Friday, September 21, 2018

নেত্রীর দুর্নীতি ঢাকতে গায়েবী নালিশ দিয়ে তারেকের হাতে অপমানিত হলেন মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক : প্রমাণিত দুর্নীতির মামলায় সাজা প্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে মিছিল-মিটিং, অভিযোগ-অনুযোগ করে, বিদেশে গিয়ে নালিশ করেও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আল্লাহ’র কাছে বিচার দিলেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম।  দুর্নীতি মামলায় নিজ নেত্রীর দোষ ঢাকতে এবং সুবিচার নিশ্চিত করে জনগণ দ্বারা প্রশংসিত সরকারকে দোষী স্বাব্যস্ত করেই তিনি এই গায়েবী বিচার দেন।  এদিকে জনগণের সামনে বিএনপিকে দুর্বল রাজনৈতিক দল হিসেবে তুলে ধরে নালিশি দলে পরিণত করে অবহেলা ও অপমানিত করার জন্য মির্জা ফখরুলকে তিরষ্কার করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান।  সূত্র বলছে, রাজনৈতিক ব্যর্থতার দায় এড়াতে গায়েবী বিচার দেওয়ার নামে মূলত দলকে পরনির্ভরশীল এবং অন্যের মুখাপেক্ষী হিসেবে তুলে ধরায় তারেক রহমানের রোষানলে পড়তে হয় মির্জা ফখরুলকে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি ইসলামিক দলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নিজেদের অসহায়ত্ব ও দুর্বলতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।  এত টাকা খরচ করে বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করে, আইনজীবী নিয়োগ করেও খালেদা জিয়াকে ‍মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি।  খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় দলটির নেতা-কর্মীরাও বিষয়টিকে ন্যায্য ও আইনের বিষয় ভেবে মুক্তি আন্দোলন থেকে বিরত থাকছে।  প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় হট্টগোল করলে দেশবাসীর কাছে বিএনপি আইনের অশ্রদ্ধাকারী দল হিসেবে পরিচিত হবে।  যেটি দলটির জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।  তাই দেশে অবস্থান করা বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে মৌখিক বক্তব্য দিয়ে দায় সারছেন।
এছাড়া অতীতে আন্দোলন সংগ্রাম করা বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোন রকম আইনী সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দেয়নি দলটি।  তাই এখন আন্দোলন সংগ্রামের নাম শুনলে ভয়ে মুষড়ে যান বিএনপির কর্মীরা।  বার বার মাঠে নেমে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করার আদেশ দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তারেক রহমান।  তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মুখের কথায় আর বিশ্বাস করে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এছাড়া আন্দোলনে কোনো রসদ দিতে চান না বিএনপির সিনিয়র নেতারা।  তাই আন্দোলন সংগ্রামের ডাক আসলে দলটির তৃণমূল কর্মীরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে পালিয়ে বেড়ান।  ঘটনার সত্যতা বুঝতে পেরে তাই ১৯ সেপ্টেম্বরের সেই অনুষ্ঠানে সরকারকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে গায়েবী নালিশ দেন মির্জা ফখরুল।  এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত রিজভীপন্থী একাধিক নেতারা গোপনে হাসাহাসিতে মেতে উঠেন।  বিষয়টি মির্জা ফখরুল লক্ষ্য করে তাদের মৌখিকভাবে শায়েস্তা করেন।  বিষয়টি রিজভী আহমেদের মুখ দিয়ে তারেক রহমানের কানে যাওয়া মাত্রই পরিস্থিতি বিগড়ে যায়।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত পল্টন থানা বিএনপির সহ-সভাপতির বরাতে জানা যায়, অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্র একটি কল আসে মির্জা ফখরুলের মোবাইলে।  নাম্বার দেখেই ঘাবড়ে যান মির্জা সাহেব।  এসময় তার কপাল দিয়ে ঘাম পড়তে শুরু করে।  বুঝতে আমার বাকি ছিল না যে লন্ডন থেকে মির্জা সাহেবকে তারেক স্যার ফোন দিয়েছেন।  অনুষ্ঠানে তার অনুমতি ছাড়া উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে গায়েবী নালিশ করার অধিকার কে দিয়েছে, তারেক রহমানের এমন প্রশ্নে বিব্রত হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল।  তারেক স্যারের মতে, গায়েবী নালিশ করা মানে বিএনপি পরনির্ভরশীল দল।  বিএনপি উপায়হীনদের দল।  বিএনপিকে এভাবে জনসম্মুখে ছোট করার অধিকার কারো নেই।  মির্জা ফখরুলকে এসব বুদ্ধি-বিবেকহীন কাজ না করে মাঠে নেমে আন্দোলন করে জেলে যাওয়ার সাহস দেখানোর চ্যালেঞ্জ দেন তারেক।  আর না পারলে মির্জা ফখরুলকে পদত্যাগ করে গ্রামে গিয়ে মসজিদ-মক্তবে মাস্টারি করার পরামর্শ দেন তারেক।  বিএনপি তার বাবার সম্পত্তি না, যে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবেন বলে রাগান্বিত হয়ে ফোন কেটে দেন তারেক রহমান।  এসময় মির্জা ফখরুলকে বেশ চিন্তিত এবং আবেগতাড়িত দেখাচ্ছিল।

No comments:

Post a Comment