সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক তালিকা। ওয়েলথ হাঙ্গার লাইফ ও
কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড গবেষণার মাধ্যমে এ সূচক তালিকা প্রকাশ করে। তারা
১১৯ টি দেশ নিয়ে এই সূচক প্রস্তুত করে। চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই
সূচক প্রস্তুত করা হয়। চারটি বিষয় যথাক্রমে অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিশুদের
বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা এবং পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম
ওজন।
১১৯টি দেশের ভিতর করা এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম। যা
প্রতিবেশী দেশ গুলোর তুলনায় ভালো অবস্থান। এই সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের
অবস্থান যথাক্রমে ১০৩ ও ১০৬। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জালে
আটক থাকা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া এগিয়ে ভারতের চেয়ে। বিশ্ব ক্ষুধা
সূচক-২০১৮’এ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে—শ্রীলঙ্কা ৬৮, নেপাল ৭২ ও
মিয়ানমার ৬৭ তম অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়,
ক্ষুধা দমনে বেশ উন্নতি করেছে পৃথিবী। তবে খুব বেশি মাত্রায় ক্ষুধাপীড়িত
এলাকাগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সবকিছুকে ছাপিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,
সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, মা ও শিশুর খাদ্যে যথাযথ
পুষ্টিকর খাবার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশে শিশু মৃত্যুর হার
কমেছে। দেশে দারিদ্রতা কমfর সাথে সাথে দূর হয়েছে অপুষ্টি। একসময় অনাহারে
ভুগতো দেশের অধিকাংশ শিশু। কিন্তু সে সব দিন এখন অতীত।
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দেয়ার জন্য নিয়েছে
বেশ কিছু পদক্ষেপ। গ্রাম – বাংলার মা ও শিশুর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে
গণসচেতনতা। যারফলে দূর হয়েছে সমাজে থাকা নানা কুসংস্কার। দরিদ্র মানুষের
জন্য বিক্রি করা হয়েছে ১০ টাকার বিনিময়ে চাল। যাতে দেশের মানুষ অনাহারে না
থাকে। সরকারের নেয়া এরকম পদক্ষেপের জন্যই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে এগিয়েছে
বাংলাদেশ। শুধু ক্ষুধা সূচকই নয়। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে
প্রতিবেশী দেশ গুলোকে পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ।
অবলীলায় বলা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর।
No comments:
Post a Comment