মানবাধিকারের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি মিলল আরও একবার। ২০০৭-০৯, ২০১০-১২ এবং ২০১৫-১৭ মেয়াদে নির্বাচিত
হওয়ার পর বাংলাদেশ আবারো ২০১৯-২০২১ মেয়াদের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার
কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এর ফলে মানবাধিকার নিয়ে বিরোধী দলের
সমালোচনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
নির্বাচিত হওয়ার জন্য জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে ন্যূনতম
৯৭ ভোট প্রয়োজন ছিল। এতে বাংলাদেশ ১৭৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত
হয়। গোপন ব্যালটে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ভোট গণনা শেষে স্থানীয় সময় বেলা
১২টায় ফল ঘোষণা হয়।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সর্বোপরি
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য
অগ্রযাত্রার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতিফলন বলে সদস্য রাষ্ট্রের
প্রতিনিধিরা জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন
মোমেনের কাছে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাটাগরিতে
বাংলাদেশ ছাড়াও আরো চারটি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এগুলো হলো- ভারত,
বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের মার্চে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মূলনীতির আলোকে পরিচালিত এই কাউন্সিলে সদস্য
হওয়ার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে সমানভাবে সদস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে
আফ্রিকা ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৩টি করে আসন বরাদ্দ
রয়েছে। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ৬টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে
৮টি এবং পশ্চিম ইউরোপীয় ও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামগ্রিক অর্থেই
এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের মহাসড়কে উঠার কথা অনেক আগে থেকেই সর্বমহলে উচ্চারিত
হচ্ছে। উন্নয়নের সেই অভিযাত্রায় মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির এ স্বীকৃতি
বাংলাদেশের সর্বস্তরে কাজে দারুণ এক উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে
রোহিঙ্গা রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার পর তাদের দেখ ভালের দায়িত্ব পালনে
বাংলাদেশের ভূমিকার ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটলো বলে জাতিসংঘে নিয়োজিত বিভিন্ন
দেশের প্রতিনিধিরা মনে করছেন।
বাংলাদেশকে ভোট দেওয়া অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা মনে করেন, শেখ
হাসিনার কাছে বাংলাদেশীদের মানবাধিকার যেমন নিরাপদ এবং সমুন্নত, তাই
বাংলাদেশকে ভোট দিলে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মানবাধিকার নিরাপদ থাকবে।
No comments:
Post a Comment