Wednesday, January 30, 2019

বনবিভাগের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জনসম্মুখে নির্বিচারে গাছ...

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বনবিভাগের মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জনসম্মুখে নির্বিচারে কাঠ কাটছে পাচারকারী চক্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বালু ঝিরি ও ঠান্ডা ঝিরি নামক স্থানে জনসম্মুখে কাঠ পাচাররকারী বড় সেগুন গাছ কেটে টুকরা টুকরা করে পাচার করার উদ্দেশ্যে স্তুপ করছে। উক্ত স্থানে বনবিভাগের কোন টহল দল বা বনাঞ্চল পাহাড়ায় নিয়োজিত কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গাছ পাচারকারীরা গাছ কাটলেও বন বিভাগের কোন কর্মচারীকে টহল বা পাহারা দিতে দেখা যায়নি। ফলে প্রতিবছর কোটি টাকার গাছ কর্তন করে নিয়ে যাচ্ছে কাঠ পাচারকারীরা এবং সে গাছ স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ও জোত মালিকদের নিকট বিক্রয় করছে। তারা আরও বলেন বিশেষ উৎকোচ দিয়েও মাঝে মাঝে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টি করে উক্ত গাছ কর্তন ও পাচার করতে হয়। কাগজে কলমে গাছ কাটা ও পাচার বন্ধ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে গোপনে গাছ কর্তন করে পাচার করছে প্রতিনিয়ত। মাঝে মাঝে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে কিছু কাঠ জব্দ করে হতদরিদ্র লাকড়ি সংগ্রহকারী ও ছোট খাট (টাকায় নিয়োজিত) কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কাঠ চুরি কিংবা গাছ কর্তনের অপরাধে গুটিকয়েক মামলা দেওয়া হলেও মুল কাঠ পাচারকারী চক্রটি থেকে যায় ধরা ছুয়ার বাইরে। ফলে কাঠ পাচারকারী চক্রটি আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠছে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের উপকারভোগী মোঃ আলমগীর বলেন, আমরা উপকারভোগীরা বনাঞ্চল হইতে গাছ কর্তনে বাধা দিলে, তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে মারধর করে এবং তাদের সঙ্গীয় মহিলা দিয়ে সম্মান হানি করার হুমকি দেয়। তাই সম্মান খোয়ানোর ভয়ে আমরা নীরব থাকি।
এ বিষয়ে আলীকদম মাতামুহুরী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জমির উদ্দিন মিয়া চৌধুরী গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাঝে মাঝে তারা চুরি করে গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়! সেটা যেমন সত্য তেমনি চুরি করা গাছ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় সেটিও যথাযথ সত্য। তিনি আরও বলেন, মাতামুহুরী সংরক্ষিত ১২ হাজার ৮ শত ৫২ একর বনাঞ্চল। কিন্তু আমাদের লোকবল মাত্র ০৪ জন। তবুও আমরা দিনরাত বনাঞ্চল পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। গত কিছুদিন পূর্বেও আমার এক সহকর্মী কাঠ পাচার ও গাছ কর্তনে বাধা দেওয়ায় পাচারকারীরা তাকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে আমি খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১৩ জানুয়ারী ২০১৯ইং তারিখ ভোররাত ৪ টার সময় একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে। পাচারকারী চক্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীও রয়েছে। নারীরা কাঠ পাচারে সহায়তা করে। অল্প লোকবল হওয়া স্বত্তে¡ও সংরক্ষিণ বনাঞ্চল হতে গত ০১ মাসে ৫০০ ঘনফুট রদ্দা জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
লামা বনবিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কাঠ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বনাঞ্চলটি দূর্গম এবং পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় লোকবল স্বল্পতার কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাতামুহুরী বনাঞ্চল তদারকির জন্য আরও জনবল প্রয়োজন, উপর মহলে জনবল বাড়ানোর বিষয়টি বারবার জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। 

পুলিশিং সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়া হবে-লামা সার্কেল

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে পুলিশ সেবা সপ্তাহ/১৯ উপলক্ষে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার সকালে থানা চত্বরে পুলিশী সেবা সপ্তাহের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কমিউিনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লামা সার্কেল) আবদুস সালাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) জায়েদ নূর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শফি উল্লাহ, সহ সভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: ইমরান মেম্বার, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানে ওয়ান চাক, প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্ঠা মাঈনুদ্দিন খালেদ, মহিলা নেত্রী সানজিদা আক্তার রুনা।
উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মসজিদের ঈমাম, সাংবাদিক, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষক, জন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবগর্রা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সেবা সপ্তাহ এর অংশ হিসেবে মাদক নির্মূল, অপরাধ, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, সকল পুলিশিং সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দরা।
 

আফরোজা আব্বাসের অবৈধ সম্পদ জব্দ করলো দুদক

বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের ব্যাংক হিসাব ও দুই প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ। জানা গেছে, আফরোজা আব্বাসের ওইসব বিও হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব ও শেয়ারের সম্পত্তি হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত হওয়ার চেষ্টা করছেন, এ কারণেই আদালতের নির্দেশে এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন জানান, আফরোজা আব্বাসের নামে ঢাকা ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাবে সাত লাখ টাকা এবং একই ব্যাংকে বিও হিসাবের ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার ও তার নামে ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিতে থাকা এক লাখ শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে এজাহারে বলা হয়, আফরোজার নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী বললেও পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিনী, নিজের আয়ের কোন বৈধ উৎস তার নেই।
আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের ‘উল্লেখযোগ্য কোন আয় ছিল না’। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ তিনি এই টাকার মালিক হন।
এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

অবশেষে বিভক্তির পথে ঐক্যফ্রন্ট!

সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের বিষয়ে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে এ নিয়ে বিভক্তি অনেকটা প্রকাশ্যে এসেছে। ইতোমধ্যেই জোটের শরিক দল গণফোরামের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেবেন বলে গণমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের মতে, সংসদের বাইরে শুধু নয়, সংসদের ভেতরে থেকেও সরকারের সমালোচনা করা প্রয়োজন। এই যুক্তিতে শপথ নিতে চান তারা।

সূত্র বলছে, নীতিগতভাবে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। শপথ গ্রহণের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনও। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আর বেশিদিন আনুষ্ঠানিকভাবে টিকে থাকছে না বলেই জানা গেছে।
শপথ গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত প্রার্থী মোকাব্বির খান বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মতামত সংগ্রহ করেছি। তারা আমাকে তাদের সিদ্ধান্ত এবং পরামর্শ জানিয়েছে। সাধারণ জনগণ তাদের উন্নয়নের স্বার্থে আমাকে সংসদে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। অতএব একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের মতকে অস্বীকার করতে পারি না। তাই শপথ নিতে আমি বাধ্য।
এদিকে শপথ নেওয়ার চাপ রয়েছে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে জয়ী গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মনসুরের উপরেও। কুলাউড়া উপজেলা গণফোরামের আহ্বায়ক মতাহির আলম চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সুলতান মনসুরের এমপি হিসেবে শপথ নেয়া উচিত। মানুষ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের আমানত রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। এমপি হিসেবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের দায়িত্ব তার উপর।
এ প্রসঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। নির্বাচিত হয়েও শপথ না নিলে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন। এতে ভবিষ্যতে মাঠ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমি শপথ নিব বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গণফোরামের দুই প্রার্থী শপথ নেওয়ার পক্ষে হলেও দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন বলেন, `আমি দল থেকে এখনও কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে শপথ নেয়ার পক্ষে-ই আমার অবস্থান রয়েছে। এ বিষয়ে আমি আমার মতামত মহাসচিবের কাছে জানিয়েছি।`

উল্লেখ্য, সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টে মতের ভিন্নতা অনেকদিন ধরেই বিরাজ করছিল। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তারেক রহমানের নির্দেশে শপথগ্রহণ থেকে হুমকি দিয়ে বিরত রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ নির্বাচিত প্রার্থী শপথ নিতে আগ্রহী বলে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে জয়ী গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মনসুর গণমাধ্যমের কাছে তার অবস্থান স্পষ্ট করার পর থেকেই ক্রমেই ঐক্যফ্রন্টের বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

নির্বাচন বর্জন হবে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ, নেতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বলে মনে করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। জাতীয় পর্যায়ে বিপর্যয়ের পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যেকোন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়াকে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন দলটির নেতারা।

