একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে
ঐক্য ও জোটের সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলছে। বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও নাগরিক ঐক্য মিলে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে
একটি জোট গঠন করেছে।
গত মাসের শেষ দিকে গণফোরাম এদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেয়। এই
জোটের সঙ্গে বিএনপির এক হয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ বা ‘বৃহত্তর ঐক্য’ নামে একটি জোট
করার কথা হচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা একটি অনুষ্ঠানে
একসঙ্গে কাজ করার কথা জানান। তবে বিএনপির দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী জামায়াত,
যাদের ব্যাপারে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম বরাবরই বলে আসছে জামায়াতে ইসলামীকে
সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না।
বৃহত্তর ঐক্যে, ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে জামায়াত থাকলে কোনো বৃহত্তর ঐক্যে
যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি
বলেন “জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে কোনো বৃহত্তর ঐক্যে যাব না। সারা জীবনে
করিনি, শেষ জীবনে করতে যাব কেন?”
বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর শর্ত হিসেবে
জামায়াতকে বাইরে রাখার প্রসঙ্গটি বারবার ঘুরে ফিরে আসে। ওই দুই নেতার
জামায়াতের বিষয়ে ঘোর আপত্তি। যুক্তফ্রন্টের কেউ কেউ বলেন, ‘জামায়াতের
রাজনৈতিক গুরুত্ব কমে গেছে। তারা জোট সঙ্গী হয়েও লাভ নেই’। যুক্তি হিসেবে
তারা বলেন, চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াতের অংশ গ্রহণ নেই।
এ অবস্থায় বিএনপির জোট সঙ্গী জামায়াতকে রেখেই বিএনপির সঙ্গে কোনো
‘বৃহত্তর ঐক্যে’ যাবেন কী না এমন প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল বলেন, ‘আমি ও
আমাদের দল ওই ধরনের কোনো ঐক্যে যাব না। অন্য কোনো দল করবে কিনা আমি জানি
না। তবে আমি যতটুকু জানি, ওরা (জামায়াতে ইসলামী) তো এখন দলও নয়। ইতোমধ্যে
তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।’
‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ার কাজ কতটা এগিয়েছে- জানতে চাইলে গণফোরাম সভাপতি বলেন,
এই ঐক্যের কাজ আগাচ্ছে। ঐক্য গড়ে উঠছে। তবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে জামায়াত
থাকলে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম ওই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে যাবে না- এটা চুড়ান্ত।
No comments:
Post a Comment