাইটেক পার্কের (ইলেকট্রনিক্স সিটি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, ২৮টি হাইটেক পার্কের মধ্যে সিলেটকে বেছে নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি গ্রামে প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’

মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনায় প্রকল্পটি দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রনিক্স সিটি। নির্মাণকাজ শেষ হলে সিলেট থেকেই তৈরি হবে উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ। প্রকল্পের দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে রয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট আইটি বিজনেস সেন্টার, ক্যাবল ব্রিজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গ্যাস লাইন স্থাপন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।’

সাইটের উন্নয়নকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘হাইটেক পার্কের ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ আগামী মাসের প্রথম দিকে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের জন্য ৩০ কিলোমিটার লাইন টানা শেষ হয়েছে। এখন শুধু সাবস্টেশনের কাজ চলছে। সব ধরনের বেসিক কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রকল্পের জন্য গ্যাসের সংযোগ পেতে আরও ৬-৭ মাস সময় লেগে যাবে। সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসকে সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৬২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি টাকা। খোলামেলা পরিবেশে প্রকল্পটি প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের সাইট উন্নয়নের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করছে নৌবাহিনীর একটি প্রকৌশল দল।’

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হলে বিনোয়গকারীরা এখানে বিনোয়োগ করতে পারবেন। হাইটেক পার্কে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

মো.  গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া জানান, এখানে ৪০ বছর মেয়াদি প্লট লিজ দেওয়া হবে। প্রতি স্কয়ার মিটার ভূমির ভাড়া নেওয়া হবে প্রতিবছর ১.৫ ডলার। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের ৩১ হাজার স্কয়ার মিটার স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্স হলিডেসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। কোনও ছাড়পত্রের জন্য দফতরে দৌড়াতে হবে না। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ১৪৮টি সেবা দেওয়া হবে। যত রকম সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হবে, তা সরকারই করে দেবে। তবে, কোম্পানি গঠনের পর তা অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য কাজের জন্য মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এ প্রকল্পটির অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক্স সিটি ‘হাইটেক পার্কে’ আইটি বিজনেস সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

আগামী বছর সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

আগামী বছর থেকে সকল হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। আর বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী বছর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করতে বিমানবন্দরে আরো বড় পরিসরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রোববার (৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন দুই প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে হজযাত্রীদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানালেন সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ আল ইয়াহিয়া।

হজযাত্রার চতুর্থ দিনে উত্তরার আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ পরিদর্শন করে দেখা যায় ভোগান্তি ছাড়াই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছাড়ছেন হজযাত্রীরা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইটে ৫ হাজার ৭৮১ যাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। কোন ভোগান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে সহজে যেতে পারায় খুশি হাজিরা।
 সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ আল ইয়াহিয়া বলেন, হজ যাত্রীদের সুবিধার জন্য এ বছর লাগেজ বাসায় পৌঁছে দেয়াসহ  ইমিগ্রেশন ঢাকায় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে আগামীতে এই সেবা আরো বাড়ানো হবে।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরই সৌদি কর্তৃপক্ষ সব ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকাতে করতে চেয়েছিলো। প্রথম বছর আর জায়গার স্বল্পতার কারণে করা সম্ভব হয়নি, আগামী বছর থেকে এই কার্যক্রম পুরোটাই ঢাকায় করা হবে।
আর বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী বছর বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুবিধায় আরো বড় পরিসরে করা হবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। হজযাত্রার চতুর্থদিনে বিমান ও সৌদি এয়ারের ১৪টি ফ্লাইটে ৫ হাজার ৭৮১ যাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।

Saturday, July 6, 2019

নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ডিজিটাল আইন: সজীব ওয়াজেদ জয়

ডিজিটাল আইন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এর ফলে অনলাইনে উস্কানি ও সহিংস প্রচারণা থেকে নাগরিকরা নিরাপদ থাকবেন। গত ১ জুলাই ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত এক কলামে তিনি এ কথা লিখেছেন।
জয় লিখেছেন, বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটাল যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা ডিজিটাল প্রকাশনা যা সহিংসতাকে উস্কে দেয় তা থেকে নাগরিকদের তথ্য ও গোপনীয়তা সুরক্ষায় গত বছর সংসদে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এমন আইন বিদ্যমান।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিমা কয়েকটি গণমাধ্যম এবং এনজিও এই গুরুত্বপূর্ণ আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
‘এটা সত্য নয়। বাংলাদেশে অনেক সফল, মুক্ত গণমাধ্যম রয়েছে। বাংলাদেশে ৯টি জাতীয় দৈনিক ও তিন শতাধিক স্থানীয় পত্রিকা রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এরমধ্যে অনেক সংবাদে সরকারের সমালোচনাও করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম হয়তো সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে সংবাদ পরিবেশন করে কিন্তু প্রায় ৩০টির মতো বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে, যারা ঘটনা যা ঘটে সেটাই সংবাদ হিসেবে তুলে ধরে; নিয়মিত সরকার, রাজনীতিবিদ ও তাদের নীতির সমালোচনা করে। দৃষ্টিভঙ্গির এই বৈচিত্র্য ২২০টিরও বেশি স্বাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে দেখতেও পাওয়া যায়।
সরকার এই সংবাদমাধ্যমগুলোকে দমন না করে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যেন সংখ্যালঘুরাও তাদের মত প্রকাশ করতে পারে। এসব সব বাংলাদেশি যেন সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল মিডিয়ার যেমন প্রযুক্তিগত বিবর্তন ঘটছে, তাই এই আইনও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হবে। অন্যান্য সব আইনের মতোই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও ত্রুটি আছে।
স্বাধীনতায়ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে; আর গণতন্ত্র অনেক জটিল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র দুটোই রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের সুরক্ষার মাধ্যমে এই দুটি বিষয়ই নিশ্চিত করতে চায়। এই সমন্বয়টা খুব সরল নয়; এর ভারসাম্য রক্ষা করাও কঠিন।
আইনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। তবে এটা সহজ নয়। অনেক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই আইনের আওতায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় বিক্ষোভও হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আদালত এখনও কাউকে এই আইনে দোষী সাব্যস্ত করেননি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দপ্তরের তৈরি করা এই আইনের খসড়া নিয়ে সংসদে ও গণমাধ্যমে এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিতর্ক হয়েছে। সাংবাদিক, সম্পাদক ও এমনকি এডিটর্স গিল্ড এই আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে, যা এটির চূড়ান্ত রূপ দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে আমরা বুঝতে পারি যেহেতু এখন নতুন প্রযুক্তি এসেছে, তাই এই আইন পরিবর্তন করা দরকার। কর্তৃপক্ষও তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারবে, এটা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
তবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর যেন শোনা যায় সেটা নিশ্চিত করেই ডিজিটাল চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল ও সাইবার হয়রানি থেকে নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে সরকারকে। এই আইনের একটি ধারায় ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যাতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদ থাকে। অন্যান্য ধারাতেও ক্ষমতাহীনদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য তথ্য ছড়ালে সাজার ব্যবস্থা রেখে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ মানুষের তথ্য সংরক্ষণের জন্যও এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। যেমন জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য ১৫টি দেশের মতো এই আইন মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোকে নিষিদ্ধ বিবেচনা করে।
বাংলাদেশের ইতিহাস বলছে, এমন বিষয় সতর্ক থাকা দরকার। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু। ভুল তথ্য বা সংবাদ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। যেমন, সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে দেখা যায় মুসলমানদের পবিত্র কাবা শরিফে এক হিন্দু দেবতার মূর্তির ছবি। এর প্রতিবাদে উগ্রবাদী মুসলিমরা নাসিরনগরে হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর করে। ছবিটি স্পষ্টতই ফটোশপ করা ছিল, তবে সেদিকে কেউ খেয়ালই করেনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন আচরণকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনের পরিধি অনেক ব্যাপক এবং এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রে অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। তবে গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরও সত্য উদঘাটন করতে হবে এবং জননিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

