নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে প্রমাণিত দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি
নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে যৌক্তিক করতে এবং আগামী জাতীয়
নির্বাচনে সুবিধা আদায় করতে ড. কামালকে মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন
লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। তারেক রহমানের শোখানো বুলি
আওড়াচ্ছেন বিতাড়িত ড. কামাল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের লিখে
দেওয়া বক্তব্য পাঠ করে ড. কামাল নিজের বিক্রি হওয়ার বিষয়টি দেশবাসীর সামনে
তুলে ধরছেন বলে আলোচনাও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের উপর প্রতিশোধ নিতেই অর্থ ও
পদবীর মোহে পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মুখপাত্র পরিণত হওয়ায় কঠোর
সমালোচনার মুখে পড়েছেন দল পাল্টানো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া এই
বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা।
সূত্র বলছে, ড. কামালের রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা শুরু হয় আওয়ামী লীগ করে।
আওয়ামী লীগ করে জীবনে তিনি যে পরিমাণ অর্থ-বিত্ত অর্জন করেছেন সেটি আর কেউ
করতে পারেনি। দুর্নীতির সব সীমা অতিক্রম করে দলে পরিত্যক্ত হওয়ায় ছিটকে
পড়েন ড. কামাল। ড. কামাল জীবনে শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চার পরিবর্তে বৈধ-অবৈধ
উপায়ে অর্থ উপার্জনকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় রাজনীতিতে সফলতা অর্জন করতে
পারেননি। তিনি এতটাই ঘৃণিত যে প্রতিবার নির্বাচন করে জামানত হারাতে বাধ্য
হয়েছেন। নিয়মিতভাবে নির্বাচনে হারার জন্য তিনি আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন
বারবার। বর্তমানে ড. কামাল বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র দেখে
চিন্তাগ্রস্ত। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রেখে ছড়ি ঘুরানোর স্বপ্নে বিভোর থাকেন ড.
কামাল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তারেক রহমান। বহু
রকমের চেষ্টা তদবির, ষড়যন্ত্র, লাখ লাখ ডলার খরচ করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারেক।
তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবার টাকার কাঙ্গালখ্যাত ড. কামালকে কোটি
কোটি টাকার প্রলোভন দেখিয়েছেন তারেক। শেষ বয়সে হঠাৎ কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে
বিভোর ড. কামাল তাই তারেক রহমানের বুলি আওড়াচ্ছেন। তারেক রহমানের মুখ দিয়ে
তারেক রহমানের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যে
কামাল খালেদা জিয়াকে দুচোখে দেখতে পারতেন না, তিনি হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার
মুক্তি নিয়ে মুখ খোলায় রাজনীতিতে অশুভ শক্তির ছায়া দেখতে পারছেন রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তার মুক্তি নিয়ে ড. কামালের দুশ্চিন্তা ও
প্রেস ব্রিফিং দেখে অনেকটাই হতবাক হয়েছেন দেশবাসীসহ রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক
সমাজ। ড. কামালই প্রথম দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হতে রাজি হননি। তিনি
মির্জা ফখরুলকে অপমানকে করে তার চেম্বার থেকে বের করে দেন। এখন সেই ড.
কামালের মুখে খালেদা জিয়ার জন্য দরদ দেখে আকাশ থেকে পড়েছেন দেশবাসী। শেষ
পর্যন্ত পয়সার কাছে আত্মসমর্পণ করে দণ্ডিত একজন আসামির ইশারায় নাচার জন্য
এবং বিবেক বিক্রি করে স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়ন বিরোধী পক্ষের দালালি করার
জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছেন ড. কামাল। ড. কামালের এমন বুদ্ধি-বিবেকহীন
কাজের জন্য তাকে ষাড়ের গোবরের সাথে তুলনা করেছেন একাধিক রাজনীতিবিদ।
No comments:
Post a Comment