Friday, October 5, 2018

এস কে সিনহা নয় বিএনপির পেছনে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন ড. ইউনূস

নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যয়বহুল দেশে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় এবার গ্রামীণ ব্যাংকের একাংশের মালিক ড. ইউনূসের উপর ক্ষেপেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান।  বিতর্কিত প্রধান বিচারপতির পেছনে কোটি টাকা খরচ না করে বরং বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে ড. ইউনূস অর্থ ব্যয় করলে ভবিষ্যতে অনেক লাভবান হবেন বলে তারেক রহমান আক্ষেপ করেছেন। সুতরাং অতীতের ভুলবোঝাবুঝি বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে ড. ইউনূস অর্থ বিনিয়োগ করবেন বলে তারেক রহমানের আশা।
লন্ডন বিএনপি নেতা আবদুল মালেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এস কে সিনহাকে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেন ড. ইউনূস, এমন খবরে তারেক রহমানের মন খারাপ হয়ে যায়। তারেক রহমান তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের মারফত জানতে পেরেছেন যে, এস কে সিনহাকে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিয়ে বিদেশের মাটিতে সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি করার জন্য ড. ইউনূস এরই মধ্যে অনেকগুলো অর্থ ব্যয় করেছেন। ড. ইউনূসের এই সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের কাছে অর্থহীন এবং অযৌক্তিক মনে হয়েছে।  তারেকের মতে, এস কে সিনহার মতো দাঁত ভাঙা বাঘকে পোষা অর্থহীন। তিনি কোন কাজের নন। এক বই লিখে সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এস কে সিনহার ক্ষমতা নাই, সুতরাং তার পেছনে অর্থব্যয় করা আর নিজ পায়ে কুড়াল সমান। এস কে সিনহার মতো লোভী, স্বার্থপর মানুষের পেছনে ব্যয় না করে বরং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিনিয়োগ করাটা যুক্তিসঙ্গত হত। ড. ইউনূসের উচিত বিএনপির পাশে দাঁড়ানো। বিএনপির মেরুদণ্ড হতে পারেন ড. ইউনূস। বিএনপির আর্থিক দুর্দিনে ত্রাতা হতে পারেন তিনি। তার টাকায় বিএনপি যদি সরকারের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের পুরো মালিকানা ফিরে পাবেন ড. ইউনূস।
এছাড়া ড. ইউনূসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েও তাকে সম্মানিত করতে পারবে বিএনপি। তার আন্তর্জাতিক লবিং ভালো। তাকে যদি ব্যবহার করতে পারে বিএনপি তবে কোটি কোটি ডলার বাংলাদেশে আনতে পারবেন তারেক রহমান। এতগুলো টাকার ১৫ শতাংশ করে হিসেব করলে ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা পাবেন না তারেক। তাই তারেক রহমানের ব্যক্তিগত ভাবনা যে ড. ইউনূস যেন বিএনপির পেছনে বিনিয়োগ করেন। এছাড়া তার বয়স হয়েছে। তার এত টাকা কে খাবে? বিএনপির পেছনে ব্যয় করলে অনেকদিক থেকে লাভবান হতেন তিনি। ড. ইউনূসের বুদ্ধিহীন ও অযৌক্তিক বিনিয়োগকে শুধুই পাগলামি বলে আখ্যা দিয়েছেন তারেক। ড. ইউনূসের অর্থ ব্যয় বাগিয়ে নিতে তাই এরই মধ্যে মির্জা ফখরুলকে কিছু বুদ্ধি শিখিয়ে দিয়েছেন তারেক। তার পরামর্শ অনুযায়ী এরই মধ্যে ড. ইউনূসের সহায়তা পাওয়ার আশা নিয়ে আবারও চিঠি লিখেছেন মির্জা ফখরুল। তারেক আশাবাদী এবার অন্তত মির্জা ফখরুলের চিঠির জবাব দিবেন ড. ইউনূস এবং অর্থ দিয়ে বিএনপির সহায়তা করবেন তিনি।

No comments:

Post a Comment