নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর রায়ের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা মামলায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না ঐক্যফ্রন্ট বলে মনে করছেন খোদ জোটটির নেতারা। বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা যায়, এই ফলাফলে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। ন্যূনতম রাজনৈতিক সুবিধা পায়নি বিএনপি। ফলে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় পরাজয় নিয়ে কূল-কিনারা করতে পারছে না জোটের নেতারা।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, মামলা করাটা শুধু নেতা-কর্মীদের আশ্বাস দেয়ার
মতো। কারণ, বিএনপির নেতারাও জানেন এই মামলায় খুব বেশি সুবিধা আদায় করা
সম্ভব না। অন্তত কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে দলে ধরে রাখার জন্যই এসব করছে
বিএনপি। কারণ বিএনপিও ভালোমতো জানে, জনরায়ের বিপরীতে কারো কিছু করার থাকে
না। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং বিদেশি
বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর পরামর্শেই বাধ্য হয়ে বিএনপিকে আদালতের শরণাপন্ন হতে
হয়েছে।
এদিকে, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেই মামলার সুফল
মিলবে কি না, তা নিয়ে তার সংশয়ের কথা বলেছেন। জনরায়ের বিরুদ্ধে আসলে কোন
রাজনৈতিক দলের তেমন কিছু করার থাকে না। ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতিতে তেমন সুবিধা
করতে পারেনি। যার কারণে এমন অভাবনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের।
শুরু থেকেই ঐক্যফ্রন্টে নানাবিধ সমস্যা ছিলো। আমার মনে হয়, জামায়াত নিয়ে
বিএনপির প্রীতি, সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, রাজনীতি বাদ দিয়ে নাগরিক
ধারায় চিন্তা করার কারণে মূলত ঐক্যফ্রন্টের এমন পরাজয় ঘটেছে। সুতরাং
নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ড. কামাল এবং কিছু বন্ধুদের পরামর্শে
আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমরা মামলা করেছি যেন ক্ষমতাসীনরা বলতে না
পারে আমরা মামলা করিনি, অভিযোগ করিনি। এসব করে মূলত আমরা ক্ষমতাসীনদের
বিবেক জাগ্রত করে নতুন একটি নির্বাচন আদায় করাটা আমাদের মূল লক্ষ্য।
No comments:
Post a Comment