Sunday, September 16, 2018

বিএনপি-জামায়াতের গুপ্তহত্যা মিশন শুরু, আ. লীগ প্রার্থী শেখ এ্যানী রহমানের উপর গুলি

নিউজ ডেস্ক: সরকারবিরোধী আন্দোলনের চেষ্টায় ব্যর্থ ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক দল বিএনপি-জামায়াত পথ না পেয়ে গুপ্তহত্যা চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে জামায়াত ব্যর্থ হয়েছে তাই যুদ্ধাপরাধীদের দোসর বিএনপিকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা। তারই অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর শহরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রার্থী শেখ এ্যানী রহমানের গাড়ি বহরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় তারা অন্তত দুই দফা নয় রাউন্ড গুলি তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়।
জানা যায়, পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রার্থী শেখ এ্যানী রহমান টুঙ্গীপাড়া থেকে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে পিরোজপুর শহরে আসার সময় প্রথম দফা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির তোফাজ্জল হোসাইনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তার কিছুক্ষণ পর কয়েক দফা গুলি বিনিময়ের শব্দ পাওয়া যায়। এসময় তোফাজ্জল হোসাইনের ভাতিজা হাসানুল বান্না সরাসরি এমপি প্রার্থী শেখ এ্যানী রহমানের গাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের উপস্থিতির জন্য জামায়াত কর্মীরা হত্যাকাণ্ডের মিশন ব্যর্থ হয়। সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম দফা হামলার পর পুলিশ দ্রুত শেখ এ্যানী রহমানকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর এ্যানী রহমানের গাড়ি বহর যখন মহিলা কলেজের সামনে বাসার কাছাকাছি পৌঁছায়, ঠিক তখনই জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুর রব ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আজগরের দুইটি গ্রুপ পুনরায় হামলা চালায়। এসময় এমপি প্রার্থী এ্যানী রহমানের বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সূত্র বলছে, পিরোজপুর-১ আসনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন শেখ এ্যানী রহমান। এটি বিএনপি-জামায়াতের নেতারা সহ্য করতে পারছেন না। তাদের ধারণা শিক্ষিত-মার্জিত আ. লীগ নেতা এ্যানী রহমান নির্বাচনে দাঁড়ালে পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপি-জামায়াতের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে উঠবে। তাই বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে শেখ এ্যানী রহমানকে প্রকাশ্যে হত্যার জন্য গাড়ি বহরের উপর হামলা ও গুলি চালায় শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মীরা।
এদিকে পুলিশ এ্যানী রহমানের গাড়ি বহরে শিবির কর্মীদের হামলার বিষয়ে সদর থানার প্রধান কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক চূড়ান্ত অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন। এ্যানী রহমানের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও পিরোজপুর সদর হাসপাতালে আরএমও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক মনে করেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে টানাপোড়েন। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। আর এরই জের ধরে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা নিজেদের ভেতর ঐক্য তৈরির হাতিয়ার হিসেবে আ. লীগের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রার্থীদের হত্যার জন্য মাঠ পর্যায়ের নেতাদের একজোট হয়ে হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ধারণা এতে করে জোটগত দ্বন্দ্ব কমে আসবে।

No comments:

Post a Comment