Wednesday, October 31, 2018

খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়তে চান ড. কামাল

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্দেশ্য আবারো পরিস্কার করলেন ড. কামাল। সিলেটের সমাবেশের পর চট্টগ্রামে যাবার পথে এক যাত্রা বিরতিতে খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার সামগ্রিক কৌশল সম্পর্কেও সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি।

সূত্র বলছে, সিলেটে গত ২৪ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগে সুরমা নামের একটি রেস্টুরেন্টে ড. কামাল কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে ব্যক্তিগত আলাপকালে খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়ার কথা বলেন। যদিও সে সময় ড. কামাল ভুলবশত প্রকাশ করা তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা আড়াল করতে অট্টহাসি দিয়ে বসেন বলেও জানা যায়।
এছাড়া সে সময় ড. কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা সর্বজন স্বীকৃত। তবে যেহেতু বিএনপি একটি জনসম্পৃক্ত প্লাটফর্ম তাই তাদের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে নতুন কোন জোটকে সামনে আনতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে জোটে ড. কামালের পদ প্রধানমন্ত্রী হবে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, সে পরে ভেবে দেখা যাবে।
এদিকে, ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে ড. কামাল নিজ বক্তব্যে বেগম জিয়ার মুক্তি চাননি। বক্তব্যে তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন, সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুমকি দিয়েছেন কিন্তু বক্তব্যের কোথাও একবারের জন্যও বেগম জিয়া বা লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করেননি।  অনুরূপভাবে গত ২৪ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সিলেটে জোটের প্রথম সমাবেশেও তিনি খালেদার মুক্তির বিষয়টি বক্তব্যে আনেননি। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতারা বিনয়ের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের কাছে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলেও তিনি তা উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন বলে ক্ষমা চেয়ে নেন।
এদিকে ২৪ অক্টোবর ড. কামাল রেস্টুরেন্ট সুরমা’তে আলোচনায় ২১ আগস্ট হামলায় তারেক রহমানের পাশাপাশি খালেদা জিয়াও জড়িত আছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে সম্মতি পোষণ করেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হামলাটি আসলে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল।  যার মদদ দিয়েছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।  তাই জেনে-বুঝে খালেদার মুক্তি চাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। খুনি খালেদা-তারেক মুক্ত দেশ গড়তে পারলে রক্তের রাজনীতির ইতি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি যে ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাননি তা শুধু সফরে থাকা কিছু সাংবাদিক-ই জানতো।

No comments:

Post a Comment