বিএনপির দুরবস্থাকে স্বল্পকালীন সংকট হিসেবে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপি যে রাজনৈতিকভাবে সংকটে পড়েছে-এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এটির জন্য দলের প্রত্যেক সিনিয়র নেতা কম-বেশি দায়ী। আমরা হামলা-মামলা, ব্যবসা-বাণিজ্য বাঁচানোসহ জেল-জরিমানার ভয়ে রাজপথে নামেনি। বিএনপি রাজপথ-বিমুখ হয়েছে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে। আন্দোলনের সময় নির্ধারণ করতে না পারাটাই তো আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতার বিষয়। ‘ঈদের পর আন্দোলন’ হবে-এমন কাল্পনিক রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিএনপিকে বের হয়ে আসতে হবে। একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জয়-পরাজয় মুখ্য বিষয় নয়। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয় করলে তৃণমূল বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে। নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বিএনপি শুধুমাত্র রাজধানীকেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে। যা আমাদের কাম্য নয়। লন্ডন থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে স্থানীয় নির্বাচন না করার। আমার মনে হয় বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। রাজনীতি ও নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক।
বিষয়টিকে নিজের মত ব্যাখ্যা করে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, বিএনপির দুর্দশা ও দুরবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। প্রবাস থেকে পরিবার চালানো গেলেও বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিএনপির অংশগ্রহণ নয় বলে লন্ডন থেকে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু বাস্তবে হবে তার উল্টা। এই নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ না নিলে দলীয় কর্মীরা দলে দলে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে নির্বাচন করবেন। স্থানীয় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বিএনপি কালক্রমে মুসলিম লীগে পরিণত হওয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। আমরা বিএনপিকে জাদুঘরে দেখতে চাই না। আমরা বিএনপিকে মাঠের রাজনীতিতে চাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিএনপির উত্থান-পতন যাই হোক, দলের নেতৃবৃন্দ এবং দেশবাসী তা মেনে নিবে। রাজনীতি করতে হলে নির্বাচন করতে হবে। আর নির্বাচনে জয়ী হতে হলে সৎ, যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে। আমাদের মনে রাখা উচিত, জনপ্রিয়তার কাছে দুর্নীতির কোন অবস্থান নেই।

ডা.জাফরুল্লাহ’র অভিমত:বর্জন করে কিছুই অর্জন করতে পারবে না বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস পরাজয়ের পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাননি ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তার মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ঐতিহাসিক ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। নির্বাচন বর্জন করে কিছুই করতে পারবে না বিএনপি। বরং এভাবে ভুল পথে চলতে থাকলে বিএনপি এক সময়ে কর্মী শূন্য হয়ে পড়বেও বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
স্থানীয় নির্বাচনে ভেঙ্গে পড়া বিএনপির জন্য মহৌষধ দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের অর্থ এই নয় যে প্রতিবার ঠকবে বিএনপি। যে সরকারের ওপর ভরসা করে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল, সেই সরকারকে আরেকবার বিশ্বাস করার জন্য আমি বিএনপিকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় পর্যায়ে হাতে গোনা নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পান। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। মূলত রাজনীতি টিকে থাকে তৃণমূলের অবদানে। রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে তৃণমূলের চাহিদাকে বিএনপির হিসেব করতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান না থাকলে উপজেলা-জেলা ভিত্তিক রাজনীতিতে ভাটা পড়বে। নেতারা বাধ্য হয়ে অন্য দলে যোগদান করবেন বা বিদ্রোহ করবেন। যা বিএনপির জন্য শুভকর হবে না। আমি খোঁজ-খবর করে জানতে পেরেছি, সারাদেশের বিএনপি নেতারা স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচন করে জয়ী হয়ে মাঠ নিজের দখলে রাখতে উৎসাহী বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে তারা হতাশ। কারণ প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়া মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নেতারা।
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, পরাজয়ে ভীত হয়ে বিএনপির তরফ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলে পরোক্ষভাবে সেটি তৃণমূল নেতৃত্বের ওপরই অনাস্থা প্রকাশ করা হবে। সরকার ও কমিশনের দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেটি তারা করবে। অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচনে অংশ নিবে এবং বিএনপি দূরে থাকবে, এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। কারণ যারা রাজনীতি করেন তারা তো বসে থাকবেন না। বিষয়টি তো এমন নয় যে, নির্বাচন বর্জন করলেই সবকিছু নিজেদের আয়ত্তে চলে আসবে। বরং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বিএনপির তরফ থেকে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেটি দৃশ্যমান নয়। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিলে সেটি হবে আন্দোলনের একটি অংশ। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জ্বালাও-পোড়াও করে অন্তত জনসমর্থন পাওয়া যাবে না। যা করতে হবে সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন নির্বাচন বাদ দেয়া যাবে না। পালিয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি নিরাপদ। লড়াই করে প্রতিনিধিত্ব করাটাই রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি। বিএনপির আর পালানোর কোন পথ খোলা নেই। নির্বাচন বর্জন করে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে না তারা।

প্রশ্নপত্র ফাঁস: গুজবে কান দিয়ে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও!

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে তুলে দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক প্রতারক চক্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রুপ ও পেজ খুলে মাত্র ১০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিক্রির লোভনীয় অফার দেয়া হচ্ছে। প্রশ্নপত্র হাতে তুলে দেয়া হবে বলেও শতভাগ গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে। প্রতারক চক্রের গুজবে কান দিয়ে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও! ফলে প্রতারণার শিকার হয়ে জীবনকে হুমকির মুখে তুলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজবের সঙ্গে শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে তার দায়ে সাজা হতে পারে অভিভাবকেরও!
এমন প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিটি শাখায় নজরদারি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে দেখা গেছে, ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ এবং হোয়াটস অ্যাপে ১০টির বেশি এমন গ্রুপ রয়েছে যারা একের পর এক প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে- এসএসসি অল বোর্ড কোশ্চেন আউট ২০১৯, এসএসসি কোশ্চেন আউট-২০১৯, এসএসসি কোশ্চেন সল্যুশন, জেএসসি-এসএসসি-এইচএসসি কোশ্চেন আউট, ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ এসএসসি ব্যাচ ২০১৯, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ এসএসসি ২০১৯ কিউ গ্রুপ, এসএসসি মিশন ২০১৯ সহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।
এসব গ্রুপে সক্রিয় কয়েকটি ফেসবুক প্রোফাইলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ফয়সাল আহমেদ পাটোয়ারি। এ ছাড়া আরিয়ান খান, জাহিদুল আলম সরকার, জুয়েল আহমেদ, জীবন আহমেদ, নাহিদ আলী, এমএক্স মুহিতসহ অনেকেই। তবে এসব আইডির নামগুলো পরিবর্তন করতেও দেখা গেছে। ফেসবুকে তাদের পোস্ট করা বিজ্ঞাপনগুলো ঘেঁটে দেখা যায়, তাদের প্রলোভনগুলো প্রায়ই একই রকম। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে- ‘এসএসসি ২০১৯ এর প্রশ্ন দিবো, কোন অ্যাডভান্স লাগবে না। ১০০ ভাগ কমনের পর টাকা দিবা। প্রতি প্রশ্নের টাকা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দিতে হবে ৩০০ টাকা করে। তাই প্রশ্ন নিতে চাইলে জলদি ইনবক্স করো।’
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের যত প্রোলভনই আসুক এরসবই ভুয়া বলে উল্লেখ করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। খুবই কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া এবার প্রশ্নফাঁস এবং নকল রোধে কঠোর নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, এবার তার চেয়েও ভিন্ন কিছু কৌশল আমরা নিয়েছি। এবার প্রশ্নপত্রের সেট অনেক বেশি। তবে কত সেট হবে তা আগে থেকেই জানানো যাবে না। প্রয়োজনে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন থেকে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র পোস্ট ও গুজব রটনাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সাইবার ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বয়ে ১০টি স্পেয়ার হিট টিমও গঠন করা হয়েছে।’
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে নকল রোধে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসানো হবে ম্যাগনেট, অপটিক ও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। ফলে কোনভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেসব গ্রুপে যারা প্রশ্ন সরবরাহ করবে বলে চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, সেগুলো ভুয়া।
এদিকে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারের খামে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে বলে গত কয়েকদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘প্রশ্নফাঁস রোধে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারের খামে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে প্রতিটি কেন্দ্রে। খাম কেউ আগে খুললে ধরা পড়ে যাবে।’

Monday, January 28, 2019

পরাজয় জেনে ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর রীতিমত স্নায়বিক সমস্যায় পড়েছে বিএনপি। মূলত তারা বুঝতে পেরেছেন দেশের মানুষ বিএনপির ওপর থেকে এমন ভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আর এই কারণে ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে অংশ নেন বলে জানা যায়।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৭ টি আসন পেলেও ঢাকা থেকে একটি আসনও পায়নি বিএনপি। তার মাধ্যমে বোঝাই যাচ্ছে অন্তত ঢাকায় বিএনপির কোন জনপ্রিয়তা নেই। আর এই কারণেই আমরা চিন্তা করছি এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।
তবে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, নির্বাচনে আমরা অংশ নিতেই পারি। তবে সংসদ নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে বোঝা যায় আমাদের সক্ষমতা আগের অবস্থানে নেই। তাই আমাদের কিছু সময়ের প্রয়োজন। এবারের নির্বাচনে অংশ না নিলেও আগামী যেকোন নির্বাচনে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো।
এদিকে বিষয়টি উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ আরাফাত বলেন, হার-জিত বড় কোন বিষয় নয়। বিষয়টি হচ্ছে অংশগ্রহণ করা। বিএনপির উচিত হবে, হার-জিতকে প্রাধান্য না দিয়ে, নির্বাচনের মাঠ যাচাই করার জন্য হলেও অংশগ্রহণ করা। বিএনপির বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে রাজনীতি করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে তারা। আশা করবো, এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে দেশের মানুষের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি।

