Friday, November 8, 2019

ব্যাংক ঋণ পরিশোধে এগিয়ে নারীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারীরা এগিয়ে। তাদের মধ্যে সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও ব্যবসায়ী মনোভাব সব সময় বিদ্যমান থাকে। কাজেই নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলে তা অনাদায়ী হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। 
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল উইম্যানস এসএমই এক্সপো বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছেন। এ দেশ সবার। সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ বানাতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। অসামম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নারী পুরুষ সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ঋণ পরিশোধে পুরুষদের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। তাই তাদের সততা, ঋণ পরিশোধপ্রবণতা পুরুষদের চেয়ে বেশি। বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। এ বাণিজ্যে যখন নারীরা এসেছেন আমরা এগিয়ে যাবোই। এ দেশের নারীরা ইতিমধ্যে অনেক এগিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। 
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে আমাদের জিডিপি ১০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ডলার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে নারী উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণসহ দেশে-বিদেশে নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

Wednesday, October 16, 2019

ঝিনাইদহে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট বর্জন করলেন বিএনপির দুই প্রার্থী!

নিউজ ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতের দ্বন্দ্বসহ বিবিধ ইস্যুতে কেন্দ্র থেকে বিভক্ত তৃণমূল বিএনপি। ফলে কেন্দ্রের মতো তৃণমূলেও বিভাজন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। আর তার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপরে। জনপ্রিয়তার তলানিতে পৌঁছানো বিএনপির সেই বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে ঝিনাইদহে।
জানা গেছে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির দুই প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ও শাহজাহান মোহন।
তবে সরকারের ওপরে দোষ চাপাতে তারা কেন্দ্রের নির্দেশে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে বলে জানা গেছে। উভয় প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা, বাইরের উপজেলা থেকে সন্ত্রাসী এনে স্থানীয় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ না করতে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। যেসব অভিযোগ বিএনপির পুরনো অভ্যাস বলে রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত।
যদিও উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলে বিএনপির অভিযোগের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, যথাসময়ে ভোট শুরু হয়ে নির্বাচন শেষ হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে একজন ভোটার বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পাড়ায় পাড়ায় ত্রাস সৃষ্ট করা, রাস্তা থেকে ভোটারদের ফেরত পাঠানো, কেন্দ্রে ধানের শীষের পক্ষের পোলিং এজেন্ট না থাকাসহ যেসব অভিযোগ বিএনপি করছে তা অমূলক। আমরা কোনো দলের হয়ে কথা বলছি না। যা সত্য তাই বলছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে উপজেলা দুটিতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Wednesday, October 9, 2019

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই আওয়ামী লীগের বড় অর্জন। আমরা চাই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক, শান্তি ফিরে আসুক।

শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো সব ব্যাধি নির্মূল করা হবে। বাংলাদেশে শান্তি বজায় থাকবে, সমৃদ্ধি ও উন্নতি হবে এবং দেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মঠ ও মিশন প্রধান স্বামী পূর্ণাত্মানন্দসহ মিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ তার লেখা বই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই দেশে আমরা ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে পথ চলি।
আমরা সব সময় বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের উৎসবগুলোতে সবাই আমরা এক হয়ে উদযাপন করি। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা অর্জন। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে শিখেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মাবলম্বীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বুকের রক্ত বিলিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। কাজেই সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সব সময় চেয়েছি প্রতিটি ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে, সম্মানের সঙ্গে পালন করবে।
সেই পরিবেশটা সৃষ্টি করা এবং আমরা তা করতে পেরেছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সেই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মনে আনন্দ উৎসব আছে বলেই আজ পূজার সংখ্যা বেড়েছে। আমরা সব ধর্মের মানুষ উৎসব পালন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, শুধু ঢাকা শহর নয়, প্রতিটি জায়গায় পূজা-পার্বণ চমৎকারভাবে হচ্ছে। আরেকটি উৎসব আমরা করি সেটা হল- পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষ সবাই সেদিনটি উদযাপন করি। আমরা পহেলা বৈশাখে উৎসব ভাতা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, যখন আমাদের ঈদের জামাত হয় তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের যুব সমাজ কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। আবার যখন পূজা-পার্বণ হয় তখন আমাদের মুসলমান যুবকরা সেখানে উপস্থিত থাকে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। এই সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে পারি। সব ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে- শান্তি, মানবতা।

Thursday, September 26, 2019

জি কে শামীম ও খালেদ ভূঁইয়া প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা দিতেন তারেক রহমানকে!

নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রতিমাসে দু কোটি টাকা করে পাঠাতেন গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের কথিত নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশান থেকে র‌্যাবের হাতে আটক টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম ও খালেদা মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির দলীয় ফান্ডে তিনি নিয়মিত অর্থ দেন এবং তারেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তারেককে প্রতিমাসে এক কোটি করে চাঁদা পাঠাতেন শামীম। হুন্ডির মাধ্যমে লন্ডনে এই টাকা পাঠাতেন তিনি। সঙ্গে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, তিনিও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় প্রতি মাসে এক কোটি টাকা পাঠাতেন তারেক রহমানকে।
রিমান্ডে আরো জানা যায়, জি কে শামীম গত দশ বছরে ৪ বার লন্ডনে গিয়েছেন। প্রত্যেকবারই বিভিন্ন স্থানে তারেকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মাধ্যমেই তারেকের সঙ্গে শামীম নিয়মিত যোগাযোগ করেন। প্রতিমাসে ২ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাতেন।
উল্লেখ্য, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতা। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী খন্দকার আব্দুর রশিদ, সাঈদ ফারুক রহমান ও বজলুল হুদা ৮০-এর দশকে গঠন করেন বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। ১৯৮৭ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডার মানিক ও মুরাদের হাত ধরেই খালেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির ক্যাডাররা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা করে। এতে খালেদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন অংশগ্রহণ করেছিল। এ হামলায় অভিযুক্তের প্রাথমিক তালিকায় খালেদের নাম থাকলেও ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার নাম বাদ দেয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন খালেদ মাহমুদ।
অপর দিকে সাত বডিগার্ডসহ আটক হওয়া যুবলীগের কথিত কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এর আগে ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা ছিলেন। বিভিন্ন টেন্ডার ইস্যুতে বরাবরই তারেক রহমানকে টাকা দিয়ে আসছিলেন শামীম। মূলত বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতেন শামীম।

পদবাণিজ্য ও দলীয় কোন্দলের জেরে নওগাঁয় বিএনপি নেতা নিহত, বিব্রত মওদুদ!

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলীয় কোন্দল, প্রভাব বিস্তার ও পদ নিয়ে হানাহানি কমেনি বিএনপির রাজনীতিতে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভেদ ও মতপার্থক্যে দলটির রাজনীতি বেহাল হয়ে পড়েছে।
এবার বিএনপির পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতির বলি হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওয়াহেদ আলী। ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। নিহত ওয়াহেদ আলী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং করিমপুর গ্রামের তাছির আলীর ছেলে।
তথ্যসূত্র বলছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদ আলীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা ও সাপাহার উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালেক চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দুটি গ্রুপ ছিল। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খঁড়িবাড়ি বাজার সেডে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা সভায় ডা. সালেক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকরা হেলমেট পরে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়। সেখান থেকে রাজশাহীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।
এদিকে দলীয় কোন্দলের জেরে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষ ও হানাহানির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। এখানে যেমন ভালো নেতা আছেন, তেমনি খারাপ-দুর্নীতিবাজ নেতাও রয়েছেন। সত্যি বলতে যারা পদবাণিজ্য ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি করে তাদের কোন দল হয় না। তৃণমূল বিএনপির অপকর্মের কারণে আজকে হাইকমান্ডকে বিব্রত হতে হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মনে রাখা উচিত, বিএনপি প্রতিহিংসা ও পদবাণিজ্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

পিঠ বাঁচাতে ক্যাসিনো ইস্যুতে মুখে কুলুপ মির্জা আব্বাসদের, সমালোচনার ঝড়!

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোতে মদ-জুয়া বিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহল সরকারের প্রশংসা করলেও বিরোধী দল বিএনপি বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে নানা সমালোচনা করলেও দলটির বেশিরভাগ নেতা এই ইস্যুতে নীরবতা অবলম্বন করেছেন।
জানা গেছে, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। কারণ ক্যাসিনো, মদ, জুয়া ও হাউজির সংস্কৃতি রাজধানীতে পরিচয় করিয়েছিল বিএনপি, এমন শঙ্কায় নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে করছেন দলটির নেতারা। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে ক্যাসিনো ও জুয়া বিরোধী চলমান অভিযানে বিএনপির নীরবতার বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপির রাজনীতির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোসাদ্দেক আলী ফালুর মতো নেতার সহযোগিতা ও প্রচ্ছন্ন মদদে রাজধানীর বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাব ও অভিজাত হোটেলে মদ, জুয়া, হাউজি এবং ক্যাসিনোর অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়। এসব অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এই টাকার বড় একটি অংশ কানাডা, লন্ডনে পাচার করেন বিএনপির এসব নেতারা। এছাড়া ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এলে ক্যাসিনো ও জুয়ার ব্যবসা বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মির্জা আব্বাস ও খোকা। পরবর্তীতে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মদদে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্লাব পাড়াগুলোতে জুয়া ও মদের আসর বসান তারা। বিনিময়ে তারেক রহমানকে ১৫ শতাংশ কমিশন দিতে হতো বিএনপি নেতাদের।
জানা গেছে, বিএনপি নেতাদের মদ, জুয়া, হাউজি ও ক্যাসিনোর বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলেন খোদ দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু দল ও দল পরিচালনার স্বার্থে তিনি এসব নেতাদের কিছু বলতেন না।
ক্যাসিনো ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের নীরবতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, আসলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে বিএনপি নেতারা ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না। কারণ আকাশের দিকে মুখ করে থুথু ছেটালে সেটি নিজের গায়েই পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতেই ক্যাসিনো ইস্যু এড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু মনে রাখা উচিত, পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না।

Tuesday, September 17, 2019

তারেক রহমানের চাপে পদত্যাগ করলেন সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন!

নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় দল থেকে পদত্যাগ করেছেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মাঈন উদ্দিন।
১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এবার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নবীনগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে। এ অবস্থায় ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাঈন উদ্দিন নাটকীয়ভাবে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
মাঈন উদ্দিন বলেন, তারেক রহমান স্বেচ্ছাচারিতা করে আমাকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। অর্থের বিনিময়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অন্য একজনকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। তাই আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
এদিকে, মাঈন উদ্দিনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন থেকে ২৭ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
মাঈন উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও কেবল মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারেক রহমান অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছেন। তাই আমি দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে পৌরসভাবাসী। তারাই আমার দল ও প্রতীক। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। কে কি বললো এটি আমাদের দেখার বিষয় না। প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে সরাসরি তারেক রহমানের নির্দেশে। এটি নিয়ে অপরাজনীতি করার সুযোগ নেই।

আরপিও লঙ্ঘন : নির্বাচন কমিশনের জালে বিএনপি, শঙ্কায় নেতারা

নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে দল ও দলের নেতাদের। এবার দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সৃষ্ট নানামুখী জটিলতার মধ্যেই নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিএনপি।
আইন সংশ্লিষ্টদের মতে, ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজে বিএনপির হস্তক্ষেপের কারণে খেসারত দিতে হতে পারে বিএনপিকে। কেননা, আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনকে নিজেদের অঙ্গসংগঠন রাখতে পারবে না। ছাত্রদল এখন বিএনপির সহযোগী সংগঠন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন পরিচালনা করছেন, যা আরপিওর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
সূত্র বলছে, ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বরাবরই বিএনপি নানা তৎপরতা চালিয়েছে। এমনকি বিএনপি শীর্ষ নেতারা কাউন্সিল নিয়ে মাতোয়ারা ছিলেন। ফলে রাজনৈতিক দল হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন পরিচালনা করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়। এ নিয়ে বেশ হতাশ নেতারা। তারা বলছেন, আইন জেনেও সংগঠনের করুণ অবস্থা বিবেচনায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন বাকিটুকু নিয়ে আমরা চিন্তিত।
এ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কথা বলতে রাজি হননি কেউই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের প্রায় প্রত্যেক নেতাই এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির আইনজীবী ফোরামের একজন আইনজীবী বলেন, বিষয়টি যেমন শুনছেন ঠিক তেমনই। আমরা ছাত্রদলের সংকট সমাধানে গোপনে কাজ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসায় আইন লঙ্ঘনের ফাঁদে পড়ে গেছে বিএনপি নেতারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের ব্যাপার।

এ পি জে আব্দুল কালাম স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত শেখ হাসিনা

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা, দেশের জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা বিশেষত নারী ও শিশুদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
৮৪ বছর বয়সে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মারা যান ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে কালাম। এরপর তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয় ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কার প্রবর্তনের পর ২০১৬ সালে প্রথম এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে। পরের দু’বছর এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ঘানা ও মরিশাসের প্রেসিডেন্টের হাতে।
AddThis Sharing Buttons
Share to LinkedInShare to More

শিবিরের আগ্রাসী হামলার শিকার ওসি ও এসআই, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা!

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে গ্রেফতার করতে গেলে আসামির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওসি ও এসআই আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর আহত এসআই ফখরুজ্জামানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে শিবির নেতা মুসার দোকানে পুলিশ অভিযান চালায়। সেসময় সোহানুর রহমান মুসা ও তার সঙ্গীরা দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকলে ওসি তদন্ত এবং এসআই ফখরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। সেসময় মুসা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি মুসা একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। ছাত্রশিবির ও ইসলামের লেবাস দিয়ে তার অপকর্ম ঢেকে রাখতেন তিনি।
শিবির নেতার এমন আগ্রাসী মনোভাবে শঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি দুই দফা বৈঠককালে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এবার শিবিরের নেতার এমন ঘটনা ভালো কোনো বার্তা বহন করছে না। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সোচ্চার হওয়া দরকার।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শিবির নেতা মুসা ও তার সঙ্গীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের যেকোনো আগ্রাসী পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত।

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার পদত্যাগ, ফান্ড চুরির শাস্তি বলছেন অন্যরা!

নিউজ ডেস্ক : দলীয় অবমূল্যায়ন, অবহেলা ও হাইকমান্ডের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে প্রায়শই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। হাইকমান্ডের দীর্ঘদিনের অবহেলার শিকার হয়ে দলটির কর্মীরা অসন্তোষ ও ক্ষোভ থেকেই পদত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।
এবার সেই পদত্যাগের তালিকায় নাম উঠালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন। জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবং কেন্দ্রের ক্রমাগত অবহেলার শিকার হওয়ায় তিনি সদলবলে পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।
তথ্যসূত্রের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাইনউদ্দিন। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাইনউদ্দিন বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি দলীয় মনোনয়নের দাবিদার ছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলের মনোনয়ন থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও মেয়র থাকাকালীন আমাকে দলের মনোনয়ন না দেয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
মাইনউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। আসলে মাইনউদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি ফান্ড তছরুপ, উন্নয়ন বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি, কমিশন বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাকে মনোনয়ন দেয়নি হাইকমান্ড। তার নানা অনিয়মের কারণে পৌরবাসী ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, হাইকমান্ডের কাছে তথ্য আছে, মাইনউদ্দিনকে মনোনয়ন দিলে এই নির্বাচনে বিএনপির নিশ্চিত পরাজয় ঘটবে। তাই পরাজয় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এটি নিয়ে অপরাজনীতির সুযোগ নেই।

১০০ স্টার্টআপকে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘হান্ড্রেড প্লাস’ নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ স্টার্টআপ বা উদ্যোগকে তহবিল প্রদানের বিষয়টি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’  উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে অর্থ সহায়তা করবে সরকার। তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে সরকার ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’ গঠন করছে। তরুণদের মধ্যে সব ধরণের ব্যবসায় উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সৃষ্টির জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Sunday, September 1, 2019

ইসলাম ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তারই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। উপরন্তু দেশের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান।
তারই যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নতি করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিদিন সকাল শুরু হয় তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজের মধ্য দিয়ে। শুধু নামায নয়, তিনি নিয়মিত পাঠ করেন কোরআন শরীফ। 
উপরন্তু স্বাধীন দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদের জঙ্গিপনা নির্মূলের সাফল্যও তার সরকারের বড় অবদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, একটি নতুন মানচিত্রের অমর রূপকার।
তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা। ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। 
সীরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠা : বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় সীরাত মজলিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। সীরাত মজলিশ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে রবিউল আউয়াল মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করে। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন।
হজ্জ্ব পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা : পাকিস্তান আমলে হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য কোন সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা ছিলনা। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজ্জ্বযাত্রীদের জন্য সরকারী তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ্জ্ব ভ্রমণ কর রহিত করেন। ফলে হজ্জ্ব পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ : বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সামাধান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তা হল---
১. আল-কোরআনের ডিজিটালাইজেশন: ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা; যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে আদালতের ঐতিহাসিক রায়; জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্র্রসারণ, সুউচ্চ মিনার নির্মাণ ইত্যাদি।
২. বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
৩. জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ।
৪. মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৫. চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্স ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্তকরণ। 
ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা কওমি জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামল ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলছেন, গোটা পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।

Tuesday, August 20, 2019

দ্রুতই হবে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান

দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সংখ্যাকে কাজে লাগাতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এখন থেকে প্রতি বছর বিভিন্নভাবে ১৫ লাখ শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এছাড়া দ্রুতই পর্যায়ক্রমে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
শনিবার সকালে সিলেটের উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ব্যাপক বরাদ্দ দিচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে বই দেয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে। তাই শিক্ষকদের আরো আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষার মান পরিবর্তনে শিক্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থার মান বজায় রাখতে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিশুদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সিলেটের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সরকার খুব আন্তরিক। আন্তরিক। এ জন্য সিলেটের ৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। শিগগিরই টেন্ডারের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ হবে। উন্নয়ন কাজের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের খতিয়ে দেখতে হবে।
শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে সিলেটে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার বেশি। তাছাড়া মাথাপিছু আয় ভালো হলেও সচেতনতায় অনেক পিছিয়ে। তার কারণ শিক্ষা। তাই শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। এ জন্য শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

১৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে তুরাগ নদীর তীরে হচ্ছে পয়ঃশোধনাগার

সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে তুরাগ নদীর তীরে ২০ হেক্টর জমিতে একটি আধুনিক পয়ঃশোধনাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  এতে নির্মাণব্যয় হবে প্রায় ১৪শ কোটি টাকা।  এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। 

ইতোমধ্যে এই পয়ঃশোধনাগার বা স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।   

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পটি উপস্থাপন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।  অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা রয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশ এ ব্যবস্থাপনা না থাকায় এসব এলাকার লেক, খাল ও নদীর পানি দূষিত হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। এতে করে এলাকাবাসীকে বসবাস করতে হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এর মধ্যে পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি ‘সুয়েজ মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে।  এর আওতায় উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি এসটিপি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য বিদ্যমান টঙ্গী-মিরপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন তুরাগ থানার ধউর মৌজায় ২০ হেক্টর জমি নির্বাচন করা হয়েছে।  এই জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে প্রথমবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভায় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত জমির প্রাক্কলন পাঠাতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। জবাবে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত জমিটি ভূমি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমির মালিকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় প্রস্তাবিত জমিতে অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানানো হয়।

পরে ওই জমির বিপরীতে হাইকোর্ট একাধিক রিট পিটিশন মামলা চলমান ও ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় থেকে উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিকল্প প্রস্তাব পাঠানোর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। বিকল্প স্থান নির্ধারণের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা ওয়াসা জানতে পারে, রাজউক ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে (ডিএপি) সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য দিয়াবাড়ি, নলভোগ ও ধউর মৌজায় প্রয়োজনীয় ভূমি চিহ্নিত রয়েছে। কিন্তু এই জমির একটি বড় অংশ সরকার অবমুক্ত করে দিয়েছে। বাকি অংশে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি সংকুলান হবে না বলে রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যানের জন্য চিহ্নিত অংশের পূর্ব পাশের কিছু জমিসহ প্রায় ৫৩ একর জমি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জরিপ করে রাজউকের ছাড়পত্র নেয়া হয়। পরে রাজউক অনুমোদিত জমিতে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করতে ৫৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সিএস নকশা, আরএস নকশা ও সিটি নকশাসহ ল্যান্ড শিডিউল তৈরি করে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলন পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় প্রাক্কলন প্রস্তুত করে সে অনুযায়ী এই ভূমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, সাইট অফিস ও সিকিউরিটি গার্ড শেড নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পুনর্গঠিত প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন তুরাগ থানা এলাকায় ৫৩ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পুরো উত্তরা ও সংলগ্ন এলাকার জন্য সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পয়ঃশোধনাগারটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায় বিএনপি-জামায়াত

