Monday, December 24, 2018

দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন বর্জন করবে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে শোনা গেলেও কবে বা কখন করবে তা জানা যাচ্ছিলো না। মূলত, এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঐক্যমতে আসতে পারেননি। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার কর্মীদের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে বলেছে।

ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মাটি কামড়ে থাকতে। ভোটের দিন অভাবনীয় কিছু হবে। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীরা মাঠ থেকে চাপ দিচ্ছে। মাঠে হাতেগোনা কয়েকজন বাদে বিএনপির সব প্রার্থীরাই কেন্দ্রীয় নেতাদের খবর পাঠাচ্ছেন যে, বিএনপির জন্য নির্বাচনের মাঠে থাকা ‘অসম্ভব’ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন কর্মীদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সামনে তিনটি বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। এগুলো হলো:
১. নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি: বিএনপির সামনে প্রথম এবং সহজ বিকল্প হলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা। যে ফলাফলই হোক তা মেনে সংসদে গিয়ে সরকারের সমালোচনা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা। এর ফলে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পাবে বিএনপি। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি ভালো বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
২. ভোটের আগেই ভোট বর্জন: বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী এখন এই পথের কথাই ভাবছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোন দিন নির্বাচন বর্জনের ডাক আসতে পারে। নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কিন্তু সময় যতোই গড়াচ্ছে, ততই আন্দোলনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছে, যেকোন সময় ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন বর্জন করা যাবে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নেই বলেই মনে করছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ। সেক্ষেত্রে নতুন আন্দোলন বিএনপিকে নতুন সংকটে ফেলবে।
৩. ভোটের পর আন্দোলন: বিএনপির অধিকাংশ শরিকরা এখন এই বিকল্প নিয়েই আগ্রহী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা বলছেন, নির্বাচনে জিততে গেলে হয়তো সরকার নির্বাচনে কারচুপি করবে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুললে তা জনসমর্থন বেশি পাবে। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ নেতারা এ ব্যাপারে সায় নেই। তারা মনে করছে, নির্বাচনের পর সরকার আরো কঠোর হবে। এখনই বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। আর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আন্দোলনের কোন সুযোগই দেবে না।
বিএনপির সামনে খোলা এই তিন পথের কোন পথে বিএনপি যাবে- তা দেখা যাবে অল্প ক’দিনের মধ্যেই।

No comments:

Post a Comment