দেশের দেড় কোটি শিশুদের ‘ডিম-রুটি’ দিবে সরকার

পড়ালেখার প্রতি আকর্ষণ করতে ও সারাদেশের সকল পুষ্টিহীনতায় ভোগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিম-কলা অথবা ডিম-রুটি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা গেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরুর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে আগামী অক্টোবর থেকে দেশের ১৬ উপজেলায় ‘মিড ডে মিল’ হিসেবে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।
জানা গেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) আওতায় ২০১০ সালে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিস্কুট দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয়। সারাদেশের ১০৪টি দরিদ্রপ্রবণ উপজেলার সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং হিসেবে বিস্কুট বিতরণ শুরু হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালে বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবানের লামা উপজেলায় ডব্লিউএফপি’র আওতায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল’ নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ২০১৬ সালে একটি কমিটি গঠন করে। ২০১৭ সালে এ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা- ২০১৯’ চূড়ান্ত করেছে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। বর্তমানে মন্ত্রণালয় থেকে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি হচ্ছে। এটা তৈরি হলে তা কেবিনেটে (মন্ত্রিসভা) পাঠানো হবে। এরই অংশ হিসেবে পুরোপুরি সরকারিভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের ১৬ জেলায় আগামী অক্টোবর থেকে চালু হতে পারে ‘জাতীয় স্কুল মিল’ কার্যক্রম। এরপর দেশের আরও ১০৪টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রতি বছর এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, সরকারের স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় বিস্কুট কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীপ্রতি আট টাকা করে খরচ হয়। রান্না করা খাবার দেয়া হলে এ খরচ দাঁড়াবে ১৮ টাকায়। আর ডিম-কলা অথবা ডিম-রুটি দিলে ২০ থেকে ২২ টাকার মতো ব্যয় হবে।
খসড়া ‘জাতীয় স্কুল মিল’ নীতি অনুযায়ী, একজন শিশুর দৈনিক শক্তির চাহিদার ৩০ শতাংশ এবং পুষ্টি চাহিদার ৫০ শতাংশ স্কুলের খাবারে নিশ্চিত করা হবে। আমরা আট হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। সারাদেশে এটা বাস্তবায়ন করতে গেলে এ টাকা লাগবে। তবে সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও বেসরকারিপর্যায় থেকে সহযোগিতা আসলে তাও নেয়া হবে।
‘মিড ডে মিল’ নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, শিশুদের নির্ধারিত খাবার দেয়া হবে পূর্ণ দিবস বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে রান্না করা খাবার দেয়া হবে সপ্তাহে পাঁচদিন। একদিন দেয়া হবে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। অর্ধদিবস বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ হার হবে ৫০ শতাংশ।
স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় উপজেলা নির্বাচন করা হয়েছে দারিদ্র্য-ম্যাপ অনুযায়ী। সরকারি কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়া হবে— কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি ও রাজিবপুর উপজেলায়, দিনাজপুরের ফুলাবাড়ি, পাবনার বেড়া, নওগাঁ জেলার পোরশা, গাইবান্ধার সাঘাটা, শেরপুরের নলিতাবাড়ি, জামালপুরের ইসলামপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও কাউখালী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, যশোরের ঝিকরগাছা, খুলনার বাটিয়াঘাটা, বরগুনার বামনা, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়।
নির্বাচিত ১৬ উপজেলার মধ্যে বান্দরবানের লামা উপজেলা নেই। তবে ডব্লিউএফপি পরিচালিত লামার পাইলট প্রকল্প শেষ হলে ওই ১৬ উপজেলার সঙ্গে লামা উপজেলাও যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চে’ জামায়াতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিব্রত অলি!

নিউজ ডেস্ক: জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের অন্যান্য শরিকদের নিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু দেশের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’- এর সভার আহ্বান করলেও সেখানে জামায়াতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ এর নেতৃত্বাধীন নতুন এই জোটের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
জানা গেছে, নতুন এই জোটে জামায়াত যুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন খোদ জাতীয় মুক্তি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, জাতীয় মুক্তি মঞ্চে যুক্ত হতে আমরা সবাইকে আহ্বান করেছি। জামায়াত আসবে কিনা তা আমি বলতে পারছি না। হঠাৎ তাদের মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। যা আমার কাছে সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত সভায় যোগ দিলেও মুক্তি মঞ্চে থাকবে কিনা তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করছে না। যদিও নতুন জোট গঠনের আগে তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছিলো আমার। এখন তা ধোঁয়াশায় পড়ে আছে। জামায়াতের এমন রহস্যময় আচরণে আমি নতুন জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দেন ২০ দলের অন্যতম নেতা অলি আহমদ। এ জোটে জামায়াতকে ভিড়াতে কর্নেল অলি জামায়াতকে ‘দেশপ্রেমী দল’ বলেও আখ্যায়িত করেন। যদিও সেদিনের সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিতি থাকার কথা থাকলেও তা হয়নি। জামায়াতের কোনো নেতাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সূত্র বলছে, ধোঁয়াশার সূত্রপাত সেখান থেকেই।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই রাজনৈতিক ফ্রন্টে যুক্ত হওয়া-না হওয়ার বিষয়টি জামায়াত কৌশলগত কারণে খোলাসা করছে না। জামায়াত নেতারা হয়তো অলির কৌশল বোঝার চেষ্টা করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামায়াতের এই সংশয়ে কিছুটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন অলি। ফলে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জামায়াতকে সঙ্গে নেয়ার অভিপ্রায় ব্যর্থ হতে চলেছে। কেননা, এ জোটে জামায়াতকেই প্রধান চালিকা শক্তি ভাবা হচ্ছিলো।