কর্কটের সুনাম বৃদ্ধি, মকরের আশা ভঙ্গ

আজ ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যারা দিনের শুরুতেই কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখতে চান তারা একবার পড়ে নিতে পারেন আজকের রাশিফল। ভাগ্যরেখা অনুযায়ী যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে এবং যেসব বিষয় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে সেগুলো একটু খেয়াল করে চললে অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। চলুন জেনে নেয়া যাক ভাগ্যরেখা আজ আপনার সম্পর্কে কী ভবিষ্যদ্বাণী করছে।
মেষ
কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ বাড়তে পারে। বাড়িতে কোনও আত্মীয়ের জন্য অশান্তি। মনের চাপ বাড়তে পারে। ব্যবসায় দুর্ভাবনা থাকবে। অধিক ব্যয় হতে পারে। পিতামাতার সঙ্গে কোনও তর্ক। আঘাত থেকে সাবধান থাকুন।

বৃষ
শত্রুর থেকে কোনও চাপ আসতে পারে। সকালের দিকে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। বিবাহের ব্যাপারে কোনও যোগাযোগ আজ বন্ধ রাখুন। ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি। অধিক বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে। কোনও কাজের জন্য মানসিক চাঞ্চল্য বাড়তে পারে।

মিথুন
বাহিরের কোনও ভয় মনে কাজ করতে পারে। বিবাহ জীবনে কোনও সুখের খবর পাওয়ার জন্য আনন্দ। প্রেমের জন্য ভাল সময়। ব্যবসায় কোনও খরচ বাড়তে পারে। কজের জন্য ব্যস্ত থেকেও ভাল ফল পাবেন না আজ। ব্যবসার দিকে কোনও নতুন কাজ হতে পারে।

কর্কট
ভাল কাজের জন্য চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি। অতিরিক্ত ভোগ ইচ্ছা হওয়ার জন্য খরচ বাড়তে পারে। ব্যবসায় কোনও আর্থিক চাপ নিয়ে চিন্তা। সম্পত্তির ব্যাপারে ভাইয়ের সঙ্গে বিবাদ। জলপথে কোনও বিপদ আসতে পারে।

সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে কাজে মন দিতে পারবেন না। কোনও ভুলের জন্য মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে। দূরে কোনও ভ্রমণের আলোচনা। বাড়তি কোনও খরচের জন্য ঋণ। ব্যবসায় চুরি থেকে সাবধান থাকুন। কবিদের জন্য দিনটি ভাল। মায়ের শরীর নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কোনও আলোচনা।

কন্যা
ব্যবসায় আজ আয় বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে কোনও বাধা নিয়ে চিন্তা। শত্রুর জন্য কোনও ক্ষতি থেকে সাবধান। আর্থিক ব্যাপারে চিন্তা। খেলাধূলায় জয় লাভ। পারিবারিক সমস্যা বাড়তে পারে। ব্যবসায় বাড়তি কোনও চাপ আসতে পারে।

তুলা
কোনও বাজে ঘটনা দেখে মনে কষ্ট বাড়তে পারে। পাওনা আদায় নিয়ে কোনও বিবাদ হতে পারে। শত্রু থেকে মুক্তি লাভ। আজ সকালের দিকে কোনও ছোট  ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসার ব্যাপারে কোনও চিন্তা বৃদ্ধি। শরীরে কোনও কষ্ট বাড়তে পারে। আজ বন্ধুর থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

বৃশ্চিক
সকালের দিকে শরীরে যন্ত্রণার জন্য কাজে অনীহা আসতে পারে। শত্রুর কারণে মনে কোনও ভয় বাড়তে পারে। ব্যবসায় বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। কোনও নামী স্থানে কাজের যোগাযোগের জন্য বাড়িতে আলোচনা। আজ একটু ক্রোধ সংবরণ করতে হবে। আইনি কোনও কাজের জন্য খরচ বৃদ্ধি।

ধনু
সকালের দিকে কোনও ধরালো অস্ত্র থেকে দূরে থাকুন। প্রেমের ব্যাপারে শান্তি আসতে পারে। ডাক্তারের জন্য খরচ বৃদ্ধি। পেটের কোনও সমস্যা হতে পারে। বন্ধুর থেকে ভালবাসা বাড়তে পারে। ব্যবসায় কোনও ক্ষতি হতে পারে। বুদ্ধির কোনও ভুল হতে পারে।

মকর
আজ কোনও প্রকার আশা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা। দূরে কোথাও ভ্রমণের জন্য আলোচনা। সামাজিক কোনও কাজের জন্য নাম, যশ বাড়তে পারে। কর্মস্থানে কোনও প্রকার অশান্তি বৃদ্ধি। আজ একটু একা থাকতে ভাল লাগবে।

কুম্ভ
ব্যবসায় কোনও শুভ পরিবর্তন আসতে চলেছে। প্রেমের জন্য আঘাত নিয়ে চিন্তা। খেলাধূলাতে সফল হয়ে আনন্দ। ব্যবসার দিকে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি। বাড়তি কোনও খরচের জন্য চিন্তা বাড়তে পারে। পায়ের দিকে কোনও আঘাত বাড়তে পারে।

মীন
কাজের জন্য ভ্রমণে বাধা আসতে পারে। শরীরে কোনও ব্যধির কারণে যন্ত্রণা বৃদ্ধি। আজ বন্ধুর থেকে ভাল সাহায্য পাবেন। সন্তানের ব্যাপারে কোনও অশান্তি আসতে পারে। বাড়িতে অশান্তির জন্য আজ মন ভাল লাগবে না। রক্তচাপ বাড়তে পারে।

পেঁয়াজের এত গুণ!

পেঁয়াজ রান্নার এক অপরিহার্য উপাদান। উপমহাদেশের প্রায় সকল রান্নাতেই বিভিন্ন পরিমাণে পেঁয়াজ ব্যবহারের রীতি রয়েছে। আসুন জেনে নেই পেঁয়াজের কিছু উপকারিতা।
১. সংক্রমণ ভালো করে
এর মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুত রয়েছে। তাই শরীরে কোথাও সংক্রমণ ঘটে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ একটু বেশি খান, চটজলদি উপকার পাবেন।

২. পুষ্টিগুণে ভরপুর
প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন B এবং C থাকে।

৩. জ্বর-সর্দিতে অসাধারণ কাজ করে
ঠাণ্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে। সামান্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খান। জলদি সেরে উঠবেন।

৪. দেহের তাপমাত্রা কমায়
জ্বরে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখলে কিছু ক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমিয়ে দেবে।

৫. নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ
গ্রীষ্মে বা শীতে অনেকের নাক থেকে রক্তপাত হয়। যদি এ সময়ে কাছাকাছি পেঁয়াজ থাকে তাড়াতাড়ি কেটে তার ঘ্রাণ নিতে থাকুন। রক্তপাত কমে যাবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।

৬. হজমশক্তি বাড়ায়
যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়।

৭. ত্বকের সমস্যা মেটায়
পোকামাকড়ের কামড় হোক, বা রোদে পোড়া ট্যান, কিংবা ব্রণ-ফুসকুড়ি, এ সবের সমস্যা থাকলে সে সমস্ত জায়গায় একটু পেঁয়াজের রস লাগান। একটু কুটকুট করতে পারে, তবে দ্রুত কাজ করবে।

৮. ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে
কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

হজের বিমান ভাড়া কমলো ১০ হাজার টাকা

কমানো হয়েছে হজের বিমান ভাড়া। গত বছর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী প্রতি বিমানভাড়া ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা নির্ধারিত ছিল। এই বছর ১০ হাজার টাকা কমে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৯১ টাকা ধার্য করার ঘোষণা দিয়েছেন নতুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হজ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে গণমাধ্যমের সামনে প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

চলতি বছর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হজ অধিকতর সুচারুভাবে পালনের লক্ষে তার মন্ত্রণালয় থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে জানিয়ে মো. মাহবুব আলী বলেন, হাজিরা আল্লাহর ঘরের মেহমান। তাদের যেন কোনো প্রকার কষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় খেয়াল ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হাজিদের কথা ভেবেই হজ ভাড়া কমানো হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, ধর্ম সচিব মো.আনিছুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি আবদুস সোবহান, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, আটাব ও সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি হজ পালন করে। সম্প্রতি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের হজ চুক্তি হয়। গত বছরের মতো এবারও এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করবেন। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার মানুষের হজের কোটা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন।

