বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যখন বাস্তবরূপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে ২৬
সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ড. কামাল প্রথমে ব্যাংকক এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে
উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ৬ অক্টোবরের
আগে দেশে ফিরবেন না। অবশ্য ড. কামাল হোসেনের হঠাৎ বিদেশযাত্রা নিয়ে বিরূপ
প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের মধ্যে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু করার কথা ছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার।
২২ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে
নাগরিক সমাবেশ করা হয়েছিল। সেই সমাবেশে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘৩০
তারিখের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
দিতে হবে’। ড. কামাল হোসেনের এই আল্টিমেটামের পর আন্দোলন শুরু করার কথা
ছিল। কিন্তু তিনি আন্দোলন না করে বিদেশে চলে গেলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ঐক্যের একজন নেতা বলেন, ‘কামাল হোসেন এরকমই।
দেশের সংকটকালে তিনি থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে’। ওই নেতা বলেন, ‘আগামী ২৯
সেপ্টেম্বর বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে। দেশের ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
ঐক্য আর আন্দোলন নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা। দেশজুড়ে গোলযোগের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
ঠিক তখনই বিদেশে ছুটছেন ড. কামাল’। ওই নেতা আরও বলেন, ‘ড. কামাল সবসময়ই
জাতীয় সংকটকালে থাকেন বিদেশে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটছে না’।
ড. কামাল হোসেনের বিদেশ যাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন যুক্তফ্রন্টের
সিনিয়র নেতারা। জাসদের আ. স. ম. আব্দুর রব বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন আমাদের
কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, আন্দোলন শেষ করার আগে কোনভাবেই বিদেশ যাবেন না
তিনি। কিন্তু মাঝপথেই বিদেশ চলে গেলেন’।
ড. কামাল হোসেনের দেশে যখন কোনো আন্দোলন শুরু হয়, আন্দোলনের মাঝপথে
দেশের বাহিরে চলে যাওয়া এবং গা ঢাকা দেওয়ার একটা দুর্নাম থাকলেও নির্বাচনের
আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি বিদেশে যাবেন ভাবতেই পারেননি জাতীয় ঐক্য ও
যুক্তফ্রন্টের নেতারা। তাই ড. কামালের বিদেশযাত্রা নিয়ে নেতাদের মধ্যে
হতাশা দেখা দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment