Friday, November 8, 2019

ব্যাংক ঋণ পরিশোধে এগিয়ে নারীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারীরা এগিয়ে। তাদের মধ্যে সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও ব্যবসায়ী মনোভাব সব সময় বিদ্যমান থাকে। কাজেই নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলে তা অনাদায়ী হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। 
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল উইম্যানস এসএমই এক্সপো বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছেন। এ দেশ সবার। সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ বানাতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। অসামম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নারী পুরুষ সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ঋণ পরিশোধে পুরুষদের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। তাই তাদের সততা, ঋণ পরিশোধপ্রবণতা পুরুষদের চেয়ে বেশি। বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। এ বাণিজ্যে যখন নারীরা এসেছেন আমরা এগিয়ে যাবোই। এ দেশের নারীরা ইতিমধ্যে অনেক এগিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। 
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে আমাদের জিডিপি ১০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ডলার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে নারী উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণসহ দেশে-বিদেশে নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

Wednesday, October 16, 2019

ঝিনাইদহে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট বর্জন করলেন বিএনপির দুই প্রার্থী!

নিউজ ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতের দ্বন্দ্বসহ বিবিধ ইস্যুতে কেন্দ্র থেকে বিভক্ত তৃণমূল বিএনপি। ফলে কেন্দ্রের মতো তৃণমূলেও বিভাজন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। আর তার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপরে। জনপ্রিয়তার তলানিতে পৌঁছানো বিএনপির সেই বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে ঝিনাইদহে।
জানা গেছে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির দুই প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ও শাহজাহান মোহন।
তবে সরকারের ওপরে দোষ চাপাতে তারা কেন্দ্রের নির্দেশে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে বলে জানা গেছে। উভয় প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা, বাইরের উপজেলা থেকে সন্ত্রাসী এনে স্থানীয় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ না করতে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। যেসব অভিযোগ বিএনপির পুরনো অভ্যাস বলে রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত।
যদিও উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলে বিএনপির অভিযোগের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, যথাসময়ে ভোট শুরু হয়ে নির্বাচন শেষ হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে একজন ভোটার বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পাড়ায় পাড়ায় ত্রাস সৃষ্ট করা, রাস্তা থেকে ভোটারদের ফেরত পাঠানো, কেন্দ্রে ধানের শীষের পক্ষের পোলিং এজেন্ট না থাকাসহ যেসব অভিযোগ বিএনপি করছে তা অমূলক। আমরা কোনো দলের হয়ে কথা বলছি না। যা সত্য তাই বলছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে উপজেলা দুটিতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Wednesday, October 9, 2019

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই আওয়ামী লীগের বড় অর্জন। আমরা চাই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক, শান্তি ফিরে আসুক।

শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো সব ব্যাধি নির্মূল করা হবে। বাংলাদেশে শান্তি বজায় থাকবে, সমৃদ্ধি ও উন্নতি হবে এবং দেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মঠ ও মিশন প্রধান স্বামী পূর্ণাত্মানন্দসহ মিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ তার লেখা বই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই দেশে আমরা ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে পথ চলি।
আমরা সব সময় বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের উৎসবগুলোতে সবাই আমরা এক হয়ে উদযাপন করি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা অর্জন। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে শিখেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মাবলম্বীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বুকের রক্ত বিলিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। কাজেই সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সব সময় চেয়েছি প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে, সম্মানের সঙ্গে পালন করবে।
সেই পরিবেশটা সৃষ্টি করা এবং আমরা তা করতে পেরেছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সেই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মনে আনন্দ উৎসব আছে বলেই আজ পূজার সংখ্যা বেড়েছে। আমরা সব ধর্মের মানুষ উৎসব পালন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, শুধু ঢাকা শহর নয়, প্রতিটি জায়গায় পূজা-পার্বণ চমৎকারভাবে হচ্ছে। আরেকটি উৎসব আমরা করি সেটা হল- পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষ সবাই সেদিনটি উদযাপন করি। আমরা পহেলা বৈশাখে উৎসব ভাতা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যখন আমাদের ঈদের জামাত হয় তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের যুব সমাজ কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। আবার যখন পূজা-পার্বণ হয় তখন আমাদের মুসলমান যুবকরা সেখানে উপস্থিত থাকে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। এই সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে পারি। সব ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে- শান্তি, মানবতা।

Thursday, September 26, 2019

জি কে শামীম ও খালেদ ভূঁইয়া প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা দিতেন তারেক রহমানকে!

নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রতিমাসে দু কোটি টাকা করে পাঠাতেন গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের কথিত নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশান থেকে র‌্যাবের হাতে আটক টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম ও খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির দলীয় ফান্ডে তিনি নিয়মিত অর্থ দেন এবং তারেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারেককে প্রতিমাসে এক কোটি করে চাঁদা পাঠাতেন শামীম। হুন্ডির মাধ্যমে লন্ডনে এই টাকা পাঠাতেন তিনি। সঙ্গে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, তিনিও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে এক কোটি টাকা পাঠাতেন তারেক রহমানকে।
রিমান্ডে আরো জানা যায়, জি কে শামীম গত দশ বছরে ৪ বার লন্ডনে গিয়েছেন। প্রত্যেকবারই বিভিন্ন স্থানে তারেকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মাধ্যমেই তারেকের সঙ্গে শামীম নিয়মিত যোগাযোগ করেন। প্রতিমাসে ২ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতেন।
উল্লেখ্য, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী খন্দকার আব্দুর রশিদ, সাঈদ ফারুক রহমান ও বজলুল হুদা ৮০-এর দশকে গঠন করেন বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। ১৯৮৭ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার মানিক ও মুরাদের হাত ধরেই খালেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা করে। এতে খালেদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন অংশগ্রহণ করেছিল। এ হামলায় অভিযুক্তের প্রাথমিক তালিকায় খালেদের নাম থাকলেও ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার নাম বাদ দেয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন খালেদ মাহমুদ।
অপর দিকে সাত বডিগার্ডসহ আটক হওয়া যুবলীগের কথিত কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এর আগে ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা ছিলেন। বিভিন্ন টেন্ডার ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন শামীম। মূলত বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতেন শামীম।

পদবাণিজ্য ও দলীয় কোন্দলের জেরে নওগাঁয় বিএনপি নেতা নিহত, বিব্রত মওদুদ!

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও পদ নিয়ে হানাহানি কমেনি বিএনপির রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভেদ ও মতপার্থক্যে দলটির রাজনীতি বেহাল হয়ে পড়েছে।
এবার বিএনপির পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতির বলি হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওয়াহেদ আলী। ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। নিহত ওয়াহেদ আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং করিমপুর গ্রামের তাছির আলীর ছেলে।
তথ্যসূত্র বলছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদ আলীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা ও সাপাহার উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালেক চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুটি গ্রুপ ছিল। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খঁড়িবাড়ি বাজার সেডে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা সভায় ডা. সালেক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকরা হেলমেট পরে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়। সেখান থেকে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।
এদিকে দলীয় কোন্দলের জেরে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষ ও হানাহানির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। এখানে যেমন ভালো নেতা আছেন, তেমনি খারাপ-দুর্নীতিবাজ নেতাও রয়েছেন। সত্যি বলতে যারা পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি করে তাদের কোন দল হয় না। তৃণমূল বিএনপির অপকর্মের কারণে আজকে হাইকমান্ডকে বিব্রত হতে হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মনে রাখা উচিত, বিএনপি প্রতিহিংসা ও পদবাণিজ্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

পিঠ বাঁচাতে ক্যাসিনো ইস্যুতে মুখে কুলুপ মির্জা আব্বাসদের, সমালোচনার ঝড়!

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোতে মদ-জুয়া বিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহল সরকারের প্রশংসা করলেও বিরোধী দল বিএনপি বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে নানা সমালোচনা করলেও দলটির বেশিরভাগ নেতা এই ইস্যুতে নীরবতা অবলম্বন করেছেন।
জানা গেছে, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। কারণ ক্যাসিনো, মদ, জুয়া ও হাউজির সংস্কৃতি রাজধানীতে পরিচয় করিয়েছিল বিএনপি, এমন শঙ্কায় নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে করছেন দলটির নেতারা। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে ক্যাসিনো ও জুয়া বিরোধী চলমান অভিযানে বিএনপির নীরবতার বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপির রাজনীতির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোসাদ্দেক আলী ফালুর মতো নেতার সহযোগিতা ও প্রচ্ছন্ন মদদে রাজধানীর বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাব ও অভিজাত হোটেলে মদ, জুয়া, হাউজি এবং ক্যাসিনোর অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়। এসব অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এই টাকার বড় একটি অংশ কানাডা, লন্ডনে পাচার করেন বিএনপির এসব নেতারা। এছাড়া ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এলে ক্যাসিনো ও জুয়ার ব্যবসা বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মির্জা আব্বাস ও খোকা। পরবর্তীতে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মদদে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্লাব পাড়াগুলোতে জুয়া ও মদের আসর বসান তারা। বিনিময়ে তারেক রহমানকে ১৫ শতাংশ কমিশন দিতে হতো বিএনপি নেতাদের।
জানা গেছে, বিএনপি নেতাদের মদ, জুয়া, হাউজি ও ক্যাসিনোর বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলেন খোদ দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু দল ও দল পরিচালনার স্বার্থে তিনি এসব নেতাদের কিছু বলতেন না।
ক্যাসিনো ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের নীরবতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, আসলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে বিএনপি নেতারা ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না। কারণ আকাশের দিকে মুখ করে থুথু ছেটালে সেটি নিজের গায়েই পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতেই ক্যাসিনো ইস্যু এড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু মনে রাখা উচিত, পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না।

Tuesday, September 17, 2019

তারেক রহমানের চাপে পদত্যাগ করলেন সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন!

নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় দল থেকে পদত্যাগ করেছেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন।
১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এবার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নবীনগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে। এ অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাঈন উদ্দিন নাটকীয়ভাবে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
মাঈন উদ্দিন বলেন, তারেক রহমান স্বেচ্ছাচারিতা করে আমাকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। অর্থের বিনিময়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অন্য একজনকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। তাই আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
এদিকে, মাঈন উদ্দিনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন থেকে ২৭ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
মাঈন উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও কেবল মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারেক রহমান অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছেন। তাই আমি দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে পৌরসভাবাসী। তারাই আমার দল ও প্রতীক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। কে কি বললো এটি আমাদের দেখার বিষয় না। প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে সরাসরি তারেক রহমানের নির্দেশে। এটি নিয়ে অপরাজনীতি করার সুযোগ নেই।