নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
বিএনপির মনোনীত ৯ জন প্রার্থী, ঐক্যফ্রন্টের ১ জন প্রার্থী ও ২০ দলীয় জোটের
সাম্যবাদী দলের ১ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। ৫টি আসনে
সর্বমোট ১১ জন প্রার্থী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি
সৃষ্টি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে শঙ্কিত
হয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় একক প্রার্থী
হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। বিএনপি দলীয়
প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার ও বিএনপির
নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। সর্বমোট বিএনপি’র
প্রার্থী আছেন তিনজন।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় একক প্রার্থী হয়েছেন
বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হয়েছেন
সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির
সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা বিএনপির নেতা
মাহমুদুর রহমান সুমন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাতীয়পার্টি দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান
সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। যদি মহাজোট থেকে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে
দেয়া হয় তবে লিয়াকত হোসেন খোকাই পাচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীক। বিএনপি’র একক
প্রার্থী হয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পদত্যাগ করা
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান। এই আসনে বিএনপির
প্রার্থী একক হলেও লিয়াকত হোসেন খোকার জনপ্রিয়তার কাছে তার পরাজিত হওয়ার
সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী দলীয় একক প্রার্থী
হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এ আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী
হয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহ্ আলম। কিন্তু শামীম ওসমানের
মতো জনপ্রিয় নেতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থানে নেই শাহ্
আলমের। ফলে এই আসনেও পরাজয় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বিএনপিকে।
সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনেও একেএম সেলিম ওসমানের বিপরীতে
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মহানগর
বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম। এ ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন
নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন সাম্যবাদী দলের
সাঈদ আহম্মেদ। ফলে ২০ দলীয় জোট, বিএনপির স্বতন্ত্র এবং ঐক্যফ্রন্টের মিলে
মোট ৩ জন প্রতিপক্ষ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিএনপির ভোট কাটা যাবে।
অন্যদিকে শামীম ওসমানের মতো হেভিওয়েট নেতাকে ভোটে পরাজিত করা অসম্ভব বলেই
বিবেচনা করছেন নেতকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আসন
বন্টন ও প্রার্থিতা মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন অবস্থা তৈরি
হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আসনেই জোটের একাধিক প্রার্থী। ফলে দুশ্চিন্তা
হচ্ছে- এই আসনগুলোতে জোটের প্রতিটি প্রার্থীই যেহেতু আলাদা আলাদা ভোট কাটবে
ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। ব্যাপরটা
নিয়ে এ পর্যায়ে এসে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কোন পথ খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment