Tuesday, January 15, 2019

জাতীয় উন্নয়নে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব গ্রহণ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

গত দশ বছরে বর্তমান সরকারের অধীনে এরইমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ খেতাব অর্জন করেছে। এ সময়টাতে তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দেশে একের পর এক উন্নয়ন হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশ অনুন্নত তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এই একই সরকার টানা তিনবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। যেখানে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হয়েছেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার।
বিস্তৃত ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপ বিশ্বের নানা দেশ অনুকরণ করছে। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সর্বশেষ প্রযুক্তি যেমন- ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি সল্যুশন তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশে এরই মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় শুরু করে দিয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গৃহীত নানান সফর পদক্ষেপে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব গ্রহণ করতে প্রস্তুত। সরকার এ বিপ্লবের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ও জনবল তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। এছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করাও অগ্রাধিকার হিসেবে আছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি আমরা। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এটুআইর প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ‘স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্তমানে দুঃখজনক হলেও সত্য, ইন্ডাস্ট্রিতে কী ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা লাগবে সে বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় নেই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার দক্ষতার ফারাক কমাতে হবে।
তিনি জানান, শিশুরা এখন যারা স্কুলে আছে, যখন তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে তখন তাদের নতুন ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তাই আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের চাহিদার মতো করে তাদের তৈরি করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকার যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব টেকসই উন্নয়নকে গতিশীল করবে। স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, অ্যানালাইটিক্স এবং আইওটি গ্রহণ বাংলাদেশের শিল্পায়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে যেভাবে কাজের ধরন পাল্টে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে, দেশের স্থিতিশীল নেতৃত্ব, বদলি যোগ্য দক্ষতা, উদ্ভাবনী মনোভাব এবং মানুষের উপযোগীকরণের পিছনে বিনিয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাংলাদেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা আনছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে যেতে বাংলাদেশকে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সুবিধাগুলো গ্রহণ ও ব্যবহারের সোনালি সুযোগ দিচ্ছে।

No comments:

Post a Comment