Friday, September 21, 2018

বিএনপি ভঙ্গুর ও সন্ত্রাসীদের আড্ডাস্থল, যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগিতায় হতাশ নেতারা

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করতে এবং যেকোন উপায়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থার মিশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।  তবে খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলার আসামী হওয়ায় এবং জামায়াত-শিবিরের মত সন্ত্রাসী সংগঠনের আশ্রয়দানকারী হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের আর্জি নাকোচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ায় নির্বাচনের আগে খালেদাকে মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করার মিশন সেই অর্থে ব্যর্থ হয়েছে।  বিএনপির ভঙ্গুর রাজনীতি, অবাধ দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে অন্ধ সমর্থনের কারণে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বিএনপির অনৈতিক দাবি দাওয়াকে সরাসরি না বলে দিয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।  একটি স্বাধীন দেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতেও অনীহা প্রকাশ করায় মির্জা ফখরুলরা আশাহত হয়েছেন।
নয়পল্টন বিএনপির পার্টি অফিস সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও জাতিসংঘের সহায়তা নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের পক্ষে ছিলেন না বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা। বিশেষ করে মওদুদ আহমেদ, রিজভী আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, সোহেলসহ একাধিক নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ততটা চিন্তিত ছিলেন না।  তাদের মতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রের মত ব্যয়বহুল দেশে গিয়ে নালিশ করে আসলে কোন লাভ হবে না।  তারা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দেশ নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না। সুতরাং মির্জা ফখরুলের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা টাকা নষ্ট করা ছাড়া কিছুই না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মির্জা ফখরুলকে পাঠাতে হলে অনেকগুলো টাকা খরচ করতে হবে।  এই দুঃসময়ে কে এত টাকা দিবে? সিনিয়র নেতাদের এমন অগণতান্ত্রিক এবং নিষ্ঠুর আচরণে এক সময় ভেঙ্গে পড়েছিলেন মির্জা ফখরুল।  অবশেষে তারেক রহমানের মাধ্যমে বিএনপির ব্যাংকখ্যাত তাবিথ আউয়ালকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হন মির্জা ফখরুল।  তবে তাবিথ আউয়ালের শর্ত ছিল আগামী নির্বাচনে তাকে স্বল্পমূল্যে টিকিট দিতে হবে।  সব দেনা-পাওনা মিটিয়ে অবশেষে জাতিসংঘ সফরের নামে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নালিশ দেন মির্জা ফখরুল।  যেকোন উপায়ে তিনি বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিএনপিকে বসানোর গোঁ ধরে বসেন।  কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি-নির্ধারকরা খালেদা জিয়াকে দুর্নীতিতে জড়িত, অগণতান্ত্রিক নেত্রী এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের মাতা হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে অনীহা প্রকাশ করেন।  যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আস্থাশীল এবং বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নে মুগ্ধ বলেও সাফ জানিয়ে দেয়।  তাদের মতে বিএনপি ভঙ্গুর একটি রাজনৈতিক দল।  এই দলটির দেশপ্রেম নির্ভর কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।  বিএনপি বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের পকেট সংগঠন।  এই দলে কোন রকম গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ নেই।  বিএনপি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের সরাসরি মদদ দিয়েছে।  বিএনপি-জামায়াতের সরাসরি সহায়তায় ধর্মের নামে বাংলাদেশে মুক্তমনা ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের হত্যা করা হয়।  সুতরাং একটি অগণতান্ত্রিক ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতা এবং দুর্নীতিতে ভরা দলকে কোনভাবেই সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপর পূর্ণ আস্থাশীল।  বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি না করে দেওয়ায় মর্মাহত ও হতাশ হয়ে পড়েছেন মির্জা ফখরুলপন্থী বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা না হলে বিএনপি তো এতিম হয়ে যাবে সেটি ভেবেই হাতাশার সাগরে ডুবছে দলটি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

No comments:

Post a Comment