Monday, December 10, 2018

পরাজয়ের আভাসে, তৃণমূল হতাশায় ভাসে

কথায় আছে, ‘দিনের শুরু দেখেই বাকি দিনটুকু কেমন যাবে, সে আভাস পাওয়া যায়’।  বিএনপির বর্তমান অবস্থা দেখেও তাদের ভবিষ্যত আঁচ করা যাচ্ছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাই নন, বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরাও টের পাচ্ছেন ভবিষ্যত দুর্গতি।
বিগত একযুগ ধরেই সাংগঠনিকভাবে নাজুক অবস্থায় আছে বিএনপি। ক্রমেই তাদের দুর্দশা চলে আসছে প্রকাশ্যে।  আন্দোলনের ভুয়া হম্বিতম্বি, মিথ্যা অপপ্রচার, এসি রুমে বসে বিবৃতি পাঠ, জামায়াতপ্রীতি দলটিকে করে তুলেছে হাসির বস্তু।
পাশাপাশি জঙ্গীবাদের মদদদাতা, সন্ত্রাস-দুর্নীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত দলটির জনসমর্থনও একেবারেই তলানিতে।
বহু বছর যাবতই বিএনপি ঘোষণা দিয়ে আসছিলো বর্তমান পদ্ধতিতে তারা নির্বাচনে আসবে না।  তবে শেষমেশ নাকে খত দিয়েই নির্বাচনী ট্রেনে ওঠে পড়েছে তারা।  এতে দলের সমন্বয়হীনতা বেশ ভালোভাবেই ফুটে ওঠে।
তথাকথিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নিয়েও চলতে থাকে নাটক, যা এখনও অব্যাহত আছে।  একেক সময়ে একেক ঘোষণা দিয়ে বিএনপি জাতিকে উপহার দিতে থাকে বিনোদন।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসতে থাকে, বিএনপিতে অস্থিরতা প্রকট হতে থাকে।  দলটি এখন পর্যন্ত একজন মুখপাত্র নির্ধারণ করতে পারেননি। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মতো করে তারা যেমন খুশি তেমন কথা বলে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কন্ঠে ঝরে পড়ছে হতাশা। একে তো দলের দুরবস্থা, তার উপরে নিজেদের অপকর্মে ভোট জুটবে না ললাটে।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এতসব কিছু দেখে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে লাগেজ গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন।  অনেকে তো ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছেন।  উদ্দেশ্য একটিই, দুর্নীতির টাকায় বিদেশে গড়ে তোলা সম্পত্তিতে আরাম আয়েশ করা।
দলের হাইকমাণ্ডের এ হাবভাব বুঝতে পেরে চুপসে গেছে তৃণমূল। সারাদেশের কোথাওই জোর করেও কর্মীদের মাঠে নামানো যাচ্ছে না। ফলে ভাড়াটে লোক দিয়েই জোড়াতালির মাধ্যমে নির্বাচনী কর্মসূচী চালাচ্ছে বিএনপি।
জয়পুরহাটের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সারাদেশের সবাই বলছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এমনকি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের চোখেমুখেও হতাশার ছাপ।  আমরা যারা মাঠপর্যায়ে রাজনীতি করি, তারা আর গাধার শ্রম দিতে রাজি নই। তাই নিজেদের ব্যবসা-চাকুরী নিয়ে ব্যস্ত আছি। এতেই শান্তিতে আছি।

No comments:

Post a Comment