Monday, November 19, 2018

বিএনপির ক্ষমতায়ন সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান, বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দেশকে সন্ত্রাসবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। নির্বাচনের আগে নয়াপল্টনে দলটির নেতাকর্মীরা পুনরায় সন্ত্রাসবাদের একটি সূচনা অংশ জনসম্মুখে এনেছে। যা আরও বাড়তে পারে এবং বিএনপি যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসে তবে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের সন্ত্রাসবাদী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের শাসনামলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন, গুম, চাঁদাবাজে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল এদেশের সাধারণ জনগণ। নির্বিচারে মানুষ হত্যা, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে নিজেদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করেছে দলটি।
চলতি বছরে কানাডার ফেডারেল কোর্ট কর্তৃক বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, এ সত্য সর্বজনস্বীকৃত যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত। ফলে সেই দল নিয়ে নতুন করে বলার কিছু থাকে না। ফেডারেল কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা মূলত তাদের শাসনামলে সংগঠিত নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। সুতরাং এ থেকে এই প্রমাণ হয় যে, পুনরায় ক্ষমতায় আসলে বিএনপি তাদের মুখোশ উন্মোচন করে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান ঘটাবে। আর বিএনপি নেতাকর্মীরা তারই প্রমাণ দিলেন ১৫ নভেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে। ফলে তারা যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসে তবে ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দল হিসেবে এবং পূর্বের সন্ত্রাসবাদী চেহারা উন্মোচন করে দেশকে বিভীষিকাময় করে তুলবে ভেবে আমার ভয় হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ছয়জন কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশ ও মদদে নয়াপল্টনে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। এসময় পুলিশের ৩টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের এই অগ্নিসন্ত্রাস ২০১৪ সালের ভয়াবহতা সামনে এনেছিল। বিএনপির নির্বাচনী সহিংসতা ভুলতে বসলেও নয়াপল্টনে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস দেখে মানুষ আবারও আতঙ্ক।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের কিছুটা আস্থা ফিরতে শুরু করলেও নয়াপল্টনের ঘটনায় তারা আবারও শঙ্কিত। বিএনপি দীর্ঘদিন নীরব থেকে হঠান প্রমাণ করলো ক্ষমতার জন্য তারা বারবার জনগণকে জিম্মি করতে পারে। ছড়িয়ে দিতে পারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তাদের কাছে আসলে দেশ বড় নয়, ক্ষমতা বড়। ক্ষমতার জন্য তারা যেকোন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। আর তারা তা তৈরির করার জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীকে ব্যবহার করে। এ কারণেই নির্বাচনে তারা জামায়াতকে ছাড়ল না। সুতরাং বিএনপির সন্ত্রাসবাদকে রুখে দিতে প্রতিটি জনগণেরই সচেতন হওয়া দরকার।

No comments:

Post a Comment