Saturday, January 26, 2019

এবার মার্কিন অর্থায়নে নতুন করে সরকার বিরোধী ভয়াবহ চক্রান্তেবিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে নির্বাচনের আগে ও পরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’এর অর্থায়নে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশজুড়ে বেশ কিছু হামলা পরিচালনা করেছিল। যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরসহ মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, পুলিশ এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ওপরও রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা উল্ল্যেখযোগ্য।
সকল বাধা কাটিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। গত ৩ জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দলটি নতুন সরকার গঠন করেছে।
তবে নব নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের তিন সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দিতে বিএনপি দলটি মার্কিনিদের থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা নিচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দারা।
ভারতের ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে যে, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের হত্যা এবং বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের দিয়েই সৃষ্ট জন-অসন্তোষের মাধ্যমে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভয়াবহ পরিকল্পনা আটছে দলটি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানও তাদের সার্বিক সহায়তা করছে বলেও জানায় গোয়েন্দারা।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকা কাইয়ুকপিউতে চীনের বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সোনাদিয়া বন্দরের ওপর নজর রাখতেই এই নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনা সরকার সেটার অনুমতি দিচ্ছেনা।
ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জেনেছেন, দুর্নীতির দায়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত ও যুক্তরাজ্যে পলাতক আসামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন। যেখানে প্রতিবেদনে জানা গেছে, মূলত ক্ষমতায় গেলে সেইন্টমার্টিন দ্বীপে নৌ-ঘাঁটি স্থাপনে অনুমতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতকে আর্থিক ও সার্বিক সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের এমন বক্তব্যের বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটিই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। যেখানে ভারতের ওই গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দাবি করা হয়েছে মার্কিনিদের এই তৎপরতার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত রয়েছে। দাবিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে তাদের সমমনা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোকে কয়েক মিলিয়ন ডলার এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসী দলগুলোর কাছে পাকিস্তান ও মার্কিন গোষ্ঠি সীমান্ত পথে গোপনে এসব টাকা পাঠাচ্ছে।

লামায় বৌদ্ধ জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি জাপান ও সম্পাদক জ্ঞান বিকাশ

উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবানের লামা উপজেলা বৌদ্ধ জনকল্যাণ সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির ৫ম ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের গগণ মাস্টার পাড়ার সিন্দু নগরস্থ সমিতির কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতি ও অর্থ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা হয়। বাকী ১১টি পদে বিন াপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচনে সমিতির ৮৫জন ভোটারের মধ্যে ৭৯জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রতিদ্বন্ধিতায় জাপান বড়–য়া চেয়ার প্রতীকে ৫১ভোট পেয়ে সভাপতি ও লোপা বড়–য়া বই প্রতীকে ৪৩ভোট পেয়ে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আপন বড়–য়া, সহ সভাপতি পদে সুভাষ বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক পদে জ্ঞান বিকাশ বড়ুয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে অর্পন বড়–য়া, হিসাব নিরীক্ষক পদে সুবল কান্তি বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে হীরণ বড়–য়া, ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক পদে সুমধু বড়–য়া, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্মল কান্তি বড়–য়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জ্যোতিষ বড়–য়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক  উদয়ন বড়–য়া কমল ও দপ্তর সম্পাদক পদে সুশান্ত বড়–য়া। এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, বাংলাদেশ আনসার ব্যাটলিয়নের সাবেক কর্মকর্তা দোলন কুমার বড়–য়া। আলীকদম আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক করুণা শ্রী বড়–য়া ও কলিঙ্গাবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপন কান্তি বড়–য়া নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। ভোট গননা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দোলন কুমার বড়–য়া। এ সময় পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, এডভোকেট মামুন মিয়া, লামা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের মাইকেল আইচ ও কানু কান্তি দাশ, সাংবাদিক মো. নুরুল করিম আরমান, নাজমুল হুদা, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সমিতির সদস্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শেষে নির্বাচন কমিশনার করুণা শ্রী বড়–য়া নব নির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারী বৌদ্ধ জনকল্যাণ সমিতিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

পার্বত্যমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে রোয়াংছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি সভা

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আগামী ১লা ফেব্রয়ারীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সফরে আগমন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রোয়াংছড়ি বাজার মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নেইতং বুইতিং এর সভাপতিত্বে  এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পুহ্লাঅং মারমা, সহ সভাপতি ও আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সহ সভাপতি চহাইমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক জনমজয় তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহ্লামং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুচমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক মংসে মারমা সহ অঙ্গ সংগঠনে সকল নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক ধর্মীয় কৌশল কর্মে সম্পাদন, সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

Monday, January 21, 2019

বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তন করে খসরুকেই মহাসচিব পদে চান মওদুদ-মোশাররফ

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মহাসচিব পদে পরিবর্তন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। মহাসচিব পরিবর্তন ইস্যুতে চলছে তোলপাড়ও। সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার না করার ব্যর্থতাকে সামনে এনে বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরানো হচ্ছে। ফখরুলকে সরিয়ে নতুন মহাসচিব পদে অন্য কাউকে বসানোর চিন্তা-ভাবনাও করা হচ্ছে।

এরইমধ্যে তার ইঙ্গিত দিয়ে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের পুনর্গঠন ও পরিবর্তনের কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
এদিকে, বিএনপির সিনিয়র একটি গ্রুপ আর কোনভাবেই মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে চাচ্ছেন না। তাদের মনোভাব এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পৌছেঁ দেয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্যফন্টের সাথে রাজনৈতিক মিত্রতা এবং সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো জনমত গড়ে তুলতে না পারার কারণে অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর বিরক্ত। বিশেষকরে কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার বিষয়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রেও মহাসচিবের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়। সম্প্রতি দলের যৌথসভায় বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। ঐ আলোচনায় দলের সিনিয়র নেতারা নিজেদের ব্যর্থতার দায়ে সরে দাঁড়ানোর ও ঘোষণা দেন। বিশেষকরে স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে, দলের মহাসচিব পরিবর্তন নিয়ে একটি মহল যুক্তরাজ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। ঐ মহলটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরিয়ে ক্লিন ইমেজের অধিকারী এবং খালেদা-তারেকের আস্থাভাজন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মহাসচিব পদে বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। এ প্রক্রিয়ায় দলের সিনিয়র নেতাদেরও সমর্থন রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে দলের একটি অংশ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সামাল দেয়ার জন্য মির্জা আব্বাসকেও মহাসচিব পদে বসানোর পাঁয়তারা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, বর্তমান মহাসচিবকে পদে রেখে কোনভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাছাড়া দলের চেয়ারপারসন মুক্তিতেও কোন অগ্রগতি হবে বলে মনে হয় না। তার মতে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভদ্র মানুষ, স্বচ্ছ রাজনীতি করেন। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এধরণের লোক দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব না। তিনি অভিমত দেন, বিএনপির খোল-নলচে পাল্টে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে বিএনপিকে।

জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়াচ্ছে বেনামী গণমাধ্যম

নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করে উদ্ধৃতি দিয়েছিলো জাতিসংঘ। শুধু তাই নয় ৩ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন,  নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকল দলকে ধন্যবাদ। কারণ তারা একত্রিত হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিয়েছে।
অথচ জাতিসংঘের এমন প্রশংসার পরও কিছু স্বার্থান্বেষী গণমাধ্যম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করছে। এদিকে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত।
এ আরাফাত বলেন, বিভিন্ন বেনামী নিউজ মিডিয়া বলছে জাতিসংঘ নাকি বলেছে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ‘পারফেক্ট’ ছিল না। ইতিবাচক সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহে অংশীদারদের অর্থপূর্ণ সংলাপ প্রয়োজন।’ বিভিন্ন বেনামী গণমাধ্যম জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্রের বরাতে সংবাদ প্রকাশ করলেও উক্ত মুখপাত্রের কোন নাম প্রকাশ করেনি।  এতে বোঝাই যাচ্ছে সংবাদটি একেবারে ভিত্তিহীন। অথচ যেখানে  জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে একটি রাজনৈতিক মহলের অবৈধ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বেনামী মিডিয়াগুলো বিশেষ মহলের পেইড এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। যার কারণেই এমন মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর জাতিসংঘ এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করেছিলো।  নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিষয়টি মেনে নিতে আমাদের কষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন পারফেক্ট ছিলো না, এমন কোন মন্তব্য জাতিসংঘ করেছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। আমরা আর যাই করি, অন্তত মিথ্যাচারকে সমর্থন দেব না।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, গুজব ছড়ানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়।  আমরা এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও এমন গুজবের সম্মুখীন হয়েছিলাম।  দেশের মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। বাংলাদেশের মানুষ এসব গুজবে কান দেয় না। জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোন নেতিবাচক মন্তব্য করেনি। সুতরাং মিথ্যাচার ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হতো তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার বিদেশিদের এত অভিনন্দন পেত না। গুজবকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য কোন দিন সফল হবে না।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত ভয়াবহতা রুখতে অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি

নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা- ২০১৯। পরীক্ষা সুশৃঙ্খল করতে এরমধ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। বিভিন্ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তৎপরতা শুরু করা প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রকে ধরতে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।
এদিকে শুধু শিক্ষার্থী বা প্রশ্ন পাচারকারী সদস্যদের নয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেড়ে চলার দায় নিতে হবে অভিভাবকদেরকেও। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রশ্ন কিনতে সন্তানদের টাকা দিয়ে যেমন উৎসাহিত করছেন আবার নিজেরাও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রশ্ন কিনে দিচ্ছেন সন্তানকে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ভাবতেও অবাক লাগে, আমরা এমন এক যুগে পদার্পণ করেছি, যেখানে অভিভাবকরাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। বিগত সময়ে এসএসসি পরীক্ষার সময়ও রাজধানীর একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গেল কয়েকজন অভিভাবকের ব্যস্ততা। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে তা সন্তানকে দেখাচ্ছেন তারা। যত কার্যকর ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হোক না কেন, অভিভাবকরা সচেতন না হলে কোন ব্যবস্থাই কাজে আসবে না বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
শুধু ভালো সিজিপিএর জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁসে উৎসাহ দিয়ে অভিভাবকরা নিজের সন্তানদের যে ক্ষতি করছেন তা কখনোই পূরণ হবার নয় বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত একদিন নিশ্চিত ভাবে অন্ধকার পথে চলে যাবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ব্যাধি, এটি প্রতিরোধ করতে হবে আমাদের সকলের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায়। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিভাবকদের ভূমিকা সবার থেকে বেশি জরুরি। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পাস করা যায়, মানুষ হওয়া যায় না। দেশকে ভালবাসলে এই সমস্যার সমাধানে সকলের এক হয়ে কাজ করতে হবে। অভিভাবকদের হতে হবে সচেতন। সন্তানদের এই পথ থকে সরিয়ে আনতে পারবেন তারাই। সন্তান এই অপরাধের সাথে জড়িত আছে কিনা সেটা অভিভাবকদের জানার কথা। তাই অভিভাবকরা সচেতন হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকারের সফল পদক্ষেপে মিলছে সুফল

নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নতুন সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, ‘ডিজিটাল’ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষার দিন সকালে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ওই এলাকাতেই প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। প্রয়োজন হলে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রিন্টার বসিয়ে কিংবা ওই এলাকার সুরক্ষিত কোন স্থানে প্রশ্নপত্র ছাপা হবে। পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্রসচিব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্রের যে সেটে পরীক্ষা হবে, তার সিলগালা করা প্যাকেট পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন সময়ে কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে তাদের সহায়তাও কামনা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কড়া নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে তৎপর রয়েছে একাধিক কুচক্রী মহল। তবে সরকার সকল ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেটি জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক। দেশের মেধা রক্ষা করতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। কারণ আগামীর চ্যালেঞ্জিং পৃথিবীতে মেধার বিকল্প নেই।

শত গঞ্জনা-অপমানের মুখেও জামায়াতকে ছাড়ছে না বিএনপি, ভুল স্বীকার করে ফেরার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পাশাপাশি দেশে-বিদেশে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বিএনপি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বিএনপি জোট। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় দলটির পরীক্ষিত নেতারা দলত্যাগ করায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএনপিকে বলেও মনে করছেন তারা। অসৎ সঙ্গে পড়ে বিএনপিকে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমালোচিত এবং ঘৃণিত জামায়াতকে ত্যাগ না করায় বিএনপিকে সংকটে পড়তে হয়েছে মন্তব্য করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাস্যকর ব্যাপার হলো, এত সমালোচনা এবং ঘৃণার পরও বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়।  জামায়াতের কারণে ঐক্যফ্রন্টেও ফাটল দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই জোট ভেঙে যেতে পারে বলে আমি মনে করি। বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ৯৫ শতাংশ চায় বিএনপি জামায়াতকে ছাড়ুক। কিন্তু কৌশলগত লাভের কথা চিন্তা করে শত গঞ্জনা ও অপমানের মুখেও বিএনপি তার পরম মিত্র জামায়াতকে ছাড়তে নারাজ। জামায়াতের সঙ্গ বিএনপির জন্য গোদের উপর বিষ ফোঁড়া’র মত। মনে হচ্ছে, শত কষ্ট হলেও এই যন্ত্রণা সহ্য করবে বিএনপি। কারণ বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নেই। সেই অর্থে জামায়াত হচ্ছে বিএনপি বিকল্প পেশি। তবে এও সত্য, জামায়াত যে বিএনপির জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটি জাতীয় নির্বাচনে স্বচক্ষে দেখেছে দলটি। বিএনপি বুদ্ধিমান রাজনৈতিক দল হলে জনগণের চাহিদা অনুমান করে গা থেকে জামায়াত নামক কলঙ্ক ঝেড়ে ফেলবে। আর যদি তা না করে, তবে বিএনপি ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েয় নিক্ষিপ্ত হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
জামায়াতের কারণে বিএনপি ভোটে লাভবান হয় এমন ধারণার সঙ্গে একমত নন বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, জামায়াতের কারণে বিএনপি দেশে-বিদেশে ইমেজ-সংকটে রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের ভোট ব্যাংকে ভাগ বসাতে পারছে না। বিএনপি-জামায়াতকে জোটে রাখার জন্য যে ভোট পায়, তার চেয়ে বেশি ভোট হারায়। বিশেষ করে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ভোট হারাচ্ছে দলটি। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় ভুল।
তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট করতে হলে জামায়াত নামক আগাছাকে ছেঁটে ফেলতে হবে। বিএনপির মত দলে জামায়াতের কোন জায়গা হওয়া উচিত না। আজ অথবা কাল জামায়াতকে বিএনপির ত্যাগ করতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শগত কোন মিল নেই। জামায়াত অনেকটা পরজীবীর মত। শরীরে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি করে। বিএনপিকে গণমুখী রাজনীতি করে জনগণের আস্থা ফিরে পেতে হলে অচিরেই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

মওদুদ-মোশাররফের নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবিতে ক্ষুব্ধ তারেক

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি উত্থাপন করেছেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গুঞ্জন উঠেছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করতেই শীর্ষ নেতারা নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে। এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারেক রহমান।
যদিও কোন কোন নেতা বলছেন, শুধু তারেক রহমান নয় বরং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবির মাধ্যমে।
সূত্র বলছে, নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুঞ্জন বহুদিন আগে থেকেও বিএনপির অভ্যন্তরে গোপনে গোপনে উচ্চারিত হলেও এবার তা প্রকাশ হলো- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের পুনর্গঠন ও পরিবর্তনের কথা বলেন তারা।
বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। অন্যদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আমরা কাউন্সিল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা সাহসের সাথে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের পুনরায় জাগাতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আবশ্যক। নাম বললে বিষয়টি খারাপ হয়ে যায় তাই বলবো নিজেদের অপারগতার কথা ভেবে পদ ধরে রেখে দলকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েন না। নিজ থেকেই সরে যান।
কেউ তারেক রহমান বা মির্জা ফখরুলসহ বয়োবৃদ্ধ অনেক নেতৃত্বে বিফল নেতার নাম সরাসরি উচ্চারণ না করলেও ইঙ্গিত সেদিকেই দিয়েছেন বলে দলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তারেক রহমান আগামী ২৫ জানুয়ারি বিশেষ বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। ফলে ভিডিও কনফারেন্সের ওই বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে একটি ধোঁয়াশা এবং চাপা উত্তেজনাসহ শঙ্কা দানা বেঁধেছে।

আইএমএলআইয়ের তথ্য: জিয়া পরিবারের ৩ সদস্যের অ্যাকাউন্টে ২ মাসে ২৫০ কোটি টাকা জমা

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস আগে অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বরে জিয়া পরিবারের তিন সদস্যের অ্যাকাউন্টে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ পাচার তদারকি করা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল মানি লন্ডারিং ইন্টেলিজেন্স (আইএমএলআই)। সম্প্রতি তাদের একটি প্রতিবেদনে এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে।

আইএমএলআইয়ের ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বর- এই দুই মাসে জিয়া পরিবারের তিন সদস্যের নামে চারটি দেশে ২৫০ কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা তারেক রহমান তার নিজের অ্যাকাউন্টে না রেখে অন্যান্য অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। যাদের নামে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। যে চারটি দেশে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে তা হলো সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং দুবাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই বিষয়ে তদন্ত শেষ করে একটি রিপোর্ট ইন্টারপোলের কাছে জমা দেয়া হবে। রিপোর্টের উপর নির্ভর করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ইন্টারপোল। অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, প্রয়াত কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের নামে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে বাংলাদেশি টাকায় ১৭ কোটি টাকা জমা হয়েছে, অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ডিসেম্বরের ১ তারিখে বাংলাদেশি ৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে। অবশ্য ব্যাংকের স্টেটমেন্টে দাবি করা হয়, জমাকৃত অর্থ ব্যবসায়িক মুনাফার অংশ। যদিও শর্মিলা রহমান সিঁথি কোন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটি স্পষ্ট জানাতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ব্যাংকক, পরে মালয়েশিয়ায় গেলে সেখানেই আরাফাত রহমান কোকো ও শর্মিলা রহমান বসবাস শুরু করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কোকোর মৃত্যুর পর শর্মিলা রহমান তার দুই সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান। সেখানে তার সন্তানরা পড়াশুনা করছে। এদিকে হঠাৎ করে একজন বিধবা মহিলার দুই অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে এলো সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক নানা মহলে গুঞ্জন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নামে দুবাইয়ের আবুধাবিতে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টটিতে গত ৬ নভেম্বর ৪ কোটি টাকা, ১২ নভেম্বর ৮ কোটি টাকা এবং ২৮ নভেম্বর ৩২ কোটি টাকা জমা পরেছে। এগুলো ব্যবসার লভ্যাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হঠাৎ করে এই দুই মাসে এমন বিপুল পরিমাণ টাকা কীভাবে জমা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইভাবে তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের নামে সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক ৩ নভেম্বর ৬ কোটি, ১৪ নভেম্বর ১৬ কোটি এবং ২৯ নভেম্বর ৩২ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এসব টাকার উৎস ব্যবসা এবং পড়াশুনার জন্য ঋণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে জাইমা রহমানের নামে লন্ডনের অ্যাকাউন্টে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের হিসেবে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে মোট চারবার তার অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার ও ৪ হাজার পাউন্ড জমা করা হয়। পরে আবার ৩ ও ৫ হাজার পাউন্ড জমা হয়। এই টাকাগুলো সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, আত্মীয় স্বজনের অনুদান এবং শিক্ষা খরচ।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়। যে বাণিজ্যের নেতৃত্ব দেন তারেক রহমান। বিভিন্ন মহল মনে করছে যে, মনোনয়ন বাণিজ্যের যে অর্থ, সেই অর্থই তারেক রহমান তার বিভিন্ন নিকটজনের অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, তারেক রহমানের নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি।

