নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরে সৃষ্ট
অসঙ্গতি দূর করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তা সফল হয়নি। জানা গেছে, বৈঠকে
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং নাগরিক
ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনুপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতার কারণে
বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মতভেদ ও বিবাদের জের
ধরে কামাল ও মান্না বৈঠকে উপস্থিত হননি। তবে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকাটা
রাজনৈতিক কৌশলের অংশ কিনা, সেটি নিয়েও ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতিতে ধোঁয়াশা
সৃষ্টি হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেনের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে মাহমুদুর রহমান মান্না ত্যক্ত-বিরক্ত। সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী জোট গঠনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেন মান্না। সেসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একঘরে করতে আওয়ামী লীগ-বিরোধীদের এক প্লাটফর্মে আনার জন্য অন্যতম কুশীলবের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। নানা টানাপড়েন শেষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন মান্না।
একটি সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেনের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে মাহমুদুর রহমান মান্না ত্যক্ত-বিরক্ত। সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী জোট গঠনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেন মান্না। সেসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একঘরে করতে আওয়ামী লীগ-বিরোধীদের এক প্লাটফর্মে আনার জন্য অন্যতম কুশীলবের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। নানা টানাপড়েন শেষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন মান্না।
যদিও জামায়াতে ইসলামী ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা দ্বিধা-বিভক্ত
থাকলেও বিষয়টিকে কিছুটা আড়াল করে বিএনপির সাথে নির্বাচন এবং রাজপথমুখী
আন্দোলনে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
গঠনে বিএনপির নীতি-নির্ধারকেরা মান্নাকে কাজে লাগান। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের
এক মঞ্চে হাজির করতে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন মান্না।
এমন প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতেও বিএনপিকে অবজ্ঞা
করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভুঁইফোড় নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়। সে সময় মনোনয়ন
দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সাথে ২০ দলীয় জোটের শীতলযুদ্ধ শুরু হয়। এত কিছুর
পরেও মান্না নিজেকে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করে সরকারবিরোধী আন্দোলন সোচ্চার
রাখতে চেয়েছেন। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে আপাতত
নিজ অবস্থানেই থাকতে চান তিনি। আর তাই ১০জুন অনুষ্ঠেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের
সভায় যাননি মান্না।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মান্নার ঘনিষ্ঠ নাগরিক ঐক্যের একজন নেতা
বলেন, মান্না ভাই প্রয়োজনে একা পথ চলবেন, তবু তিনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বের
রাজনীতিতে থাকতে চান না। বিশেষ করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের
কর্মকাণ্ডে চরম বিরক্ত তিনি।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment