Saturday, September 29, 2018

শেখ হাসিনার বার্তা মাদ্রাসায় পৌঁছালো ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক : কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ইতোমধ্যে সংসদে অনুমোদনও হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষাকে যে বর্তমান সরকার কোনো ধরনের বৈষম্য করছে না, সেই বার্তা পৌঁছে দিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর রুস্তমিয়া মুনিরুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসায় এ বার্তা পৌঁছে দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাবেক সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী।
তাদের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাইদ ইরান, নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মাহমুদুল করিম প্রমুখ।
তারা প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন ওই মাদ্রাসায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও আদিত্য নন্দী। ছবিও তোলেন ছাত্রদের সঙ্গে। এসময় মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন তারা।
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, মানসম্মত ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে সারাদেশে এক হাজার ৬৮১টি মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। আলেম-ওলামাদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করছে বর্তমান সরকার। মাদ্রাসা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ সনদে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের এ মাদ্রাসায়।
আদিত্য নন্দী বলেন, ফটিকছড়ির এই মাদ্রাসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। অনেক মাদ্রাসা ছাত্র মনে করেন তারা অনগ্রসর। আমরা তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি তাদের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ছাত্রের মতো তারাও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে তারেক-টুকু বৈঠক : বিলুপ্ত হচ্ছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যের বৈঠক থেকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে কানেক্ট করা হয়েছিল তারেক রহমানকে। ঢাকায় মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নবগঠিত যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় চলছিল এই বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার মোবাইল ফোন থেকেই লন্ডনে কানেক্ট করা হয়েছিল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।

উক্ত বৈঠক সম্পর্কে জাতীয় ঐক্যের এক নেতা বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে দল গঠনে সম্মত হয়েছে। বিএনপি চাইছে তাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন করে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে। জাতীয় ঐক্যের হয়ে আমারা বিএনপির কাছে শর্ত রেখেছিলাম, যদি জাতীয় ঐক্য চান, তবে বিএনপির নাম সর্বস্ব কিছুই আর ফেরত পাবেন না। তারা সব কিছু মেনে আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আমাদের শর্তের মধ্যে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ছিলো, জামায়াতকে বাদ দেয়া। মজার বিষয় হচ্ছে বিএনপি জামায়াতকে বাদ দিতেও রাজী হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় ঐক্য বিএনপির কাছে ১৫০ আসন চাইলে, তা দিতেও সম্মতি জানায় বিএনপি। এই কারণে বলাই যায়, বিএনপির রাজনীতি বিলুপ্ত হলো।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, নির্মম বাস্তবতা মেনে নিতে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি বর্তমানে কোনঠাসা একটি দল। এমতাবস্থায় জাতীয় ঐক্যের থেকে পাওয়া যায়, তাই উত্তম। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই তারেক রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে উক্ত বৈঠকে কিছু বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে মাহী বি চৌধুরী বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মূলত তাদের বৈঠক চলা কালীন সময়ে মোবাইল ফোনে তারেক রহমানকে রাখার কারণে এ বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বিএনপির এমন কাজকে মোটেও সহজে গ্রহণ করেনি জাতীয় ঐক্য। এসময় মাহী বি চৌধুরী রাগে উত্তেজিত  হয়ে উঠেন, এবং বিএনপির সঙ্গে জোট করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
এসময় জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে মাহী বি চৌধুরীর আদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের সকল ফোন জব্দ করেন জেএসডি’র এক সিনিয়র নেতা।  এসময় পরিস্থিতি গরম হলে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিষয়টিকে স্বাভাবিক করে তুলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে বন্দী, অপরদিকে সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে ফেরারি আসামি। এক্ষেত্রে দলকে বাঁচিয়ে রাখতে জাতীয় ঐক্যের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গলকর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

একজন শেখ হাসিনা: প্রগতি ও মানবতা যেখানে একাকার

ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই উপমহাদেশ কেন্দ্রিক মৌলিক রাজনীতির সূচনা হয় মূলত ‘৪৭ এর দেশভাগের মাধ্যমে দুটি দেশ- ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে। সেই ঐতিহাসিক ৪৭ এর ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ এশিয়া তথা সমগ্র বিশ্বে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। কিন্তু বিশ্ব রাজনৈতিক মঞ্চে শেখ হাসিনা নিজস্ব রাজনৈতিক গুণাবলী ও দূরদর্শিতা দিয়ে এক অনন্য প্রভাবশালী নারী নেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান গড়ে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় মূলত ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকালে দলের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ এর সর্বোচ্চ তিন বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার পদচারণা শুরু হয় মূলত ১৯৯৯ সালে তার একান্ত  উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারির স্বীকৃতি অর্জনের মধ্য দিয়ে। পরে ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ এর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব জাতিসংঘ  সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করেছিলেন।  অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাবটি পাস হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য  অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন শেখ হাসিনা। একই বছরে ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এফ এ ও থেকে ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা।
বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ২০০০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রর ‘University of Bridgeport’  ‘Doctor of Humane Letters’ প্রদান করে। ২০০৫ সালে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া।
একজন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) বাস্তবায়নে তাঁর সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। এমডিজির ৮ টি লক্ষ্য মাত্রার মধ্যে ৬ টি পূরণ করেছে এবং দুইটির জন্য প্রশংসিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর কয়েকজন নেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন যিনি কিনা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এমডিজি) ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা উভয়েরই চূড়ান্তকরণ সভায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছেন। ২০১০ সালে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করার লক্ষ্য MDG-4 অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে MDG ( Millennium Development Goal) Award প্রদান করে।
২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার Jhon Bercow MP গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে Global Diversity Award প্রদান করেন।
একই বছরে স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য International Telecommunication union (ITU) South South News এবং জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে South South Award 2011: Digital Development Health পুরস্কারে ভূষিত করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো  মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে- বিষয়টি আমলে নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ঐ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করে জাতিসংঘ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ২০১৫ সালের  ২৫ মার্চ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায়  WIP (Women in Parliament) Global Award লাভ করেন শেখ হাসিনা।
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং ১০ লাখের ও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন শেখ হাসিনা, ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত করেছে বিশ্ববাসী।
শেখ হাসিনা তার নেতৃত্ব গুণাবলী দিয়ে বিশ্বমঞ্চে খুব ভালো ভাবেই ঠাঁই করে নিয়েছেন। শেখ হাসিনা ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় ৭ম স্থানে ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস্ সাময়িকীর অনলাইন জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা দশ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিলেন। ২০১৫ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৯তম স্থানে আছেন। ২০১৪ সালে এই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪৭তম। তিনি  ফরচুন সাময়িকী ২০১৬ এ বিশ্বের ৫০ জন প্রভাবশালীদের মধ্যে ১০ম স্থানে নাম করে নিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ‘ফরেন পলিসি’, শেখ হাসিনাকে ‘ডিসিশন মেকার’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১৩ বুদ্ধিজীবির তালিকায় স্থান দিয়েছে, বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা ‘ফোর্বস’ সাময়িকীতে বিশ্বের ৩৬ তম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এই অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে নারী রাজনীতির পথিকৃৎ বলেও অনেকেই অভিহিত করেন।

স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের উন্নয়ন

গত নয় বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। অবিশ্বাস্য হলেও পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক। শুধু ইতিবাচকই না, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মডেল। তাই প্রাসঙ্গিকভাবেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বৈপ্লবিক উন্নতিগুলো এখন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারক, স্বাস্থ্য বিষয়ক দাতা সংস্থাদের কাছে রীতিমতো ‘মীরাকেল’।
আওয়ামী লীগ সরকার গত নয় বছরে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে যার ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৩ হাজার ৫০০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোতে ৩১টি ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। সব জেলা হাসপাতালকে বর্তমান সরকার ২৫০ শয্যা, যেগুলো ২৫০ শয্যার ছিল সেগুলোকে ৫০০ শয্যা এবং ৫০০ শয্যার হাসপাতালকে এক হাজার শয্যায় রূপান্তরিত করেছে। দেশে এই প্রথম জেলা হাসপাতালগুলোতে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একই সাথে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান মনিটরিং এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ইউনিট কাজ করছে।
সরকার বর্তমানে জিডিপির ৩% স্বাস্থ্যসেবাখাতে ব্যয় করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭১.৮ যা ২০০১ সালে ছিল ৬৫.৫। পরিবার পরিকল্পনা সুবিধা পেয়ে থাকে ৭৩% মানুষ। আবশ্যকীয় ঔষধ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে ৬৫% মানুষকে। মাতৃমৃত্যুর হার এখন প্রতি এক লাখে ১৭৪ জন যা ২০০১ সালে ছিল ৩৯৯ জন। প্রতি ১০০০ জনে নবজাতকের মৃত্যু ২০০১ সালে ছিল ৪২.৬ যা ২০১৫ সালে কমে হয় ২৩.৩। পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি ১০০০ জনে ২০০১ সালে ছিল ৮৮ যা ২০১৫ সালে ৩৭.৬ এ নেমে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশকে পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার কারণে জাতিসংঘ থেকে ২০১৪ সালে ‘‘সাউথ সাউথ ভিশনারী এ্যাওয়ার্ড’’ লাভ করেন। এর আগে ২০১২ সালে টিকাদান কর্মসূচীতে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে “গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভেকসিনস এন্ড ইমিউনাইজেশন এ্যাওয়ার্ড” দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১০ সালে শিশু মৃত্যুর হার ৫০% এ নিয়ে আসার জন্য “এমডিজি এ্যাওয়ার্ড ” পেয়েছেন। স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

Bangladesh: A Documentary on Conspiracy in the Shadow of Movement: A Study on Shahidul Alam

A movement that shook the nation. Who anchored the movement from behind? What made the logical movement go conspiratorial?
Recently Bangladesh observed a student movement for safety on roads. Despite of assurances from the government in favor of the protesters, the movement went on.
Was it a movement only by the students? From a secret and verified source things have been revealed. Recently, a photographer named Shaidul Alam has been arrested.
Who is this Shahidul Alam?
Shahidul Alam, a renowned international photographer was recently taken into custody for suspicious involvement in provoking the movement. His uncle Sabur Khan was a war criminal during 1971 and his mother also supported Pakistan Army as referred by the book “Ekattorer Dingulo” by Zahanara Imam (page 230). This clearly marks the reason behind his mentality against the liberation of Bangladesh.
Shahidul Alam and Altaf Hossain established Drik ICT center. Later on, Altaf filed two cases against Shahidul in 2014, one for capturing all his shares and another under ICT act. Also he declared his institution “Pathshala” as a non-profit organization and received donations internationally yet he takes a large amount yearly from each student. He was often seen with his two girlfriends out of his marital life too. This states the poor status of his personality.
As Bangladesh is developing rapidly in economy, foreign conspiracies are mounting. After taking power in 2014 by Awami League, Shahidul started his involvements regarding road safety. Initially they wanted to start their projects with the government. Failing to do so, they wanted to involve students to pressurize the government.
On 19th July Shahidul received a mail from Martijn which indicated about an accident instructing him to take steps and the accident happened on 29th July. How did they know this earlier? Was that pre-planned?
He opened an account in the Bank of America with a fake identity naming Zahed. Why he deposited money in an account with a pseudo identity?
Shahidul, along with Zafarullah Chowdhury who is an adviser to BNP chairperson Khaleda Zia jointly transacted money in January, 2018. Is Shahidul acting as an agent of BNP?
During the quota reform movement, involvement of Shahidul was traced. They exchanged emails and arranged a meeting with Badiul Alam Majumder and Asif Nazrul.
The slogans used in 3rd and 4th August were found in text messages by Shahidul and his wife on 1st August. He along with his wife collected manipulated pictures and videos and provided to foreign media. What was their motive here?
Shahidul, as a part of his earlier plan, engaged himself with international media. A news editor of Al-Jazeera Rebecca Abed and UK based correspondent Veronica Pedrosa were misguided & misinformed by him to publish fabricated news.
Shahidul Alam also established a strong network with different secret agencies. Sajid Ispahani the director of Ispahani group and some secret agencies jointly worked with him for a long time. Various emails came to our hand displaying different articles delivered by Shahidul and Sajid Ispahani to them. Doesn’t this indicate that; this movement formed today was a brainchild of oppositions and scripted by Shahidul.
Advocate Ziaur Rahman, a sacked faculty member of North South University sent over 100 emails in last few days to organize the student protest. After being sacked, Ziaur in social media published manipulated news and tried to turn the face of the movement.
What was the motive of Shahidul? Using his fame and popularity in international forum, did he want to create chaos in the country? Our deepest concern, is he working as an agent against our beloved homeland?

Third Party in Politics: Blessing or Curse?

There is a high probability of taking place of national parliament election at the end of December this year, according to Bangladesh Election Commission. Some political personnel distanced from mass people and so called agents of “civil society” are becoming pro-active as usual facing the national parliament election ahead.
However, political history and reality of Bangladesh poses a question on the justification for the rise of such third party. Politicans who prefer comfort to active participation in root level politics are mainly daydreaming to take over the power. The two prime name behind the rise of third party in politics are Gonoforum president Dr. Kamal Hossain and Bikalpadhara president B.Chowdhury.
Dr Kamal Hossain came into politics with the help of Bangobondhu Sheikh Mujibur Rahman. He was nominated as candidate for national election from East Pakistan in 1970. However, when the war starts in 1971 all other members participated in the war except Dr Kamal Hossain and escaped to Pakistan. It should be noted that, he married a Pakistani girl and his father in law was a famous businessman in Pakistan.
Lately, when Bangabodhu Sheikh Mujibur Rahman was brutually murdered with his family, Kamal Hossain ran away to London instead of protesting against this. By analyzing the history of Bangladesh it was found that, this cunning politicians was never present in crisis situation of Bangladesh.
Another main culprit behind the upsurge of third party is founding general secretary of BNP and current president of Bikalpadhara B. Chowdhury. He was brought to politics without any notice who was an unfamiliar face back in 1978, when Ziaur Rahman established BNP. When Ziaur Rahman was murdered in Chittagon he was with him and surprisingly B. Chowdhury survived. For this reason, number of members doubt that he is related with the murder of Ziaur Rahman.
When BNP came into power in 2001, B Chowdhury was selected as president with the help of Khaleda Zia under their banner. However, he failed to fulfill demand of BNP. Other than Dr Kamal Hossain and B. Chowdhury, there are some additional members like Mahmudur Rahman Manna, convener of Nagorik Oikkyo; Abdur Rab of Zasad.
The main culprit behind the curtain was Dr. Yunus. Using ‘good’ image, Yunus advertised this so called ‘third party’ in international platform. Yunus forced rural people to take loan from his microcredit and charged them with high interest rates.
All the forces under the banner of third political party has a common point- none of them has minimum public mandate. They don’t have the sacrificing mentality for the sake of politics. Moreover, the persons behind this party are all expired politicians of BNP and Awami League.
There is saying in English- ‘with the help of intentional political u turn, never comes positive outcome’. However, because of no public interactions such political activities will not see the face of success- as predicts the political adhering.

Thursday, September 27, 2018

এস কে সিনহা নয়, বইটি লিখেছেন ড. কামাল, আলী রিয়াজ ও মিজানুর রহমান খান

নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধান বিচারপতি এস এক সিনহা’র নামে সরকারের বিরুদ্ধে বই লেখার কাজে যারা সাহায্য করেছেন এমন একাধিক ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বইয়ের মূল লেখক হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন এবং তাকে সাহায্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাবেক বাসদ ছাত্রলীগ নেতা আলী রিয়াজ ও প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মাস দুয়েক আগে কানাডা ছেড়ে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বসবাসের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সিলেটি অধ্যুষিত নিউ জার্সির প্যাটারসনকে। সেখানে ১৭৯, জেসপার স্ট্রীটের একটি বাসার গ্রাউন্ড ফ্লোরে তিনি থাকছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি বাসার বাইরে থাকতেন। তাই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, বাসার বাইরে এতো সময় কাটালে বই লিখলেন কখন।
প্রথম আলোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ইব্রাহিম চৌধুরী খোকনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে ড. কামাল হোসেন আসল লেখা বইয়ের পাণ্ডুলিপির ২০টি ফাইল পাঠায় প্রায় দেড় মাস আগে। বইটি লেখার পেছনে এবং অর্থায়নে জামায়াতের হাত আছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। তার প্রমাণ মেলে গত ৩রা আগষ্ট শুক্রবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মীর কাশেম আলীর ভাই মীর মাসুম প্যাটারসন গিয়ে এস কে সিনহা’র সাথে সাক্ষাৎ করে বই লেখা বাবদ সিনহাকে নগদ ৫০ হাজার ডলার দেন। এসময় মীর মাসুমের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের।
এছাড়াও ছিলেন সাংবাদিক মুনির হায়দার। বাকি অর্থ লেনদেন হয়, আগস্ট মাসের ৩ তারিখ ৫৫-৫৬ বে সাইড কুন্সে দন্ত চিকিৎসক ডাঃ বার্নাডের চেম্বারে। ৩ আগস্টের ডাঃ বার্নাডের চেম্বারের সিসিটভির ফুটেজে যা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এখানে উল্লেখ্য যে, মীর মাসুমের সাথে থাকা আবু তাহেরের আশ্রয়েই ইসরাইলের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেন্দি এন সাফাদী সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র করেছিলো। আর মীর কাশিম আলীর বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই মীর মাসুম পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বর্তমানে মীর মাসুম জামাতের সংগঠন মুসলিম ওম্মাহ (মুনা)’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন।
আর একটি সূত্র থেকে জানা যায় ড. আলী রিয়াজ একসময় মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে বাসদের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বিএনপি জামায়াতের লবিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন। তাকে দেশ থেকে সহায়তা করছেন চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন। এখানে আর উল্লেখ্য যে, গুলশানের হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দিনই ড. আলী রিয়াজ সিএনএনসহ বিদেশী গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ পুরোপুরি এখন ব্যর্থ রাষ্ট্র। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’। যদিও বাস্তবে গোটা দুনিয়ায় এত দ্রুততম সময়ে পৃথিবীর কোনো দেশ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জিম্মি উদ্ধারের রেকর্ড নেই, যেটা বাংলাদেশ করেছে। দুইজন পুলিশ অফিসারসহ সরকারের একাধিক ব্যক্তি প্রাণ দিয়েছেন জঙ্গি দমনে।
সূত্রমতে, সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কামাল গং সিনহাকে দিয়ে এমন বই লেখানোর উদ্যোগ নেন, তবে বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ড. কামালকে। এ বিষয়ে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

আন্দোলনের ডাক দিলেও মওদুদ আহমেদের কথায় ভরসা পাচ্ছে না তৃণমূল বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার মেয়াদ সাত মাস পার হলেও জামিনে মুক্ত করার ব্যাপারে কোনো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারছেন না তার পক্ষের আইনজীবীরা। যার কারণে খালেদা জিয়া মওদুদ আহমেদকে তার মামলার আইনি সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত মওদুদ আহমেদের ওপর আস্থা না থাকার কারণেই তাকে খালেদা জিয়ার মামলার আইনি সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা কর্মীরা।

এমতাবস্থায়, ‘সরকার পতনের আন্দোলন’র জন্য পহেলা অক্টোবর থেকে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তবে তার ডাকা এ আহ্বানে সাড়া দেবার মতো সাহস পাচ্ছেন না তৃণমূল বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, মওদুদ আহমেদ দুই নৌকায় পা রাখার মতো নেতা। তিনি একবার জাতীয় পার্টির,  একবার আওয়ামী লীগের এবং অন্যদিকে  আবার বিএনপিরও গুনগান করেন। আমরা সব সময় মওদুদ আহমেদকে নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকি। তিনি কি আসলেই বিএনপির সঙ্গে আছেন। নাকি বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন, বোঝা যায় না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, মওদুদ আহমেদ অসংখ্য বার দল পাল্টিয়েছেন। তার ডাকে সাড়া দেয়া, আর কচু গাছে ফাঁসি দেয়া, সমান কথা। এমনিতেই বিএনপি বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে। আন্দোলন করে সংগঠিত হওয়া সহজ কথা নয়। শুধু অবুঝের মতো মুখে বললেই আন্দোলন হয়ে যায় না। আন্দোলন করতে হলে প্রথমে দলকে সুসংগঠিত করা প্রয়োজন। যেখানে বিএনপি সমন্বহীনতায় ভুগছে। সেখানে পহেলা অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলন কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
বিএনপির আন্দোলনের ডাককে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি আন্দোলন করতে ভুলে গেছে। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় তারা ভুলে গেছে। ঈদের পর কঠোর আন্দোলন বিএনপি একাধিক বার করেছে। আন্দোলনে খুব বেশি লোকই সমবেত  হয়নি। সাধারণ মানুষ বিএনপির এমন অদ্ভূত আন্দোলনকে সর্বদা বয়কট করে।
যেখানে বিএনপির অস্তিত্ব সংকটে সেখানে বড় আন্দোলন সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে বিএনপিকে প্রথমে সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সরকারের বিরুদ্ধে পর্দার অন্তরালে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে পর্দার অন্তরালে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সূত্র বলছে, জাতীয় ঐক্যের নামে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট প্রক্রিয়া দেশবিরোধী কার্যকলাপের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবার ছক করছেন এই জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারই অংশ হিসেবে বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের গুলশানের বাসায় জাতীয় ঐক্যের নামে সরকার উৎখাতের নামে বিদেশিদের সাথে ষড়যন্ত্রের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গোপন বৈঠকের আগে মঈন খানের বাসায় একটি নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অন্তত আটটি দেশের কূটনীতিকেরা। এই গভীর রাতের ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকে বিএনপি নেতারা বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ছকের উপস্থাপনা করেছেন বলেও জানা যায়।
সূত্র বলছে, সরকার যখন দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা করছে তখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু করেছে পর্দার অন্তরালে থাকা একটি মহল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কীভাবে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা যায় এমন ষড়যন্ত্রের ছক কষছে তারা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে সাজা হওয়ার প্রতিবাদে নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচীর আড়ালে নাশকতা, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে এগুচ্ছে দেশে-বিদেশে থাকা বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীর দোসর ও উগ্রপন্থী গোষ্ঠী।
এদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেয়া এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তার দাবি। তার মতে, দুর্নীতির দায়ে আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজনৈতিক আন্দোলনের আড়ালে বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধপরাধীর দোসর ও উগ্রপন্থীদের সংগঠিত করে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দেয়ার চেষ্টা করাচ্ছে অদৃশ্য মহলটি। এই চক্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে তৈরি করছে নীল নকশা। কিন্তু সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকায় তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অতীতে দেশের ভেতরে যত নাশকতা, নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে তার খবর সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে অবহিত করার পর শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা হয়। এ জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলে পতন ঘটনোর ছক ব্যর্থ হয়ে যায়। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে নতুন করে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবারও বিশৃঙ্খলা এবং নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বিদেশের মাটিতে বসে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে কথিত সতর্কবার্তা জারির জন্য যে ধরনের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়, সেটিও অব্যাহত রেখেছে। আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের গুলশানের বাসাকে ষড়যন্ত্র করার প্রধান কার্যালয় বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র। জানা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অন্তত আটটি দেশের কূটনীতিকেরা বিএনপি-জামায়াতের এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাহায্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এতে সার্বিক সাহায্য করছেন বিতর্কিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

BNP angered the critics for changing the date of the assembly, Analysts think they will extinct

News desk: BNP announced that they will assemble on 27th September, but they have changed the date which made the critics angry. Changing the date of the assembly showed lack of leadership, indecisive behavior and overall lack of coordination and confidence. Few political analysts are questioning that whether BNP is eligible to take the challenge of forming a government, because they are unable to take a concrete decision about a conference, also they could not free their Chairperson Begum Khaleda Zia. It is also showing that how incompetent they are. Few analysts are afraid that, if it continues then people might forget their name in future.
Source informed that, BNP was called their members to assemble on 27th September. Source added, BNP wanted to do this conference to blame the government about their miserable condition. They also wanted to unite their members so that they can pose threat to the government on the election. But in the end they were force to change the date for proper leadership, lack of coordination and indecisive mentality.
BNP was unable to show firm stand in front their members which made a professor of Government and Political Science Department of Jahangirnagar University commented that, “I am really heartbroken to BNP in this situation. A huge political party like BNP has been thrown to the garbage just because of extreme corruption and abusing the power. Anti-liberation minded people used them. There is no difference among the small political parties and BNP and Jatiyo Party. They have also failed to protest about the release of their Chairperson. They could not even fix a date to assemble their members. But they turned the day into night while they were at power. They defied the authority. I think they will extinct very soon.”
Meanwhile, a Senior Leader of Awami League commented that, this party cannot take a decision about a meeting but they are thinking about running the country. BNP is party of jokers. They job is to amuse the nation. They are not doing any sort of constructive activities. Mother is saying one thing and her son is saying another thing. When one person wants protest, at the same time another person wants to negotiate. BNP became a shelter and resting place for the useless leaders. BNP never spoke for the people. They will even sell the country for their own sake. So, people has to be more careful about BNP.

