নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিগত ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিয়মিতভাবে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসা করিয়ে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্যই তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ এস কে সিনহা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং ইচ্ছামত চলাফেরা করছেন।
সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর হাসপাতালগুলোর একাধিক রিপোর্টে বিতর্কিত এই
বিচারপতিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মানসিক অবসাদগ্রস্ত হিসেবে উল্লেখ করা
হয়েছে।
সূত্রের খবরে জানা যায়, স্কিন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও মানসিক অবসাদ নিয়ে
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিঙ্গাপুরের দুটি হাসপাতালে নিয়মিতভাবে
চিকিৎসা নিতেন এস কে সিনহা। ২০১০ সাল থেকেই সিনহার শরীরে ক্যান্সারের
বিচরণ। তিনি সিঙ্গাপুরের দুটি হাসপাতালে অনকোলজি, এন্ড্রোকিনলজি
কোলোরেকটাল, নিউরোলজি, সাইকোলজি, ডার্মাটোলজি, ফিজিওথেরাপি বিভাগের নিয়মিত
চিকিৎসা নিতেন। ক্যান্সারের বিষয়টি মাথায় রেখে মৃত্যু চিন্তায় মানসিক
অবসাদে ভুগতেন এস কে সিনহা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি প্রায়ই বিভিন্ন দেশে
যাওয়া আসা করতেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে তিনি তড়িঘড়ি করে
উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করেন। তিনি ক্যান্সারের চিন্তায় অবসাদগ্রস্ত
হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত একটি বই বের
করেছেন। অথচ ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারের ক্যান্সার
বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. তোহ, ডা. থাম কোম উই, ডা. ট্যাং তার পরিবারকে
পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, ক্যান্সারের কারণে এস কে সিনহা মানসিকভাবে অবসাদে
ভুগতে পারেন, এসময় তিনি কোন ভুল-ভ্রান্তি করে ফেললে সেটি একজন মানসিক রোগীর
মানসিক বৈকল্য বিবেচনায় যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই এস কে সিনহার
মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মৃত্যুভয় নিয়ে এস কে সিনহা পৃথিবীর অনেক
বড় বড় ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছেন। বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।
এখন বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবস্থান করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে
মিথ্যাচার ছাড়াচ্ছেন। তাকে নাকি জোর করে সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছে।
অথচ এস কে সিনহা নিজ ইচ্ছায় বিদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সরকার কখনই তার
চলাফেরায় কোন রকম বাধা দেয়নি। তিনি সরকারকে বিব্রত করতেই মিথ্যাচার
ছড়াচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment