দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’ এজন্যই দেশের সব নতুন
দুর্নীতিগ্রস্থ দল যোগদান করেছে বিএনপিতে। যাতে অপকর্ম, দুর্নীতি, অর্থ
কেলেঙ্কারি সব একসাথে করা যায়। আর বর্তমানে বিএনপির অবস্থা সবারই জানা।
ধুকতে ধুকতে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে এই দল। খালেদার কারাবাসের পর বিএনপি
অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পরে। যদিও এই অভিভাবকহীনতা অনেকের জন্য পৌষ মাস
হিসেবে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে রয়েছে টাকাখোর তারেক। টাকার জন্য পৃথিবীর সব
কিছু অন্ধ তারেকের কাছে। নিজের দল কোথায় আছে না আছে তা নিয়ে খুব একটা
চিন্তা তার নেই। এই অবস্থায় অর্থ সংকট চরম আকার ধারণ করলেও সর্বদা নিজেরটাই
দেখে আসছে এই তারেক।
বিএনপির সাথে জামায়াতের সম্পর্ক অনেকটা বিড়ালের মতো। কারণ বিএনপির সাথে
জামায়াতের যতই দ্বন্দ্ব থাকুক না কেন বিএনপি জামায়াতকে স্বেচ্ছায় ছাড়বে
না। এর সাথে সংশ্লিষ্ট আছে বেশ কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যা কিনা বিএনপির অস্তিত্ব সংকটের দিনে বেঁচে থাকার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো অর্থ সংস্থান।
আর্থিক অবস্থার দিক থেকে বিএনপির থেকে অনেক উপরে আছে জামায়াত। জামায়াতের
রয়েছে বেশ কিছু আর্থিক, অনার্থিক প্রতিষ্ঠান। যদিও এগুলোর নামে রয়েছে
নানা রকম অর্থ কেলেঙ্কারির মামলার। এই অর্থ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে জামায়াতের
প্রচুর টাকা আয় হয়। আর এই টাকা দিয়েই চলছে বিএনপির ভরণপোষণ।
একটি দল পরিচালনা করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। সেই পরিমাণ
অর্থের যোগান দেয়ার মতো অবস্থা বিএনপির নেই। সেই ক্ষেত্রে দলের সম্পূর্ণ
খরচ চালাচ্ছে জামায়াত। দলের আর্থিক দায় ভার যেহেতু সব জামায়াতের হাত ধরে
হয়ে থাকে সেহেতু আসন্ন নির্বাচনের বিএনপির বাজেটের দায়িত্ব বর্তায়
জামায়াতের দিকে। কারণ বিএনপি কর্মী শূন্য এবং দলের অধিকাংশ নেতারা ব্যস্ত
নিজের আখের গুছানো নিয়ে। এজন্য নির্বাচনী বাজেটের ক্ষেত্রে জামায়াতের করা
অর্থসংস্থানই বিএনপির এক মাত্র ভরসা। আসন্ন নির্বাচনের দৌড়ে টিকে থাকতে
হলে জামায়াতের অর্থ দিয়েই প্রণয়ন করতে হবে নির্বাচনী বাজেট।
No comments:
Post a Comment