Sunday, November 18, 2018

নির্বাচনের দিন নাশকতা করার নির্দেশ তারেক রহমানের

ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই নীল নকশা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সন্ত্রাসী তারেক রহমান।  জনগণের আস্থা যখন আওয়ামী লীগ সরকারের উপর; ঠিক তখনই নানারকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার পায়তারা শুরু করে দিয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়াতে নতুন ফন্দি আঁটছেন তারেক রহমান। ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে পুলিশের উপর হামলা তারই প্রমাণ। এইসব কোমলমতি শিশুদেরকে দিয়ে অপকর্ম করিয়ে তারা পার পেতে চায় কিন্তু জনগণ তাদের কোনো নীল নকশাকে বাস্তবায়ন হতে দেবে না। মানুষ গুম-খুনের রাজনীতি চায় না, মানুষ শান্তি চায়।
আওয়ামী লীগ সরকার যখন দেশের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রেখে ভোটের সুস্থ পরিবেশ তৈরী করছে তখন জাতিকে বিভ্রান্ত করতে তারেক রহমানের এই মন্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রবাসে বসে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর; কিন্তু তিনি কেন চান কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করুক? তার পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। জনগণ গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন দেখেছে তারপর থেকে এই সরকারকে তারা আবারো ক্ষমতায় বসাতে চায়। আর এদিকে বিরোধী দল পড়েছে তাদের অস্তিত্ব সংকটে। দেশে লুটপাটের রাজনীতির প্রবর্তক ছিল বিএনপি। মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল এই দলটি।  অন্যদিকে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছিল তারেক রহমান।  জাতি তারেক রহমানের শাস্তি দেখার অপেক্ষায়।
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই পেট্রোল বোমার রাজনীতি চালু করেছিলো বিএনপি। মানুষ পুড়িয়ে মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে তারা সদা প্রস্তুত, এটা তারেক রহমানের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। তিনি চান না মানুষ সুখে থাক। শিক্ষার্থীরা জানে তাদের দায়িত্ব। তারা দেশের উন্নতির জন্য পড়াশোনা করে নতুন নতুন আবিষ্কার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে; এজন্য সকল ব্যবস্থা বর্তমান সরকার করেছেন। তারেক রহমানের এসব উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য তাকে চিরতরে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বহিষ্কারের দাবি জনগণের। এমন নৈরাজ্যবাদীকে রাজনীতিতে দেখতে চায় না জনগণ।

No comments:

Post a Comment