নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে
প্রতিমাসে দু কোটি টাকা করে পাঠাতেন গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের কথিত নেতা জি
কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশান থেকে র্যাবের হাতে আটক টেন্ডার
মাফিয়া জি কে শামীম ও খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জি কে
শামীম স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির দলীয় ফান্ডে তিনি নিয়মিত অর্থ দেন এবং
তারেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারেককে প্রতিমাসে এক কোটি করে চাঁদা
পাঠাতেন শামীম। হুন্ডির মাধ্যমে লন্ডনে এই টাকা পাঠাতেন তিনি। সঙ্গে খালেদ
মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, তিনিও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে এক কোটি টাকা
পাঠাতেন তারেক রহমানকে।
রিমান্ডে আরো জানা যায়, জি কে শামীম গত দশ বছরে ৪ বার লন্ডনে গিয়েছেন। প্রত্যেকবারই বিভিন্ন স্থানে তারেকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের বাবা আব্দুল আউয়াল
মিন্টুর মাধ্যমেই তারেকের সঙ্গে শামীম নিয়মিত যোগাযোগ করেন। প্রতিমাসে ২
কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতেন।
উল্লেখ্য, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির
নেতা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী খন্দকার আব্দুর রশিদ, সাঈদ ফারুক
রহমান ও বজলুল হুদা ৮০-এর দশকে গঠন করেন বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। ১৯৮৭ সালে
ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার মানিক ও মুরাদের হাত ধরেই খালেদের রাজনৈতিক
ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
বাড়িতে হামলা করে। এতে খালেদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন অংশগ্রহণ
করেছিল। এ হামলায় অভিযুক্তের প্রাথমিক তালিকায় খালেদের নাম থাকলেও ঠিকানা
উল্লেখ না থাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার
নাম বাদ দেয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে
আসছিলেন খালেদ মাহমুদ।
অপর দিকে সাত বডিগার্ডসহ আটক হওয়া যুবলীগের কথিত কেন্দ্রীয় নেতা এস এম
গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এর আগে ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা
ছিলেন। বিভিন্ন টেন্ডার ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন
শামীম। মূলত বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই তাদের মোটা
অঙ্কের টাকা দিতেন শামীম।