Friday, November 2, 2018

খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড, দল ছাড়ছেন বিএনপির একাধিক নেতা(ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন। দুই মামলায় যথাক্রমে ৫ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডের ফলে বিএনপি তথা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রায় অন্ধকার। সূত্র বলছে, এমন প্রেক্ষাপটে দল ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপির একাধিক নেতা।

খালেদার নতুন কারাদণ্ডাদেশের প্রতিক্রিয়ায় খানিকটা আক্ষেপের সুরে বিকল্পধারার সদ্য মনোনীত প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলো এই রায়ের মধ্য দিয়ে। এই রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক অধ্যায়ের যবনিকা টানবে কি না, সেটি এখন বড় প্রশ্ন। কিন্তু এই রায়ের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেলো, তা হলো আগামী নির্বাচনে তাকে দেখা যাবে না। নির্বাচনের আগে তার মুক্তির সম্ভাবনার শেষ আলোটুকুও নিভে গেলো।
শমসের মবিন চৌধুরী আরও বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা ধারণা করেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি জামিন পাবেন। এটা বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা বড় প্রেরণা হতো। এই আশা নিয়েই বেগম জিয়া তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু প্রায় নয় মাসেও বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারেননি তার আইনজীবীরা।
এদিকে, বিএনপির একাধিক আইনজীবী মনে করছিলেন, এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু চ্যারিটেবল মামলায় দণ্ডিত হওয়ার ফলে তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর শেষ সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে গেলো। এখন বিএনপি যদি নির্বাচন করতে চায়, তাহলে বেগম জিয়াকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে হবে।এ প্রসঙ্গে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন বলেন, যদি সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে, তাহলেও নির্বাচন আইন অনুযায়ী বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। বিএনপির প্রধান দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। আবার দলের কিছু নেতার কাছে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিই প্রধান। বর্তমানে আমরা এই দুই দাবির মধ্যে প্রধান দাবি শনাক্তে সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। ফলে দলের অনেক নেতাই, এ দুই দাবিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, খালেদার মুক্তি ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। অথচ এযাবৎকালে খালেদার মুক্তি নিয়ে কোনো জোরালো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। নির্বাচনের মাত্র আছে ক’দিন? এরমধ্যে না হবে আন্দোলন, না হবে নির্বাচনের প্রস্তুতি। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মনে করছেন, এখনো অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন কিনা সেটি বিএনপি মহাসচিবসহ নেতাদের কাছে বড় ইস্যু না। বড় ইস্যু হলো সরকারের পতন। সামনে দেখবেন, কীভাবে সরকার বিপদে পড়ে। সরকার বিপদে পড়বে কিনা সেটিও বড় কথা নয় বরং এই রায় যে বিএনপিকে বিভক্তির পথে নিয়ে যাবে, তা স্পষ্ট।https://youtu.be/yA-1g_2DsYM


No comments:

Post a Comment