Sunday, January 20, 2019

ফলাফল শূন্য জেনেও শুধু কর্মী ধরে রাখতে নির্বাচন নিয়ে মামলা করেছে ঐক্যফ্রন্ট

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর রায়ের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা মামলায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না ঐক্যফ্রন্ট বলে মনে করছেন খোদ জোটটির নেতারা। বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা যায়, এই ফলাফলে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। ন্যূনতম রাজনৈতিক সুবিধা পায়নি বিএনপি। ফলে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় পরাজয় নিয়ে কূল-কিনারা করতে পারছে না জোটের নেতারা।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, মামলা করাটা শুধু নেতা-কর্মীদের আশ্বাস দেয়ার মতো। কারণ, বিএনপির নেতারাও জানেন এই মামলায় খুব বেশি সুবিধা আদায় করা সম্ভব না। অন্তত কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে দলে ধরে রাখার জন্যই এসব করছে বিএনপি। কারণ বিএনপিও ভালোমতো জানে, জনরায়ের বিপরীতে কারো কিছু করার থাকে না। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর পরামর্শেই বাধ্য হয়ে বিএনপিকে আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে।
এদিকে, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেই মামলার সুফল মিলবে কি না, তা নিয়ে তার সংশয়ের কথা বলেছেন। জনরায়ের বিরুদ্ধে আসলে কোন রাজনৈতিক দলের তেমন কিছু করার থাকে না। ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতিতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। যার কারণে এমন অভাবনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের। শুরু থেকেই ঐক্যফ্রন্টে নানাবিধ সমস্যা ছিলো। আমার মনে হয়, জামায়াত নিয়ে বিএনপির প্রীতি, সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, রাজনীতি বাদ দিয়ে নাগরিক ধারায় চিন্তা করার কারণে মূলত ঐক্যফ্রন্টের এমন পরাজয় ঘটেছে। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ড. কামাল এবং কিছু বন্ধুদের পরামর্শে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমরা মামলা করেছি যেন ক্ষমতাসীনরা বলতে না পারে আমরা মামলা করিনি, অভিযোগ করিনি। এসব করে মূলত আমরা ক্ষমতাসীনদের বিবেক জাগ্রত করে নতুন একটি নির্বাচন আদায় করাটা আমাদের মূল লক্ষ্য।

চাকরিচ্যুত সেনাকর্মককর্তার বাসা থেকে অস্ত্রসহ জাল টাকা উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় সেনাবাহিনীর এক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তার বাসা থেকে ডেটোনেটর, অস্ত্র, গুলি ও জাল টাকা উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)।

বৃহস্পতিবার সকালে চালানো এই অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চাকরিচ্যুত ওই সেনা কর্মকর্তা তাঁর পরিবার নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫০টি ডেটোনেটর, ম্যাগাজিনসহ ২টি বিদেশি পিস্তল, ১১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ম্যাগাজিনসহ ২টি শটগান এবং ২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৭টি জিহাদি বই, ৩ লাখ টাকা এবং ৩ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার ক্যান্টনমেন্ট থানায় সন্ত্রাস দমন আইন, জাল টাকা ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
সিটিটিসি সূত্র বলছে, বারিধারা ডিওএইচএস এর দুই নম্বর সড়কের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটটি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) শহীদ খানের। ১৫বছর আগে সর্বশেষ তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবিতে কর্মরত ছিলেন। সে সময় মানি লন্ডারিং এর ঘটনায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন তাঁর কোনো খোঁজ ছিল না। তাঁর ফ্ল্যাটও তালাবদ্ধ ছিল। আদালতের অনুমিত নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়।
সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গি অর্থায়নের একটি সূত্র ধরে শহীদ খানের বাড়িটি শনাক্ত করা হয়। বাসাটিতে আল কায়েদাকে অনুসরণকারীদের বইও পাওয়া গেছে আবার আইএসকে অনুসরণকারীদের বইও পাওয়া গেছে। শহীদ খান তাই কোন ধারার ছিলেন তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
আসাদুজ্জামান বলেন, তিন কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে শহীদ খান বেশ কিছুদিন আগেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি এখন পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

Saturday, January 19, 2019

ডিসেম্বরেই খেলাপি ঋণ কমে আসবে, এই মেয়াদেই নামবে শূন্যের কোটায়

বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সূক্ষ পরিকল্পনা করেছে বলে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন নতুন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেসময় তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন ‘আগামীতে দেশের ব্যাংক খাতে আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না।’ নবনির্বাচিত অর্থমন্ত্রী কথাসুরে সুর মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং জগতের অভিভাবক বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও আশ্বাস দিয়েছেন যে, চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষের দিকে খেলাপির পরিমাণ কমে আসবে।
আমাদের দেশের মোট ঋণের বিপরীতে যে খেলাপি তা অবশ্যই আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন তিনি। এক বক্তব্যে তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১ দশমিক ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে বছর শেষে এই খেলাপি কমে আসবে।
ঠিক কোন কোন কারণে গ্রাহকরা খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে সে বিষয়ে ব্যাংক সংশ্লিষদেরই গবেষণা করে বের করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্তা। তিনি জানান, ‘কোন ব্যবসা শুরু করার পর উৎপাদনে যেতে যদি টাকার প্রয়োজন হয় তবে তাদের সহোযোগিতা করলে গ্রহীতার গুণগত মানটাও বিবেচনায় রাখা যাবে।’
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলো এখন থেকে প্রত্যেক ঋণগ্রহীতার একটি রেটিং করবে এবং এ-সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে। এ রেটিংয়ে পরিমাণ ও গুণগত উভয় ধরনের সক্ষমতার মূল্যায়ন থাকবে। যেখানে লিখিত আকারে জমা খরচের বিস্তৃত বিবরণ বা ব্যালেন্স শিট প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যক্তিগত ব্যাংকগুলো যৌথভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারে। নীতিমালা অনুযায়ী মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রাহককে চার শ্রেণিতে ভাগ করবে ব্যাংকগুলো। কোনো গ্রাহক ‘চমৎকার’ (এক্সিলেন্ট) বা ‘ভালো’ (গুড) রেটিং পেলে ব্যাংক তাকে অর্থায়ন করতে পারবে। ‘প্রান্তিক’ (মার্জিনাল) রেটিংধারী গ্রাহককে পুরোনো ঋণ নবায়ন বা নতুন করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিংধারীকে কোনো পরিস্থিতিতেই নতুন ঋণ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। যেখানে খেলাপি ঋণের সঙ্গে অবলোপন করা এ মন্দ ঋণ যুক্ত করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণের পরিমাণে ব্যাংকিং সেক্টরগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে মন্ত্রীসভার দায়িত্বের শুরুতে এক বক্তব্যে ভবিষ্যত খেলাপি ঋণের পরিমাণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন তিনি। সেদিনের বিষয়ে নতুন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে ব্যাংকের মালিকদের সাথে আলোচনা করেছি। তাদের কাছ থেকে ব্যাংকিং খাতের যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো ভেরিফাই করবো, এভালুয়েট করবো, মূল্যায়ন করবো। এ জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে। এই মূল্যায়ন শেষ হলে আমরা একটি ব্যবস্থায় যাবো।’
আমি বলেছি, আজকের পর থেকে খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়তে পারবে না। বলেছি, আপনারা কিভাবে বন্ধ করবেন, কিভাবে টেককেয়ার করবেন, কিভাবে ম্যানেজ করবেন; আপনাদের ব্যাপার। তারা এই ব্যাপারে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তাই বলেছি, আজকের পর থেকে খেলাপি ঋণ বাড়বে না ইনশাল্লাহ।’

কর্ণফুলী টানেলের পর এবার যমুনা পারাপারে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘সেতু তৈরি হলে অনেক ক্ষেত্রেই নদীর পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। যেখানে নদীর তলদেশে গাড়ি চলাচলের টানেল তৈরি করা গেলে নদীর প্রবাহ ঠিক থাকে।’
এ দেশেই মাটির কয়েক মিটার নিচ দিয়ে হরহরিয়ে যাত্রীসমেত বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলবে, বিষয়টি ভাবতেই অনেকের কাছে হয়তো স্বপ্নের মতো মনে হয়। আর ঠিক এই স্বপ্নটিকেই দুই প্রকল্পে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন বর্তমান সরকার। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে চট্টগ্রামে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে সেবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন তিনি।
সম্ভাব্যতা যাচাই এবং সমীক্ষার কাজ শেষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণকাজে অর্থ ছাড় করিয়ে শুরু হয় নির্মাণকাজ। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রকল্প বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে আগামী ২০২২ সালের দিকে শেষ হবে এর কাজ। এরপর টানেল ধরে চলবে লাখ লাখ গাড়ি।
এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরি প্রকল্প চলমান থাকতেই নতুন মেয়াদে টানা তিনবারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী জনগণকে দিয়েছেন আরও একটি সুখবর। যেখানে বলা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজ শেষ হলেই যমুনা নদীতেও একই ধরনের একটি প্রকল্প নিয়ে এগোনোর কথা শেখ হাসিনা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে গাইবান্ধার বালাসীঘাট পর্যন্ত এই টানেল নির্মাণ হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘যমুনা নদীতে টানেল তৈরির প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ও এখনো নির্ধারিত হয়নি। ওই এলাকা দিয়ে একটি সেতু নির্মাণের দাবি আছে বৃহত্তর রংপুরবাসীর। এতে উত্তরের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। তবে সেখানে নদী অনেক ভাঙন প্রবণ এবং সেতু নির্মাণের উপযোগিতা নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।’
পুরোদমে চলছে কর্ণফুলী টানেল তৈরির কাজ:
কর্ণফুলী নদীর নেভাল একাডেমি থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত সোয়া তিন কিলোমিটার এলাকায় নদীর তলদেশের ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীর দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা স্বরূপ নির্মাণ করা হচ্ছে দেশ তথা সার্কের প্রথম টানেল সড়ক। গত জুলাইয়ের দিকে চীন থেকে ৯৪ মিটার দীর্ঘ ও ২২ হাজার টন ওজনের অত্যাধুনিক বোরিং মেশিন আনা হয়েছে তলদেশের মাটি খুঁড়ে টিউব ঢোকানোর জন্য। এই টানেলটি নির্মাণের জন্য চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানির (সিসিসিসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে অনেক আগেই। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চীন অর্থায়ন করবে প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেবে। কিন্তু প্রকল্প শুরু করতে দেরী হওয়ায় এবং নির্মাণের মেয়াদকাল ২০২২ সাল নির্ধারণ হওয়ায় নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাবে।
নকশা অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য হবে তিন হাজার পাঁচ মিটার বা তিন কিলোমিটারের চেয়ে সামান্য বেশি। চট্টগ্রাম নগরীর নাভাল একাডেমি পয়েন্ট দিয়ে তলদেশে ঢুকে তা বের হবে ওপারে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কম্পানি (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। নদীর তলদেশে এর গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার। মোট দুটি টিউব নির্মিত হবে। এর একটি দিয়ে গাড়ি শহরপ্রান্ত থেকে প্রবেশ করবে, আরেকটি টিউব দিয়ে ওপার থেকে শহরের দিকে আসবে। টানেলের প্রতিটি টিউব চওড়ায় হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট। একটি টিউবে বসানো হবে দুটি স্কেল। এর ওপর দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। পাশে হবে একটি সার্ভিস টিউব। মাঝে ফাঁকা থাকবে ১১ মিটার। যেকোনো বড় যানবাহন দ্রুত স্ব্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারবে এই টানেল দিয়ে।
চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানি (সিসিসিসি) এবং হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অভি অরূপ অ্যান্ড পার্টনারস হংকং লিমিটেড যৌথভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রতিবেদন বলা আছে, কর্ণফুলী টানেল চালুর প্রথম বছর ৬৩ লাখ গাড়ি টানেলের নিচ দিয়ে চলাচল করবে। একসময় এই পরিমাণ এক কোটি ৪০ লাখে গিয়ে ঠেকবে। চালুর প্রথম বছরে চলাচলকারী গাড়ির প্রায় ৫১ শতাংশ হবে কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর ও বিভিন্ন ধরনের ট্রাক ও ভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস ও মিনিবাস, আর ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ছোট গাড়ি থাকবে।

এসএসসি পরীক্ষা ২০১৯: প্রশ্নফাঁসকারী চক্রকে ধরতে মাঠে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ এবং এ সংক্রান্ত অপতৎপরতা রুখতে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগ।
এরই মধ্যে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ফেসবুক, ভাইবার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন শাখায় সাইবার টহল চালানোর পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রকে ধরতে পুলিশ, সিআইডি ও র‌্যাব কর্মকর্তারা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। নজরদারির মধ্যে নেওয়া হচ্ছে দেশের মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও। ছাপাখানা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সবখানেই রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি। সূত্র বলছে, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বরাবরই বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ/পেজ খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত অপতৎপরতা চালায় কুচক্রী মহল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রায় ৫০/ ৬০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক ফলোয়ার জড়ো করে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে প্রলোভন দেখায়। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পর্যবেক্ষণের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তাই সেই ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কুচক্রী মহলে অপতৎপরতা রুখে দিতে আগে থেকেই প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে প্রতারণা ও শাস্তির হাত থেকে নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করতে এসব গ্রুপ বা পেজ থেকে দূরে থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলার পাশাপাশি তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে এ সমস্ত গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিপোর্ট করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

টিকে থেকে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বিএনপিতে একাকার হচ্ছে জামায়াত!

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর সারা দেশের জামায়াত কর্মীরা গোপনে দলে দলে বিএনপিতে যোগ দিতে শুরু করেছে। যদিও তা চলছে অতি নীরবে ও নিভৃতে। এদিকে জামায়াত কর্মীদের গণহারে বিএনপিতে যোগদানের বিষয়টিকে টিকে থাকার কৌশল হিসেবে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জামায়াত মূলত বিএনপির ছদ্মবেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই এমন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে মনে করছে তারা।
যদিও জামায়াতের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের খবরে জানা গেছে, উচ্চাদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় রাজনীতির মাঠে টিকে থেকে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে এমনটা করা হচ্ছে। এতদিন গোপনে থেকে রাজনীতি করলেও এবার বিএনপির ব্যানারে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে চায় জামায়াত। বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করলেও দলীয় আদর্শ মাথায় রেখেই জামায়াত রাজনীতি করবে বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
জামায়াতের ছদ্মবেশ ধারণকে দেশের রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দাবি করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমান বলেন, জামায়াত শুরু থেকেই কৌশলী রাজনৈতিক দল। জামায়াতের নেতারা বিভিন্ন সময়ে আড়ালে-আবডালে থেকে, গ্রুপিং-লবিং করে রাজনীতি করেছে। সর্বশেষ, আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ব্যানারে নির্বাচন করে তাদের অবস্থান যাচাই করেছে। জামায়াত নেতারা বুঝতে পেরেছেন যে, বিএনপির উপর ভর করেই তাদের আগামীতে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে হবে। তাই আর গোপনে না থেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে মূলত দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই এবার তারা এসব করছে। বলা যেতে পারে, সাময়িকভাবে জামায়াত দলগতভাবে বিএনপিতে আশ্রয় নিচ্ছে কমিউনিস্ট মডেলে। নির্বাচনের পূর্বেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর চাপ এড়িয়ে তাদের আশীর্বাদ অর্জন করতেই জামায়াত এরকম রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে। বিএনপি নেতারা স্পষ্টই বুঝতে পারছেন যে, জামায়াতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সঙ্গ ত্যাগ না করলে বিএনপির পক্ষে সামনে অগ্রসর হওয়া কঠিন। জামায়াত থাকলে, বিদেশি রাষ্ট্ররাও বিএনপির দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে রাজী নয়। ইসলামী চিন্তা-চেতনা থেকে দূরে চলে না যায় সে কারণেই জামায়াতের নেতারা বিএনপিকে আগলে রাখার জন্য বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে। তবে, এ নিয়ে যেন আবার নতুন করে কথাবার্তা না হয়, সেজন্য কাজটি করা হচ্ছে গোপনে।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ভাবনা

