বিএনপিপন্থী বিতর্কিত ব্যক্তি ডা. জাফর উল্লাহ। একের পর এক অঘটন আর
অযাচিত মন্তব্যের জন্ম দিয়ে রাজনীতির মাঠের ‘অসভ্য চরিত্র’ হিসেবেই পরিচিত
তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন মনোনয়ন ইস্যুতে।
বিএনপিতে চলছে মনোনয়ন বাণিজ্যের মৌসুম। দেশে টিকাদানের বেশ জনপ্রিয়
স্লোগান ‘বাদ যাবে না একটি শিশুও’। এরই ধাঁচে বিএনপিতে স্লোগান উঠেছে ‘বাদ
যাবেনা কোন নেতা’। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে তৃণমূলের নেতারাও দু’হাত ভরে টাকা
কামিয়ে নিচ্ছেন। নির্দ্বিধায় বলা চলে, এসব টাকার কিছু অংশ ভবিষ্যতে
সন্ত্রাস-বোমাবাজিতে ব্যবহৃত হবে।
একাজে সফল হতে এবার বিএনপিকে ব্যবহার করে মনোনয়ন বাণিজ্যে নেমেছেন ডা.
জাফর উল্লাহও। ঢাকা ৬ আসনে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীর সামনে তিনি ঝুলিয়েছেন ‘মন্ত্রীত্বের মুলো’।
সাংসদ হবার স্বপ্নে বিভোর সুব্রত অবশ্য তার এই টোপ গিলেছেন ভালোভাবেই।
‘দল ক্ষমতায় এলে তাকে মন্ত্রী করা হবে’ এমন আশ্বাসে ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে
সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি, বিশ্বস্ত সূত্র জানাচ্ছে এমনটিই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এ আসনটি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছেন ডা.
জাফর উল্লাহ। ক্রেতাও তার পছন্দের ব্যক্তি। আপাতত তার নাম প্রকাশ করা না
গেলেও অচিরেই মোটা অঙ্কের অর্থে এ ধুম্রজাল কেটে যাবে।
প্রসঙ্গত, এ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। তিনি
বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার পুত্র। তবে শেষমুহূর্তে ইশরাককে সরিয়ে
মনোনয়ন দেয়া হয় সুব্রতকে। ক্ষুব্ধ ইশরাক প্রকাশ্যেই গণমাধ্যমে হাইকমান্ডের
উপর ক্ষোভ ঝাড়েন। তার সমর্থকেরাও বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালায় গুলশানস্থ
কার্যালয়ে।
তবে অর্থের ইতিহাস জাফর উল্লাহ’র জীবনে নতুন নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে দানসূত্রে পেয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের
জমি। সেখানেও তিনি ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ আছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে
পড়েন। বাংলাদেশের আস্থা ও গর্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে নিয়েও কিছুদিন আগে
চরম হঠকারী বক্তব্য দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাও
চান।
তবে এবার মনোনয়ন বাণিজ্যের অর্থ তিনি হজম করতে পারবেন, নাকি লন্ডন থেকে আসা ফোনে সব টাকা সেখানেই পাঠাতে হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
No comments:
Post a Comment