প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির চাঞ্চল্য কর
তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার রায় পরিবর্তন করতে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিতো সাবেক এই
প্রধান বিচারপতি। তার দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক ৬০
কোটি ঘুষ নিয়ে রায় তাদের পক্ষে দেওয়া।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠান হতে ১ হাজার দুইশত ৩১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৫ টাকা সরকারি
কোষাগারে জমা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন
ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রিট আবেদন করে। রিটের রায়ে
সরকারের আদায় করা অর্থের কিছু অংশ অর্থাৎ ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ৯০ দিনের
মধ্যে ফেরত দেওয়ার আদেশ প্রদান করে।
হাইকোর্টের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক আপীল বিভাগে আপীল দায়ের
করে। আপীলটি তড়িঘড়ি করে ২০১৭ সালের ০৮, ১৪, এবং ১৫ মার্চ মাত্র তিনটি
শুনানী শেষে ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয় অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে
সরকারকে জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাইকোর্টের এক কর্মকর্তা জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্তৃক আপীল কৃত মামলার রায় ব্যক্তিবর্গের পক্ষে নেয়ার জন্য প্রধান
বিচারপতির সাথে একটি সমঝোতা হয়। মামলার রায় অপরিবর্তনের জন্য বসুন্ধরা
গ্রুপ কর্তৃক সবার নিকট ফান্ড সংগ্রহ করে প্রাথমিক ভাবে ১২০০ কোটি টাকার ৫%
অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি টাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে প্রদান কবে।
সিংগাপুরে অবস্থানরত এস কে সিনহার সহচর রণজিৎ এ অর্থ গ্রহণ করে ।
১৪ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ ১১টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এতে বলা
হয়, ওই অভিযোগ ওঠার পর তার (এসকে সিনহা) কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে কোনো সদুত্তর
পাওয়া যায়নি। এ কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চাননি আপিল বিভাগের অন্য
বিচারপতিরা।
No comments:
Post a Comment