Sunday, December 9, 2018

বিশ্বজুড়ে ২৬-তম, বাংলাদেশে অদ্বিতীয় শেখ হাসিনা

পারিবারিক পাঠশালা ছেড়ে মাত্র সাত বছর বয়সে পরিবারের সাথে মোগলটুলির রজনীবোস লেন থেকে আজকের জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, ওআইসি, বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীর প্রতিটি পদচারণায় জয়ধ্বনীতে মুখর একটি নাম ‘শেখ হাসিনা ’ যা বিশ্ব বাঙালীর আশা ভরসার প্রতিচ্ছবি।
বর্তমান আধুনিক বাঙালীর কাছে শেখ হাসিনা যেমন অমূল্য সম্পদ তেমনি বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাধর ব্যাক্তিত্ব। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ‘ফোর্বস’ এর তালিকা অনুযায়ী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বের ২৬তম ক্ষমতাধর নারী।
পিতা যেমন তর্জনীর গর্জনে সাত কোটি বাঙালীকে জাগিয়ে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা উন্নয়ন দর্শনে বাঙালী তথা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন বিশ্বের কাতারে। সাবমেরিন থেকে মাটি, মাটি থেকে স্যাটেলাইট, স্যাটেলাইট থেকে বিশ্ব নেতাদের চোখ এখন বাংলাদেশে । বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে।
নিজ দেশ হতে বিতারিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের মাধ্যমে তিনি যেমন সারা বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছেন তেমনি রাষ্ট্রনায়োকচিত জ্ঞান, বক্তব্যে প্রশংসিত হয়ে আবারো আন্তর্জাতিক আলোচনায় বঙ্গকন্যা।
দেশের যেকোনো সংকটে একমাত্র আশা ভরসার মূর্ত প্রতিক হয়ে ওঠা মানুষটির অসামান্য দক্ষতায় অর্থনীতির সবগুলো সূচক ছাড়িয়ে দারিদ্রতা দূরীকরণ,কর্মসংস্থান তৈরী, কৃষি বিপ্লব, শিল্পায়ন, নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য সাফল্য দেশকে নিয়ে গেছে মধ্যম আয়ের দেশে। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় যখন অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকার সমস্যায় জর্জরিত তখন তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিয়ে গেছেন সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনন্য রেকর্ড, সমুদ্রসীমা জয়, মেট্রোরেল স্থাপনসহ নানামুখী উন্নয়নে বাংলাদেশকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সৎ ও দীর্ঘস্থায়ী নারী নেতৃত্বে হয়েছেন ৩য় এবং উপাধি কুড়িয়েছেন ‘দ্যা লেডি অব ঢাকা’র। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ মিডিয়া মাদার অব হিউমিনিটি, শ্রীলঙ্কার গার্ডিয়ানে জোয়ান অব আর্ক, কানাডায় দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ, কলম্বিয়ায় বিশ্ব শান্তির দূত, অক্সফোর্ডে মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন অনন্য গৌরব।
বর্তমানে শেখ হাসিনাকে মনে করা হয় বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতিক । বাংলা সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে মুছে দিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী মহল জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যাকে হত্যায় ১৯ বার চেষ্টা করে গেছে যা হত্যাচেষ্টায় ফিদেল কাস্ত্রোর পরেই শেখ হাসিনার অবস্থান। কিন্তু তিনি লড়ে যাচ্ছেন অকুতোভয় বীর সেনানীর মতো। বিশ্ব প্রশংসা ছাপিয়ে জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে শেখ হাসিনা তার সততা, আত্মত্যাগ, দূরদর্শীতা ও দেশপ্রেমের যে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন এটাই তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব।
শেয়ার করুন:

No comments:

Post a Comment