চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, সুস্বাস্থ্যই জীবনের সকল সুখের মূল ও সম্পদ।
আর দেশের সাধারণ মানুষের সেই মূল্যবান স্বাস্থ্যসম্পদ যেনো সবসময়ই
রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে বরাবরই জোর দিয়েছেন টানা দুই
মেয়াদের বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। যখনই সুযোগ পাচ্ছেন, তখনই তিনি
স্বল্পমূল্যে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
রাষ্ট্রপতির মতে চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। যেখানে সরকার ও
চিকিৎসকগণের উচিত সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করা
যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। আর যদি সেটা
সম্ভব হয় তাহলে এতে করে রোগীদের বিদেশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ওপর নির্ভরতার
মনোভাবও কমে আসবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সরকারও উদ্যোগী হয়েছে হাসপাতালে রোগীদের
সেবার মান উন্নয়নের। সদ্য গঠিত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জনগনের
সেবার মান নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোতে জনবলের নিয়মিত উপস্থিতি,
যন্ত্রপাতির সঠিক পরিচর্যা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ওষুধের পর্যাপ্ততা
নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।
অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা
অব্যাহত রাখতে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে বলে
জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান,
বর্তমান সরকার সেবার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর
গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল বদলি ও পদোন্নতিসহ
সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গত টানা তিন
মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছর স্বাস্থ্যখাতে
উল্লেখযোগ্যহারে উন্নয়ন হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে থেকে শুরু করে উপজেলা ও
ইউনিয়ন পর্যন্ত নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। এসেছে অত্যাধুনিক
চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। হয়েছে ১০ হাজার চিকিৎসক এবং ১০ হাজার নার্স নিয়োগ।
নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতি বিভাগে ক্যান্সার
হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে উদ্যোগ বাস্তাবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান
মন্ত্রী। যেখানে শুরুতেই ক্যান্সার প্রতিরোধে জীবনাচারনে সচেতনতা বৃদ্ধি
কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment