Thursday, September 26, 2019

জি কে শামীম ও খালেদ ভূঁইয়া প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা দিতেন তারেক রহমানকে!

নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রতিমাসে দু কোটি টাকা করে পাঠাতেন গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের কথিত নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশান থেকে র‌্যাবের হাতে আটক টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম ও খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির দলীয় ফান্ডে তিনি নিয়মিত অর্থ দেন এবং তারেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারেককে প্রতিমাসে এক কোটি করে চাঁদা পাঠাতেন শামীম। হুন্ডির মাধ্যমে লন্ডনে এই টাকা পাঠাতেন তিনি। সঙ্গে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, তিনিও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে এক কোটি টাকা পাঠাতেন তারেক রহমানকে।
রিমান্ডে আরো জানা যায়, জি কে শামীম গত দশ বছরে ৪ বার লন্ডনে গিয়েছেন। প্রত্যেকবারই বিভিন্ন স্থানে তারেকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মাধ্যমেই তারেকের সঙ্গে শামীম নিয়মিত যোগাযোগ করেন। প্রতিমাসে ২ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতেন।
উল্লেখ্য, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী খন্দকার আব্দুর রশিদ, সাঈদ ফারুক রহমান ও বজলুল হুদা ৮০-এর দশকে গঠন করেন বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। ১৯৮৭ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার মানিক ও মুরাদের হাত ধরেই খালেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা করে। এতে খালেদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন অংশগ্রহণ করেছিল। এ হামলায় অভিযুক্তের প্রাথমিক তালিকায় খালেদের নাম থাকলেও ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার নাম বাদ দেয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন খালেদ মাহমুদ।
অপর দিকে সাত বডিগার্ডসহ আটক হওয়া যুবলীগের কথিত কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এর আগে ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা ছিলেন। বিভিন্ন টেন্ডার ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন শামীম। মূলত বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতেন শামীম।

পদবাণিজ্য ও দলীয় কোন্দলের জেরে নওগাঁয় বিএনপি নেতা নিহত, বিব্রত মওদুদ!

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও পদ নিয়ে হানাহানি কমেনি বিএনপির রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভেদ ও মতপার্থক্যে দলটির রাজনীতি বেহাল হয়ে পড়েছে।
এবার বিএনপির পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতির বলি হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওয়াহেদ আলী। ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। নিহত ওয়াহেদ আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং করিমপুর গ্রামের তাছির আলীর ছেলে।
তথ্যসূত্র বলছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদ আলীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা ও সাপাহার উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালেক চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুটি গ্রুপ ছিল। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খঁড়িবাড়ি বাজার সেডে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা সভায় ডা. সালেক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকরা হেলমেট পরে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়। সেখান থেকে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।
এদিকে দলীয় কোন্দলের জেরে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষ ও হানাহানির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। এখানে যেমন ভালো নেতা আছেন, তেমনি খারাপ-দুর্নীতিবাজ নেতাও রয়েছেন। সত্যি বলতে যারা পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি করে তাদের কোন দল হয় না। তৃণমূল বিএনপির অপকর্মের কারণে আজকে হাইকমান্ডকে বিব্রত হতে হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মনে রাখা উচিত, বিএনপি প্রতিহিংসা ও পদবাণিজ্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

পিঠ বাঁচাতে ক্যাসিনো ইস্যুতে মুখে কুলুপ মির্জা আব্বাসদের, সমালোচনার ঝড়!

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোতে মদ-জুয়া বিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহল সরকারের প্রশংসা করলেও বিরোধী দল বিএনপি বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে নানা সমালোচনা করলেও দলটির বেশিরভাগ নেতা এই ইস্যুতে নীরবতা অবলম্বন করেছেন।
জানা গেছে, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। কারণ ক্যাসিনো, মদ, জুয়া ও হাউজির সংস্কৃতি রাজধানীতে পরিচয় করিয়েছিল বিএনপি, এমন শঙ্কায় নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে করছেন দলটির নেতারা। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে ক্যাসিনো ও জুয়া বিরোধী চলমান অভিযানে বিএনপির নীরবতার বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপির রাজনীতির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোসাদ্দেক আলী ফালুর মতো নেতার সহযোগিতা ও প্রচ্ছন্ন মদদে রাজধানীর বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাব ও অভিজাত হোটেলে মদ, জুয়া, হাউজি এবং ক্যাসিনোর অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়। এসব অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এই টাকার বড় একটি অংশ কানাডা, লন্ডনে পাচার করেন বিএনপির এসব নেতারা। এছাড়া ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এলে ক্যাসিনো ও জুয়ার ব্যবসা বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মির্জা আব্বাস ও খোকা। পরবর্তীতে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মদদে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্লাব পাড়াগুলোতে জুয়া ও মদের আসর বসান তারা। বিনিময়ে তারেক রহমানকে ১৫ শতাংশ কমিশন দিতে হতো বিএনপি নেতাদের।
জানা গেছে, বিএনপি নেতাদের মদ, জুয়া, হাউজি ও ক্যাসিনোর বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলেন খোদ দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু দল ও দল পরিচালনার স্বার্থে তিনি এসব নেতাদের কিছু বলতেন না।
ক্যাসিনো ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের নীরবতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, আসলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে বিএনপি নেতারা ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না। কারণ আকাশের দিকে মুখ করে থুথু ছেটালে সেটি নিজের গায়েই পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতেই ক্যাসিনো ইস্যু এড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু মনে রাখা উচিত, পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না।

Tuesday, September 17, 2019

তারেক রহমানের চাপে পদত্যাগ করলেন সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন!

নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় দল থেকে পদত্যাগ করেছেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন।
১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এবার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নবীনগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে। এ অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাঈন উদ্দিন নাটকীয়ভাবে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
মাঈন উদ্দিন বলেন, তারেক রহমান স্বেচ্ছাচারিতা করে আমাকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। অর্থের বিনিময়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অন্য একজনকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। তাই আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
এদিকে, মাঈন উদ্দিনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন থেকে ২৭ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
মাঈন উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও কেবল মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারেক রহমান অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছেন। তাই আমি দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে পৌরসভাবাসী। তারাই আমার দল ও প্রতীক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। কে কি বললো এটি আমাদের দেখার বিষয় না। প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে সরাসরি তারেক রহমানের নির্দেশে। এটি নিয়ে অপরাজনীতি করার সুযোগ নেই।

আরপিও লঙ্ঘন : নির্বাচন কমিশনের জালে বিএনপি, শঙ্কায় নেতারা

নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে দল ও দলের নেতাদের। এবার দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সৃষ্ট নানামুখী জটিলতার মধ্যেই নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিএনপি।
আইন সংশ্লিষ্টদের মতে, ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজে বিএনপির হস্তক্ষেপের কারণে খেসারত দিতে হতে পারে বিএনপিকে। কেননা, আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনকে নিজেদের অঙ্গসংগঠন রাখতে পারবে না। ছাত্রদল এখন বিএনপির সহযোগী সংগঠন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন পরিচালনা করছেন, যা আরপিওর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
সূত্র বলছে, ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বরাবরই বিএনপি নানা তৎপরতা চালিয়েছে। এমনকি বিএনপি শীর্ষ নেতারা কাউন্সিল নিয়ে মাতোয়ারা ছিলেন। ফলে রাজনৈতিক দল হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন পরিচালনা করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়। এ নিয়ে বেশ হতাশ নেতারা। তারা বলছেন, আইন জেনেও সংগঠনের করুণ অবস্থা বিবেচনায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন বাকিটুকু নিয়ে আমরা চিন্তিত।
এ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কথা বলতে রাজি হননি কেউই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের প্রায় প্রত্যেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আইনজীবী ফোরামের একজন আইনজীবী বলেন, বিষয়টি যেমন শুনছেন ঠিক তেমনই। আমরা ছাত্রদলের সংকট সমাধানে গোপনে কাজ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসায় আইন লঙ্ঘনের ফাঁদে পড়ে গেছে বিএনপি নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের ব্যাপার।

এ পি জে আব্দুল কালাম স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত শেখ হাসিনা

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা, দেশের জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা বিশেষত নারী ও শিশুদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
৮৪ বছর বয়সে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মারা যান ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে কালাম। এরপর তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয় ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কার প্রবর্তনের পর ২০১৬ সালে প্রথম এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে। পরের দু’বছর এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ঘানা ও মরিশাসের প্রেসিডেন্টের হাতে।
AddThis Sharing Buttons
Share to LinkedInShare to More

শিবিরের আগ্রাসী হামলার শিকার ওসি ও এসআই, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা!

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে গ্রেফতার করতে গেলে আসামির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওসি ও এসআই আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর আহত এসআই ফখরুজ্জামানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে শিবির নেতা মুসার দোকানে পুলিশ অভিযান চালায়। সেসময় সোহানুর রহমান মুসা ও তার সঙ্গীরা দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকলে ওসি তদন্ত এবং এসআই ফখরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। সেসময় মুসা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি মুসা একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। ছাত্রশিবির ও ইসলামের লেবাস দিয়ে তার অপকর্ম ঢেকে রাখতেন তিনি।
শিবির নেতার এমন আগ্রাসী মনোভাবে শঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি দুই দফা বৈঠককালে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এবার শিবিরের নেতার এমন ঘটনা ভালো কোনো বার্তা বহন করছে না। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সোচ্চার হওয়া দরকার।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শিবির নেতা মুসা ও তার সঙ্গীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের যেকোনো আগ্রাসী পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত।

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার পদত্যাগ, ফান্ড চুরির শাস্তি বলছেন অন্যরা!

নিউজ ডেস্ক : দলীয় অবমূল্যায়ন, অবহেলা ও হাইকমান্ডের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে প্রায়শই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। হাইকমান্ডের দীর্ঘদিনের অবহেলার শিকার হয়ে দলটির কর্মীরা অসন্তোষ ও ক্ষোভ থেকেই পদত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।
এবার সেই পদত্যাগের তালিকায় নাম উঠালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন। জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবং কেন্দ্রের ক্রমাগত অবহেলার শিকার হওয়ায় তিনি সদলবলে পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
তথ্যসূত্রের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাইনউদ্দিন। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাইনউদ্দিন বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি দলীয় মনোনয়নের দাবিদার ছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলের মনোনয়ন থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও মেয়র থাকাকালীন আমাকে দলের মনোনয়ন না দেয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
মাইনউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। আসলে মাইনউদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি ফান্ড তছরুপ, উন্নয়ন বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি, কমিশন বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাকে মনোনয়ন দেয়নি হাইকমান্ড। তার নানা অনিয়মের কারণে পৌরবাসী ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, হাইকমান্ডের কাছে তথ্য আছে, মাইনউদ্দিনকে মনোনয়ন দিলে এই নির্বাচনে বিএনপির নিশ্চিত পরাজয় ঘটবে। তাই পরাজয় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এটি নিয়ে অপরাজনীতির সুযোগ নেই।

১০০ স্টার্টআপকে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘হান্ড্রেড প্লাস’ নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ স্টার্টআপ বা উদ্যোগকে তহবিল প্রদানের বিষয়টি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’  উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে অর্থ সহায়তা করবে সরকার। তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে সরকার ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’ গঠন করছে। তরুণদের মধ্যে সব ধরণের ব্যবসায় উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সৃষ্টির জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Sunday, September 1, 2019

ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তারই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। উপরন্তু দেশের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান।
তারই যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নতি করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিদিন সকাল শুরু হয় তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজের মধ্য দিয়ে। শুধু নামায নয়, তিনি নিয়মিত পাঠ করেন কোরআন শরীফ। 
উপরন্তু স্বাধীন দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, একটি নতুন মানচিত্রের অমর রূপকার।
তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা। ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। 
সীরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠা : বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় সীরাত মজলিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। সীরাত মজলিশ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে রবিউল আউয়াল মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করে। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন।
হজ্জ্ব পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা : পাকিস্তান আমলে হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য কোন সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা ছিলনা। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য সরকারী তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ্জ্ব ভ্রমণ কর রহিত করেন। ফলে হজ্জ্ব পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ : বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সামাধান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তা হল---
১. আল-কোরআনের ডিজিটালাইজেশন: ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা; যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে আদালতের ঐতিহাসিক রায়; জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্র্রসারণ, সুউচ্চ মিনার নির্মাণ ইত্যাদি।
২. বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
৩. জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ।
৪. মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৫. চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্স ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্তকরণ। 
ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা কওমি জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামল ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলছেন, গোটা পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।