নিউজ ডেস্ক: রেকর্ডসংখ্যক সন্তানদানের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া
রোহিঙ্গার সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু এ
জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা ২০ মাস আগে যখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তখন তাদের মধ্যে
৫০ হাজার নারীই ছিলো সন্তানসম্ভবা। বাংলাদেশে প্রবেশের পর আরও লক্ষাধিক
নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নির্যাতনে কারণে
লাখো রোহিঙ্গাকে মানবতার খাতিরে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। অথচ
এই মহানুভবতাকে পুঁজি করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন
চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা বশির আলীর সঙ্গে। তিনি
বলেন, রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে বাংলাদেশিরাই এখানে
সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছে। এখানে রোহিঙ্গারা আমাদের ওপর যখন তখন হামলা করে।
অনেক রোহিঙ্গা যুবক বাংলাদেশিদের ঘরে ঢুকে সম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম নগরে এসে চুরির ঘটনা
ঘটিয়েছে রোহিঙ্গা নারীরা। গ্রেফতারের পর ওই নারীর কাছ থেকে চুরি করা চারটি
মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ মে) নগরের সিনেমা প্যালেস এলাকা
থেকে ফাতেমা বেগম (২০) নামে ওই রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী
থানা পুলিশ। এমন নানা অপরাধে জড়িয়ে দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা।
এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন,
ঈদকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম নগরে এসে
চুরিতে জড়িয়েছে রোহিঙ্গা নারীরা। গ্রেফতার হওয়া ফাতেমা বেগম বিভিন্ন
মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে নারীদের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা, মোবাইলসহ
গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে। ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে চারটি মোবাইল সেট
উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া একটি মামলা
রয়েছে।
কামরুজ্জামান আরও বলেন, আগে শুধু রোহিঙ্গা পুরুষরা চুরি এবং ছিনতাই
করতো। কিন্তু বর্তমানে নারীরাও এ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া বক্সিরহাট
এলাকায় চুরি করার সময় হাতেনাতে স্বপ্না (৩২) নামে আরো এক রোহিঙ্গা চোরকে
গ্রেফতার করেছি আমরা। এভাবে যদি লাখ লাখ রোহিঙ্গা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে
যায়, তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দ্বারা এ অপকর্ম রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে
আশা করছি।
No comments:
Post a Comment