নিউজ ডেস্ক: আজ ঐতিহাসিক ১৭ আগস্ট। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ভয়াল দিন। ২০০৫ সালের এ দিনে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) একযোগে ৬৩ জেলার ৪৩৪ স্থানে বোমার বিম্ফোরণ ঘটায়।
২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে সরকারি এমপি মন্ত্রীদের মদদে সারা বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা। মুছে যায় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাড়া দেশের ৬৩ টি জেলায় মোট ৪৩৪ টি স্থানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। ওইদিনের ঘটনায় দু’জন নিহত এবং অর্ধশত আহত হন। দেশে এরপর শুরু হয় জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলা।
পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ শতাধিক। ওই বছরের ৩ অক্টোবরে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর এবং লক্ষীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতি এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইজনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। নিহত হয় আত্মঘাতি হামলাকারী জঙ্গিও।
১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে দায়ের করা হয় ১৩৮ টি মামলা। হামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১ হাজার ৪০০ জন গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে ৯৮১ জনকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়। এছাড়া, রাজধানীর ৩৩ টি স্পটে বোমা হামলার ঘটনায় ১৮ টি মামলা দায়ের হয়। এই ১৮ টি মামলার মধ্যে ৫ টি মামলার বোমার বাহককে এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।

জাতির পিতাকে দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুনিরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৫অগাস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় শোক দিবস’উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে খুনের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। এই খুনিরাই বঙ্গবন্ধু পরবর্তী রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছে এবং ক্ষমতায় এসেছে। এক সময় এই খুনিরা এক হয়ে জোট বেঁধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলো।
তিনি বলেন, খুনিদেরই দোসর বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতও পরিবর্তন করে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি।
যোহরের নামাজের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৩ সালের মধ্যেই সকল প্রাইমারি স্কুলে দেওয়া হবে দুপুরের খাবার

২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাইমারি স্কুলে শিশুদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে। বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলায় শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। এর বদলে শুধু শুকনো খাবার দেয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সরকার। প্রতিটি শিশুর জন্য দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা। এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রীসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আরও রয়েছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইনসহ বেশকিছু অবহিতকরণ প্রস্তাব। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলার কিছু স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে রান্না ও শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীর ভর্তি শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। উপস্থিতির হার আগের তুলনায় ৫-১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 যেসব স্কুলে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে সেখানে উপস্থিতির হার বেড়েছে ১১ শতাংশ আর শুকনো খাবার (বিস্কুট) দেয়া স্কুলগুলোতে বেড়েছে ৬ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের রক্তস্বল্পতার হার কমেছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৭ ও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এসব স্কুলের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও কমেছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের চলতি মেয়াদেই দেশের সব প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে।
 নানা জটিলতায় সেখানে শুকনো খাবার (ডিম, কলা ও উন্নতমানের বিস্কুট) দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারকরা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় কিভাবে নির্বাহ করা হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, রান্না করা খাবারের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিতে। এতে প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ফান্ড দিচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। তবে আগামীতে এ প্রকল্প সরকারের টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) চূড়ান্ত করা হবে। এতে রান্না করা ও শুকনো খাবার দুটো প্রস্তাবই থাকবে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল যেটি পছন্দ করবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি শিশুর জন্য প্রতিদিন ২০-২২ টাকা বরাদ্দ ধরে ডিপিপি তৈরি হচ্ছে।
প্রস্তাবিত নীতিতে বলা হয়েছে- প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী দেশের সব শিশুকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল নীতির আওতায় আনা হবে।
তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় যথার্থ আবদান রাখা যাবে। এ কার্যক্রম শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিসহ গ্রাম ও শহর, ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে শিক্ষার মানের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে।
শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধন, চিন্তা ও কল্পনা শক্তির বিকাশ, সৃজনশীলতা এবং দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত হতে ভূমিকা রাখবে। এটি কার্যকর হলে প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি, উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, পাঠে মনোনিবেশ ও বিদ্যালয় ধরে রাখতে অবদান রাখবে।
শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে এতে আরও বলা হয়েছে- ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৫ দিন রান্না করা খাবার এবং একদিন উচ্চপুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে কাজের সুযোগ হবে ১৪ হাজার তরুণের

দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।  তারই ধারাবাহিকতায় বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  ২০২১ সালের মধ্যেই আইটি খাতে কর্মতৎপরতার জন্য বিশ্ব রাজশাহীকে চিনবে নতুন নামে।  আরো জানা গেছে, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, আমেরিকার সানফ্রানসিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি হবে।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ দশমিক ৬৩ একর জায়গার উপর ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি করা হচ্ছে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের অবকাঠামো।  এখানে গড়ে তোলা হবে ১০ তলা একটি ভবন।  এছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আইটি ইনকিউবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।  আগামী তিন বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশের ২৮টি পার্কের কাজ শেষ করতে চায় সরকার।  এসব আইটি পার্কে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।  আর পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে জানা গেছে।

তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, সরকারি সেবায় সুবিধা পাচ্ছে দেশবাসী

সরকারি সেবা সহজ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।  ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার মাধ্যমে সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে সরকার এরই মধ্যে ই-গভর্মেন্ট সেবা চালু করেছে।

জানা গেছে, দেশে দেড় হাজারের মতো সরকারি সেবা রয়েছে।  এসব সেবা ডিজিটাইজড করার মাধ্যমে দুর্নীতির মাত্রা জিরো লেভেলে আনতে কাজ করছে সরকার।  পাশাপাশি জনসেবার বিষয়টি মাথায় রেখে হয়রানি বন্ধে সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের সুবিধা পেতেও শুরু করেছে দেশবাসী।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবার মান বৃদ্ধির কারণে সরকারি সেবা হয়েছে সহজলভ্য ও এবং সাশ্রয়ী। 
বিভিন্ন তথ্যানুসারে, ডিজিটাল সেবা চালুকরণে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে অল্প সময়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।  জনগণের দ্বারপ্রান্তে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে মডেল রেখে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।  পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশেও ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সেবা চালু হবে।  ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে সেবা।  যার কারণে সরকারি কাজে এসেছে গতি। 
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন, বাস্তবায়ন এবং তদারকিতে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করছে সরকার।  সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় লেগেছে তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া।  যার কারণে দুর্নীতি কমেছে এবং বেড়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।  মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, সরকারি অফিস-আদালত, স্থানীয় পৌরসভা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ই-সেবা।  বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দেয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সেবা এখন তথ্য প্রযুক্তির সেবায় গ্রহণ করতে পারছে মানুষ। 
২০০৮ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেন, তার আগের সরকারের আমলে বাংলাদেশ পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ এখন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের সময়, অর্থ-দুর্নীতি সবই কমে এসেছে৷ আগে কিছু করতে হলে মানুষকে শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত হতে হতো৷ এখন অটোমেশনের ফলে শারীরিক উপস্থিতি যেমন কমছে, তেমনি দুর্নীতিও কমছে৷ গত ৯ বছরে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে সারা বিশ্বে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দুর্নীতির সূচক অনেকটা সম্মানজনক জায়গায় এসেছে বাংলাদেশ।  সবই সম্ভব হয়ে সরকারি সেবা ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনার জন্য।  আগে এটিএম কার্ড ছিল না, মোবাইল ব্যাংকিং ছিল না৷ এখন ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অনলাইন ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ স্থাপনের মাধ্যমে৷ ব্যাংকিং সেক্টরে এখন অর্ধেক লেনদেন অনলাইনে হচ্ছে।  মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।  তেমনি করে কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসছে ডিজিটাইজড সিস্টেমে। 
এক কথায় তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ার পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক চিত্র।  পাল্টাচ্ছে মানুষের জীবনমান।  সরকারি সেবায় গতি ও স্বচ্ছতা বাড়ায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে।

Sunday, July 28, 2019

গুজব প্রতিরোধে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম: সম্পৃক্ততা পেলেই গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক: একের পর এক গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে একটি কুচক্রী মহল। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
পদ্মা সেতুতে শিশুর মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর পর ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ছেলেধরার সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকার গুজবও ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তা থেকে সতর্ক থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
যেকোনো মূল্যে গুজব প্রতিহত করতে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, গুজবকারী এবং গুজব ছড়াতে সহায়তাকারীদের প্রতিহত করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম। যারা এসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, একটি বিশেষ মহল দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরণের গুজব ছড়াচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাহিনীর একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে এবং তারা সারা দেশে কাজ করছে। যারা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে বিশেষ মহলের হয়ে কাজ করছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র মারফত জানা গেছে, এ পর্যন্ত গুজব ছড়ানোর দায়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে গুজবে কান না দিয়ে, গুজবকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করে, তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার, আটক ১

নিউজ ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানো ও সেতুমন্ত্রীকে কটুক্তি করায় এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব। আটক ফারকান হোসেন উপজেলার ধারারচরের সোনা মিয়ার ছেলে।
জামালপুর র‍্যাবের সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক এসপি মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া জানান, Md Sonju khan ফেসবুক আইডি থেকে ‘সেতুমন্ত্রীর মাথা কেটে প্রথমে পদ্মাসেতুতে দেয়া হোক। তারপর অন্য মায়ের সন্তানদের মাথা’ স্ট্যাটাস দেয়ায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এসপি তোফায়েল আরো জানান, কয়েকদিন ধরে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে, পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব গুজবে কান না দিতে সবাইকে আহবান জানিয়েছেন এসপি তোফায়েল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা

জানা যায়, গত ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখ রাত্রি আনুমানিক দেড় ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডা শান্তিবাগ জামে মসজিদের বর্ধিতাংশের একটি টিনশেড হতে একটি অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। যেখানে মসজিদের ইমাম/মুয়াজ্জিন অবস্থান করে থাকেন। উক্ত অগ্নিকাণ্ডে মসজিদের একটি কার্পেট, একটি কাঠের তৈরি খাটিয়া পুড়ে যায়, মসজিদের ফ্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ছাদের এক পাশের পলেস্তরা খসে পড়ে। জানা যায়, ওই সময়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা সামায়েল আহম্মেদ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ঘটনায় আর কোন জানমালের ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টিকে নিয়ে মসজিদের সভাপতি কাজি নুরুল হক বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কর্তৃক আগুন দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণে উক্ত আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
জানা যায়, সামান্য এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সরকার বিরোধী দল ফেইক ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে এটাকে ধর্মীয় কোন্দলে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকার কর্তৃক এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

