Sunday, September 16, 2018

প্রতীকী অনশনকে কেন্দ্র করে বিভক্ত বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেছেন বিএনপি নেতারা। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ কর্মসূচি শেষ হয় বেলা ১২টায়।
অপরদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতীকী অনশন করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ১০-১২টা পর্যন্ত এ প্রতীকী অনশন করেন। দলীয় কোন্দলের জের ধরেই মূলত দুই জায়গায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনশন কর্মসূচী পালন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
এদিকে দলীয় বিভক্তিতে বরিশাল মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পৃথকভাবে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
অপরদিকে, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মেজবাউদ্দিন ফরহাদের সভাপতিত্বে উত্তর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতীকী অনশন পালন করেন।
এদিকে বিএনপির কর্মসূচিতে দুই গ্রুপে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় সেখানে। দুপুর দুইটার দিকে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনশন চলাকালে ছাত্রদল নেতা বশির উল্লাহ পলাশ ও তার অনুসারিরা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় স্লোগান না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শফত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশের অনুসারীরা শফতের উপর চড়াও হলে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। পরে সেখানে উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
যে উদ্দেশ্যে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়ন তো বিএনপির হলোই না, আরও এই অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির মধ্যকার বিভক্তির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির প্রতীকী অনশন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।
এতে বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment