ধানের শীষ যা কিনা দেশের মানুষের খাদ্য যোগান দেয়ার প্রাথমিক অবস্থা। যা
খেয়ে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ জীবন ধারণ করে, দেশকে নিয়ে যায় এক উজ্জ্বল
ভবিষ্যতের দিকে। কথায় আছে, আলোর নিচেই থাকে অন্ধকার। তেমনি এই ধানের শীষের
পিছনেও আছে অন্ধকার গল্প। দেশের এক কুখ্যাত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হলো এই
ধানের শীষ তথা বিএনপি।
বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ না রেখে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বা গ্রেনেড
সম্বলিত কোনো ছবি রাখা যুক্তিযুক্ত ছিল। সাধারণত দেশের ঐতিহাসিক অবস্থা ও
একটি দলের কাজের লক্ষ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় দলের প্রতীক। বিএনপির
প্রতীক ধানের শীষ রাখা হলেও তাদের কর্মকান্ড, রাজনৈতিক অবস্থা সব ভুল
প্রমাণিত করেছে।
একটি দেশের রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব সব সময় দেশের জনগণের পাশে থাকা,
জনগণের উন্নয়নে কাজ করা, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের
মানচিত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করা। কিন্তু বিএনপির মূল লক্ষ্য ক্ষমতার
অপব্যবহার করে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসীন হওয়া। এজন্য তারা জীবন্ত মানুষকে
পুড়িয়ে মারতেও দ্বিধাবোধ করে না। দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদকে করেছে নষ্ট। ধস
নেমেছে দেশের অর্থনৈতিক খাতে। তারা দেশের অর্থনীতির মজুদের বদলে করেছে
গ্রেনেডের মজুদ। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বদলে করেছে নিজেদের পকেটের অর্থের
প্রবৃদ্ধি। দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষা করা দেশের নাগরিকের কর্তব্য ও
দেশের কর্ণধারগণ সার্বিক তত্ত্বাবধান করে থাকে। কিন্তু দেশের কর্ণধারগণ যখন
টাকার লোভে নষ্ট করে দেশের সম্পত্তি, তখন দলের প্রতীক ধানের শীষ সব
মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়।
বিএনপি দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়। তারা বিশ্বাসী দেশের মানুষের জানমাল
ক্ষতি করতে। বিএনপির আমলে দেশের উন্নয়নের সুবাতাসের বদলে বয়েছিল মানুষের
চাপা কান্না জড়িত ভারী বাতাস। পাওয়া গিয়েছিলো মানুষের আর্তনাদ। কিন্তু
তাতেও নজর দেননি সেই লোভী বিএনপি। তাদের আমলে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার আর
দেশের হাসপাতালে পোড়া মানুষের আর্তনাদ ছাড়া কিছুই দেশের প্রাপ্তির ঝুড়িতে
কিছুই জমা হয়নি।
No comments:
Post a Comment