নৌসম্পদকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প

বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় এবং ক্রমবিকাশমান শিল্প। নদী পথেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগ প্রবাহিত হয়। নয় বছর আগেও দেশে রেজিস্ট্রিকৃত অভ্যন্তরীণ নৌযানের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। কিন্তু দিন বদলের পালে হাওয়া লেগেছে দেশের  জাহাজ শিল্পেও। বর্তমানে রেজিস্ট্রিকৃত নৌ পরিবহনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার। যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। প্রায় ১১.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌ রুটে মোট ৩২ কোটি ৭৬ লক্ষ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় বিগত নয় বছরে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার নদীসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ১৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছে। 
জাহাজ নির্মাণ শিল্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো আরো একটি প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গুণগত মানসম্মত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি মোট ২৭টি জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।
বাংলাদেশের আগে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জাহাজ নির্মাণশিল্প সুরক্ষা দিতে নানা পদক্ষেপ নেয়। যেমন ভারত সরকার ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাহাজের রফতানি মূল্যের ওপর ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা অনুমোদন করেছে। চীনের উদ্যোক্তারা স্বল্প সুদে ঋণের পাশাপাশি নিজেদের কাঁচামাল ব্যবহারে ভর্তুকি পাচ্ছে। মন্দা থেকে এই ভারি শিল্প খাতকে সুরক্ষা দিতে এসব উদ্যোগ নেয়া হয় দেশগুলোতে। বর্তমানে এই শিল্পে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ এবং ১ লাখ আধাদক্ষ কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। দেশে আনুমানিক ১০ হাজার টন ক্ষমতার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাহাজ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ১১টি স্থানীয় শিপইয়ার্ড রয়েছে। নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত দেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা শিপইয়ার্ডে এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে যুদ্ধ জাহাজ। চট্টগ্রাম ড্রাইডকেও যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। 
রফতানির নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীরা এ খাতে মনোযোগী হলে আগামীতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক খাতে নতুন এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে। প্রতিবছর আয় হবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। এ খাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক দক্ষ শ্রমিকের। শুধু তাই নয়, জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ সুযোগ পেলে এ খাতটি দেশের বিদ্যমান সব ক’টি খাতকে ছাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রথম স্থানে চলে যাবে। সরকারি-বেসরকারি এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে পুঁজি বিনিয়োগকারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের গর্বিত অতীত আছে। বলা যায়, জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ আবার সেই গৌরবোজ্জ্বল অতীত ফিরিয়ে আনার পথে। এদেশে নির্মিত জাহাজ বেশ উন্নত বলে ইউরোপে প্রশংসিত হয়েছে।

পাবনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে সভা

ভোক্তাদের সেবার মান নিশ্চিতে দেশের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এবং এ কাজে জনসাধারণও যাতে এগিয়ে আসে সে কারণে পাবনার আটঘরিয়ায় নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা ওষুধ প্রশাসন ও আটঘরিয়া উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আটঘরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন। অন্যান্যের মধ্যে জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কেএম মুহসীনিন মাহবুব, উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. আবু মুসাসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল ওষুধ সংরক্ষণের জন্য পাত্র বিতরণ করা হয়।

২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে কৃষকরা

টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশে কৃষিখাতে আরো বিস্তার ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০) কৃষকদের জন্য ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে ব্যাংকগুলো, যা গত অর্থবছরের (২০১৮-১৯) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ এ নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালায় বলা হয়, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবারও কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণ করবে ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে।  যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে মোট ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন কৃষক কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশনের (এমএফআই) মাধ্যমে ১৬ লাখ ১ হাজার ৮৫৬ জন নারী প্রায় ৭ হাজার ১৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন।
ওই অর্থবছরে ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৩২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন। চর ও হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষক প্রায় ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। কৃষক ছাড়াও পোল্ট্রি শিল্প, দুগ্ধ উৎপাদন, কৃত্রিম প্রজনন ও কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে সহজ শর্তে এ ঋণ পাবেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব প্রতিরোধে ৬১ লাখ আনসার

নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে, একদল মানুষ এমন গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে আতঙ্ক। এটি প্রতিরোধ ও জনগণকে সচেতন করতে ৬১ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মাঠপর্যায়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। এ লক্ষ্যে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ১২ হাজার ৮৮ জন কমান্ডারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যে ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা প্রতিরোধ করতে প্রতিটি গ্রামে আনসার সদস্যরা কাজ করছে। এটি একটি কুসংস্কার। এই গুজবে কান না দেয়ার জন্য গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আনসার লিডার যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এই বার্তা পেয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজবে কান না দিতে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে আনসার সদস্যরা।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ বাহিনীর বিস্তৃতি। স্বাধীনতা যুদ্ধেও এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। বন্যা, দুর্যোগসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আনসার বাহিনী সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
আনসার ভিডিপিকে সামনে এগিয়ে নিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সাড়ে ১২ হাজার আনসার কমান্ডারকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আগে থ্রি নট থ্রি রাইফেল ব্যবহার করা হতো, এখন নতুন ৩০ হাজার অস্ত্র এই বাহিনীর জন্য আনা হয়েছে। আরো ২০ হাজার অস্ত্র আনা হবে।

ছেলেধরা গুজব: গণপিটুনি দিয়ে সাবেক স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা!

