কিন্তু দেশের নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’- এর সভার
আহ্বান করলেও সেখানে জামায়াতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সোমবার
(১ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক
পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ এর নেতৃত্বাধীন নতুন এই জোটের সভা
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
জানা গেছে, নতুন এই জোটে জামায়াত যুক্ত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন খোদ
জাতীয় মুক্তি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, জাতীয় মুক্তি
মঞ্চে যুক্ত হতে আমরা সবাইকে আহ্বান করেছি। জামায়াত আসবে কিনা তা আমি বলতে
পারছি না। হঠাৎ তাদের মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। যা আমার কাছে
সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত সভায় যোগ দিলেও মুক্তি মঞ্চে থাকবে কিনা তা নিয়ে
অবস্থান স্পষ্ট করছে না। যদিও নতুন জোট গঠনের আগে তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা
হয়েছিলো আমার। এখন তা ধোঁয়াশায় পড়ে আছে। জামায়াতের এমন রহস্যময় আচরণে আমি
নতুন জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
নতুন এই রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দেন ২০ দলের অন্যতম নেতা অলি আহমদ। এ
জোটে জামায়াতকে ভিড়াতে কর্নেল অলি জামায়াতকে ‘দেশপ্রেমী দল’ বলেও আখ্যায়িত
করেন। যদিও সেদিনের সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা
উপস্থিতি থাকার কথা থাকলেও তা হয়নি। জামায়াতের কোনো নেতাই সেখানে উপস্থিত
ছিলেন না। সূত্র বলছে, ধোঁয়াশার সূত্রপাত সেখান থেকেই।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই রাজনৈতিক ফ্রন্টে যুক্ত হওয়া-না হওয়ার
বিষয়টি জামায়াত কৌশলগত কারণে খোলাসা করছে না। জামায়াত নেতারা হয়তো অলির
কৌশল বোঝার চেষ্টা করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামায়াতের এই সংশয়ে কিছুটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন
অলি। ফলে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জামায়াতকে সঙ্গে নেয়ার অভিপ্রায়
ব্যর্থ হতে চলেছে। কেননা, এ জোটে জামায়াতকেই প্রধান চালিকা শক্তি ভাবা
হচ্ছিলো।
No comments:
Post a Comment