Tuesday, January 15, 2019

আগামী মার্চ থেকে যাত্রীদের জন্য ‘ঢাকা-কলকাতা’ নৌসেবা শুরু

প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী মার্চ মাস থেকে নৌপথে যাত্রীসেবা চালু হতে যাচ্ছে। তবে নৌপথে যারা যাত্রী হবেন, ভ্রমণের জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হেমনগরে হবে অভিবাসন ও শুল্কসংক্রান্ত কাজ। আর এ সেবায় বিলাসবহুল ক্রুজ জলযানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে পানিপথের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
‘ঢাকা-কলকাতা’র এই নৌরুটটি কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছেড়ে হলদিয়া বন্দর হয়ে সুন্দরবন ধরে বরিশাল-নারায়ণগঞ্জ দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিগত মেয়াদে অর্থাৎ, গত বছরের ২৫ অক্টোবরে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই নৌপথে যাত্রী চলাচল সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সময়ের ব্যবধানে এই সেবার আওতায় আসতে কিছু প্রতিষ্ঠান নৌ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। সেখান থেকে কিছু আবেদন কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী মার্চ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-কলকাতা নৌসেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে নৌমন্ত্রণালয় সূ্ত্র।
এর আওতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে ভারত। এই চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অভিন্ন নদীর সংস্কারের চেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আসামের গুয়াহাটি ও জোরহাটের মধ্যে নদীপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কলকাতা থেকে সুন্দরবন হয়ে ঢাকায় চলাচলে ১৩ দিন ১৪ রাতের প্যাকেজ থাকছে। যার মধ্যে প্রথম চার দিন কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের গঙ্গার ঘাট থেকে এটি ছেড়ে হলদিয়া বন্দর হয়ে ভারতের অংশের সুন্দরবন ঘুরে বাংলাদেশের সুন্দরবন হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করবে। মূলত, ষষ্ঠ দিনে এই জলযানটি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে প্রবেশ করবে।
এরপর বাংলাদেশের সুন্দরবন ঘুরে বরিশাল হয়ে চলে যাবে নারায়ণগঞ্জে। সেখানে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ, পানামা সিটি ঘুরবে। এখানে যাত্রাবিরতি করে এলাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে ঢাকায় যাবে। তারপর আবার ফিরবে কলকাতায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তিনতলাবিশিষ্ট এই জলযানে রয়েছে এটিতে ২৬টি এসি রুম। প্রতিটি রুমই নদীর উপকূলমুখী। যাত্রীদের জন্য থাকছে রেস্তোরাঁ, স্পা ও জিম।

No comments:

Post a Comment