Wednesday, November 28, 2018

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টে বিরোধ চরমে

বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টে আগেই ছিল তুমুল বিরোধ। এবার আসন বণ্টন নিয়ে তা চরম আকার ধারণ করেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেক মতের হরেক নেতা রয়েছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টে। ‘গণতন্ত্রের ধুয়ো’ তুলে তারা এক ছাতার নিচে এলেও মূল মিশন আসলে ক্ষমতাকেন্দ্রিক। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে যেকোনো উপায়ে ঠেকানোর ‘কমন’ লক্ষ্যও রয়েছে তাদের।
তবে এক এক করে তাদের সকল মুখোশই জাতির সামনে অত্যন্ত নোংরাভাবে খুলে যাচ্ছে। ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে কোন আপোষ করবেন না’ কিছুদিন আগেও গণমাধ্যমকে অনেকটা যেচেই একথা বলতেন কামাল-রব গং। তিনি জানিয়েছিলেন জামায়াত বা তারেকের সাথে কোন জোট নয়। কিন্তু তাদের সেসব প্রতিশ্রুতি ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে ক্ষমতার লোভের কাছে।
জামায়াতকে মেনে নিয়ে ও তারেকের বশ্যতা স্বীকার করেই বিএনপির সাথে জোট গড়েছেন রাজনীতিতে অচল মাল খ্যাত এসব নেতারা।
তাতেও শেষরক্ষা হচ্ছে না। বারবার জামানত হারানো এসব নেতারা সুযোগ পেয়ে বিএনপি’র কাছে চেয়ে বসছেন শতাধিক আসন। যেকোনো সময়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃতভাবে বিএনপি এখন বেশ দুর্বল ও গণবিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কলঙ্কই বিএনপির অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি’র দুর্বলতার সুযোগ নিতে ভুল করেননি এসব নেতারা। বাস্তবতা টের পেয়ে আর সঙ্গী হারানোর ভয়ে বিএনপি নেতারাও এতোদিন সরাসরি কিছু বলতে পারেননি। বিএনপি’র অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের গোপন সমঝোতার খবরও চাউর হয় গণমাধ্যমে। তারা সকলে মিলে খালেদা-তারেককে হটিয়ে দলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার বৃহৎ পরিকল্পনা করেছেন-এমন সংবাদ ছিল বিএনপি কর্মীদের মুখে মুখে।
কিন্তু সব দেখেশুনে ক্ষেপে গিয়েছেন লন্ডনে পলাতক, সন্ত্রাস দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত তারেক জিয়া। লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনেই তারেক কামাল-মান্না-রব গংদের একহাত নিয়েছেন।
বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তারেক কামাল-মান্না-রব গংকে জামানতবিহীন নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পরে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকে জোট থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ারও হুমকি দেন তারেক। তারেক বলেন, ‘বিএনপি আমার একার দল। আর কারো কোনো হুকুম এখানে চলবে না। আপনাদের ম্যাডাম খালেদা জিয়া অনুরোধ করলেও আমি আপনাদের দুই থেকে তিনটার বেশি আসন দিতে পারবো না। এতেই আপনাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে, নয়তো ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।
ঐক্যফ্রন্ট ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানায়, ‘আমার কাছে সব খবরই আছে’ একথা উল্লেখ করে তারেক হুমকি দিয়ে বলেন ‘বুড়ো বয়সে আমার পিছনে লেগেছেন! দেশে এলে সবকয়টাকে গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দিবো’।
সূত্র আরো জানায়, এ ঘটনার পরে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ব্যাপক আতঙ্কিত। তারা ফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যাবার সুনির্দিষ্ট অজুহাত খুঁজছেন।

No comments:

Post a Comment