স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না: বি. চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির আন্দোলনে বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার শর্ত দিয়েছে বিকল্প ধারা। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বারিধারায় বিকল্প ধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাড়িতে এক বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিকে এই শর্ত জানিয়ে দেয়া হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এই বৈঠকে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী দল বা ব্যক্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনো ঐক্য হতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐক্য চাই, তবে এই ঐক্যে আসতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই জামায়াতকে ছেড়ে আসতে হবে।”
বৈঠকে টুকু ও জাফরুল্লাহ ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মূল নেতা গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার উমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমীনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

Tuesday, September 25, 2018

খালেদার আইনজীবী বানাতে ড. কামালের পা ধরে কেঁদে হাসির পাত্র হলেন মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক: যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ২২ সেপ্টেম্বরের নাগরিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে বি. চৌধুরীর বাসায় প্রস্তুতি সভায় বিএনপিকে বাঁচাতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচেন পূর্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য ড. কামালের পা ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ড. কামালের একাউন্টে অর্থ দেওয়ার ওয়াদা করে পা ধরে বসে কাঁদতে থাকেন মির্জা ফখরুল। ড. কামাল খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ওয়াদা করলে পা ছাড়েন ফখরুল। মির্জা ফখরুলের এমন বিব্রতকর আচরণে হতভম্ব হয়ে পড়েন বৈঠকে উপস্থিত নেতারা। এসময় বিষয়টিকে বাঘের ঘাস খাওয়ার সাথে তুলনা করে উপহাস করেন বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন ছোট ছোট দলের একাধিক নেতা।
সূত্র বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারকে নিজেদের আয়ত্বে আনতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠন করে রাজনৈতিক পাঁয়তারা করছেন ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর মতো একাধিক অবাঞ্ছিত ও জনবিচ্ছিন্ন নেতা। রাজনৈতিক জোট গঠন করে সরকারের সাথে আঁতাত করে সুবিধা আদায় করতেই এমন পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে। রাজনীতির নামে সম্পদ গড়তে রাজনৈতিক জোট গঠন করে ফায়দা লুফে নেওয়ার মাস্টার প্ল্যান করেছেন ড. কামাল ও বি. চৌধুরী। এদিকে বিএনপি নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে রাজনীতির মাঠে দিশেহারা। নিজেদের অজনপ্রিয়তা ও নেতাদের বেইমানির কারণে বিএনপি ছন্নছাড়া ও অভিযোগের দল হিসেবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। লন্ডনে বসে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারেক রহমান। তাই তারেক রহমান এবার যেকোন কৌশলে ড. কামালের মন জয় করে তাকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুলকে নির্দেশ দেন। তারেকের নির্দেশনা মাথায় নিয়ে ২১শে সেপ্টেম্বর বি. চৌধুরীর বাসায় বৈঠকে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুল। ফখরুলের চিন্তা ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার। বৈঠকে বিএনপির সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের পূর্বে সরকার বিরোধী আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের বশ করা এবং ড.কামালকে সন্তুষ্ট করে খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে অবগত করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির একজন নেতার বরাতে জানা যায়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রথম থেকেই বি. চৌধুরী ও ড. কামালের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনে তা মোবাইলে তারেক রহমানকে মেসেজ দিচ্ছিলেন মির্জা ফখরুল। ড. কামালের একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ব্যর্থ হন মির্জা ফখরুল। একটা পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আলোচনার মাঝখানেই ড. কামালের দুই পা জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেন মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুলের এমন বুদ্ধি-বিবেকহীন আচরণে বিব্রত হয়ে পড়েন ড. কামালসহ উপস্থিত একাধিক বিভিন্ন দলের নেতারা। ড. কামাল শত চেষ্টা করেও মির্জা ফখরুলকে নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়ে তার ইচ্ছার কথা জানতে চান। এসময় পাঞ্জাবির হাতায় চোখ মুছে মির্জা ফখরুল তাকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হওয়ার অনুরোধ করেন এবং রাজি না হওয়া পর্যন্ত পা ধরে বসে থাকার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হয়ে তাকে মুক্ত করতে পারলে ড. কামালকে প্রচুর নগদ অর্থ দেওয়ারও প্রলোভন দেখান মির্জা ফখরুল। তার এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রলোভনে বিরক্ত ও বিব্রত হয়ে পড়েন ড. কামাল। এসময় তিনি রাগান্বিত স্বরে বলেন, তার মতো মূর্খের কারণে বিএনপি আজ মৃতপ্রায়। এসময় মির্জা ফখরুল তার প্রতি বিএনপির করা অপরাধের জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চান। বিশেষ করে তারেক রহমানের বেয়াদবীর সকল দায়ভার মির্জা ফখরুল নিজ কাঁধে নেন। ড. কামাল তাতেও রাজি না হলে মির্জা ফখরুল হাউমাউ করে উচ্চস্বরে কান্না করতে থাকলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। এসময় বি. চৌধুরী আসন ছেড়ে এসে মির্জা ফখরুলকে ধমক দেন।
তিনি বলেন, কী শুরু করলেন ফখরুল সাহেব? এটা কী মরা বাড়ি নাকি? কান্না থামান। অবশেষে বি. চৌধুরীর বিশেষ অনুরোধে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হওয়ার বিষয়ে চিন্তার সময় নিলে মির্জা ফখরুল তার পা ছাড়েন।
এদিকে মির্জা ফখরুলের এমন আচরণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিভিন্ন দলের একাধিক নেতারা হাস্যরসে ফেটে পড়েন। মানুষের দু:সময় যে তাকে কত কী করতে বাধ্য করে সেটি নিয়েও তারা মশকরা করেন। একজন তো বলেই ওঠেন যে, মির্জা ফখরুল ও বিএনপির অবস্থা বাঘের ঘাস খাওয়ার মতো। যে ড. কামালকে তারেক রহমান ও বিএনপি অপমান করেছিল, তারাই আজ তার পা ধরে কাঁদছে। হায় রে বিচিত্র রাজনীতি!

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত আলেম-ওলামারা

নিউজ ডেস্ক: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মিথ্যা-বানোয়াট কথা উল্লেখ করে বই লিখে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দেশের সম্মানিত আলেম সমাজ। এদিকে সিনহার মতো লোভী মানুষ হুমকির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এমন অসত্য কথা বিদেশি গণমাধ্যমকে বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে মনে করছেন ইসলামপ্রিয় জনতা।

জানা যায়, সিনহার লেখা বইটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার এ্যামাজনে উন্মুক্ত করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বইটি প্রকাশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করার চক্রান্তের বিষয়টি উন্মোচিত হয় আলেম-ওলামাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত বলেও একাধিক আলেম-ওলামা প্রকাশ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বেফাকের সহ-সভাপতি মুফতি ফয়জুল্লাহ মনে করেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারে বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে এদেশের আলেম-ওলামারা এই ষড়যন্ত্র রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও তা রুখতে লড়াই করবে। কওমী মাদ্রাসার সনদ দেয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতা দেখিয়েছেন তা যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একজন সত্যিকারের ঈমানদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম উত্তর গেটে বেফাকের শুকরিয়া মিছিল পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কওমী সূত্র বলছে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী গত রমজানে মারাত্মক অসুস্থতার কারণে একটি হাসপাতালের আইসিওতে শুয়ে ছিলেন। তখন তিনি বলেন, আমি কওমী সনদের জন্য কথা বলেছি। ২০১৭ সালে একটি গেজেটও প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তা এখনো আইনে পরিণত হয়নি। আমি কি জীবদ্দশায় তা দেখে যেতে পারব না? তিনি তার ইচ্ছার কথা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেন।
তথ্যসূত্র বলছে, তার চিঠির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় কওমী সনদের স্বীকৃতি লাভের মধ্য দিয়ে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আবেদন বাস্তবতার মুখ দেখেছে। তখন থেকেই মূলত দেশের আলেমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার আন্তরিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাকে নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত বলেও একাধিক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সিনহা অথবা স্বাধীনতা বিরোধীদের আলেমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যদি প্রধানমন্ত্রী কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়, সারা বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা তার পাশে থাকবে এবং দেশের জন্য আলেম- ওলামারা ভূমিকা রাখতে সর্বদা প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ ১১ টি অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতি তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে পর্যন্ত চাননি। আর তার মতো এরকম একজন অনৈতিক চরিত্রের মানুষ যদি তারেক রহমান ও জামায়াতের জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতার অর্থ তহবিলের টাকা থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বই লিখে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তাহলে তা শক্ত হাতে আলেমরা রুখে দিবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিনিয়োগ করছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক: খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে দলীয় ব্যর্থতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে এবার জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টকে উল্টো অর্থ দিয়ে সহায়তা দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন চালাতে তৎপর হয়েছে বিএনপি। সেই লক্ষ্যে এবার জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টের দুই নেতা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর সহায়তা নিতে তাদের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি।
বিএনপির ডোনারদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, কাড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয় করেও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং এবার ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর ভিন্ন ধারার আন্দোলনকে অনুসরণ করে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন বিএনপির ডোনারখ্যাত ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। তাদের পরামর্শ ও আদেশ অনুযায়ী লজ্জা-শরম ভুলে তাই ২১শে সেপ্টম্বর বি. চৌধুরীর বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে পয়সা খরচ করে দলীয় স্বার্থ আদায় করার লক্ষ্যেই মূলত মির্জা ফখরুলরা এক সময় তাড়িয়ে দেওয়া নেতা বি. চৌধুরী ও ড. কামালের কাছে ধারণা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবরে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, প্রায় আটমাস যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ডোনাররা কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোনো লাভ না দেখতে পারায় এই বিষয়ে আর এক পয়সা খরচ না করা প্রতিজ্ঞা নেন মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। তাদের বক্তব্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নামে টাকার হরিলুট করেছেন মির্জা ফখরুল ও রিজভী গংরা। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু শুধু পয়সার শ্রাদ্ধ হয়েছে।
সুতরাং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে ডোনার হতে রাজি হচ্ছিলেন না মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। অবশেষে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে লন্ডন থেকে ফোন করে তারেক রহমান উভয়কে অন্তত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের পেছনে শেষবারের মতো বিনিয়োগ করার অনুরোধ করলে অনিচ্ছা সত্বেও রাজি হতে হয় তাদেরকে। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে নির্বাচনে জয়ী হলে দুজনকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রলোভনও দেখান তারেক রহমান। তার এমন প্রলোভনে শেষবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই নেতা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর কথিত মানুষ দেখানো ভাড়াটে নেতাদের আড্ডা অর্থাৎ নাগরিক সমাবেশের যাবতীয় খরচ বহন করতে রাজি হন মিন্টু ও আব্বাস। তাদের রাজি হওয়াতে তারেক রহমানের বিশেষ আদেশে বি. চৌধুরীর বাসায় হাজির হন মির্জা ফখরুল। কথা ছিল মির্জা ফখরুল প্ল্যান দিবেন। কিন্তু বি. চৌধুরী এবং ড. কামাল বিএনপির পঁচা বুদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, বিএনপিকে এই ঘোর বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে স্বস্থির নিশ্বাস নিতে হলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্ডারে রাজনীতি করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যত অনুষ্ঠান-আন্দোলন হবে সেখানে প্রশ্ন ছাড়াই অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া আন্দোলনের পুরো অর্থ বি. চৌধুরী এবং ড. কামালের হাতে দিতে হবে। তবে এই অর্থের কোনো হিসাব চাওয়া যাবে না। তাদের এমন কঠিন সব শর্ত মেনে নিয়ে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সহযোগী হিসেবে ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।

BNP is trying to destroy the country by creating a disrupting situation.

News Desk: Government is trying set up a new milestone by successfully organizing upcoming 11th National Parliamentary Election. BNP-Jamayat on the other hand is trying to create disturbing situation by creating terror among the people.
A reliable source informed BNP is going to terrorize the city with weapons and explosives. They are going to use different terrorist organizations for this. Funds of this attack will come from four places. These places are New York, London, Dubai and Kuala Lumpur.
Source added, 300 million taka enters everyday in Bangladesh illegally. But they will get more money to execute this attack.
A source got information from CIA and they informed that, Dr. Yunus sent money from New York, Tarek Rahman is the source from London, BNP leader Mosaddek Ali Falu is the one sending money from Dubai and BNP laundered thousands of crores of money in Malaysia while they were holding power.
Political Analyst of Dhaka University showed his anxiousness by saying, “Country is stable now. People of Bangladesh want to live in peace. If someone attacks civilians just to get on to power, that will be very sad. Definitely they want to get the power to save people. If their intention is to save people then why do they want this? It cannot be a political ideology.
Meanwhile, BNP leaders went abroad to destroy country’s image. They complained to other countries about Bangladesh and humiliated it. An Awami League leader opined regarding this by saying, “Complaining to foreign countries about internal matters of Bangladesh does not make any sense. It humiliates oneself. They should remember that, you need support of people to win the power, complaining will not help.”
Political analysts think, Upcoming 11th National Parliamentary Election will be a great medium to save democracy in Bangladesh. If someone tries to get it by force then general people will never endure it.

Government fixed wages of garment workers to 8000 taka to improve their standard of living.

News Desk: Government has increased the minimum wage 51%, which is 8000 taka. Government studied current market and their living standard. This policy will be activated from this year December. Currently minimum wage is 5 thousand and 300 taka only. RMG workers are very happy with this decision.

State Minister of Ministry of Labor and Employment informed this on a press conference on 13th September. Though, garment workers demanded to make their minimum wages from 12 to 18 thousand taka.
Government formed ‘Wages Board’ on 14th January this year after considering the miserable states of garment workers. This board was formed with 4 permanent members, President of BGMEA and a representative from the Garment Workers Associations. But owner and worker both were unbendable regarding the wages. Finally, Prime Minister Sheikh Hasina worked relentlessly to solve this matter.
Before this, gazette of minimum wage of 5,300 was passed on 7th November, 2013. It was activated from December that year. Wage can be reconciled after every 5 years.
Approximately 4 to 4.5 million people work in this sector. Millions of people are dependent on this. Prime Minister settled wage structure in 2010 and 2013 which never happened before. It was done for the garments sectors.
Workers offered to make it 12000. They were not agreeing to less than 12000. When it couldn’t be fixed at that time, Prime Minister herself summoned owners and workers’ representative. She decided after the meeting. After considering all the factors, Prime Minister decided to raise minimum wage from 5,300 to 8,000. That means, if a worker is employed today then his wage will 8,000 taka including all the facilities. Salary will be increased based on the grade. Owners cannot pay below 8 thousand taka. Everyone appreciated this decision because it was a sensible judgment.
Representative of Garment Workers and Female Secretary of Sromik League Shamsunnahar Bhuyian said, “I will not say that the salary is too much or it will improve the living standard in a day. Owners wanted to raise it to 6,300 taka and no more. We offered 12,020 taka. Then Prime Minister Sheikh Hasina convinced BGMEA President to accept it. We also accepted her decision of making minimum wage of 8 thousand taka.”

যুক্তরাষ্ট্র নাকি অস্ট্রেলিয়া! কোথায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিচ্ছেন এস কে সিনহা?

নিউজ ডেস্ক:জুডিশিয়াল ক্যূ করে তৃতীয়পক্ষকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে সাহায্য করে রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদেশের মাটিতে বসে নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক একটি সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য ও ভুল তথ্যে ভরা বই প্রকাশ করে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বইতে তিনি মিথ্যা ও ভুলে ভরা তথ্য উপস্থাপন করে মূলত তার উপর সরকারের কথিত অত্যাচারের কথা তুলে ধরে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার জন্যই এস কে সিনহার এই ফন্দি। দুর্নীতির মাধ্যমে আয়করা অর্থ বিদেশের মাটিতে নিরাপদে বিনিয়োগ করা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে বিলাসবহুল দেশে বাকি জীবন আনন্দে পার করাই এস কে সিনহার মূল উদ্দেশ্য।

সূত্র বলছে, বিচারপতি থাকাকালীন অবৈধ উপায়ে অর্জন করা সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অথবা অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করার সকল প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন এস কে সিনহা। বিএনপি-জামায়াতের একটি পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিলেও মূলত পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছেন সিনহা।
সূত্র বলছে, রাষ্ট্রপতি হওয়ার বাসনায় বিএনপি-জামায়াত এবং তৃতীয়শক্তির আশ্বাসে বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন এস কে সিনহা। রাষ্ট্র ও সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতেই এস কে সিনহা একের পর এক মনগড়া রায় দিতে থাকেন। মূলত, একটি শক্তির হাতের পুতুল হয়ে অনৈতিক বাসনা পূরণের জন্য এস কে সিনহা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধগুলো করতে থাকেন। এসব করে কোটি কোটি টাকা ব্যাংক-ব্যালেন্স বানান সিনহা। সেই টাকা তিনি দেশের মাটিতে রাখা নিরাপদ না ভেবে বিদেশে পাচার করে বিনিয়োগের চিন্তা করেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন পুড়ে যাওয়ায় তিনি চিকিৎসার নামে বিদেশে গিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক তথ্য তুলে ধরে বই ছাপিয়ে নিজের ওপর সাজানো অত্যাচারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই অর্থের বিনিময়ে তিনি এই বইটি প্রকাশ করিয়েছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এস কে সিনহা আপাতত তার অর্থ-সম্পত্তি নিয়ে বিদেশে আরাম-আয়েসের জীবন যাপন করার চিন্তায় মশগুল রয়েছেন। তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করে। দেশের মাটি থেকে আয় করা অবৈধ অর্থ তিনি প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বিনিয়োগ করা নিয়ে কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের একটি অংশ সিনহাকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তাদের মতে, তিনি সরকারকে বদনাম করে যে বই বের করেছেন তার রেফারেন্স এবং অর্থের পরিমাণ বিবেচনায় সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়া যাবে। এছড়া তিনি সংখ্যালঘু হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপারটি সহজ হবে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জামায়াতের একজন নেতা এস কে সিনহাকে দেশটির লাসভেগাসের একটি ক্যাসিনোতে এবং ফ্লোরিডার মিয়ামি বিচের কাছাকাছি রেস্টুরেন্টে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ সম্পদ বিনিয়োগ নিয়ে কিছুটা জটিলতা থাকে। তবে যথাস্থানে পয়সা দিতে পারলে সহজেই বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র নাকি অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করে পাচার করা অর্থ বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে বেশ ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত দুটো দেশের মধ্যে যেকোন একটি দেশে নিজেকে অত্যাচারিত দাবি করে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করবেন। জানা গেছে, একবার রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে গেলে অস্ট্রিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে বসবাসকারী পাগল কবি সিফাত উল্লার মতো তিনি সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে নিজের ঝাল মেটাবেন।

