নিউজ ডেস্ক: একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার মূল্যবান ভোট ককে বা কিসে দেবেন তা একটু গভীরভাবে ভেবে দেখা আপনার নৈতিক দায়িত্ব। যেহেতু রাজনৈতিক মাঠে নৌকা একটি প্রতীক এবং বিগত সময়ে দেশের জনগণই দেশ শাসনের ভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অর্পণ করেছিলেন সুতরাং জেনে রাখা ভালো- বিগত সময়ে কী পেলেন, আর কেনইবা নৌকায় ভোট দেবেন।
আসুন এমন একটা হিসাব জেনে নিই-
বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন বাংলাদেশ:
২০০৬ সালের চেয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ
৭ গুণ । ৩ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ এখন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা
হয়েছে। এটাকে নিশ্চয় অগ্রগতী বলতে বাধা নেই?
শিক্ষাখাতে বাংলাদেশ:
শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ উপবৃত্তি
প্রদান করা হয়। বর্তমানে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে
জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা
হয়েছে। এমনকি নারীদের বড় একটা অংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সেক্টরে চাকরি পেয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ:
টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যে এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত
উপস্থাপন করেছে। ফলে শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
চিকিৎসা পদ্ধতির উৎকর্ষের ফলে দুরারোগ্য ব্যাধি খ্যাত এমন অসংখ্য রোগ থেকে
মুক্ত করা হয়েছে জনসাধারণের জীবন। খোলা জায়গায় পায়খানা করার রীতি থেকে
ক্রমেই বের করে আনা হয়েছে গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে। প্রতিটা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ এবং সেখানে ৪৭
হাজারেরও বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে বাংলাদেশ:
যোগাযোগ সেক্টরে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে তা আর নতুন করে বলার
অপেক্ষা রাখে না। তার উদাহরণ সবার জানা। এরমধ্যে রয়েছে- পদ্মা সেতু, পুরনো
সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণ, বিভিন্ন নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ, ঢাকা ও
চট্টগ্রামে উড়াল সেতু নির্মাণ, ওভারব্রিজ এবং বিভিন্ন জায়গায় ৪ লেনের
রাস্তা নির্মাণ এবং সড়ক চওড়াকরণ সহ নানান বহুমুখী উদ্যোগ।
শ্রমখাত উন্নয়নে বাংলাদেশ:
এখন আর আগের মতো শ্রমিকদের বেতন আদায় ও বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করতে হয়
না। কারণ সরকারই তাদের ন্যূনতম বেতন আর সেফটি আইন ধার্য্য করে দিয়েছে। যা
শ্রমখাতে একটি দারুন নিরাপত্তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়নে বাংলাদেশ:
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়নকে
ডিজিটালাইজড করা হয়েছে এবং সেখানে তথ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। সবগুলো উপজেলাকে
ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধিসহ
মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ।
শিল্প বাণিজ্য ও রপ্তানি উন্নয়নে বাংলাদেশ:
বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের পাশাপাশি জাহাজ শিল্প, আবাসন শিল্প, ওষুধ
শিল্প, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্প ও আইটি শিল্পে ব্যাপক হারে উন্নতি
করেছে। বর্তমানে এসব থেকে রপ্তানি আয় ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা পাকিস্তানের ৩
গুণ। প্রবাসী রেমিটেন্স ও ব্যাপকহারে বেড়েছে। প্রবাসীদের জন্য প্রবাস
কল্যাণ ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে স্বল্প সুদে প্রবাসীরা ঋণ সুবিধা
পাচ্ছে ।
এছাড়া কৃষিখাত, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, সেচ প্রকল্প, বুলেট ট্রেন
প্রকল্প, পায়রা বন্দর, ঢাকা খুলনা এক্সপ্রেস হাইওয়ে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ
প্রকল্প, ঢাকার চারপাশ ঘিরে সার্কুলার ট্রেন, ঢাকা চিটাগাং হাইওয়েসহ
বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে কল্পনাতীত।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণের উন্নতি, ভেজাল বিরোধী অভিযান সহ নানামুখী উদ্যোগ। সবই হয়েছে এই সরকারের কল্যাণে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনার একটি ভোটের কারণে আরও এগিয়ে যেতে পারে
বাংলাদেশ। আবার আপনার সেই একটি ভোটেই যুগের পর যুগ পিছিয়ে যেতে পারে
উন্নয়ন। আসুন সিদ্ধান্ত নিই।
No comments:
Post a Comment