নিউজ ডেস্ক: ‘পদ্মা সেতুতে মাথা ও রক্ত লাগবে’ এমন গুজবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ছেলেধরা’ বিষয়ক নতুন আতঙ্ক। ছেলেধরার গুজবে কান দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে। এমন প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন সিরাজ নামের এক প্রতিবন্ধী।
যদিও, সিরাজের ভাই ও এলাকাবাসীর দাবি- ছেলেধরার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যায় উসকানি দিয়েছেন নিহত সিরাজের সাবেক স্ত্রী।
এদিকে, সিরাজের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রোববার (২১ জুলাই) বেলা ১১টায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি, সিরাজের ডিভোর্সি স্ত্রীর দেয়া ভুল তথ্য ও ছড়ানো গুজবে ছেলেধরার অপবাদে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন সিরাজ।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া আল-আমিন নগর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন সিরাজ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে শামসুন্নাহারের সঙ্গে বাক-প্রতিবন্ধী সিরাজের বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। চার ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় সিরাজ। বাক-প্রতিবন্ধী সিরাজ কখনো কারো সঙ্গে বিবাদে জড়াতো না। বাড়ির অন্যান্যদের উপর বোঝা না হয়ে নিজেই রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি।
এক বছর পূর্বে এলাকার বিদ্যুৎ মিস্ত্রী আ. মান্নান ওরফে সোহেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার। একপর্যায়ে উভয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এসময় সিরাজের স্ত্রী তাদের কন্যা মিনজুকেও সঙ্গে নিয়ে যায়।
এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে স্ত্রী-কন্যার সন্ধান চালান সিরাজ ও তার স্বজনরা। কিন্তু কোনো হদিস পাননি। এমন পরিস্থিতিতে ৫ থেকে ৬ মাস আগে স্ত্রী শামসুন্নাহার ডিভোর্স লেটার পাঠান সিরাজকে। সেই থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সিরাজ। স্ত্রীকে না পেলেও নিজে নিজে কন্যাকে সন্ধান করতে থাকেন। কিছুদিন পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি আল আমিন নগর এলাকায় কন্যার সন্ধান পান সিরাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, শনিবার কন্যা মিনজুকে দেখতে গিয়েছিলেন সিরাজ। নিজের কাছে টাকা না থাকায় বাসার পাশের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১০০ টাকা ধার নেন সিরাজ। এ টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য চুড়ি ও লিপস্টিক কিনে তাকে দেখতে যান সিরাজ।
এদিকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তার সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামী আব্দুল মান্নান ওরফে সোহেল তাকে দেখে ফেলে। সে সময় আব্দুল মান্নান ছেলেধরা বলে চিৎকার করলে এলাকাবাসী সিরাজকে গণধোলাই দেয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে এলাকাবাসী ও তার মেঝো ভাই আলম এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। এ সময় সিরাজ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মিছিলও করে এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকার ঠিকাদার মোহর চানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সিরাজ। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন থানার মুগিয়া বাজার এলাকায়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

Friday, July 19, 2019

বাংলাদেশের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা (৬০ মিলিয়ন ডলার) শিগগির পরিশোধ করবে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের অনুরোধে জাতিসংঘ এই টাকা দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে।

সেনাপ্রধানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল তৎক্ষণাৎ ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। আর বাকী অর্থ অল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ৮ ও ৯ জুলাই সদর দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ সদর দফতরের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। 
পরে তিনি সেনাপ্রধানকে বাংলাদেশ মিশনের কর্মপরিধি সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
সফররত সেনাবাহিনী প্রধান সেক্রেটারি জেনারেলের সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কর্লোস উমবার্তো লতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সামরিক উপদেষ্টা বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও মানবিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের স্বতঃস্ফুর্ত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। সামরিক উপদেষ্টা খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস দেন। 
এছাড়া, সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, স্পেশাল ফোর্স ও র‌্যাপিডলি ডেপ্লয়েবল ব্যাটালিয়ান মোতায়েনেরও প্রস্তাব দেন। 
এ সময় সামরিক উপদেষ্টা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে জাতিসংঘ সদর দফতরে একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে  শান্তিরক্ষা মিশনের ফোর্স জেনারেশন প্রধান হিসেবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের ৩১ বছর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণে প্রথম এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হলো। পাশাপাশি সামরিক উপদেষ্টা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সংস্থাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অফ অপারেশনাল সাপোর্ট মিস লিসা এম বাটেনহেইম এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের সময় সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ সরকারের পাওনা ৬০ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা) পরিশোধের অনুরোধ করেন। সেনাবাহিনী প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল তৎক্ষণাৎ আড়াইশো কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। আর অবশিষ্ট অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন। 
পরে সেনাবাহিনী প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, পিস অপারেশনস মিস্টার জন পিয়েরে ল্যাক্রয় এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সেনাবাহিনী প্রধান ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলোতে বাংলাদেশের সেনা মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। বিশেষ করে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সেনা পাঠানো বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক প্রস্তুতির বিষয়েও সেনা প্রধান তাদের অবহিত করেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

সম্প্রতি হঠাৎ করেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে রাজধানী সহ সারা দেশে।  শুধুমাত্র গত এক মাসেই  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৫ জন। ফলশ্রুতিতে অনেকেই ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত একটি সংক্রামক রোগ যা ডেঙ্গু ভাইরাসের (A. Aegypti ভাইরাস) কারণে হয়। এডিস নামক এক ধরণের মশার কামড়ে এ রোগ হয়। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। এডিস মশা সাধারণত অভিজাত এলাকায় বড়ো বড়ো দালানকোঠায় এরা বসবাস করে থাকে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিশ মশা প্রতিরোধ করা।
ঘরবাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ও এ-জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে, এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাঙ্ক কিংবা মাটির গর্তে চার-পাঁচ দিনের বেশি কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবাণু বেশি জন্মায়। ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, বাথরুম, ফ্রিজের নিচে ও এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা, যাতে মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো গুরুতর জটিলতা না হয়। সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বর সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। অ্যাসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণভাবে এই জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সঠিকভাবে চললে কয়েক দিনেই ডেঙ্গুরোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যায়। যেহেতু এ রোগের কোন ভ্যাকসিন নেই, তাই মশার সংখ্যা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করা, মশার সংখ্যাবৃদ্ধি হ্রাস এবং মশার কামড় থেকে বেচে থাকার মাধ্যমে ডেঙ্গুজ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।