রোয়াংছড়িতে ইউএনও’র বিদায় ও বরণ


 হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি(বান্দরবান):
বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ৪ ইউপি চেয়ারম্যান উদ্যোগে আয়োজনে নবাগত নির্বাহী অফিসার শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিলকে বরণ এবং নির্বাহী অফিসার মোঃ দিদারুল আলমকে বিদায় অনুষ্ঠান রোয়াংছড়ি উপজেলার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিদায়ী নির্বাহী অফিসার মোঃ দিদারুল আলম, নবাগত নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুল রিদোয়ান আরমান শাকিল, রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যানের বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা প্রমুখ।
রোয়াংছড়ি উপজেলার মাধ্যমিক সুপার ভাইজার মোঃ নুর নবী সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রোয়াংছড়ি থানা ওসি মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, রোয়াংছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যানের বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, হিসাব রক্ষণ অফিসের সিনিয়র অডিটর মোঃ মমতাজ উদ্দিন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেম্বার সুশীলসমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


Saturday, September 22, 2018

উন্নত চিকিৎসা নিতে এস কে সিনহা বিদেশে অবস্থান করছেন

নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিগত ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়মিতভাবে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসা করিয়ে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্যই তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ এস কে সিনহা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং ইচ্ছামত চলাফেরা করছেন।

সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর হাসপাতালগুলোর একাধিক রিপোর্টে বিতর্কিত এই বিচারপতিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মানসিক অবসাদগ্রস্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রের খবরে জানা যায়, স্কিন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও মানসিক অবসাদ নিয়ে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিঙ্গাপুরের দুটি হাসপাতালে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা নিতেন এস কে সিনহা। ২০১০ সাল থেকেই সিনহার শরীরে ক্যান্সারের বিচরণ। তিনি সিঙ্গাপুরের দুটি হাসপাতালে অনকোলজি, এন্ড্রোকিনলজি কোলোরেকটাল, নিউরোলজি, সাইকোলজি, ডার্মাটোলজি, ফিজিওথেরাপি বিভাগের নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন। ক্যান্সারের বিষয়টি মাথায় রেখে মৃত্যু চিন্তায় মানসিক অবসাদে ভুগতেন এস কে সিনহা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি প্রায়ই বিভিন্ন দেশে যাওয়া আসা করতেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে তিনি তড়িঘড়ি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করেন। তিনি ক্যান্সারের চিন্তায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত একটি বই বের করেছেন। অথচ ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারের ক্যান্সার বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. তোহ, ডা. থাম কোম উই, ডা. ট্যাং তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, ক্যান্সারের কারণে এস কে সিনহা মানসিকভাবে অবসাদে ভুগতে পারেন, এসময় তিনি কোন ভুল-ভ্রান্তি করে ফেললে সেটি একজন মানসিক রোগীর মানসিক বৈকল্য বিবেচনায় যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই এস কে সিনহার মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মৃত্যুভয় নিয়ে এস কে সিনহা পৃথিবীর অনেক বড় বড় ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছেন। বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। এখন বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবস্থান করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছাড়াচ্ছেন। তাকে নাকি জোর করে সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। অথচ এস কে সিনহা নিজ ইচ্ছায় বিদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সরকার কখনই তার চলাফেরায় কোন রকম বাধা দেয়নি। তিনি সরকারকে বিব্রত করতেই মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন।

আপোষহীন আইন ও প্রধান বিচারপতির দেশত্যাগ

আবারো সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের মধ্যমণি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের অর্থায়নে প্রকাশিত নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করে আবারো বিশেষ মহলের ইন্ধনে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলে বসেছেন সিনহা।
উল্লেখ্য তিনি অসুস্থতার কথা বলে তিনি ছুটি নিয়ে বিদেশ গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকারের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই আইন লঙ্ঘন করে বিদেশে বসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
অসুস্থতার কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে ছুটির আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন তিনি। এই লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ছুটির এই আবেদনে রাষ্ট্রপতি সাড়া দিলে বিচারপতি বিদেশ ভ্রমণের বৈধতা পান। তবে দেশ ছাড়ার একেবারে আগ মুহূর্তে তিনি গণমাধ্যমকে বলে গেছেন, তিনি অসুস্থ নন। অথচ ছুটির আবেদনে তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করেছেন। একজন প্রধান বিচারপতি হয়েও তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন! সারাজীবন মানুষকে ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ পড়িয়ে সে মানুষটাই দুর্নীতির দায় ঢাকতে মিথ্যা বলে বিদেশে পাড়ি জমালেন!
প্রধান বিচারপতির শপথ ভঙ্গের এই গল্প এবারই প্রথম নয়। তিনি অতীতেও শপথ ভঙ্গ করেছেন সাকা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। একজন বিচারকের সঙ্গে আসামি পরিবারের সঙ্গে দেখা করে চেয়ে বড় অপরাধ আর কি বা হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার পর মিডিয়াতে প্রকাশ পায় বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা এগারটি অভিযোগ। আপিল বিভাগের বৈঠকের পর রেজিস্ট্রার দপ্তর দেওয়া বিবৃতিতে দুর্নীতি, অর্থ পাচার সহ এগারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে গত ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি প্রধান বিচারপতির কাছে এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন! এর মাধ্যমে বিচারপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ সত্য প্রতীয়মান হলে অপর পাঁচ বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে একই বেঞ্চে বসে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কি এই একই অভিযোগ এবং সদুত্তর দিতে না পারার কারণেই অসুস্থতার অজুহাতে দেশত্যাগ প্রধান বিচারপতির?
বিচারপতি দেশ ছেড়ে পালানোর পর এই অভিযোগ সমূহ প্রচার প্রচারণা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করেন। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক শাস্তি সে অবশ্যই পাবে’। আইন মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যে এগারটি অভিযোগ উঠেছে তা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’।
বিচারপতি দেশের বাহিরে আছেন কিন্তু আইনের আওতার বাহিরে নয়। যে সরকার ৪০ বছর আগের অপরাধীকে বিচারের কাড়গোড়ায় দাঁড় কারাতে পেরেছে ,আমি বলবো সেই সরকারের উপর ভরসা করতে পারেন। অপরাধী যেই হোক আর যেইখানেই থাকুক তাকে বিচারের আওতাধীন নিয়ে আসতে সক্ষম এই সরকার।

আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির লেখনীতে এস কে সিনহা

সম্প্রতি এস কে সিনহার লেখা একটি বইকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার লেখা বইয়ে তিনি সরকারের নানা রকম সমালোচনা করেছেন, পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা সহ নানাবিধ অভিযোগ করেছেন। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কর্মকান্ড কিংবা বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। কেমন প্রকৃতির মানুষ কিংবা বিচারপতি ছিলেন এস কে সিনহা? সেই সম্পর্কে এক লেখাতে আলোকপাত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। যিনি দীর্ঘদিন এস কে সিনহার সাথে এক সাথে বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন। এস কে সিনহাকে নিয়ে গত আগস্ট মাসে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এর  লেখা কলামে উঠে এসেছে এস কে সিনহা সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনা। তিনি লিখেছেন,
‘বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের আগের ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটা পরিষ্কার যে, বিচারপতি সিনহা পাকিস্তানী স্টাইলে সাংবিধানিক ধারায় আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাতের চেষ্টার প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর পাকিস্তানী স্টাইলের কথা তো তিনি প্রকাশ্য আদালতেই বলেছিলেন। কিন্তু তার বিধি যে বাম। যথা সময়েই তার ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে যায়। বের হয়ে আসে তার হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণাদি। ধন্যবাদ জানাতে হয় আমাদের নিপুণ এবং একনিষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং অনুসন্ধান সাংবাদিকদের, যারা এসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। আপীল বিভাগের অন্য চার বিচারপতি এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে না বসার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তার দুরাশা ভেস্তে যায়, দেশও বেঁচে যায়।
এ তো গেল অতীতের কথা। কিন্তু শঙ্কার কথা হলো এই যে, আরও দুটি খবর এসেছে যা সত্যি ভয়ঙ্কর, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে ঘিরে। প্রথমটি এসেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে। তিনি কোন রাখঢাক না রেখেই যা ব্যক্ত করেছেন তা হলো, সম্প্রতি বিচারপতি সিনহা নিউইয়র্কে গিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ভাই মীর মামুনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেছেন। জয় অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাষায় এও বলেছেন যে, তার কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে।
তৃতীয় সংবাদটির উৎস দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক শ্রী শংকর কুমার দে। শ্রী দে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ১৪ আগস্ট সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় যা লিখেছেন তার শিরোনাম ছিল ‘সরকারবিরোধী নতুন ষড়যন্ত্রের মধ্যমণি এখন সিনহা।’ দীর্ঘ এই লেখাটির মূল কথা হলো, যুদ্ধাপরাধীরা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে প্রচুর অর্থ প্রদান করছে তিনি যেন এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। শ্রী দে আরও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি সিনহা এ টাকা দিয়ে একটি বই লিখছেন যাতে বর্তমান মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার থাকবে। শংকর কুমার দে যে বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তার কথা আমি আগেই অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এক সূত্র থেকে শুনেছিলাম এবং এও শুনেছিলাম সিনহা লন্ডনপ্রবাসী একজনকে অনুরোধ করেছিলেন তার বইটি লিখে দেয়ার জন্য।
পাঠকগণ নিশ্চয়ই অবগত আছেন, মীর কাশেম আলীর রায়ের পূর্বে সিনহা এই মামলা নিয়ে বহু নাটক এবং টালবাহানা করেছেন যার থেকে সংশ্লিষ্ট সকলেই এই মর্মে শঙ্কিত হয়েছিলেন যে, বিচারপতি সিনহা মীর কাশেম আলীর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করেছেন। এই যৌক্তিক শঙ্কার কারণেই দুজন মন্ত্রীসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সরব বেশ কয়েকজন একটি গোলটেবিল বৈঠক করে সিনহার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। এর ফলে সিনহা পরে দুজন মাননীয় মন্ত্রীকে আদালত অবমাননার জন্য অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছিলেন, যদিও তাদের কাছে নির্ভুল প্রমাণ ছিল যে, সিনহা মীর কাশেম আলীকে বাঁচানোর চেষ্টায় লিপ্ত।
আজ বিচারপতি সিনহা সম্পর্কে যেসব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে তা দেখে বার বার আক্ষেপের সঙ্গে একটি কথাই মনে পরছে। সেটি হলো, আজ থেকে তিন বছর পূর্বে যখন আমি, স্বদেশ রায় এবং এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন বিচারপতি সিনহার স্বরূপ উন্মোচনের চেষ্টায় লিপ্ত ছিলাম দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে। তখন অনেকেই আমাদের বিশ্বাস করতে চাননি বরং বলতেন আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার বিরুদ্ধে বলছি। কিন্তু আমি তো তার কথোপকথন থেকে বুঝেই বলতাম যে, তার এজেন্ডা ছিল এ সরকারের পতন ঘটানো। তার দুর্নীতির তথ্য তো আমরা অনেক সূত্র থেকেই জেনেছি এমনকি সিঙ্গাপুর থেকেও। সাকার মামলার রায়ের আগে অনুরুদ্ধ কুমার রায় নামক এক ব্যবসায়ীকে নিয়ে লন্ডনের গ্লোস্টার মিলেনিয়াম হোটেলে দূতাবাসের মাধ্যমে বৈঠক করা ইত্যাদি খবর তো আগেই জেনেছি।
এ ব্যাপারে স্বদেশ রায়ের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। তিনি সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগেই লিখেছিলেন, যে লোক ১৯৭১-এ শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, তিনি আপীল বিভাগ কেন কোন আদালতেরই বিচারক হতে পারেন না। এ কারণে বিচারপতি সিনহার চিরাচারিত ক্ষোভ ছিল স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভাষ্য প্রমাণ করছে যে, মীর কাশেম আলী পরিবারের সঙ্গে সিনহ্ার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল এবং তিনি মীর কাশেম আলীর রায়ের পূবেই তার থেকে প্রচুর অর্থ পকেটস্থ করেছিলেন বলে যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন তাদের বিশ্বাসে যুক্তি ছিল। তবে পরিস্থিতির চাপে সিনহ্া মীর কাশেম আলীকে খালাস দিতে পারেননি। প্রসিকিউশন মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে ইত্যাদি কত কথাই না সিনহ্া বলেছিলেন মীর কাশেম আলীকে খালাস দেয়ার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য। দুই-দুইবার, বেঞ্চের অন্য বিচারপতিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও, সময় বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
যে বিষয়টিতে আমি সবচেয়ে বিস্মিত এবং শঙ্কিত হয়েছিলাম সেটি ঘটেছিল ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। বিচারপতি সিনহা বঙ্গ ভবনে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়ে আদালতে ফিরেই আপীল বিভাগের ১নং কোর্টের তালিকা থেকে আমার নাম কর্তন করে দেন। ১নং কোর্টে যুদ্ধাপরাধীদের আপীলের শুনানি হচ্ছিল এবং আমি আপীল বিভাগে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকে ১নং কোর্টেই ছিলাম এবং যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, সাঈদী এবং কামারুজ্জামানের আপীল শুনেছি তাদের সকলের বিরুদ্ধেই, সাঈদীসহ ফাঁসির রায় দিয়েছি। তদুপরি ১নং কোর্টে ব্যারিস্টার মওদুদের বাড়ির আপীলও ছিল। সে মামলাও আমি আংশিকভাবে শুনেছি। আমাকে ১নং কোর্ট থেকে সরিয়ে দেয়ায় বিসিত হয়ে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আমাকে ১নং কোর্ট থেকে ২নং কোর্টে পাঠানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে প্রধান বিচারপতি সিনহা অকপটেই বলে ফেললেন যে, সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী তিনি আমাকে সাকার মামলা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, সাকার পরিবার কোনভাবেই আপনাকে (মানে আমাকে) এই মামলার জন্য মেনে নিতে পারছিল না। আমি তখন প্রধান বিচারপতি সিনহাকে বললাম, প্রধান বিচারপতি হিসেবে বেঞ্চ গঠনের ক্ষমতা একান্তই আপনার। কিন্তু আপনি কি করে আসামিদের কথায় বেঞ্চ গঠন করেন? আমি আরও বললাম- সবচেয়ে বড় কথা আপনার আদালতে যাদের মামলা বিচারাধীন তাদের সঙ্গে আপনি কি করে দেখা করেন? বিচারপতি সিনহা আমার এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। তিনি আরও বলেছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ তার (সিনহার) হাতে-পায়ে ধরে বলেছিলেন, আর যাকেই তার আপীল শুনানিতে রাখা হোক না কেন বিচারপতি মানিককে যেন না রাখা হয়।
প্রধান বিচারপতি সিনহার সঙ্গে আমার সেদিনের কথোপকথন শুধু রেকর্ডই হয়নি, তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। প্রচারিত হয় ৭১ টেলিভিশনে, যার ফলে সিনহা আর সাকার পক্ষে রায় দিতে সাহস করেননি। এরপর বিচারপতি সিনহা এ বিষয়ে লেখার কারণে স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করলে স্বদেশ রায় যখন ওই রেকর্ড প্রকাশ্য আদালতে বাজাতে উদ্যত হন তখন বিচারপতি সিনহা আদালতে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, তিনি আসলেই সাকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আইনত এই স্বীকারোক্তির পরই বিচারপতি সিনহার পদত্যাগ করা বাঞ্ছনীয় ছিল। পৃথিবীর যে কোন দেশেই তাই হতো। বিচারপতি সিনহা ৭১ চ্যানেলের রূপা এবং মোজাম্মেল বাবুর বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন, যদিও সেটা নিয়ে আর এগুবার সুযোগ পাননি।
সিনহা সরকার পতনের উদ্দেশ্য নিয়ে এগুচ্ছে এ কথা বললেও ৭১ চ্যানালসহ দু’একটি টেলিভিশনই শুধু এটি প্রচার করেছে। অন্যেরা আমার এবং স্বদেশ রায়ের কথাকে মোটেও গুরুত্ব দেননি ভেবেছেন আমরা জিঘাংসা বশত এগুলো বলছি। আজ আমাদের গর্ব এই যে সিনহার দুর্নীতি এবং সরকার উৎখাতের এবং সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির যে কথা আমরা তিন বছর আগে বলেছিলাম আজ তা কাগজে-কলমে প্রমাণিত হয়েছে। সেদিন লন্ডনপ্রবাসী স্বনামধন্য কলামিস্ট গাফ্ফার চৌধুরী সাহেবও, যার সঙ্গে আমার বহু দশকের নিবিড় সখ্য রয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার লন্ডন থেকে প্রকাশিত বাংলার ডাক পত্রিকায় যার সঙ্গে সামান্য হলেও কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল, যিনি আমাকে বিচারপতি কাইয়ানির সঙ্গে তুলনা করে একাধিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যাকে অমি সবসময়ই শ্রদ্ধাভরে দেখি, তিনিও সিনহার পক্ষ হয়ে আমার বিরুদ্ধে বেশ ক’টি প্রবন্ধ লিখেছেন। আশা করি এখন তার ভুল ভেঙ্গেছে। তিনি নিশ্চয়ই পুরো বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি, সিনহাকে চিনতে পারেননি।
সিনহা দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য দেশান্তরে চলে গেছেন। ৭১ চ্যানেলের এক টকশোতে আমি বলেছিলাম বিচারপতি সিনহাকে ১/১১ এর সময় দুর্নীতির জন্য পদত্যাগ করতে বলেছিলেন সে সময়ের রাষ্ট্রপতি। আমার এই কথা শুনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক, যার নাম আজ মনে নেই, আমার বক্তব্যকে ইমরাল বা অনৈতিক বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই অধ্যাপক আজ সব কিছু জানার পর নিশ্চয়ই লজ্জিত হয়েছেন বলে আমি আশা করছি।
প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগেই সিনহা ১/১১-এর অন্যতম কুশীলব একজন ক্ষমতাধর আইনজ্ঞের প্রভাবে চলে আসেন। ১/১১-এর সময় সিনহাসহ হাইকোর্ট বিভাগের মোট তিনজন বিচারপতিকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে তলব করে তাদের দুর্নীতির সকল প্রামাণ্য দলিল দেখান এবং তাদের পদত্যাগ করতে বললে শুধু একজন পদত্যাগ করেন। সিনহা মায়ের অজুহাত দেখিয়ে দুদিন পরে আসবেন বলে পদত্যাগ না করেই চলে আসেন এবং সেই ১/১১-এর কুশীলব প্রভাবশালী আইনজ্ঞের শরণাপন্ন হন, যিনি তখন সিনহাকে রক্ষা করেন। সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এই কুশীলব তার ঘাড়ে চেপে বসেন এবং এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য পরামর্শ দেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর ওই কুশীলব আইনজ্ঞ প্রকাশ্যেই বলেছিলেন তিনি প্রধান বিচারপতি সিনহাকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেবেন, যে কথাটি জাতীয় দৈনিকসমূহে ছাপা হয়েছে। সেই কুশীলব প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোকের সাহায্যে সিনহার সঙ্গে সাক্ষাত করতেন। সেই কুশীলব সিনহাকে পাকিস্তানের তুলনা এনে বলতেন পাকিস্তান সুপ্রীমকোর্ট যদি তিন তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারে তাহলে আপনি কেন পারবেন না। এর মধ্যে একটি সুযোগও সেই কুশীলবরা তৈরি করে দিয়েছিলেন। তার যে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি বিফল রিট করিয়েছিলেন এই কুশীলব। যদিও তিনি নিজেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হাইকোর্টে রিটটি বিফল হওয়ায় ওই কুশীলবের প্ররোচনায় আপীল বিভাগে আপীল করা হয় এবং সিনহার পদত্যাগের পূর্বে যে কোন সময় এটি শুনানি করে ওই ১৫৩ জনকে অবৈধ ঘোষণা করে সংসদ তথা সরকার অবৈধ এ ধরনের রায় দেয়ার সমস্ত প্রস্তুতিই শেষ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। আর মাত্র কয়েকদিনের ব্যাপার ছিল। আর ক’দিন ক্ষমতায় থাকতে পারলেই তিনি এটি করতেন বলে নিশ্চিতভাবে জানা গেছে। সিনহা তাকিয়ে থাকতেন পাকিস্তানের দিকে। এর কারণও রয়েছে। তিনি প্রকাশ্য আদালতেই বলেছিলেন, ’৭১ এ তিনি শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে পাকিস্তানী সৈন্যদের পক্ষে কাজ করেছেন। পাকিস্তান সুপ্রীমকোর্টের ভয়ও তিনি এ্যাটর্নি জেনারেলকে দেখিয়েছিলেন প্রকাশ্যে আদালতে। কিন্তু বাংলাদেশ তো পাকিস্তান নয়। মিয়ানমারের মতো পাকিস্তান তো পর্দার আড়াল থেকে শাসন করছে সে দেশের সেনাবাহিনী। সেদেশে গণতন্ত্র কখনও খুঁটি গাড়তে পারেনি। আর আমাদের দেশে রয়েছে গভীর গণতন্ত্রের ভীত্তি, আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিযুদ্ধেরই ফসল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা গণতন্ত্রের ঐতিহ্যে লালিত এই বাহিনীর দেশপ্রেম এবং গণতন্ত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত।
আমাদের পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সিনহাও ১/১১-এর কুশীলবদের, যাদের মূল ব্যক্তি হচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র এবং প্রত্যক্ষ মদদে বলিয়ান হয়ে পাকিস্তান সুপ্রীমকোর্ট স্টাইলে আমাদের দেশেও বিচার বিভাগীয় অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে ফেলেছিলেন।
১/১১-এর কুশীলবরা তাকে রাষ্ট্রপতি পদে পদায়নের লোভ দেখিয়েছিলেন। তদুপরি ভারতের প্রখ্যাত এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শ্রী মানস ঘোষ কলকাতার দ্য স্টেটসমেন পত্রিকায় লিখেছিলেন- বিচারপতি সিনহা লন্ডন ভ্রমণকালে খালেদা জিয়ার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বিচারপতি সিনহাকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে বিচারপতি সিনহ্াকে রাষ্ট্রপতির পদ দেয়া হবে।
এ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই সমস্ত পুরনো ঐতিহ্য ভঙ্গ করে প্রায় প্রতিদিনই বিচারপতি সিনহা কোথাও না কোথাও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে থাকেন এই বলে যে, দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, সংসদ সদস্য অযোগ্য, অশিক্ষিত, নির্বাচন কমিশন অযোগ্য ইত্যাদি। তার অতীত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায়ও সিনহা দমেননি। নতুন করে শিং বাঁকাতে চেষ্টা করছেন। তিনি ভাবতে পারছেন না অতীতের মতো এখনও তার সব ষড়যন্ত্রই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে, বুঝতে পারছেন না বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়।
১৬ সংশোধনী মামলায় সিনহা নিজে মামলার বিষয়বস্তু থেকে শত শত মাইল দূরে সরে যেয়ে এমন সব কথা বলেন যার সঙ্গে মামলার বিষয়বস্তুর কোন সম্পর্কই ছিল না যদিও আপীল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিগণ তাদের নিজেদের লেখা আলাদা অবজারভেশনে মামলার ইস্যুর বাইরে কিছুই লেখেন নি। বিচারপতি সিনহা তার অবজারভেশনে এসব কথা লিপিবদ্ধ করে জনমনে এ সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করে তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
জাতির সৌভাগ্য সিনহার দুর্নীতির প্রমাণগুলো জনসমক্ষে এসে গেলে আপীল বিভাগের বাকি চারজন বিচারপতি এই দুর্নীতিবাজ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে অস্বীকার করলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং সেই সঙ্গে দেশও বেঁচে যায়। আমি মনে করি, সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলো চালু করা হলে তার বিষদাঁত ভেঙ্গে যাবে।’
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতির লেখা থেকে সহজেই অনুমেয় যে, অনেক আগে থেকেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন  এস কে সিনহা। উল্লেখ্য গত মাসে লেখা এই কলামে যে বইটির লিখার জন্য লন্ডন প্রবাসী একজনকে অনুরোধ করার ব্যাপারটি উল্লেখ করা হয়েছে  মূলত এই বইটিই সম্প্রতি এস কে সিনহার নামে প্রকাশিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন এস কে সিনহা।