তরুণ
প্রজন্ম বর্তমানে অশ্লীল ও নোংরা ছবিতে আসক্তির ভয়াল নেশায় মত্ত হয়ে আছে।
টিন এজার থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়সী পুরুষও এই আসক্তিতে ভুগছেন। নিয়মিত
অশ্লীল ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য
পুরুষ। অনেকেই এই বাজে অভ্যাসটির কুফল সম্পর্কে সচেতন হলেও অভ্যাসসহ
বিভিন্ন কারণে তারা এর থেকে বের হতে পারছে না। চিরতরে অশ্লীল ছবি দেখার
অভ্যাসকে বিদায় জানাতে চলুন কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
প্রতিষেধক
প্রতিকারের তুলনায় উত্তম। আপনার বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে দেখা হলেই আপনার
দৃষ্টিকে সংযত করুন। একইরূপ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানসমূহ,
নাটক, চলচ্চিত্র প্রভৃতিতে আপনার দৃষ্টিকে সংযত করুন। তাছাড়া ধর্মীয়ভাবেও
বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে দৃষ্টি সংযত রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআন মাজীদে আল্লাহ বলেন,
‘মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের
হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ
তা অবহিত আছেন।’ (সূরা নূর, আয়াত: ৩০)
সবসময় নিজেকে সামাজিক কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়,
সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন এবং একা থেকে নিজের
মধ্যে দুষ্ট চিন্তার চাষাবাদ রোধ করুন। এতে কাজ হলে সামাজিক বিভিন্ন কাজে
নিজের সম্পৃক্ততা বাড়ান।
নিজের
কাজ করার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ প্রকাশ্য স্থানে রেখে কাজ করুন এবং রাতে
বেডরুম থেকে সকল প্রকার মোবাইল বা অন্যান্য ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের
উপযোগী যন্ত্র সরিয়ে রাখুন। শুধু নির্দিষ্ট প্রয়োজনেই ইন্টারনেট ব্যবহার
করুন। কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট মুছে ফেলুন। এমন কোনও
সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, যা অশ্লীল ছবির সাইট ব্লক করে দেয়। একা একা কম্পিউটারের সামনে বিনিদ্র রাত কাটানোর অভ্যাস বন্ধ করুন।
আপনি যদি নামাজী না হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করে দিন। কারণ,
আল্লাহ্ বলেছেন– ‘নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল কাজ ও পাপাচার থেকে দূরে
রাখে’ (সূরা আনকাবুত ২৯:৪৫)। এক ঘরে যেমন একইভাবে আলো আর অন্ধকার থাকে না,
তেমনি একই হৃদয়ে একইসাথে নামাজ আর অশ্লীলতা থাকতে পারবে না।
রাসূল (সা.) রোজাকে ঢালের সাথে তুলনা করেছেন। বিশেষ করে যারা বিবাহ করেনি,
তাদের প্রতিরক্ষার জন্য তিনি একে উপযোগী হিসেবে বিবৃত করেছেন। রোজার
মাধ্যমে শুধু যৌনাকাঙ্ক্ষাই প্রশমিত হয়না, বরং অন্যান্য অনেক প্রতিদান
অর্জনও সম্ভব হয়। তাই অশ্লীল ছবির আসক্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বেশি
বেশি নফল রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সর্বোপরি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমেই অশ্লীল ছবিতে আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
No comments:
Post a Comment