Tuesday, October 2, 2018

তারেক রহমানের অপকর্মের আমলনামা

নিউজ ডেস্ক: তারেক রহমান। বাংলাদেশের ইতিহাসে যাকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বরপুত্র বা রাজপুত্র বলা হয়। আর সেই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজপ্রাসাদ হচ্ছে তারেকের নিয়ন্ত্রণাধীন হাওয়া ভবন। তারেকের সকল অপকর্মের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে হাওয়া ভবন. আসুন জেনে নেই তারেকের অসংখ্য অপকর্মের তথ্য।

১) ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা:  উইকিলিকসের গোপন অনুসন্ধানের নথিতে উঠে এসেছে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ। তথ্য অনুযায়ী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হুজি নেতাদের সঙ্গে তারেকের একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ হয়। সর্বশেষ সাক্ষাতে তারেক তাদের এ্যাকশান ও বিস্ফোরণে যাওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে বলেন।
উইকিলিকসের ওই গোপন নথি বলছে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত-ই-ইসলামি মহাসচিব, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবদুর রহিম এবং ডিজিএফআই পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাকুল হায়দার চৌধুরী ছিলেন। যে বৈঠকে রাজধানীর বনানী হাওয়া ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় চক্রান্তকারীদের মধ্যে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিও ছিলেন। তারা হচ্ছেন, বিএনপি ও জামায়াত জোট এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা, পুলিশ, জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন সিই (এনএসআই) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

অনুসন্ধান তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ জঙ্গি গ্রুপ হারকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেকের বৈঠক হয়। প্রথম সভায় ২০০৪ সালের প্রথম দিকে, হুজি নেতারা নির্বাহীদের পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনা ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা। এতে তারেক রহমান হুজি নেতারা নির্বাহীদের সর্বসম্মত সমর্থনকারীকে আশ্বাস দেন। ২১ আগস্ট হামলার তিন দিন আগে ১৮ আগস্ট হুজি নেতারা বাবরকে নিয়ে মিটিং করেন সাবেক বিএনপির উপ-পরিচালক আবদুস সালাম পিন্টুর বাসভবনে।
১৪ আগস্ট ২০০৪- হাওয়া ভবনে বৈঠক উপস্থিত ছিল তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর নুর জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মুজাহিদ, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান, তাজউদ্দীন।
উইকিলিকসের নথিতে পুরো ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সাহায্য করবে বলে হামলাকারীদের নিশ্চয়তা দেন।
১৬ আগস্ট মিন্টু রোডে বাবরের বাসায় বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করা হয় এবং আক্রমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৮ আগস্ট আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় বৈঠক হয়। পিন্টুর ভাই তাজউদ্দীন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডিউক ও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন হরকাতুল জিহাদের কাছে ১২টি গ্রেনেড হস্তান্তর করে বাবর।
২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় হরকাতুল জিহাদের গ্রেনেড হামলা করে। নিহত হন দলের ২৬ জন নেতা-কর্মী। পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে সকল প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করতে পানি ছোড়া শুরু করে পুলিশ।
তারপর আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই, হামলার মুল হোতা তাজউদ্দীন কে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয় তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডিউক। হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ ও বিএনপির ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাবর এবং পিন্টু জঙ্গি নেতাদের আশ্বাস দেন যে সমস্ত প্রশাসনিক সহায়তা দিবেন।

 এই হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলি পাকিস্তান থেকে চোরাচালান করা হয়েছিল। ডিন, সালাম পিন্টুর ভাই, গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন, যা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ২০ আগস্ট পিন্টুর ধানমন্ডি বাসভবন থেকে মুফতি হান্নানের বাড্ডা অফিসে। তারপর তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আশরাফুল হুদা আওয়ামী লীগের সভা ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনার দিন তড়িঘড়ি বিদেশে চলে যান।

২) এফবিআইর তালিকায় তারেক বিপজ্জনক ব্যক্তি : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।  বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যক্তি তারেক রহমান যাকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।   এর আগে শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল।  ২০০৩ সালে শায়খ রহমান ও বাংলা ভাই সম্পর্কে বাংলাদেশকে বিশেষ বার্তাও দিয়েছিল এফবিআই।  কিন্তু সেই বার্তা আমলে নেয়নি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।  তার পরেই দেশে জঙ্গীবাদে ভয়াবহ উত্থান ঘটে।
রাজনীতিতে নামার পর থেকেই নজরদারিতে থাকা তারেক রহমান শেষ পর্যন্ত এফবিআইয়ের বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন।  তার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে তাকে আশ্রয়দানকারী দেশ যুক্তরাজ্যকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে এফবিআইয়ের তরফ থেকে।  তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে বলে সেই বার্তায় বলা হয়েছে।  আগামী ছয় মাসের মধ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশে বড় ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাতে পারে বলে এফবিআই আভাস দিয়েছে। সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
https://banglanewspost.com/2018/09/30/36153 

No comments:

Post a Comment