নারীর সংরক্ষিত আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয় রাজনৈতিক দলের আকারের ওপর অর্থাৎ যে দলের প্রতিনিধিত্ব সংসদে যত বেশি তাদের সংরক্ষিত আসন সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি। জেলা কিংবা মাঠ পর্যায়ের জাতীয় রাজনৈতিক দলের মহিলা শাখার নেতৃত্বে থাকা তাদের মধ্য থেকে সংরক্ষিত সে জেলার আসনে নির্বাচিত করে থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব নারীরা স্বমহিমায় নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তাদের মধ্য থেকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
আশির দশকের হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসনামলে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারীর আসন ছিল ৩০টি। পরবর্তীতে সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে অষ্টম সংসদে সংবিধানের দশম সংশোধনী পাস হয়। সেই সংসদেই সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী গৃহীত হয়, যেখানে নারী আসনসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫। ২০১১-এর ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষে এবার সংরক্ষিত ৫০ টি আসনে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ৫০ জন নারী। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়নে নতুনদের প্রাধান্য দেবে আওয়ামী লীগ। আগে যারা এ আসনের এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, এবার তাদের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা কারণে দলের মনোনয়নবঞ্চিত কয়েকজন পুরনো নারী এমপিকে এবার সংরক্ষিত আসনে দেখা যেতে পারে। সব মিলিয়ে সংরক্ষিত আসনে ৯০ শতাংশেরও বেশি নতুন মুখ আনার বিষয়ে মনোভাব জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দু-একটি আসন শরিক দলের জন্যও ছাড় দেওয়া হতে পারে।
সংখ্যানুপাতিক হিসাব অনুযায়ী, নির্বাচনে ২৫৭ আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ এবার ৪৪টি সংরক্ষিত আসন পাবে। আওয়ামী লীগের এ আসন থেকে ১৪-দলীয় জোট এবং দলটির নির্বাচনী মিত্ররাও ভাগ বসাতে চান। সে ক্ষেত্রে দু-একটি আসন শরিক দলের জন্যও ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ।
১৯৮১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যেসব পরিবার ও ব্যক্তি আওয়ামী লীগের জন্য অবদান রেখেছেন, সংরক্ষিত আসনে সেসব পরিবারের নারীদের মূল্যায়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের যেসব নারী নেত্রী আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, বিরোধী দলের সময় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে রাজনীতিকদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, লেখক, সংস্কৃতিকর্মী ও অভিনয় শিল্পীদেরও মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।
গত মঙ্গলবার থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনেই ৬০০-এর বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন ২০০৪ অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট প্রকাশের পর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে। আর ইসি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের তালিকা প্রস্তুত করবে।

সবার জন্য শিক্ষা ও বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বার্থে গুরুত্ববহ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে সরকারের প্রচেষ্টা অনেকটাই সফল হয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে গত ১০ বছরে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৩৩৩টি মহাবিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা করেছে।
শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা ছাড়াও সরকার বিনামূল্যে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বই বিতরণ করছে। আগামীতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মূলধারার জনগোষ্ঠীর সাথে সংযুক্ত করার জন্যে বিভিন্ন ভাষায় পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণ করা হচ্ছে।
সরকার গত দশ বছরে এক লাখ ৪২ হাজার প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ এবং এক হাজার ৫শ’ নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। একই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় ১৯টি আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে সরকার এক লাখ ৬৫ হাজার ২২৫ জন সহকারী শিক্ষক ও চার হাজার ৪শ’ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে এবং প্রধান শিক্ষকদের চাকরি দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৬০ শতাংশ নিয়োগ দিয়েছে নারী শিক্ষকদের। প্রাথমিক শিক্ষা খাতে কর্মরত পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন শিক্ষকের মধ্যে তিন লাখ ১৪ হাজার ২৯৯ জন নারী শিক্ষক। এছাড়া সরকার কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস-কে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান করে ৩৫ লাখ মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
সরকারের এ সকল কার্যক্রমের সুফল পেতে শুরু করেছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলে। সরকারের এ উদ্যোগে ঝরে পড়ার হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। বাড়ছে দেশের সামগ্রিক শিক্ষার হার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের দেশের মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় প্রশংসিত বাংলাদেশ-সেনাবাহিনী, অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অনেক আগে থেকেই প্রশংসিত বাংলাদেশ। সেই প্রশংসাকে আরও মহিমান্বিত করেছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন পিয়ের ল্যাক্রিক্স। তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

নেদারল্যান্ডস ও রুয়ান্ডার যৌথ আয়োজনে হেগে দুই দিনব্যাপী ‘শান্তিরক্ষায় প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনে’ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার এই প্রশংসা করেন বলে হেগের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বেলাল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদারের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় সৈন্য ও পুলিশ পাঠিয়ে অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স বলেন, সৈন্য ও পুলিশ পাঠিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট)-এর মানসম্মত প্রশিক্ষণের প্রশংসাও করেন ল্যাক্রিক্স।
এছাড়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স বিভিন্ন দেশের বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো বেশি মনোযোগ প্রদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
এর আগে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক, ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আঙ্ক বিজলিভেল্ড ও জিন পিয়ারি ক্যারাব্যারাঙ্গা, ন্যাদারল্যান্ডস ও স্মেইল চেরুগিতে নিযুক্ত রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত, আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার যৌথভাবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
শান্তিরক্ষাবিষয়ক প্রস্তুতিমূলক এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ যোগ দেয়। আর সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মাদ বেলাল।

শিরোনামে চমক সৃষ্টি করে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করছে প্রথম আলো

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন মহলে নানা অপতৎপরতার মধ্যে এবার চমকপ্রদ শিরোনামে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করছে দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো।
বিদেশি পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ‘‘বাংলাদেশে প্রহসনের নির্বাচন’’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। নিউইয়র্ক টাইমসের ওই সংবাদটিতে দাবি করা হয়েছে, সংবাদটি কেবল মতামত নির্ভর। কিন্তু প্রথম আলো সেটিকে প্রকাশ করে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেছে বলে মনে করছেন সংবাদ বিশেষজ্ঞরা।
ওই সংবাদে বাংলাদেশের গরিবি হটানো এবং জীবনমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেও সে বিষয়টি শিরোনামে না এনে অপেক্ষাকৃত নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছে প্রথম আলো। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, টানা প্রায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের জন্য দারুণ কাজ করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী জনসংখ্যার হারও ১৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে প্রায় ৯ শতাংশে। কিন্তু নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ টিতে জয় পায়, যা শতকরা হিসাবে প্রায় ৯৬ ভাগ, তার অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। প্রথম আলোর ওই খবরে দাবি করা হয়েছে, নিরঙ্কুশ জয় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাকে ম্লান করবে।
এ প্রসঙ্গে একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক বলেন, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে খবরের শুরুতে বলা হয়েছে, ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের জন্য দারুণ কাজ করেছেন শেখ হাসিনা। অর্থাৎ বিগত সব সরকারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন একটু বেশি। সুতরাং সে উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনা সরকার বিগত সব সরকারের চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যেতেই পারেন। নিরঙ্কুশ বিজয় তাই প্রমাণ করছে। যদিও এ জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তবে প্রথম আলোর মত একটি জাতীয় দৈনিক বিদেশি পত্রিকার মতামত নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করাটা হীনতৎপরতা।

যেসব কারণে টিআইবির প্রতিবেদন ‘মনগড়া’ বলতে দ্বিধা নেই

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। তারই সূত্র ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির প্রতিবেদনটি বিশদ বিশ্লেষণ করলে নিছক মনগড়া বলতে কোন দ্বিধা থাকে না।

টিআইবি সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রীক প্রতিবেদনটিকে ‘গবেষণা প্রতিবেদন’ বলে দাবি করছে। কিন্তু তা কোন গবেষণা নয়। কেননা, গবেষণা করতে যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়, তা এখানে প্রয়োগ করা হয়নি। এমনকি গবেষণা বিষয়ক কোন পদ্ধতির বর্ণনাই উল্লেখ করেনি প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, গবেষণার পদ্ধতি এবং প্রয়োগের বিষয়ে প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা বাঞ্ছনীয়। নইলে প্রতিবেদনটি সচেতন মানুষের সংশয় তৈরি করতে পারে। টিআইবির প্রতিবেদনটিতে গবেষণা সংক্রান্ত কোন তথ্য তুলে না ধরায় এ সত্য উন্মোচিত যে, প্রতিবেদনটি মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এছাড়া প্রতিবেদনটি সম্পর্কে টিআইবির কর্তাগণ বলেছেন, এটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন। কিন্তু কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক প্রতিবেদনের প্রাপ্ত ফলাফল গভীর পর্যালোচনা ছাড়া উপস্থাপন করতে পারে না। অর্থাৎ প্রতিবেদনটি তড়িঘড়ি করে উপস্থাপন করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ প্রতিবেদনটি মনগড়া তা বলা অমূলক নয়।
টিআইবি বলছে, ২৯৯ আসনের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে গবেষণা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে এবং গবেষণাটি গুণবাচক। এতে মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে।
কিন্তু এভাবে কোন গবেষণা হয় না। ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই তা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নিতে হবে অথবা লিখিত কোন ডকুমেন্ট থেকে নিতে হবে। কিন্তু তারা এসবের কিছুই করেনি। কাজেই এটিকে গবেষণা বলা অযৌক্তিক।
টিআইবি বলেছে, তারা বাছাই করা প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিলে গবেষণা প্রতিবেদন এক রকম হবে। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের থেকে নিলে তা আরেক রকম হবে। কিন্তু এই গবেষণায় টিআইবির বাছাই করা প্রার্থী কারা, সেটা স্পষ্ট নয়। তাই প্রতিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক সচেতন সুশীল সমাজ বলছে, নির্বাচন উপলক্ষে আসা একাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক দল যখন বলছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ নির্বাচন হয়েছে তখন বিএনপি তথা বিএনপি মনভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে যা হীনউদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-১ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় পুনঃ তফসিলের পর সেখানে ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই আসনে বিএনপি তার প্রার্থী সরিয়ে নিয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট মোট ২৮৮টি, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮ টি এবং স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ আসন।